Ajker Patrika

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে নতুন মাইলফলক, ৬১০০ কিউবিটের রেকর্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এই বিপ্লবী প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে সিজিয়াম পরমাণু। ছবি: ক্যালটেক
এই বিপ্লবী প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে সিজিয়াম পরমাণু। ছবি: ক্যালটেক

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) একদল পদার্থবিদ। রেকর্ড ভেঙে এবার তাঁরা তৈরি করেছেন ৬ হাজার ১০০ কিউবিটের বিশাল একটি অ্যারে। এ ধরনের কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এটি সর্ববৃহৎ অ্যারে। আগের রেকর্ডটি ছিল এক হাজার কিউবিটের।

এই প্রযুক্তিতে কিউবিট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সিজিয়াম পরমাণু। পরমাণুগুলোকে লেজারের ‘অপটিক্যাল টুইজার’ বা অত্যন্ত সূক্ষ্ম আলোকরশ্মির মাধ্যমে স্থির করে রাখা হয়। স্থিতিশীল পরমাণু কিউবিটের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিউবিটগুলো প্রচলিত বৈদ্যুতিক কম্পিউটারের বিট থেকে আলাদা। পারমাণবিক কণার সুপারপজিশনকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিউবিটকে কম্পিউটিংয়ের কাজে লাগানো হয়। এটি কেবল এক বা শূন্যর বাইনারি অবস্থা নয়, বরং একটি বিস্তৃত সম্ভাব্যতার হিসাব। এই সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এমন সব সমস্যার সমাধান করা যায়, যা প্রচলিত কম্পিউটিং পদ্ধতিতে সম্ভব নয়।

তবে এই প্রযুক্তিকে বাস্তবে ব্যবহারযোগ্য করতে প্রয়োজনীয় অ্যালগরিদম উন্নয়নে বিপুলসংখ্যক কিউবিটের প্রয়োজন। মূলত নির্ভুল করার জন্যই বেশি কিউবিটের প্রয়োজন।

ক্যালটেকের পদার্থবিদ মানুয়েল আন্দ্রেস বলেন, ‘এটি নিউট্রাল-অ্যাটম কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এখন আমাদের সামনে বড় আকারের, ত্রুটিমুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির একটি সুনির্দিষ্ট পথ স্পষ্ট হচ্ছে।’

একাধিক প্রকৌশলগত সাফল্যের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। যেমন—অপটিক্যাল টুইজার, অতি নিম্ন চাপের ভ্যাকুয়াম চেম্বার এবং আরও অনেক ক্ষেত্রেই সূক্ষ্ম অগ্রগতি ঘটেছে।

এই গবেষণায় আরও একটি বড় অর্জন হলো—কিউবিটগুলোকে প্রায় ১৩ সেকেন্ড পর্যন্ত সুপারপজিশন অবস্থায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এ সময় আগের রেকর্ডের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। এ ছাড়া, প্রতিটি কিউবিট ৯৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ নির্ভুলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। এটি কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ব্যবহারযোগ্যতায় এক বিরাট মাইলফলক।

গবেষক গিওহেই নোমুরা বলেন, ‘কেবল কিউবিটের সংখ্যা বাড়ালেই হবে না, মান নিশ্চিত করাও জরুরি। এখন আমাদের হাতে দুটিই রয়েছে—সংখ্যা এবং গুণমান।’

এরপর, গবেষকদের ‘এনট্যাঙ্গলমেন্ট’ বা বিজড়ন অবস্থাকে কাজে লাগানোর ওপর কাজ করতে হবে। তবেই এ ব্যবস্থা তথ্য সংরক্ষণ থেকে বাস্তবে প্রসেসিংয়ের কাজে সক্ষম হবে। খুব বেশি দূরে নয়, যখন কোয়ান্টাম কম্পিউটার নতুন বস্তু, পদার্থ এবং পদার্থবিদ্যার মৌলিক সূত্র আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

গবেষক হান্না মানেটসচ বলেন, ‘আমরা এমন যন্ত্র তৈরি করছি, যা আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে এমন সব জ্ঞান দিতে পারবে। আর এটি কেবল কোয়ান্টাম মেকানিক্স দিয়েই সম্ভব।’

গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে প্রকাশিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং। ছবি: এএফপি
গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউসে এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং। ছবি: এএফপি

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো। এই অনুমোদনের ফলে এনভিডিয়া শত শত কোটি ডলারের ব্যবসা করার সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসন এনভিডিয়ার সবচেয়ে উন্নত চিপ চীনে বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

সোমবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি চীনের প্রেসিডেন্ট সি-কে জানিয়েছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এনভিডিয়াকে তার এইচটুওও(H200) পণ্যগুলো চীন এবং অন্যান্য দেশে অনুমোদিত গ্রাহকদের কাছে এই শর্তে পাঠানোর অনুমতি দেবে যে, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। প্রেসিডেন্ট সি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন!’

