পশুর চামড়া

বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপরও ট্যানারিমালিকেরা সিন্ডিকেট করে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

দেশে কয়েক বছর ধরে চামড়ার দাম নিয়ে শনির দশা চলছে। সেই সংকট এ বছরও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আছে। কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম থাকলেও চামড়ার দাম পাচ্ছে না দেশের চামড়া বিক্রেতারা। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আজকের পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে।

ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা প্রায় তিন কোটি টাকা বিগত ৫ বছরেও আদায় হয়নি। ফলে পুঁজি হারিয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। চামড়া কেনার কোনো রকম প্রস্তুতি নিতে পারেননি পুঁজি সংকটে থাকা ব্যবসায়ীরা। বকেয়া টাকা আদায় ও মূলধনের সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক ব্যবসায়ী এ ঈদে চামড়া

কোরবানির পশুর মধ্যে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। লবণযুক্ত ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা, টাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা। গত বছর ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়া দাম ছিল ৪৭-৫২ এবং বাইরে ৪০-৪৪ টাকা।

এক দশক আগেও কোরবানির ঈদে মৌসুমি ফড়িয়াদের মধ্যে লেগে থাকত চামড়া কেনার প্রতিযোগিতা। তখন মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়া কমবেশি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারতেন কোরবানিদাতারা। কিন্তু গত বছর সেই চামড়া বিক্রি হয়েছে বড়জোর ৫০০ টাকা দামে।

কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ ও তদারকিতে পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষকে প্রধান করে সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

খেলাপির ঝুঁকির কারণে চামড়া খাতে ঋণ অর্ধেকে নামিয়ে আনছে ব্যাংকগুলো। আসছে কোরবানির ঈদ ঘিরে ৪৪৩ কোটি টাকার ঋণ ২৫৯ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে এবার অপেক্ষাকৃত কম হারে ঋণ পাবেন চামড়া খাতের উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বরগুনার পাথরঘাটায় পরিত্যক্ত বস্তা থেকে দুটি চিত্রা হরিণের চামড়া উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের হরিণঘাটা খালসংলগ্ন এলাকা থেকে চামড়া দুটি জব্দ করা হয়। 

২০৩০ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১ বিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি...

রাজধানীর হাজারীবাগে চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে উদ্যোক্তারা বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা লেনদেন করছেন। এই এলাকায় চার শতাধিক দোকান, শোরুম ও কারখানায় চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে বিক্রি করছেন তাঁরা। বেল্ট, ওয়ালেট, জুতা, ব্যাগসহ নানা পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছেন।

দেশের ১৫৪টি ট্যানারি আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের লবণযুক্ত চামড়া কেনা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ)। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শাহীন আহমেদ বলেন, ‘এ বছর এক কোটি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৫ থেকে ৬ লাখ ছাগল, ভেড়া ও বকরির চা

কোরবানির পশুর চামড়া এখন মূল্যহীন পণ্য। ভেড়া-ছাগলের চামড়া কেনার ক্রেতাই মেলেনি। বাধ্য হয়ে কেউ মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন, কেউ নদীতে ফেলে দিয়েছেন। গরুর চামড়াও বিক্রি হয়েছে পানির দামে

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছাগল ও ভেড়ার চামড়ার কোনো মূল্য নেই। গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে নামমাত্র মূল্যে। হতাশায় গরিব-অসহায় এবং এতিমখানা-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মূল্য না থাকায় ছাগল-ভেড়ার চামড়া নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

সরকারের নানা উদ্যোগের পরেও ময়মনসিংহে চামড়ার প্রকৃত দাম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে অনেকে। কেউ কেউ চামড়া ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি মাদ্রাসায়ও দান করে দিচ্ছেন। 

পরশুরামে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে মানুষ এবারও বিপাকে। বলতে গেলে পানির দরেই বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া। গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অর্থ ও স্থান-সংকটে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির চামড়া কিনতে না পারার শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা এখনো ট্যানারিমালিকদের কাছ থেকে পাওনা বুঝে পাননি...

কোরবানির পশুর সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়াই মূলত চাহিদার ৬০ শতাংশের বেশি পূরণ করে থাকে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চামড়া খাতে ঋণের প্রতিশ্রুতি ও বিতরণ কমে গেছে। পাশাপাশি চামড়া সংগ্রহেও ভাটা পড়েছে। যার বড় কারণ, ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনায় পর্যাপ্ত অর্থের সংকট। অধিকাংশ ব্যাংক চামড়া খাতে ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আর ট