বৈদেশিক রিজার্ভ

বিদেশি মুদ্রার বৈশ্বিক মজুত দ্রুততম গতিতে নামছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে শুরু করে চেক রিপাবলিক পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজ নিজ মুদ্রার সুরক্ষায় হস্তক্ষেপ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে

রিজার্ভের সংকট কাটাতে সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি, কৃচ্ছ্র সাধন এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এতসবের পরেও রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েই চলছে। এমনকি গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ কমে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। আজ বুধবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এটিই গ

অর্থনৈতিক মন্দার অশনিসংকেত দেশে দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের উন্নত দেশের পাশাপাশি মন্দা আর ঋণ সংকটের কবলে পড়তে যাচ্ছে উঠতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেকেই।

গত আগস্টে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এ বছরের শেষ নাগাদ রিজার্ভ ৯০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণের রিজার্ভও ৩০ টন বেড়ে ১৩১ টনে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের পণ্য যাতে বিদেশে রপ্তানি হয় সে জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করা এবং পণ্যের জন্য নতুন নতুন বাজার আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। যেখানে যে পণ্যের চাহিদা সেই ধরনের পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পদক্ষেপ আমরা নেব।

ডলার সংকট যখন অর্থনীতিতে অস্থিরতা উসকে দিচ্ছে, তখনই ঋণের ঝাঁপি নিয়ে হাজির আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। ঋণের সঙ্গে রাশি রাশি শর্ত রয়েছে তাদের প্যাকেজে। এসেই সংস্থাটির দৌড়ঝাঁপ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মহলে। তবে আইএমএফের এই দৌড়ঝাঁপের মধ্যেই ঋণ নেওয়ার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন খোদ সরকার

একদিকে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি, অন্যদিকে কমছে রেমিট্যান্স। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম এবং পরিবহনের খরচ বাড়তে থাকায় আমদানি ব্যয়ের লাগামও টানতে পারছে না সরকার। এর চাপ গিয়ে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে আমদানি ব্যয় কমাতে এবং রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

নতুন গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এটাই এখন বেশি গুরুত্ব পাবে। দ্বিতীয় কাজ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এ জন্য আমদানি-রপ্তানি যে ব্যবধান আছে, তা কীভাবে কমিয়ে এনে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে চেষ্টা করা হবে। তৃতীয়ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করা হ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২ সালের জুন মাসের শেষে কত দাঁড়াচ্ছে? বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণায় রিজার্ভ হয়তো ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে থাকবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এই ঘোষণা গ্রহণযোগ্য মনে করে না।

একটা দেশ আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে তিন মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করার মতো রিজার্ভ থাকতে হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনাভাইরাসের অতিমারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন অনেক ক্ষেত্রে টালমাটাল। পাকিস্তানের

ডলার আয়ের প্রধান দুটি ভরসার জায়গা রপ্তানি আয় আর রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে। একে একে দুটি উৎস থেকে ডলার আসা কমে গেছে। এদিকে ডলারের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাতে চার দিন আগে এর দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আ

বর্তমানে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণ তার জিডিপির ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ তার জিডিপির ৬০ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, কোনো দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ তার জিডিপির ৪০ শতাংশ বা তার বেশি হলে তা উদ্বেগজনক। এ হিসাবে বাংলাদেশের এ নিয়ে এখনই...

বর্তমানে বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যার দরুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বর্তমানে র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ। বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখার জন্য তাদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের চেয়ে সব সূচকে পেছনে পড়ে গেছে। আমাদের রিজার্ভ যখন ৪৮ মিলিয়ন ডলার, তখন পাকিস্তানে তা অর্ধেক। প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর টাউন

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে দেশটিকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্প সময়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে এই ঋণ দেওয়া হবে। এর আগেও দেশটিকে এমন সহায়তা করেছিল বাংলাদেশ। দেশটির কাছে এ ঋণের শর্ত জানিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারা সম্মত হলে দ্রু