গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে গেছে। বাঁধটি ভেঙে নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। ইচলি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত এই বাঁধটিতে বসবাস করা কয়েকটি বাড়ি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে দিন পাড় করছেন বাধঁটিতে বসবাস করা বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে ফসল রক্ষার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তোড়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। বাধঁটিতে থাকা আব্দুর রাজ্জাকের চারটি, রহমানের চারটি ও আবুল কালামের ৩টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আতঙ্কে দিন পাড় করতে হচ্ছে তাঁদের।
ওই বাঁধে ভাঙনের শিকার রহমান বলেন, ‘কাল রাইতোত এমনভাবে বাঁধটি ভাঙি গেল কিছুই নিবার পাইনো না। ঘরটা ভাঙি গেছে। কোনো রকমে নিজের জানটা ধরি বেরবার পাইছি। কোনো কাপড়ও নিবার পাই নাই। এলা খামো কি পড়মো কি? এখন যে হামরা নিঃস্ব।’
বাঁধের আরেক বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার যা ছিল সব তিস্তা নিয়ে গেল। এখন কীভাবে আমরা চলব আল্লাহ জানেন। তিস্তা হামাক শ্যাষ করি দেইল।’
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাটার দুইদিকে পুকুর থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রাত তিনটার দিকে বাঁধটা ভেঙে গেছে। কয়েকটা ঘর উদ্ধার করতে পারলে বাড়িতে থাকা কোনো আসবাবপত্র উদ্ধার করতে পারি নাই। আমরা দীর্ঘদিন থেকে তিস্তার উত্তরে একটা বেড়ি বাঁধ বা নদী শাসনের জন্য আবেদন করতেছি কিন্তু কোনো কাজেই হচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৪০ কেজি চাল, তেল, চিড়া, গুড়সহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। পরিবারগুলোকে আপাতত পাশেই এসকেএস বাজার সংলগ্ন মুজিব বর্ষের ঘরে পূর্ণ বাসনের ব্যবস্থা করেছি।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের না। ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয়রা নির্মাণ করেছেন। সেটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুরে তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আজ বিকেল ৩টার পাউবোর তথ্য মতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে গেছে। বাঁধটি ভেঙে নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। ইচলি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত এই বাঁধটিতে বসবাস করা কয়েকটি বাড়ি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে দিন পাড় করছেন বাধঁটিতে বসবাস করা বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে ফসল রক্ষার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। গতকাল বুধবার রাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির তোড়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। বাধঁটিতে থাকা আব্দুর রাজ্জাকের চারটি, রহমানের চারটি ও আবুল কালামের ৩টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আতঙ্কে দিন পাড় করতে হচ্ছে তাঁদের।
ওই বাঁধে ভাঙনের শিকার রহমান বলেন, ‘কাল রাইতোত এমনভাবে বাঁধটি ভাঙি গেল কিছুই নিবার পাইনো না। ঘরটা ভাঙি গেছে। কোনো রকমে নিজের জানটা ধরি বেরবার পাইছি। কোনো কাপড়ও নিবার পাই নাই। এলা খামো কি পড়মো কি? এখন যে হামরা নিঃস্ব।’
বাঁধের আরেক বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার যা ছিল সব তিস্তা নিয়ে গেল। এখন কীভাবে আমরা চলব আল্লাহ জানেন। তিস্তা হামাক শ্যাষ করি দেইল।’
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাটার দুইদিকে পুকুর থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রাত তিনটার দিকে বাঁধটা ভেঙে গেছে। কয়েকটা ঘর উদ্ধার করতে পারলে বাড়িতে থাকা কোনো আসবাবপত্র উদ্ধার করতে পারি নাই। আমরা দীর্ঘদিন থেকে তিস্তার উত্তরে একটা বেড়ি বাঁধ বা নদী শাসনের জন্য আবেদন করতেছি কিন্তু কোনো কাজেই হচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৪০ কেজি চাল, তেল, চিড়া, গুড়সহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। পরিবারগুলোকে আপাতত পাশেই এসকেএস বাজার সংলগ্ন মুজিব বর্ষের ঘরে পূর্ণ বাসনের ব্যবস্থা করেছি।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের না। ফসল রক্ষার জন্য স্থানীয়রা নির্মাণ করেছেন। সেটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ।
এদিকে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুরে তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আজ বিকেল ৩টার পাউবোর তথ্য মতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
৪২ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে