আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুই দশক পর প্রথমবারের মতো নিজের নাম লিখতে সক্ষম হয়েছেন এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী। তাও শুধু চিন্তার মাধ্যমে। এই অবিশ্বাস্য অর্জন সম্ভব হয়েছে নিউরালিংক কোম্পানির উদ্ভাবিত উন্নত ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির সাহায্যে।
১৬ বছর বয়সে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন অড্রে ক্রুস নামের এই নারী। সম্প্রতি নিউরালিংকের ব্রেইন বা মস্তিষ্কের চিপের সাহায্যে চিন্তা করে ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ডে তার নাম বেগুনি রং দিয়ে লিখতে সক্ষম হন। নিজের এই অর্জনের খবর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে-এ শেয়ার করেছেন তিনি।
এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘তিনি (অড্রে ক্রুস) শুধু চিন্তা করে তার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। অধিকাংশ মানুষ এটা সম্ভব বলে ভাবতেই পারেন না।’
২০১৬ সালে নিউরালিংক প্রতিষ্ঠা করেন মাস্ক। কোম্পানিটি একটি মুদ্রার আকারের চিপ তৈরি করেছে। এই চিপের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্সের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা যায়। চিপটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়ে এবং তা বুঝে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী শুধু চিন্তার মাধ্যমেই কম্পিউটার কারসর বা কিবোর্ডের মতো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পান।
মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সফল অস্ত্রোপচার হয় অড্রে ক্রুসের। এক্সে আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার মাথার খুলি ফাঁকা করে মোটর কর্টেক্সে ১২৮টি সূক্ষ্ম থ্রেড (সুতা) প্রবেশ করানো হয়েছে। চিপটি একটি মুদ্রার আকারের। আমার সঙ্গে ভিআইপির মতো আচরণ করেছে স্বাস্থ্য কর্মীরা।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি তার হাঁটার ক্ষমতা ফেরত আনার জন্য নয় বরং শুধুমাত্র ‘টেলিপ্যাথি’ বা চিন্তার মাধ্যমে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। তিনি বলেন, ‘এখন আমি শুধু কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি, ভবিষ্যতে আরও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পাব।’ অড্রে নিজের জীবন নিয়ে একটি বই লেখার আশাও প্রকাশ করেন।
নিউরালিংক গত বছর প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপন করেছে। সার্জিক্যাল রোবট ব্যবহার করে মোটর কর্টেক্সে চিপটি প্রবেশ করানো হয়। এই চিপের মাধ্যমে রোগীরা তাদের চিন্তা মাধ্যমে কারসর বা কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি।
নিউরালিংক ইতিমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং স্পেনের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে ভিজুয়াল প্রোস্থেটিক্স নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো—অন্ধদের জন্য ‘স্মার্ট বায়োনিক আই’ তৈরি করা। এই ডিভাইসটির মাধ্যমে অন্ধরা মুখ চিনতে, বাইরে চলাচল করতে এবং পড়তে পারবে। এটির কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে।
ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরে নিউরালিংককে একটি অগ্রণী প্রযুক্তি হিসেবে প্রচার করে আসছেন, যা ভবিষ্যতে পর্যন্ত স্থূলতা, বিষণ্নতা, অটিজম এবং সিজোফ্রেনিয়ার মতো অবস্থার চিকিৎসা করতে পারবে। তিনি ব্লাইন্ডসাইট নামে একটি দৃষ্টি-পুনরুদ্ধারকারী চিপ চালু করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে বানরের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনো মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়নি। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, নিউরালিংক ২০৩০ সালের মধ্যে ব্লাইন্ডসাইট চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং ২০৩১ সালের মধ্যে তার নিউরাল ডিভাইসের স্যুট থেকে বার্ষিক ১ বিলিয়ন ডলার আয় করার আশা করছে।
দুই দশক পর প্রথমবারের মতো নিজের নাম লিখতে সক্ষম হয়েছেন এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী। তাও শুধু চিন্তার মাধ্যমে। এই অবিশ্বাস্য অর্জন সম্ভব হয়েছে নিউরালিংক কোম্পানির উদ্ভাবিত উন্নত ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির সাহায্যে।
১৬ বছর বয়সে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন অড্রে ক্রুস নামের এই নারী। সম্প্রতি নিউরালিংকের ব্রেইন বা মস্তিষ্কের চিপের সাহায্যে চিন্তা করে ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ডে তার নাম বেগুনি রং দিয়ে লিখতে সক্ষম হন। নিজের এই অর্জনের খবর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে-এ শেয়ার করেছেন তিনি।
এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘তিনি (অড্রে ক্রুস) শুধু চিন্তা করে তার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। অধিকাংশ মানুষ এটা সম্ভব বলে ভাবতেই পারেন না।’
২০১৬ সালে নিউরালিংক প্রতিষ্ঠা করেন মাস্ক। কোম্পানিটি একটি মুদ্রার আকারের চিপ তৈরি করেছে। এই চিপের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্সের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা যায়। চিপটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়ে এবং তা বুঝে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী শুধু চিন্তার মাধ্যমেই কম্পিউটার কারসর বা কিবোর্ডের মতো ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পান।
মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সফল অস্ত্রোপচার হয় অড্রে ক্রুসের। এক্সে আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার মাথার খুলি ফাঁকা করে মোটর কর্টেক্সে ১২৮টি সূক্ষ্ম থ্রেড (সুতা) প্রবেশ করানো হয়েছে। চিপটি একটি মুদ্রার আকারের। আমার সঙ্গে ভিআইপির মতো আচরণ করেছে স্বাস্থ্য কর্মীরা।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি তার হাঁটার ক্ষমতা ফেরত আনার জন্য নয় বরং শুধুমাত্র ‘টেলিপ্যাথি’ বা চিন্তার মাধ্যমে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। তিনি বলেন, ‘এখন আমি শুধু কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি, ভবিষ্যতে আরও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পাব।’ অড্রে নিজের জীবন নিয়ে একটি বই লেখার আশাও প্রকাশ করেন।
নিউরালিংক গত বছর প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপন করেছে। সার্জিক্যাল রোবট ব্যবহার করে মোটর কর্টেক্সে চিপটি প্রবেশ করানো হয়। এই চিপের মাধ্যমে রোগীরা তাদের চিন্তা মাধ্যমে কারসর বা কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি।
নিউরালিংক ইতিমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং স্পেনের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে ভিজুয়াল প্রোস্থেটিক্স নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো—অন্ধদের জন্য ‘স্মার্ট বায়োনিক আই’ তৈরি করা। এই ডিভাইসটির মাধ্যমে অন্ধরা মুখ চিনতে, বাইরে চলাচল করতে এবং পড়তে পারবে। এটির কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে।
ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরে নিউরালিংককে একটি অগ্রণী প্রযুক্তি হিসেবে প্রচার করে আসছেন, যা ভবিষ্যতে পর্যন্ত স্থূলতা, বিষণ্নতা, অটিজম এবং সিজোফ্রেনিয়ার মতো অবস্থার চিকিৎসা করতে পারবে। তিনি ব্লাইন্ডসাইট নামে একটি দৃষ্টি-পুনরুদ্ধারকারী চিপ চালু করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে বানরের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনো মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়নি। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, নিউরালিংক ২০৩০ সালের মধ্যে ব্লাইন্ডসাইট চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং ২০৩১ সালের মধ্যে তার নিউরাল ডিভাইসের স্যুট থেকে বার্ষিক ১ বিলিয়ন ডলার আয় করার আশা করছে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
১৭ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২১ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২১ ঘণ্টা আগেছবি তুলতে কে না ভালোবাসে! হাতের কাছে মোবাইল ফোন থাকলেই হলো, মুহূর্তে বন্দী করে ফেলা যায় প্রিয় দৃশ্য বা স্মৃতি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ভ্রমণের স্মৃতি কিংবা একান্ত মুহূর্ত—সবই জমা হয় মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে।
১ দিন আগে