নাহিদ ইসলাম
সায়েন্স ফিকশন সিরিজ ‘স্টার ট্রেক’-এ মহাকাশযানের সদস্যরা বুকের ওপর একটি ব্যাজ পরতেন। ব্যাজটি আসলে একটি স্মার্ট ডিভাইস, যা ভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এবং ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করত। এই ব্যাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাক্তন অ্যাপল ডিজাইনার ইমরান চৌধুরী ও বেথ্যানি বনজিওর্নো তৈরি করেছেন হিউম্যান এআই পিন।
ডিভাইসটি খুব সহজেই একটি ম্যাগনেটিক সারফেসের সাহায্যে কাপড়ের সঙ্গে আটকে রাখা যাবে। বেশি মোটা কাপড়ের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য এই ডিভাইসে মেটাল ক্লিপ রয়েছে। ম্যাগনেটিক সারফেসের পরিবর্তে ম্যাগনেটিক ব্যাটারি ব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে এতে। ডিভাইসটি খুবই ছোট, হালকা এবং সম্পূর্ণ বাটনহীন। এক আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে একে ভয়েস কমান্ড দেওয়া যাবে, দুই আঙুল দিয়ে টাচ করে এর ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে এবং ট্যাপ করে ধরে রাখলে সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণ করা যাবে। ডিভাইসটিতে কোনো স্ক্রিন নেই। পরিবর্তে আছে লেজার প্রজেকশন। হাতের তালুর ওপর প্রজেকশনের মাধ্যমে ডিভাইসটি সময়, তারিখ,কনির্দেশনাসহ বিভিন্ন তথ্য দেখাতে পারে। হালকা নীল রঙের এই লেজার প্রজেকশন দিয়ে ডিভাইসে সেটিংস মেন্যু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এই হিউম্যান এআই পিনটির রয়েছে ৫০টি ভাষা অনুবাদের ক্ষমতা। দুই আঙুল দিয়ে ডিভাইসটি স্পর্শ করে রাখলে নির্দিষ্ট ভাষায় অনুবাদ চালু হয়। পিন পরে থাকা অবস্থায় বিদেশি কারও সঙ্গে কথা বললে ভাষা শনাক্ত করে অনুবাদ করে দেবে এই এআই পিন ডিভাইস।
হিউম্যান এআই পিনের ক্যামেরা শুধু ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণ করার জন্য নয়। এর ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন বা দেখতে পারার ক্ষমতা আছে। যেকোনো জিনিস দেখে তার বর্ণনা দিতে পারে এই ডিভাইস, সাইনবোর্ড থেকে নির্দেশনা পড়ে শোনাতে পারে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ডিভাইসটি পরে নতুন কক্ষে ঢুকলে সেখানে কোথায় কী আছে, তা জানাতে পারবে।
এমন দারুণ সব ফিচার থাকলেও একেবারে আনকোরা এই ডিভাইস এখনই স্মার্টফোনের বিকল্প হওয়ার মতো নির্ভরযোগ্য নয়। প্রাথমিক পর্বে থাকা এ ডিভাইসটি এখনো উত্তর দিতে অনেক সময় ভুল করে। অনেক সময় অনুবাদ করতে গিয়ে ব্যবহারকারীর অজানা কোনো ভাষায় জবাব শোনাতে থাকে। এর লেজার প্রজেকশন ব্যবহার করাটাও ঝামেলাপূর্ণ। কারণ হাতের তালু ফোনের স্ক্রিনের মতো সমান না হওয়ার কারণে লেখা পড়তে অসুবিধা হয় অথবা বাটন ঠিকমতো কাজ করে না। এ ছাড়া এর ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন ঠিকমতো কাজ করে না মাঝে মাঝে, তখন একই জিনিসের ৪ থেকে ৫ রকমের বর্ণনা দেয় এই পিন। এ ছাড়া এর দাম সাধারণ যেকোনো ডিভাইসের চেয়ে গড়ে বেশি।
অনেক রকমের ত্রুটি আর বেশি দাম সত্ত্বেও এই হিউম্যান এআই পিনকে সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য এআই প্রযুক্তি বিকাশের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
তথ্যসূত্র: সিনেট, দ্য ভার্জ
