Ajker Patrika

ভারতে ভুয়া তথ্যের বিস্তার রুখতে হিমশিম খাচ্ছে ফেসবুক

প্রযুক্তি ডেস্ক
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৩৮
ভারতে ভুয়া তথ্যের বিস্তার রুখতে হিমশিম খাচ্ছে ফেসবুক

ভারতে ভুয়া সংবাদ, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং হিংসাত্মক বিষয়বস্তুর বিস্তার রুখতে ফেসবুককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারতের এক ফেসবুক গবেষকের ‘দ্য ফেসবুক পেপারস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ ওই নথি সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন মার্কিন পত্রিকা প্রকাশ করেছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আচরণ নিয়ে গবেষণার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্টে কী কী বার্তা আসে, সেটি ট্র্যাক করা হয়। অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল কেরালায় বাস করেন এমন ব্যক্তির প্রোফাইল হিসেবে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তিন সপ্তাহ অ্যালগরিদম অনুযায়ী ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুপারিশ করা গ্রুপ, পেজে যোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে বিদ্বেষ এবং সহিংসতার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত ফেসবুকের অন্যতম বড় বাজার। অভ্যন্তরীণ তথ্য জানাচ্ছে, সেখানে ভুল তথ্য, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এক বড় সমস্যা। 

ভারতের ওই ফেসবুক গবেষক ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে খোলা ওই ফেসবুক প্রোফাইল প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওই তিন সপ্তাহে যে পরিমাণে মরদেহের ছবি দেখেছি, আমি আমার গোটা জীবনেও এত দেখিনি।’ 

বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল ভারতের শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রচার-প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়েছে। যা ভয়াবহ রকমের উদ্বেগের। এক ভুয়া অ্যাকাউন্টের ৩ কোটির বেশি ফলোয়ার। এই ঘটনায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষও হতবাক। সব মিলিয়ে ভুয়া খবর এবং বিদ্বেষমূলক খবর রুখতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। 

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সরকারিভাবে ২২টি স্বীকৃত ভাষা রয়েছে। এতগুলো ভাষার কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়া এবং সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। 

তবে পর্যাপ্ত রসদের অভাবেই ভারতে ভুয়া তথ্য রুখতে পারছে না ফেসবুক—এমন যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। এ বিষয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুক ১০টি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থার সঙ্গে স্থানীয়ভাবে অংশীদারত্ব করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় ফ্যাক্টচেকিং করা হয়। এ ছাড়া ১১টি ভারতীয় ভাষায় ফ্যাক্টচেক করা হয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের পরে বৃহত্তম নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলো ভারতে ফেসবুকের সঙ্গে কাজ করছে। তাঁরা ক্রসচেক করে সন্দেহজনক সংবাদগুলো দেখেন। আশা করা যাচ্ছে, ফ্যাক্টচেকিংয়ের মাধ্যমে এই ধরনের পোস্ট ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যাবে। 

ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি ফ্যাক্টচেকিং সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, কোনো সংবাদ বা পোস্ট ট্যাগ করে দেওয়ার পর আমাদের আর কিছু করার থাকে না। এটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেখে। আমাদের এ বিষয়ে নৈতিক বা আইনগত কর্তৃত্ব নেই। 

ফ্যাক্টচেকিং হলো ভুল তথ্য প্রতিরোধে ফেসবুকের একটি প্রচেষ্টা। তবে ভারতে সমস্যাটি অনেক বড়। কেননা, রাজনৈতিক দলগুলোও ফেসবুককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কাজ করছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিয়েও বিভিন্ন ঘৃণা ছড়ানো হয় ফেসবুকে। নির্বাচন ও করোনা নিয়ে দেশটিতে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

সৌদি আরবের কেনা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলকে দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের, প্রত্যাখ্যান করে কিসের ইঙ্গিত দিল রিয়াদ

আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত