অলকানন্দা রায়, ঢাকা
অ্যাবাকাস নামের গণনাযন্ত্র কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ হলেও আধুনিক কম্পিউটার শুধু গণনাতেই থেমে থাকেনি। সেই ১৯৪২ সালে চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে পথচলা শুরু হয়েছিল আধুনিক কম্পিউটারের। তাঁরই হাত ধরে আজ সব দেশের সব মানুষের উচ্ছ্বাসের দেখা মেলে অনলাইন ও প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমে। তাঁদের কাজের জায়গা ও ক্ষেত্র নির্বাচনের ঝোঁকও এই অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম।
এ তো গেল পৃথিবীর কম্পিউটারের ইতিকথা। কিন্তু বাংলাদেশে কবে, কোথায়, কখন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে কম্পিউটার এসেছিল, সেই ইতিহাস আমরা খুব একটা জানি না। সেই ইতিহাসই জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ঘটনা সেই ১৯৬৪ সালের। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তানের জন্য একটি কম্পিউটার পাঠায় উপহার হিসেবে। জাহাজে পাঠানোর ফলে সেটি হাতে পেতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান সরকার খুঁজতে থাকে কম্পিউটারে প্রশিক্ষিত একজন প্রোগ্রামার। পশ্চিম পাকিস্তানে এমন কাউকেই পাওয়া না যাওয়ায় তখন তারা খুঁজতে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তানে। খুঁজতে খুঁজতে যাঁকে পাওয়া গেল, তিনি পূর্ব বাংলাকে ভালোবাসেন মনেপ্রাণে। নাম তাঁর মো. হানিফ উদ্দিন মিয়া। বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার।
পশ্চিম পাকিস্তানে ডাক পড়ল তাঁর। সঙ্গে শত প্রলোভন। কিন্তু সেখানে যেতে রাজি হলেন না হানিফ উদ্দিন মিয়া। অগত্যা পাকিস্তান সরকার বাধ্য হলেন কম্পিউটারটি পূর্ব পাকিস্তানে পাঠাতে। সেটি বসানো হলো ঢাকার আণবিক শক্তি কমিশনের কার্যালয়ে। হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরেই সেদিন এ ভূখণ্ডে যাত্রা হয় কম্পিউটার নামের যন্ত্রটির। ১৯৪৭ সালে ভাগ হয়ে আসা ১৭ বছর পেরোনো নতুন একটি দেশের কম্পিউটার বিপ্লবের কান্ডারি হলেন তিনি।
কোথায় আছে সেই কম্পিউটার
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক জানালেন, ১৯৬৪ সালে পাওয়া কম্পিউটারটি সংরক্ষিত আছে এই জাদুঘরে। এখান থেকেই তরুণ প্রজন্ম দেশের প্রথম প্রযুক্তির আগমনের ইতিহাস জানতে পারবে।
অজানা কথা
মো. হানিফ উদ্দিন মিয়া সম্পর্কে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের গ্যালারি সহকারী মো. আরাফাত আলী জানান, পরমাণুবিজ্ঞানী হানিফ উদ্দিন মিয়া ১৯২৯ সালের ১ নভেম্বর নাটোরের সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলশিক্ষক পিতা রজব আলী তালুকদারের দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের মধ্যে তিনি বড়। সংসারে অভাব না থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য জায়গির থাকতে হয় তাঁকে। ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৫১ সালে প্রথম বিভাগ বিএসসি পাস করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পরীক্ষায় ফলিত গণিতে প্রথম শ্রেণিতে স্বর্ণপদকসহ প্রথম হন। এরপর ১৯৬০ সালে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন থিওরি অ্যান্ড অটোমেশন, চেকোস্লোভাক একাডেমি অব সায়েন্স, প্রাগ থেকে অ্যানালগ কম্পিউটার টেকনিক এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে সিস্টেম অ্যানালাইসিস, নিউমেরাল ম্যাথমেটিকস, অ্যাডভান্স কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, অপারেশন রিসার্চে এমআইটি (যুক্তরাষ্ট্র) কম্পিউটার সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
মো. হানিফউদ্দিন মিয়াকে মরণোত্তর সম্মাননা জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রবর্তন করে।
১৯৭৫ সালে আইবিএম রিসার্চ সেন্টার লন্ডন থেকে অপারেটিং সিস্টেম ও সিস্টেম প্রোগ্রামিংয়ে ট্রেনিং নেন হানিফ উদ্দিন মিয়া। এরপর তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থায় প্রোগ্রামার অ্যানালিস্ট হিসেবে অ্যানালাইসিস, ডিজাইন, সফটওয়্যার ইমপ্লিমেশন অব কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামসংক্রান্ত বিষয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি গণিতশাস্ত্র ও কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের কম্পিউটার সার্ভিস ডিভিশনের ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ গণিত সমিতিরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স ও নিউমেরাল ম্যাথমেটিকস থাকা সত্ত্বেও শিল্প-সাহিত্যসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের প্রতি হানিফ উদ্দিন মিয়ার ছিল অপরিসীম আগ্রহ। তিনি বাংলা, ইংলিশ ছাড়াও উর্দু, আরবি, হিন্দি, জার্মান ও রাশিয়ান ভাষা জানতেন। ২০০৭ সালের ১১ মার্চ মারা যান তিনি।
