বাস্তুচ্যুত

বৃষ্টির দেখা মেলে কদাচিৎ। নতুন বছর আসে আর দাবদাহ বাড়ে। আরও প্রবল হয় খরা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানির চাপ থাকা অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দারা জলবায়ু সংকটের মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছেন। এ সংকটের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ

নাইজেরিয়ায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে ১৪ লাখের বেশি মানুষ। দেশটির সরকারের বরাতে এমনটা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি...

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ফ্রান্স। দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৭ হাজার হেক্টর বনভূমি দাবানলে ধ্বংস হয়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে এক হাজারের বেশি দমকলকর্মী কাজ করছে। মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহ, শুষ্ক আবহাওয়া ও শক্তিশালী বাতাসের কারণে দাবানল নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই সর্বোচ্চ শিশু বাস্তুচ্যুত সংখ্যা। গত এক বছরেই ২২ লাখ বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশুর মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ শরণার্থী হয়েছে। আর সংঘাত ও সহিংসতার কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ শিশু।

সুইডেনে ‘স্টকহোম প্লাস ফিফটি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে সেখানে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গোলটেবিলে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এসব লাখ লাখ জলবায়ু অধিবাসীদের জন্য যথেষ্ট করছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তাঁরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

সংঘাত, সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বাঁচতে বিশ্বজুড়ে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

যুদ্ধ, সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত বছর বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি ৯০ লাখ মানুষ নিজেদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন। গত এক বছরে নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যাও রেকর্ড গড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।

সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বের আট কোটির বেশি মানুষ নিজেদের আবাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ২০২০ সাল শেষে সারা বিশ্বে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় ছিল ৮ কোটি ২৪ লাখ মানুষ। ইতিহাসে এর আগে এত মানুষ কখনো গৃহহারা ছিল না...