সায়েন্স ফিকশন সিরিজ ‘স্টার ট্রেক’-এ মহাকাশযানের সদস্যরা বুকের ওপর একটি ব্যাজ পরতেন। ব্যাজটি আসলে একটি স্মার্ট ডিভাইস, যা ভয়েস কমান্ড নিয়ন্ত্রিত এবং ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করত। এই ব্যাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাক্তন অ্যাপল ডিজাইনার ইমরান চৌধুরী ও বেথ্যানি বনজিওর্নো তৈরি করেছেন হিউম্যান এআই পিন।
ডিভাইসটি খুব সহজেই একটি ম্যাগনেটিক সারফেসের সাহায্যে কাপড়ের সঙ্গে আটকে রাখা যাবে। বেশি মোটা কাপড়ের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য এই ডিভাইসে মেটাল ক্লিপ রয়েছে। ম্যাগনেটিক সারফেসের পরিবর্তে ম্যাগনেটিক ব্যাটারি ব্যবহারেরও সুযোগ রয়েছে এতে। ডিভাইসটি খুবই ছোট, হালকা এবং সম্পূর্ণ বাটনহীন। এক আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে একে ভয়েস কমান্ড দেওয়া যাবে, দুই আঙুল দিয়ে টাচ করে এর ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে এবং ট্যাপ করে ধরে রাখলে সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণ করা যাবে। ডিভাইসটিতে কোনো স্ক্রিন নেই। পরিবর্তে আছে লেজার প্রজেকশন। হাতের তালুর ওপর প্রজেকশনের মাধ্যমে ডিভাইসটি সময়, তারিখ,কনির্দেশনাসহ বিভিন্ন তথ্য দেখাতে পারে। হালকা নীল রঙের এই লেজার প্রজেকশন দিয়ে ডিভাইসে সেটিংস মেন্যু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এই হিউম্যান এআই পিনটির রয়েছে ৫০টি ভাষা অনুবাদের ক্ষমতা। দুই আঙুল দিয়ে ডিভাইসটি স্পর্শ করে রাখলে নির্দিষ্ট ভাষায় অনুবাদ চালু হয়। পিন পরে থাকা অবস্থায় বিদেশি কারও সঙ্গে কথা বললে ভাষা শনাক্ত করে অনুবাদ করে দেবে এই এআই পিন ডিভাইস।
হিউম্যান এআই পিনের ক্যামেরা শুধু ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণ করার জন্য নয়। এর ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন বা দেখতে পারার ক্ষমতা আছে। যেকোনো জিনিস দেখে তার বর্ণনা দিতে পারে এই ডিভাইস, সাইনবোর্ড থেকে নির্দেশনা পড়ে শোনাতে পারে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ডিভাইসটি পরে নতুন কক্ষে ঢুকলে সেখানে কোথায় কী আছে, তা জানাতে পারবে।
এমন দারুণ সব ফিচার থাকলেও একেবারে আনকোরা এই ডিভাইস এখনই স্মার্টফোনের বিকল্প হওয়ার মতো নির্ভরযোগ্য নয়। প্রাথমিক পর্বে থাকা এ ডিভাইসটি এখনো উত্তর দিতে অনেক সময় ভুল করে। অনেক সময় অনুবাদ করতে গিয়ে ব্যবহারকারীর অজানা কোনো ভাষায় জবাব শোনাতে থাকে। এর লেজার প্রজেকশন ব্যবহার করাটাও ঝামেলাপূর্ণ। কারণ হাতের তালু ফোনের স্ক্রিনের মতো সমান না হওয়ার কারণে লেখা পড়তে অসুবিধা হয় অথবা বাটন ঠিকমতো কাজ করে না। এ ছাড়া এর ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন ঠিকমতো কাজ করে না মাঝে মাঝে, তখন একই জিনিসের ৪ থেকে ৫ রকমের বর্ণনা দেয় এই পিন। এ ছাড়া এর দাম সাধারণ যেকোনো ডিভাইসের চেয়ে গড়ে বেশি।
অনেক রকমের ত্রুটি আর বেশি দাম সত্ত্বেও এই হিউম্যান এআই পিনকে সর্বসাধারণের ব্যবহারযোগ্য এআই প্রযুক্তি বিকাশের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
তথ্যসূত্র: সিনেট, দ্য ভার্জ
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
৮ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৩ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১৫ ঘণ্টা আগে