সে কম্পিউটারে যা করা যেত
১৯৬৪ সালে ঢাকার পরমাণু শক্তি কমিশনে যে কম্পিউটারটি বসানো হয়, সেটি ছিল আইবিএম ১৬২০ মডেলের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার। এর র্যাম ছিল মাত্র ২০ কিলোবাইট। পরে এই র্যামকে ৬৪ কিলোবাইটে আপগ্রেড করা হয়। দ্বিতীয় প্রজন্মের এ কম্পিউটারকে আনা হয়েছিল কলম্বো প্ল্যানের আওতায়। এ কম্পিউটার দিয়ে পুরো পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও আধা সরকারি গবেষণাগারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে হিসাব-নিকাশ ও তথ্য সংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে এই কম্পিউটার থেকে টেলিফোন বোর্ড ইলেকট্রনিক বিল ব্যবহার শুরু করে। তবে ১৯৮০ সালের ৫ জুলাই আইবিএম ১৬২০-কে পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য অকার্যকর ঘোষণা করা হলে পরে সেটিকে ঢাকার আগারগাঁও বিজ্ঞান জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
অ্যাবাকাস নামের গণনাযন্ত্র কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ হলেও আধুনিক কম্পিউটার শুধু গণনাতেই থেমে থাকেনি। সেই ১৯৪২ সালে চার্লস ব্যাবেজের হাত ধরে পথচলা শুরু হয়েছিল আধুনিক কম্পিউটারের। তাঁরই হাত ধরে আজ সব দেশের সব মানুষের উচ্ছ্বাসের দেখা মেলে অনলাইন ও প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রমে। তাঁদের কাজের জায়গা ও ক্ষেত্র নির্বাচনের ঝোঁকও এই অনলাইনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম।
এ তো গেল পৃথিবীর কম্পিউটারের ইতিকথা। কিন্তু বাংলাদেশে কবে, কোথায়, কখন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে কম্পিউটার এসেছিল, সেই ইতিহাস আমরা খুব একটা জানি না। সেই ইতিহাসই জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ঘটনা সেই ১৯৬৪ সালের। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তানের জন্য একটি কম্পিউটার পাঠায় উপহার হিসেবে। জাহাজে পাঠানোর ফলে সেটি হাতে পেতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান সরকার খুঁজতে থাকে কম্পিউটারে প্রশিক্ষিত একজন প্রোগ্রামার। পশ্চিম পাকিস্তানে এমন কাউকেই পাওয়া না যাওয়ায় তখন তারা খুঁজতে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তানে। খুঁজতে খুঁজতে যাঁকে পাওয়া গেল, তিনি পূর্ব বাংলাকে ভালোবাসেন মনেপ্রাণে। নাম তাঁর মো. হানিফ উদ্দিন মিয়া। বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার।
পশ্চিম পাকিস্তানে ডাক পড়ল তাঁর। সঙ্গে শত প্রলোভন। কিন্তু সেখানে যেতে রাজি হলেন না হানিফ উদ্দিন মিয়া। অগত্যা পাকিস্তান সরকার বাধ্য হলেন কম্পিউটারটি পূর্ব পাকিস্তানে পাঠাতে। সেটি বসানো হলো ঢাকার আণবিক শক্তি কমিশনের কার্যালয়ে। হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরেই সেদিন এ ভূখণ্ডে যাত্রা হয় কম্পিউটার নামের যন্ত্রটির। ১৯৪৭ সালে ভাগ হয়ে আসা ১৭ বছর পেরোনো নতুন একটি দেশের কম্পিউটার বিপ্লবের কান্ডারি হলেন তিনি।
কোথায় আছে সেই কম্পিউটার
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক জানালেন, ১৯৬৪ সালে পাওয়া কম্পিউটারটি সংরক্ষিত আছে এই জাদুঘরে। এখান থেকেই তরুণ প্রজন্ম দেশের প্রথম প্রযুক্তির আগমনের ইতিহাস জানতে পারবে।
অজানা কথা
মো. হানিফ উদ্দিন মিয়া সম্পর্কে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের গ্যালারি সহকারী মো. আরাফাত আলী জানান, পরমাণুবিজ্ঞানী হানিফ উদ্দিন মিয়া ১৯২৯ সালের ১ নভেম্বর নাটোরের সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলশিক্ষক পিতা রজব আলী তালুকদারের দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের মধ্যে তিনি বড়। সংসারে অভাব না থাকলেও উচ্চশিক্ষার জন্য জায়গির থাকতে হয় তাঁকে। ১৯৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৫১ সালে প্রথম বিভাগ বিএসসি পাস করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পরীক্ষায় ফলিত গণিতে প্রথম শ্রেণিতে স্বর্ণপদকসহ প্রথম হন। এরপর ১৯৬০ সালে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন থিওরি অ্যান্ড অটোমেশন, চেকোস্লোভাক একাডেমি অব সায়েন্স, প্রাগ থেকে অ্যানালগ কম্পিউটার টেকনিক এবং ডিজিটাল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে সিস্টেম অ্যানালাইসিস, নিউমেরাল ম্যাথমেটিকস, অ্যাডভান্স কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, অপারেশন রিসার্চে এমআইটি (যুক্তরাষ্ট্র) কম্পিউটার সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