ট্রাম্প জানান, বাণিজ্য বিভাগ বর্তমানে এই চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ তৈরি করছে এবং অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি) এবং ইন্টেল-এর মতো অন্যান্য চিপ কোম্পানিগুলোর কাছেও তিনি একই প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

এই চুক্তির সবচেয়ে অস্বাভাবিক দিক হলো, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী মার্কিন সরকার চিপ বিক্রি থেকে হওয়া আয়ের ২৫ শতাংশ ভাগ পাবে, যা এনভিডিয়ার সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনার মাধ্যমে সম্মত হওয়া ১৫ শতাংশের চেয়ে ঢের বেশি। অতীতেও ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লেনদেন থেকে ফেডারেল সরকারের আর্থিক অংশ নেওয়ার অনুরূপ অভিনব পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প।

এনভিডিয়ার H200 চিপগুলো এই কোম্পানির দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ শক্তিশালী চিপ এবং এটি H20 মডেলের চেয়ে অনেক উন্নত। উল্লেখ্য, H20 চিপটি চীনা বাজারের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন মডেল হিসেবে তৈরি করা হলেও গত এপ্রিলে সেটির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। ম্যাসাচুসেটস-এর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং নিউজার্সির অ্যান্ডি কিম বাণিজ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, চীনে এই চিপ বিক্রির ফলে সেই দেশের নজরদারি, সেন্সরশিপ এবং সামরিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে শক্তি জোগানোর ঝুঁকি রয়েছে।

সিনেটর ওয়ারেন সামাজিক মাধ্যমে এনভিডিয়ার সিইও হুয়াংকে কংগ্রেসের সামনে শপথের অধীনে সাক্ষ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন এবং একাধিকবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা বাজারে এনভিডিয়ার হিস্যা ৯৫ শতাংশ থেকে ০ শতাংশ-এ নেমে আসে। তিনি এই নিষেধাজ্ঞাকে বরাবরই ‘কৌশলগত ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এনভিডিয়া। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাণিজ্য বিভাগ কর্তৃক যাচাইকৃত অনুমোদিত বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে H200 চিপ সরবরাহ করার এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার জন্য একটি সুচিন্তিত ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ হয়েছে।’ এনভিডিয়া এবং ট্রাম্প উভয়েই দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান ও উৎপাদনকে সমর্থন করবে।

ট্রাম্প পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের কঠোর রপ্তানি নীতির নিন্দা করে বলেন, ‘সেই যুগ শেষ!’ তাঁর প্রশাসন সবসময় ‘আমেরিকাকে সর্বাগ্রে’ রাখবে।

এদিকে, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো এই ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে একজন টেলিকম শিল্প বিশ্লেষক মা জিহুয়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বছরের নিষেধাজ্ঞা চীনের দেশীয় চিপ শিল্পের উন্নতি ও সম্প্রসারণে একটি বিরল সুযোগ করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে স্টারলিংকের মূল্য ফাঁস নিয়ে বিভ্রান্তি, বাংলাদেশের তুলনায় কম নাকি বেশি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়। কিন্তু এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্থাটি দ্রুত সংশোধন করে জানিয়েছে, প্রদর্শিত সংখ্যাগুলো ভারতে স্টারলিংক পরিষেবার প্রকৃত মূল্য নয়।

দিনের শুরুতে স্টারলিংক-এর ভারতীয় ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের জন্য মাসিক পরিষেবা মূল্য ৮ হাজার ৬০০ রুপি এবং হার্ডওয়্যার কিটের দাম ৩৪ হাজার রুপি দেখানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে সেবা চালু করেছে। প্যাকেজ দুটি হলো– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এর মধ্যে স্টারলিংক রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের মাসিক খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকা এবং রেসিডেনসিয়াল লাইট প্যাকেজের মাসিক খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে উভয় প্যাকেজের জন্যই গ্রাহকদের ৪৭ হাজার টাকা এককালীন যন্ত্রপাতির খরচ বহন করতে হবে। এই প্যাকেজগুলোতে কোনো প্রকার স্পিড অথবা ডেটা ব্যবহারের সীমা থাকছে না। গ্রাহকেরা ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন।

ভারতে ওই ঘটনার বিষয়ে স্পেসএক্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র ডিরেক্টর-স্টারলিংক বিজনেস অপারেশনস, লরেন ড্রেয়ার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে বলেন, ‘স্টারলিংক-এর ভারতীয় ওয়েবসাইট এখনো চালু হয়নি, গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য এখনো ঘোষণা করা হয়নি এবং আমরা ভারত থেকে কোনো অর্ডার নিচ্ছি না।’

