অনলাইন ডেস্ক
চীন অনলাইন নজরদারি ও সেন্সরশিপে বিশ্বে সবচেয়ে কড়া রাষ্ট্রগুলোর একটি। প্রতিটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই বাধ্যতামূলক করায় সেখানে বেনামি থাকা প্রায় অসম্ভব। এই কঠোর অনলাইন পরিবেশ আরও কঠিন হতে যাচ্ছে দেশটিতে কেন্দ্রীয় ভার্চুয়াল আইডি চালুর মাধ্যমে।
এই ভার্চুয়াল আইডি ব্যবস্থায় প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা পরিচয় জমা দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা একটি জাতীয় ভার্চুয়াল আইডি ব্যবহার করে একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে সাইন ইন করতে পারবে।
নতুন এই নিয়ম মে মাসের শেষ দিকে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা কার্যকর হবে জুলাই মাসের মাঝামাঝি। সরকার বলছে, এই উদ্যোগ নাগরিকদের পরিচয় রক্ষায় সহায়তা করবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সুশৃঙ্খল রাখতে সাহায্য করবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতির ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আরও সংকুচিত হবে এবং নাগরিকেরা অনলাইনে নিজেদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি অনুভব করবেন।
২০১২ সালে চীনা নেতা সি চিনপিং ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দেশটির ডিজিটাল পরিসরে কঠোরতা বেড়েছে। দিনভর সেন্সর বাহিনী দিয়ে পোস্ট সরানো, অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা এবং সমালোচকদের শনাক্ত করা হয়, যাতে কোনো ভিন্নমত ছড়িয়ে পড়ার আগেই দমন করা যায়।
গত বছর আইডি চালুর প্রস্তাবটি জনমত গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল, যা চীনের আইন প্রণয়নের একটি নিয়মিত ধাপ। প্রস্তাবটি ঘোষণার পর থেকে আইনবিদ, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং কিছু ব্যবহারকারী বিরোধিতা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই নিয়মে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিয়াও চিয়াং বলেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ঐক্যবদ্ধ পরিচয়ব্যবস্থা, যা রিয়েল টাইমে ব্যবহারকারীকে নজরদারি ও ব্লক করতে পারে। এটি শুধু নজরদারি নয়, বরং একধরনের ডিজিটাল স্বৈরতন্ত্রের অবকাঠামো।’
চীনের বিশাল অনলাইন জগৎ পরিচালনার দায়িত্ব আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাগাভাগি করে পালন করত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিজেদের মতো করে সমস্যা শনাক্ত করত। তবে এখন একটি কেন্দ্রীয় সিস্টেমে সরকার এককভাবে একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে বলে সতর্ক করেছেন জিয়াও।
মানবাধিকার সংস্থা চায়না হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্সের গবেষক শেন ই বলেন, এই আইডি ব্যবস্থার ফলে সরকার ‘যখন খুশি, তখন’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সম্পূর্ণ গতিপথ ট্র্যাক করতে পারবে।
তবে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এই আইডিকে ‘ব্যক্তিগত তথ্যের বুলেটপ্রুফ ভেস্ট’ বলে উল্লেখ করেছে এবং বলেছে, এটি ডেটা ফাঁসের ঝুঁকি কমাবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ এই আইডির জন্য নিবন্ধন করেছে, যদিও চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে।
জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিনহুয়াকে বলেন, এই সেবা ‘সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়’ ব্যবহার করা যাবে। তবে বিভিন্ন খাতকে এতে সংযুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এর লক্ষ্য একটি নিরাপদ, সুবিধাজনক, কর্তৃত্বপূর্ণ ও দক্ষ পরিচয় যাচাই পদ্ধতি গড়ে তোলা।’
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রফেসর হাওচেন সান বলেন, ‘সরকার যদি চায়, তাহলে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে মানুষকে এই ব্যবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব। একসময় এমন হবে যে আপনি না চাইলেও এই ব্যবস্থায় ঢুকতে বাধ্য হবেন।’
তিনি আরও বলেন, একটি কেন্দ্রীয় ডেটা প্ল্যাটফর্ম মানেই একটি বড় হ্যাকার বা বৈরী শক্তির লক্ষ্য হওয়া।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে চীনে এক পুলিশ ডেটাবেইস হ্যাক হয়ে ১০০ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
চূড়ান্ত নিয়ম জুলাইয়ে কার্যকর হলেও গত বছর থেকেই শত শত অ্যাপ এই আইডি ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে।
২০২৪ সালের মার্চে চীনের বার্ষিক সংসদ অধিবেশনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এক সাইবার পুলিশ কর্মকর্তা জিয়া শিয়াওলিয়াং এই প্রস্তাব প্রথম দেন।
গত জুলাইয়ে যখন সরকার জনমত সংগ্রহ শুরু করেছিল, তখন অনেক বিশেষজ্ঞ ও আইনবিদ এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন।
এক পোস্টে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান আইন প্রফেসর লাও দোংইয়ান ওয়েইবোতে বলেছিলেন, এটি যেন ‘প্রত্যেক নাগরিকের ওপর নজরদারির ডিভাইস বসানো।’
এই পোস্ট দ্রুত মুছে ফেলা হয় এবং ‘নিয়ম ভঙ্গের’ অভিযোগে তাঁর অ্যাকাউন্ট তিন মাসের জন্য পোস্ট দেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে নিয়ম চূড়ান্ত হলে অনলাইনে প্রায় কোনো সমালোচনা দেখা যায়নি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
চীন অনলাইন নজরদারি ও সেন্সরশিপে বিশ্বে সবচেয়ে কড়া রাষ্ট্রগুলোর একটি। প্রতিটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই বাধ্যতামূলক করায় সেখানে বেনামি থাকা প্রায় অসম্ভব। এই কঠোর অনলাইন পরিবেশ আরও কঠিন হতে যাচ্ছে দেশটিতে কেন্দ্রীয় ভার্চুয়াল আইডি চালুর মাধ্যমে।
