আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। এই বাজেটকে ‘পুঁজিবাজারবান্ধব’ বলে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজারবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গতকাল সোমবার বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এ বাজেট পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বাজারের টেকসই...
দীর্ঘ সময় ধরে বাজেটে অবহেলিত থাকা দেশের পুঁজিবাজার খাতের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেশ কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। আজ সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় এই সুবিধাগুলোর ঘোষণা দেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম সভার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সভায় দেশের পুঁজিবাজার, বিমা খাত, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অর্থনীতির উন্নয়নসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। পুঁজিবাজার, বিমা খাত ও অর্থনীতির উন্নয়নে বিমা কোম্পানিগুলোর অবদান বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণের পরিমাণ ৩০ শতাংশের কম হলে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করা হবে। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সরাসরি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে না।
টানা দরপতন, তারল্যসংকট ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতায় দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দেশের পুঁজিবাজার। এমন প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে প্রাণ ফেরাতে নেওয়া হয়েছে কয়েকটি সাহসী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।
দেশের পুঁজিবাজারে ফের বড় ধরনের পতন ঘটেছে। টানা দরপতনের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ১৯ খাতের মধ্যে ১৮টিতে দরপতন হয়েছে। এই নিয়ে টানা পাঁচ কার্যদিবসে সূচক কমেছে প্রায় ১৭০ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে, যা ২০২০ স
আর্থিক প্রতিবেদন খুবই স্পর্শকাতর ও জটিল বিষয়। আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের ধারণা না থাকলে কোম্পানিগুলো নিয়ে ভালো প্রতিবেদন লেখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এবং পুঁজিবাজারে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ)
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘকাল ধরেই শনির দশা চলছে। সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন এর অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে পুঁজিবাজারের করুণ অবস্থা ফুটে উঠেছে
প্রেস সচিব বলেন, ‘একটা বড় বিষয় হচ্ছে, ঐতিহাসিকভাবে বিএসইসিতে বা বাংলাদেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের যে রিফর্মগুলো যারা করেছেন, তাঁরা সবাই গোষ্ঠী স্বাস্থ্যর দিকে তাকিয়েছিলেন। এই গোষ্ঠীটা একটা পারপাস সার্ভ করছে, ওই গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ এসে আরেকটা পারপাস সার্ভ করেছে।
অনিয়ম ও দুঃশাসনে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। পুঁজিবাজার পরিণত হয়েছে জুয়াখেলার ক্যাসিনোতে। যেখানে মুনাফা কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর, আর লোকসান সাধারণ বিনিয়োগকারীর।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে ক্যাসিনোতে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাই পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি পুঁজিবাজারের ‘পলিটিক্যাল ওনারশিপ’ নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগ নিয়ে বারবার গুজব ছড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেছেন, ‘সারা দিন শুধু গুজব—আমি নাকি পদত্যাগ করছি। বাজারে কি এসবের কোনো প্রভাব পড়ে না?’
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল রোববার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে
দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে সর্বস্ব হারিয়ে রাস্তায় নেমেছেন ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। গতকাল লেনদেন শেষে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ ও কফিন মিছিল করেন।
সরকারের নির্বাহী আদেশে অফিস-আদালত চালু থাকায় দীর্ঘ ২০ বছর পর দেশের পুঁজিবাজারে শনিবার লেনদেন হয়েছে। পতনের বৃত্তে আটকে থাকা পুঁজিবাজারে এদিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। যদিও আগের ৬ সপ্তাহে ধারাবাহিক পতনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৪ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নেমে এসেছে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে, ৪,৭৮১ পয়েন্টে। ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখো বিনিয়োগকারী। বাজারে আস্থা হারাচ্ছেন সবাই, বাড়ছে মার্জিন ঋণের সেল প্রেশার, আর সরকারের সিদ্ধান্তগুলো আস্থার পরিবর্তে বাড়াচ্ছে হতাশা।