তিনি আরও স্পষ্ট করে জানান, একটি কনফিগারেশন ত্রুটির কারণে পরীক্ষামূলক ডামি ডেটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়েছিল, কিন্তু এই সংখ্যাগুলো ভারতে স্টারলিংক পরিষেবার প্রকৃত খরচ প্রতিফলিত করে না। ত্রুটিটি দ্রুত ঠিক করা হয়েছে।

ড্রেয়ার আশা প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা দ্রুত গতিতে ভারতের মানুষের কাছে স্টারলিংক-এর উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে আগ্রহী। তাঁরা বর্তমানে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে মনোযোগ দিচ্ছেন, যাতে পরিষেবা (এবং ওয়েবসাইট) চালু করা যায়।

ভারতে পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি হিসেবে কোম্পানিটি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদগুলোর মধ্যে রয়েছে পেমেন্টস ম্যানেজার, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার, সিনিয়র ট্রেজারি অ্যানালিস্ট এবং ট্যাক্স ম্যানেজার।

স্টারলিংক বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর প্লাগ অ্যান্ড প্লে ইনস্টলেশন, ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশের বেশি আপটাইম, চরম বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কার্যকর থাকা এবং ডেটা ক্যাপ না থাকার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর জোর দিচ্ছে।

এর আগে, মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার স্টারলিংক স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি লেটার অব ইন্টেন্ট স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল মহারাষ্ট্রের গডচিরোলি, নন্দুরবার, ধারশিব এবং ওয়াশিমের মতো প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে সরকারি প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ বাসিন্দা এবং গুরুত্বপূর্ণ জন পরিকাঠামোতে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্থাপন করা।

তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আশীষ শেলার-এর উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই অংশীদারত্বকে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করে স্টারলিংক-কে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হোলন আইকিউ ২০২৫: শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকে ৫ বাংলাদেশি স্টার্টআপ

মো. আশিকুর রহমান
হোলন আইকিউ ২০২৫: শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকে ৫ বাংলাদেশি স্টার্টআপ

শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ। এ বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বিজ্ঞানপ্রিয়, অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা, হালকেনস্টাইন, শিখো এবং সায়েন্স বি। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়াতে ক্রমবর্ধমান অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে স্টার্টআপগুলো।

প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান, উদ্ভাবনী এবং উচ্চ সম্ভাবনাময় শিক্ষা-প্রযুক্তি উদ্যোগগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এই তালিকা প্রকাশ করে হোলন আইকিউ। তালিকায় সাধারণত সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা দেওয়া হয়, যাদের উদ্ভাবন সরাসরি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং ডিজিটাল রূপান্তরে বাস্তব প্রভাব ফেলছে।

হোলন আইকিউ জানায়, ২০২৫ সালের তালিকা তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান ও প্রভাবশালী শিক্ষা উদ্যোগগুলো শনাক্ত করা। এ জন্য তথ্যভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, হোলন আইকিউ ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গুণগত বিশ্লেষণ এবং আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নে ১০ বছরের বেশি পুরোনো উদ্যোগ এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন স্টার্টআপ বিবেচনা করা হয়নি।

বিজ্ঞানপ্রিয়

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা শাওন মাহমুদ ও সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার হিমেল প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’। এটি বর্তমানে ইন্টারনেটের অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম। এটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, শিশু-কিশোরদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল জাগানো এবং অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর চিন্তাধারা গড়ে তোলা। একটি ছোট ফেসবুক পেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বিজ্ঞানপ্রিয় আজ পৌঁছে গেছে ১৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে, যা বাংলাদেশে সপ্তম শ্রেণি থেকে স্নাতকের প্রথম বর্ষ পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্ল্যাটফর্মটি এ পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি গবেষণাধর্মী ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ৩৫০টির বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে এবং তাদের ফেসবুক গ্রুপে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে আড়াই লাখের বেশি আলোচনার আয়োজন হয়েছে।

প্রজেক্ট প্রাচি, ‘নেবুলা’ বিজ্ঞান ই-ম্যাগাজিন এবং হাতেকলমে শেখার নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানপ্রিয় দেশে গবেষণামুখী সংস্কৃতি গড়ে তোলা, এসটিইএম শিক্ষাকে জনপ্রিয় করা এবং বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সহজ এবং উপভোগ্য করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

Astronomy-Pathshaala-(1)

অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা

২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাসিবুল হোসেন রিফাত এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মো. ফাহিম আহমেদ শুরু করেন ‘অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা’র যাত্রা। এটি বাংলাদেশের প্রথম এবং বৃহত্তম মহাকাশবিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম। বাংলা ভাষায় অনলাইন-অফলাইন কোর্স, কর্মশালা, ওয়েবিনার এবং মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা স্পেস সায়েন্সকে আরও সহজ, আকর্ষণীয় এবং সবার জন্য সহজলভ্য করে তুলেছে। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্পেস সায়েন্স কারিকুলাম তৈরি এবং অল বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রয়েড সার্চ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান।

Astronomy-Pathshala

যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীরা নিজ হাতে আকাশে গ্রহাণু শনাক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে। ধারাবাহিক উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা প্রমাণ করছে, মহাকাশবিজ্ঞান শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বাংলাদেশের প্রত্যেক কৌতূহলী শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত এবং সম্ভাবনাময় এক দিক।

idWO3YJOQh_logos

হালকেনস্টাইন

হালকেনস্টাইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আনাস ফেরদৌস এবং এস কে শামিউর রহমান। দুজনেই বুয়েটের শিক্ষার্থী। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে ২০১৯ সালে গড়ে ওঠে হালকেনস্টাইন, যা আজ দেশের অন্যতম শীর্ষ মাধ্যমিক স্তরের অ্যাডটেক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এর সেবার আওতায় ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলে সীমিত শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু হয় এই উদ্যোগ। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ইউটিউবে ফ্রি কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করে হালকেনস্টাইন।

hulkenstein

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ‘ইনফিনিটি স্কুলের’ মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বিত এবং সাশ্রয়ী শিক্ষা মডেল গড়ে তুলেছে। এনসিটিবি পাঠ্যবইয়ের সংক্ষিপ্ত ও পরিবেশবান্ধব মাস্টারবুক, অফলাইন অ্যাপ, এআইভিত্তিক টিউটর, অ্যানিমেটেড ভিডিও ক্লাস, মক টেস্ট—সব মিলিয়ে এটি একটি হাইব্রিড শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার বাইরেও মানসিক স্বাস্থ্য, পাবলিক স্পিকিং ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে জোর দিচ্ছে হালকেনস্টাইন।

Shikho

শিখো

২০১৯ সালের ১ এপ্রিল শাহির চৌধুরী ও জিশান জাকারিয়া প্রতিষ্ঠা করেন ‘শিখো’। এটি বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। বাংলা ভাষায় লাইভ ক্লাস, অ্যানিমেটেড ভিডিও, সমৃদ্ধ প্রশ্নব্যাংক এবং এআইনির্ভর পারফরম্যান্স অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে শিখো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাযাত্রা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি শিখো এআই ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘এডুট্যাব’ ডিভাইসের মাধ্যমে দেশে হাইব্রিড লার্নিংয়ের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বহুব্রীহি অধিগ্রহণ এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিখো দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ আরও বিস্তৃত করছে। এখন পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পেয়ে শিখো বাংলাদেশের সর্বাধিক বিনিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

cropped-New-Bee-Logo-Black-01

সায়েন্স বি

২০১৮ সালে মবিন সিকদার, সাদিয়া বিনতে চৌধুরী ও অন্বয় দেবনাথ প্রতিষ্ঠা করেন ‘সায়েন্স বি’। এটি এখন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত কিংবা এসটিইএমভিত্তিক অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম। আজ প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিতভিত্তিক কনটেন্টের বড় ভান্ডার হিসেবে সায়েন্স বি নিয়মিত আয়োজন করছে অনলাইন কোর্স, কুইজ প্রতিযোগিতা, ই-বুক, বিজ্ঞান সংবাদ আপডেট এবং প্রশ্নোত্তর ফোরাম। পাশাপাশি আয়োজন করছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মশালা এবং জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টক শো ‘দ্য বি শো’, যা অফলাইন কার্যক্রমকে করেছে আরও শক্তিশালী।

২০২৩ সালে প্রথমবার হোলন আইকিউর দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেক তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল সায়েন্স বি। চলতি বছর দ্বিতীয়বার একই মর্যাদা অর্জন করার মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্মটি তার ধারাবাহিক প্রভাব ও উন্নয়ন আরও একবার প্রমাণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূমিকম্পে প্রয়োজনীয় গ্যাজেট

