তিস্তা নদী

রংপুরের সফিয়ার রহমান ও শাহ মো. মেহেদী হাসান। এই পরিচয়ে একদিন দুই ব্যক্তি আসেন তিস্তার চরে। উদ্দেশ্য—সেখানে সোলার প্যানেল তৈরির কারখানা নির্মাণ করবেন। হ্যাঁ, এমনটাই তাঁরা বলেন স্থানীয় ব্যক্তিদের। কেউ কেউ তাঁদের প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। তাঁদের শুধু ‘কোম্পানি’র কাছে নিজেদের জমি বিক্রি করতে হবে।

উজানের ঢল ও বর্ষণে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে প্রবেশ করেছে পানি। ওই সব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে দুই হাজার পরিবার। 

উজানের ঢল ও গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে পানির নিচে তলিয়ে থাকা কৃষি পণ্য নি

উজানের ঢল আর বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ প্রধান নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় তীব্র স্রোতে জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বুড়িরহাটে তিস্তার বাম তীরের একটি স্পার বাঁধের একাধিক স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধের

নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এতে নদী তীরবর্তী ছয় ইউনিয়নের ১৫টি চর

উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে নীলফামারী ডিমলা অংশে তিস্তার পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট (স্লুইসগেট) খুলে রেখেছে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। 

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় ওই স্থানে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে। ফলে বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটছে তিস্তাপারের মানুষের।

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ১৫টি চরের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। 

উজানের ঢলে আর ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বেলা ৩টায় ১১ সেন্টিমিটার নিচে নামে। 

উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নীলফামারীর তিস্তাপাড়ে আবারো বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

উদ্বোধন হলো দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড। আজ বুধবার দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বেক্সিমকো পাওয়ার নির্মিত ২০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘হামার তিস্তাপাড়ের মাইনসের ভাগ্য আর বদল হইল না। হামাক মনে হয় এইভাবেই তিস্তার বালা মুখোত নিয়া, নদীর ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করি বাঁচি থাকা লাগবে।’ দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি গ্রামের সাইয়েদুল ইসলাম (৫৫) ...

মায়ের সামনেই তিস্তা রেলওয়ে সেতুর ৪ নম্বর পিলারের ওপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী। নিখোঁজ তরুণীকে খুঁজতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ৪ ঘণ্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। 

এ বিষয়ে সুপারিশপত্রে বলা হয়-‘কমিটি তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যু সম্পর্কে অবগত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি দ্রুত সমাধান করতে চায়। ভারত বলেছিল, এই বিষয়ে যখন ঐকমত্য হবে তখন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রতিশ

নীলফামারী ও দিনাজপুরে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচের নালায় পাট জাগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। চাষিরা নালার দুই পাশের মাটি কেটে পাট জাগ দেওয়ায় ভরে যাচ্ছে খালের তলদেশ। এতে ইরি-বোরো মৌসুমে নালা দিয়ে সেচের পানি প্রবাহের ব্যাঘাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চাষিরা। 

তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় নদীপাড় এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিস্তাপারের হাজারো মানুষ। তিস্তার হুমকির মুখে রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী শঙ্করদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও