মার্কিন ডলার

মার্কিন ডলার ৮০ বছর ধরে অন্যান্য মুদ্রার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক শাসন ও অর্থব্যবস্থায় পশ্চিমাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির সীমা টানতে চায় বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলো। ডলারের আধিপত্য থেকে বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের আহ্বান নতুন নয়। উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের জন্যও ভাবনাটি নতুন নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বিলিয়নিয়ার স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইডকে বলা হতো ক্রিপ্টোর রাজা। ক্রিপ্টোকারেন্সি এফটিএক্স-এর এই প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই সবকিছু হারিয়ে এখন দেউলিয়া হয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, জালিয়াতির অভিযোগে আগামী অক্টোবরে বিচারের মুখোমুখি হবেন তিনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর

বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছর দাতাদেশ ও সংস্থাগুলো ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার অনুদান দেবে বলেছিল। বছরের প্রায় আট মাস চলে গেল; কিন্তু যে অনুদান মিলেছে, তা দাতাদের মোট প্রতিশ্রুতির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ।

ডলারের সংকটে আমদানিতে কড়াকড়ি চলছে। কমে এসেছে ঋণপত্র খোলা ও জাহাজে পণ্য পরিবহন। আর এতেই ধস নেমেছে বিমা কোম্পানিগুলোর মুনাফায়। চলতি বছরের ছয় মাসে তালিকাভুক্ত সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ৫৭ শতাংশেরই মুনাফা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

২০১১ সালে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ-দেনার পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে সেটি সাড়ে তিন গুণের বেশি বেড়ে ২০২৩ সালের মার্চে এসে দাঁড়িয়েছে ৯৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারে। এর মধ্যে সবশেষের মাত্র দুই বছরেই বেড়েছে ৩২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ

স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, ২০২১ সালে চীনের আন্তসীমান্ত লেনদেনের নিষ্পত্তির পরিমাণ বেড়ে ৪৭ শতাংশ হয়েছে, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সেই বছরের তুলনায় ২০২৩ সালের মার্চে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের ক্ষেত্রে রেনমিনবির ব্যবহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ

তৈরি পোশাকের ওপর ভর করে নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বরাবরের মত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই শতাংশ বেশি। 

দেশে ও দেশের বাইরে ডলার বিক্রি করে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ান কিনছে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ান কিনছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। বিশ্ব অর্থনীতিতে ইউয়ানের অবস্থান শক্তিশালী করতেই এই কাজ করছে চীন বিশেষ এই উদ্যােগ নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। এশিয়ার বাজারগুলোতে গতকল মঙ্গলবার সকাল থেকে চীনা ব্যাংকগুল

ডলার সংকট নিয়ে নানা শঙ্কার পর অবশেষ স্বস্তির ছোঁয়া মিলেছে। ব্যাংকগুলো এখন নিজেদের আয়ে আমদানি বিল পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত ৬ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ও রিজার্ভে একক আধিপত্য করে আসছে আমেরিকান ডলার। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণের সেই আধিপত্য হারাতে যাচ্ছে সবুজ মুদ্রাটি।

বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করা ক্লায়েন্টদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানের সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে রাশিয়ার বৃহত্তম ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এসবারব্যাংক (Sberbank)। রাশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্প্রসারণের জন্য তারা এশিয়া তথা এই অঞ্চলে মনোনিবেশ করেছে। 

বিভিন্ন কারণে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি অবলম্বন করছেন দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধার করেই চলেছে সরকার।

চলতি অর্থবছরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল শুল্ক বন্দরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। তবে রাজস্ব আদায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে এবার উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব আয়ে প্রভাব পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য।

রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম ৭ দিনে ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ (৪৬৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ২০০ কোটি ডলার ছাড়া

ডলারের ওপর চাপ কমাতে ১১ জুলাই ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি চালু হলে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম রুপিতে শোধ করা যাবে। একই সঙ্গে দেশটিতে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দামও রুপিতে গ্রহণ করতে পারবে বাংলাদেশ।

ডলারের দাম আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। রপ্তানি আর রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) ইতিবাচক ধারাও ডলারের দামে লাগাম টানতে পারছে না। উল্টো লাফিয়ে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করার পর গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন

ভারতের বেশ কয়েকটি তেল শোধনাকারী প্রতিষ্ঠান চীনা ইউয়ানের বিনিময়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি শুরু করেছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মস্কো এবং তার গ্রাহকেরা বিনিময়ের জন্য এখন ডলারের বিকল্প হিসেবে ইউয়ান ব্যবহার করছে।