এই ভার্চুয়াল আইডি ব্যবস্থায় প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা পরিচয় জমা দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা একটি জাতীয় ভার্চুয়াল আইডি ব্যবহার করে একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইটে সাইন ইন করতে পারবে।
নতুন এই নিয়ম মে মাসের শেষ দিকে ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা কার্যকর হবে জুলাই মাসের মাঝামাঝি। সরকার বলছে, এই উদ্যোগ নাগরিকদের পরিচয় রক্ষায় সহায়তা করবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও সুশৃঙ্খল রাখতে সাহায্য করবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতির ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আরও সংকুচিত হবে এবং নাগরিকেরা অনলাইনে নিজেদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি অনুভব করবেন।
২০১২ সালে চীনা নেতা সি চিনপিং ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দেশটির ডিজিটাল পরিসরে কঠোরতা বেড়েছে। দিনভর সেন্সর বাহিনী দিয়ে পোস্ট সরানো, অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা এবং সমালোচকদের শনাক্ত করা হয়, যাতে কোনো ভিন্নমত ছড়িয়ে পড়ার আগেই দমন করা যায়।
গত বছর আইডি চালুর প্রস্তাবটি জনমত গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল, যা চীনের আইন প্রণয়নের একটি নিয়মিত ধাপ। প্রস্তাবটি ঘোষণার পর থেকে আইনবিদ, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং কিছু ব্যবহারকারী বিরোধিতা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই নিয়মে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিয়াও চিয়াং বলেন, ‘এটি একটি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ঐক্যবদ্ধ পরিচয়ব্যবস্থা, যা রিয়েল টাইমে ব্যবহারকারীকে নজরদারি ও ব্লক করতে পারে। এটি শুধু নজরদারি নয়, বরং একধরনের ডিজিটাল স্বৈরতন্ত্রের অবকাঠামো।’
চীনের বিশাল অনলাইন জগৎ পরিচালনার দায়িত্ব আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাগাভাগি করে পালন করত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিজেদের মতো করে সমস্যা শনাক্ত করত। তবে এখন একটি কেন্দ্রীয় সিস্টেমে সরকার এককভাবে একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে বলে সতর্ক করেছেন জিয়াও।
মানবাধিকার সংস্থা চায়না হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্সের গবেষক শেন ই বলেন, এই আইডি ব্যবস্থার ফলে সরকার ‘যখন খুশি, তখন’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সম্পূর্ণ গতিপথ ট্র্যাক করতে পারবে।
তবে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এই আইডিকে ‘ব্যক্তিগত তথ্যের বুলেটপ্রুফ ভেস্ট’ বলে উল্লেখ করেছে এবং বলেছে, এটি ডেটা ফাঁসের ঝুঁকি কমাবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ এই আইডির জন্য নিবন্ধন করেছে, যদিও চীনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে।
জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিনহুয়াকে বলেন, এই সেবা ‘সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়’ ব্যবহার করা যাবে। তবে বিভিন্ন খাতকে এতে সংযুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এর লক্ষ্য একটি নিরাপদ, সুবিধাজনক, কর্তৃত্বপূর্ণ ও দক্ষ পরিচয় যাচাই পদ্ধতি গড়ে তোলা।’
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রফেসর হাওচেন সান বলেন, ‘সরকার যদি চায়, তাহলে বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে মানুষকে এই ব্যবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব। একসময় এমন হবে যে আপনি না চাইলেও এই ব্যবস্থায় ঢুকতে বাধ্য হবেন।’
তিনি আরও বলেন, একটি কেন্দ্রীয় ডেটা প্ল্যাটফর্ম মানেই একটি বড় হ্যাকার বা বৈরী শক্তির লক্ষ্য হওয়া।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালে চীনে এক পুলিশ ডেটাবেইস হ্যাক হয়ে ১০০ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
চূড়ান্ত নিয়ম জুলাইয়ে কার্যকর হলেও গত বছর থেকেই শত শত অ্যাপ এই আইডি ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করেছে।
২০২৪ সালের মার্চে চীনের বার্ষিক সংসদ অধিবেশনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এক সাইবার পুলিশ কর্মকর্তা জিয়া শিয়াওলিয়াং এই প্রস্তাব প্রথম দেন।
গত জুলাইয়ে যখন সরকার জনমত সংগ্রহ শুরু করেছিল, তখন অনেক বিশেষজ্ঞ ও আইনবিদ এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন।
এক পোস্টে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান আইন প্রফেসর লাও দোংইয়ান ওয়েইবোতে বলেছিলেন, এটি যেন ‘প্রত্যেক নাগরিকের ওপর নজরদারির ডিভাইস বসানো।’
এই পোস্ট দ্রুত মুছে ফেলা হয় এবং ‘নিয়ম ভঙ্গের’ অভিযোগে তাঁর অ্যাকাউন্ট তিন মাসের জন্য পোস্ট দেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে নিয়ম চূড়ান্ত হলে অনলাইনে প্রায় কোনো সমালোচনা দেখা যায়নি।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
ভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১ মিনিট আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
৪২ মিনিট আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
৩ ঘণ্টা আগেইনস্টাগ্রামে প্রতিদিন অনেকের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান করা হয়। তবে এত চ্যাটের মাঝে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন খুঁজে বের করা প্রায়ই সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সহজ সমাধান হলো চ্যাট পিন করা। ইনস্টাগ্রামের এই ফিচারটি ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রিয় চ্যাটগুলো ওপরের দিকে রাখা যায়। ফলে নতুন কোনো...
১ দিন আগে