মো. হানিফউদ্দিন মিয়াকে মরণোত্তর সম্মাননা জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রবর্তন করে।
১৯৭৫ সালে আইবিএম রিসার্চ সেন্টার লন্ডন থেকে অপারেটিং সিস্টেম ও সিস্টেম প্রোগ্রামিংয়ে ট্রেনিং নেন হানিফ উদ্দিন মিয়া। এরপর তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থায় প্রোগ্রামার অ্যানালিস্ট হিসেবে অ্যানালাইসিস, ডিজাইন, সফটওয়্যার ইমপ্লিমেশন অব কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামসংক্রান্ত বিষয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি গণিতশাস্ত্র ও কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের কম্পিউটার সার্ভিস ডিভিশনের ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ গণিত সমিতিরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিষয় কম্পিউটার সায়েন্স ও নিউমেরাল ম্যাথমেটিকস থাকা সত্ত্বেও শিল্প-সাহিত্যসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের প্রতি হানিফ উদ্দিন মিয়ার ছিল অপরিসীম আগ্রহ। তিনি বাংলা, ইংলিশ ছাড়াও উর্দু, আরবি, হিন্দি, জার্মান ও রাশিয়ান ভাষা জানতেন। ২০০৭ সালের ১১ মার্চ মারা যান তিনি।
সে কম্পিউটারে যা করা যেত
১৯৬৪ সালে ঢাকার পরমাণু শক্তি কমিশনে যে কম্পিউটারটি বসানো হয়, সেটি ছিল আইবিএম ১৬২০ মডেলের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার। এর র্যাম ছিল মাত্র ২০ কিলোবাইট। পরে এই র্যামকে ৬৪ কিলোবাইটে আপগ্রেড করা হয়। দ্বিতীয় প্রজন্মের এ কম্পিউটারকে আনা হয়েছিল কলম্বো প্ল্যানের আওতায়। এ কম্পিউটার দিয়ে পুরো পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও আধা সরকারি গবেষণাগারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে হিসাব-নিকাশ ও তথ্য সংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে এই কম্পিউটার থেকে টেলিফোন বোর্ড ইলেকট্রনিক বিল ব্যবহার শুরু করে। তবে ১৯৮০ সালের ৫ জুলাই আইবিএম ১৬২০-কে পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য অকার্যকর ঘোষণা করা হলে পরে সেটিকে ঢাকার আগারগাঁও বিজ্ঞান জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
সৌরবিদ্যুতে চলা নতুন ল্যাপটপ উন্মোচন করল লেনেভো। স্পেনের বার্সেলোনায় শুরু হওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) নতুন এই কনসেপ্ট ল্যাপটপটি উন্মোচন করে প্রতিষ্ঠানটি। এটি ল্যাপটপটি ব্যবহারকারীদের বিদ্যুৎ তারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং বাইরের পরিবেশে কাজ করতে উৎসাহ দেবে।
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী পাঁচ বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিতে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা অনার। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে এআই চালিত উন্নত পিসি, ট্যাবলেট এবং ওয়্যারেবল (পরিধানযোগ্য) ডিভাইস তৈরি করতে চায় কোম্পানিটি। গতকাল রোববার বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল...
১৬ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক, রেডিট এবং অনলাইন ছবি শেয়ারিং সাইট ইমগুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনার অফিস (আইসিও)। শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় প্ল্যাটফর্মগুলো যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কি না, তা যাচাইয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যক্তিগত ও পেশাগত উভয় কাজে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। তাই বিভিন্ন মেসেজের ভিড়ে জরুরি মেসেজগুলো নিচের দিকে দিকে চলে যায়। ফলে সেগুলো দ্রুত খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্ল্যাটফর্মটির ‘পিন মেসেজ’ ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুবতি পাওয়া যায়। কাঙ্ক্ষিত মেসেজ থ্রেডগুলো চ্যাট তালিকার...
১৮ ঘণ্টা আগে