বর্জ্য

ঢাকায় দূষণের সব থেকে বড় উৎস বর্জ্য। অথচ যশোর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন শহর ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন করে সফলতা পেয়েছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করে রাজধানী ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন হাওরাঞ্চল দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সারা দেশ হতে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করেন, ঘুরে বেড়ান নৌকায়। কিন্তু, ঘুরতে এসে অনেকেই প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে হাওরের পরিবেশ দূষিত করছেন। এতে হুমকির মুখে পড়ছে হাওরের জীববৈচিত্র্য। 

নগরীর ছোট–বড় প্রায় ৩০০ হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ করে তা উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা এবং প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’র চুক্তি আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানটি অন্য সংস্থার কাছে অশোধিত বর্জ্যই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃষ্টি হইলে ময়লা পঁচার গন্ধে এই দিকে যাওন যায়না। গন্ধে বমি চইলা আহে। প্রতিদিন ময়লা লইয়া গেলেও এতো গন্ধ হইতো না। হ্যারা খালি দিনে দুই-তিন গাড়ি ময়লা নিয়া যায়। বাকি ময়লা পইড়া থাকে। এর লগে আবার পরের দিনের ময়লা জমা হয়। হের লাইগা এতো গন্ধ।' 

লক্ষ্মীপুর থেকে ১৯৯৬ সালে ভাগ্যের সন্ধানে চট্টগ্রাম আসেন বেলাল হোসেন। নগরীর সিডিএ মার্কেট এলাকায় একটি ভাঙ্গারির দোকানে কাজ নেন। কয়েক বছর কাজ শিখে ১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন নিজেই।

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদন হয়। যেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে, ২৫ হাজার ঘনমিটারের। অর্থাৎ দৈনিক ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিবেশে মিশছে। গত তিন বছরে ১ কোটি ৬৪ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে গেছে।

রাজধানী থেকে গত তিন দিনে কোরবানির পশু ও হাটের ৩০ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদুল আজহার দিনদুপুর থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানি করতে হবে। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।’

কোভিডের এমন সুরক্ষা সামগ্রীর অব্যবস্থাপনা ও অসচেতন ব্যবহারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও জন্ডিসের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা