অং সান সু চি

সু চির আইনজীবী বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীদেরও পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। জান্তা সরকারের উদ্যোগে তাদের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। ৭৬ বছর বয়সী সু চির সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষী ও রাঁধুনিসহ ১০ জনের মতো কর্মী রয়েছেন... 

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই সু চি ও তার দল এনএলডির গ্রেপ্তার সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আন্দোলন। মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানায়, সেনাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ এনেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে এখন ক্ষমতায় সামরিক সরকার। এই সরকারের নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশন কারাবন্দী সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নিবন্ধন বাতিল করতে চলেছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, গত নভেম্বরের নির্বাচন দলটি কারচুপি করে জিতেছিল। আজ শুক্রবার দেশটির এক নির্বাচন কমিশন

শুক্রবার যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে মিয়ানমারের সেনারা। প্রতিটি মরদেহের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার মিয়ানমার কিয়াত আদায় করছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা প্রায় ৭ হাজার ১৯০ টাকার সমান।

ব্রিটেনের মিয়ানমার দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূতকে বের করে দিয়ে সেটি দখলে নিয়েছে জান্তা সমর্থিত ব্যক্তিরা। স্থানীয় সময় বুধবার এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনা সেনাবাহিনী দ্বারা সংশোধিত  সংবিধানের ধারা তুলে ধরে  জাও মিন তু, এক বছরের মধ্যে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করবো। সর্বোচ্চ দুই বছর লাগতে পারে। এরপর আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবো। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

মিয়ানমারের সেনাবিরোধী আন্দোলনের নেতা খিন সদর একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন,  যত পারেন গেরিলা হামলা চালান। চলুন আমরা রেডিও শুনি। আর ফোনে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হই।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে কোম্পানিটি জানায়, শুক্রবার(২ মার্চ) থেকে মিয়ানমারে শুধু তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। আমরা সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা পেয়েছি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত  করা মামলাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুতর। এই মামলায় দোষী সাব্যস্থ হলে সু চির ১৪ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে বলে তাঁর আইনজীবির পক্ষ থেকে জানানো  হয়েছে।

সেনাদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এখনো জনসম্মুখে আসেননি সু চি। গতকাল বুধবার সু চির আইনজীবী দলের সদস্য মিন মিন সোয়েকে মিয়ানমারের রাজধানী  নেপিডোর একটি  থানায় আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে সু চির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয় তার।