টি এইচ মাহির 
ভূমিকম্পে প্রয়োজনীয় গ্যাজেট

ভূমিকম্প এমন এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যার কোনো আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। তবু এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে মানুষের চিন্তার কমতি নেই। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস সম্পর্কে জানার কোনো উপায় না থাকলেও বিভিন্ন প্রযুক্তি ও গ্যাজেট রয়েছে, যেগুলো ভূমিকম্পের সময় নিরাপত্তা বিষয়ে বেশ কার্যকর এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয়।

ভূমিকম্প সতর্কতা ডিভাইস

জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ‘পার্সোনাল আর্থকোয়েক অ্যালার্ম ডিভাইস’ নামে একধরনের ভূমিকম্প সতর্কতা ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। জাপান ও তাইওয়ানের বাড়িঘর, স্কুল, অফিস-আদালতে এ ডিভাইস দেখা যায়। এটি ভূকম্পনের কয়েক সেকেন্ড আগে মানুষকে সতর্ক করে। ভূমিকম্পের প্রাথমিক তরঙ্গ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্কবার্তা দেয় এই ডিভাইস। পার্সোনাল আর্থকোয়েক অ্যালার্ম ডিভাইসে একধরনের যান্ত্রিক পেন্ডুলাম ও কম্পন সেন্সর রয়েছে। প্রাথমিক কম্পন শনাক্ত হলে ডিভাইসটি জোরে শব্দ করে সংকেত দেয়। আবার এ ধরনের কোনো কোনো ডিভাইস লাল বাতি জ্বালিয়ে সংকেত দেয়। এই ডিভাইস রাতে ভূমিকম্পে ও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আগে বেশ কার্যকর।

গ্যাস শাট অফ ভাল্‌ভ
গ্যাস শাট অফ ভাল্‌ভ

গ্যাস শাট অফ ভাল্‌ভ

ভূমিকম্পের সময় গ্যাসলাইন ভেঙে যাওয়ার কারণে আগুন ধরে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। তাই এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন দেশে বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা হয় গ্যাস শাট অফ ভাল্‌ভ নামক একটি ডিভাইস। এটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ডিভাইস, যা ভূমিকম্পের সময় কোনো ভবনে প্রাকৃতিক গ্যাস বা প্রোপেন সরবরাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ডিভাইস গ্যাস-সংযোগের পাইপে যুক্ত করা হয়। মোশন সেন্সর ও সোলেনয়েড ভাল্‌ভ ব্যবহার করা হয় এতে। ভূমিকম্পের সময় এর সেন্সর ভূকম্পন শনাক্ত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্র, চিলি, তুরস্ক, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ব্যবহার করা হয়।

কোয়েক লাইট
কোয়েক লাইট

কোয়েক লাইট

ভূমিকম্প শুরু হলে অধিকাংশ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বাসাবাড়ি থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে অন্ধকারে পড়ে যায়; বিশেষ করে রাতে ভূমিকম্প হলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে লাইট জ্বালাতে ভুলে যায়। ফলে সিঁড়ি দিয়ে অথবা বাসাবাড়ি থেকে বের হতে অন্ধকারে দুর্ঘটনায় পড়ে। তাই বিভিন্ন দেশে বাসাবাড়িতে কোয়েক লাইট নামে একধরনের ইমার্জেন্সি লাইট লাগানো হয়। এটি ভূমিকম্পের সময় লোডশেডিং বা অন্ধকারেও আলো জ্বালাবে। এর সেন্সর ভূকম্পন শনাক্ত করে বলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটির আলো জ্বলে। এতে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্ক কমাতে এবং অন্ধকার রোধ করতে এই লাইট বেশ কার্যকর।

হ্যান্ড ক্র্যাংক রেডিও
হ্যান্ড ক্র্যাংক রেডিও

হ্যান্ড ক্র্যাংক রেডিও

হ্যান্ড ক্র্যাংক রেডিও বা সোলার আর্থকোয়েক রেডিও নামের এই বিশেষ ধরনের রেডিও বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতে পারে। এটি সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির সাহায্যে চলে। ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎবিহীন অবস্থার জন্য এটি বানানো হয়েছে। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগের সময় এই রেডিও থেকে জরুরি আবহাওয়া বার্তা পাওয়া যাবে। কাছের আবহাওয়া স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে এর মাধ্যমে। শুধু রেডিও নয়, এতে বিশাল একটি লাইট ও ক্যাম্পিং ল্যাম্প রয়েছে। জরুরি মুহূর্তে সতর্ক করার এসওএস সাইরেনও আছে, যেটি আবহাওয়া স্টেশন থেকে সংকেত পেয়ে বেজে উঠবে। সাইরেন ছাড়াও রেডিওটিতে মোবাইল ফোনসহ জরুরি ইলেকট্রনিক ডিভাইস চার্জ দেওয়া ব্যবস্থা আছে।

সূত্র: আমাজন ও আলিবাবা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত