মহানবী

ভ্রমণ বা সফর মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। নানা প্রয়োজনে মানুষকে সফর করতে হয় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। মানুষ পরিচিত পরিবেশে ও আপন বলয়ে যতটা সুখী জীবন যাপন করতে পারে, তা সফরে যত আরাম-আয়েশের বন্দোবস্তই থাকুক না কেন, সেই সুখ পাওয়া যায় না।

শিশুদের প্রতি কোমল আচরণ করতেন মহানবী (সা.)। তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবিদেরও তিনি শিশুদের স্নেহ করার আদেশ দেন। শুধু নিজের সন্তান কিংবা নাতি-নাতনিই নয়, এতিম, অসহায় এবং যেকোনো শিশুকেই তিনি খুব স্নেহ

মহানবী (সা.) প্রতিবেশীদের খুব সম্মান করতেন। সর্বদা তিনি প্রতিবেশীর হক আদায়ে সজাগ থাকতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মহানবী (সা.)-এর আচরণ ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সহনশীল। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমাকে জিবরাইল (আ.) সব সময় প্রতিবেশীর ব্যাপারে উপদেশ দেন।

মহানবী (সা.)-এর ভাষ্যমতে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সুরা জুমুআহ নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। এই দিনের বিশেষ গুরুত্বের কারণেই জুমার আজানের পর সব ধরনের দুনিয়াবি কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

১ হিজরির (৮ রবিউল আউয়াল) এই দিনে মহানবী (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনার উপকণ্ঠ কুবায় পৌঁছান এবং ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে কুবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

একটি সুদি ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে সুদের বিনিময়ে আমি হোম লোন নিই এবং একটি বাড়ি তৈরি করি। আমি সব টাকা পরিশোধ করে দিই। তখন সুদের ব্যাপারে সচেতনতা না থাকলেও এখন আমি সুদ এড়িয়ে চলি। আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামি শরিয়তের আলোকে বাড়িটিতে থাকা আমার জন্য বৈধ হবে?

ইসলাম সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। শান্তি-সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের রয়েছে শাশ্বত আদর্শ ও সুমহান ঐতিহ্য। ইসলাম সব মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পরকালে মুক্তির জন্য জীবনভর সংগ্রাম করে গে

বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পদশালীদের বিনিয়োগ অতিপ্রয়োজন। এ জন্য ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহিত করে। পাশাপাশি উৎপাদনশীল কোনো খাতে বিনিয়োগ না করে সম্পদ জমিয়ে রাখতে নিরুৎসাহিত করে ইসলাম।

মানুষের সামগ্রিক কল্যাণে মহান আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। তিনি পরিবার, সমাজ ও দেশের সর্বস্তরে শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। পুরুষের অধিকারের পাশাপাশি নারীর অধিকারের বিষয়টিও সুস্পষ্ট করেছেন। ইসলাম নারীর মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে।

মহানবী (সা.) ছিলেন মানবিক শিষ্টাচারের আধার। নম্রতা তাঁর চরিত্রের উৎকৃষ্ট দিক। আল্লাহর সামনে তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে নম্র ব্যক্তি। অত্যন্ত বিনয়-নম্রতা ও খুশু-খুজু নিয়ে ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। মানুষের সঙ্গেও তিনি অত্যন্ত কোমল-নম্র আচরণ করতেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মবার্ষিকী পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ রোববার বিকেলে বঙ্গভবনের দরবার হলে এক দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল

আলোচনা সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আরও বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর আবির্ভাব এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা। তার ক্ষমা, উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন, যুদ্ধ কৌশল, শাসনব্যবস্থাসহ বিশ্বশান্তির যে মহান বাণী জগতে প্রচার করেছেন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আমরা কর্মপন্থা নির্ধারণ করি তাহলে

মহানবী (সা.) সামাজিক ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন। মানবতার ভিত্তিতে তিনি সমাজ গঠন করেন। ছোট-বড়, ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, আমির-ফকির সবাইকে এক কাতারে শামিল করেন।

আজ রোববার ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালিত হবে। দিনটি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

সংবাদ প্রেরণ ও প্রচার স্বাভাবিক কাজ। যাচাই-বাছাই করেই সংবাদ বিশ্বাস ও প্রচার করা জরুরি। কারণ, সংবাদ যদি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন হয়ে থাকে, তবে সমাজে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.)-এর যুগের একটি ঘটনা উল্লেখ করতে পারি।

ইসলামের মূল বার্তা হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পুরো বিশ্বে শান্তি, সাম্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠা করা। মহানবী (সা.)-এর জীবন বিশ্ববাসীর জন্য উত্তম আদর্শ। তিনি ছিলেন শান্তির দূত।

ঢাকার ইতিহাসের সঙ্গেই মিশে আছে ঐতিহাসিক চকবাজার শাহি মসজিদ। ১৬৭৬ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন মোগল সুবেদার নওয়াব শায়েস্তা খাঁ। ৩৪৬ বছরের ব্যবধানে মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে।