এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অলাভজনজক (নন-প্রফিট) প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি এবার লাভজনক (ফর-প্রফিট) প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। কোম্পানিটির চিফ টেকনোলজি অফিসার মিরা মুরাতির আকস্মিক পদত্যাগের পর বেশ কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার চলে যাওয়া এই পরিকল্পনাকে আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্যাম অল্টম্যান পেতে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ার।
নতুন ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সংগ্রহ করার লক্ষ্যে তার করপোরেট কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সান ফ্রান্সেসকো-ভিত্তিক কোম্পানিটি। কারণ আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা এজিআই নিয়ে উন্নত গবেষণা চালিয়ে নিতে প্রয়োজন প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের অধীনে ওপেনএআই একটি লাভজনক কোম্পানি হয়ে উঠবে। তবে সামাজিক এবং জনসেবার প্রতি কোম্পানিটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এবং অলাভজনক বোর্ডের মাধ্যমে ওপেনএআইয়ের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হবে না।
ওপেনএআই সরাসরি এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কোম্পানিটির এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সবার জন্য উপকারী এআই তৈরি করার প্রতি মনোযোগী এবং আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে আমাদের বোর্ডের সঙ্গে কাজ করছি। অলাভজনক আমাদের লক্ষ্যের মূল অংশ এবং এটি চলতে থাকবে।
অল্টম্যান বৃহস্পতিবার বলেন যে মুরাতি এবং দুই অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগের বিষয়টি কোম্পানির কাঠামো পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত নয়।
২০১৫ সালে একটি অলাভজনক এআই গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ওপেনএআই।
২০১৯ সালে কোম্পানিটির মূল অ-লাভজনক সংস্থার আওতায় একটি লাভজনক শাখা (ওপেনএআই এলপি) প্রতিষ্ঠা করেছে। এই লাভজনক শাখাটি গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য মাইক্রোসফটের কাছ থেকে অর্থায়ন পেয়েছে।
আর ২০২২ সালের শেষের দিকে এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি উন্মোচনের পর কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইতিহাসের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান অ্যাপ্লিকেশনে পরিণত হয়েছে, যার সাপ্তাহিক ২০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। এটি এআই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে।
ওপেনএআই-এর নতুন কাঠামো তার প্রধান প্রতিযোগী অ্যানথ্রোপিক এবং ইলন মাস্কের এক্সএআই কোম্পানির মতো হবে। এই ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব এবং স্থায়িত্বকে উৎসাহ দেয়।
চ্যাটজিপিটি নতুন অর্থায়ন পেলে কোম্পানিটির বাজার ১৫০ বিলিয়ন ডলার বা ১৫ হাজার কোটি ডলার হবে যা উবারের কাছাকাছি। অ্যাপল ও চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া এই অর্থায়নের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী হবে।
ওপেনএআইয়ের সঙ্গে ছয় বছরের বেশি ধরে কাজ করার পর গত বুধবার কোম্পানি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর প্রধান গবেষণা অফিসার বব ম্যাকগ্রু ও গবেষণার ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারেট জোফও পদত্যাগ করেছেন।
চ্যাটজিপিটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ছবি তৈরির টুল ডাল-ই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুরাতি। গত বছর স্যাম অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার পর কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআইয়ে ফিরে আসেন।
স্যাম অল্টম্যান তার পোস্টে বলেন, ‘মিরা, বব, এবং ব্যারেট স্বাধীন ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন। তবে মিরার এই সিদ্ধান্তের নেওয়ার সময়টি যুক্তিযুক্ত ছিল, এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নেতৃত্ব মসৃণভাবে হস্তান্তর করতে পারব।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও গার্ডিয়ান
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অলাভজনজক (নন-প্রফিট) প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি এবার লাভজনক (ফর-প্রফিট) প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। কোম্পানিটির চিফ টেকনোলজি অফিসার মিরা মুরাতির আকস্মিক পদত্যাগের পর বেশ কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার চলে যাওয়া এই পরিকল্পনাকে আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্যাম অল্টম্যান পেতে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ার।
নতুন ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন সংগ্রহ করার লক্ষ্যে তার করপোরেট কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সান ফ্রান্সেসকো-ভিত্তিক কোম্পানিটি। কারণ আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা এজিআই নিয়ে উন্নত গবেষণা চালিয়ে নিতে প্রয়োজন প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের অধীনে ওপেনএআই একটি লাভজনক কোম্পানি হয়ে উঠবে। তবে সামাজিক এবং জনসেবার প্রতি কোম্পানিটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে এবং অলাভজনক বোর্ডের মাধ্যমে ওপেনএআইয়ের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হবে না।
ওপেনএআই সরাসরি এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কোম্পানিটির এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সবার জন্য উপকারী এআই তৈরি করার প্রতি মনোযোগী এবং আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে আমাদের বোর্ডের সঙ্গে কাজ করছি। অলাভজনক আমাদের লক্ষ্যের মূল অংশ এবং এটি চলতে থাকবে।
অল্টম্যান বৃহস্পতিবার বলেন যে মুরাতি এবং দুই অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগের বিষয়টি কোম্পানির কাঠামো পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত নয়।
২০১৫ সালে একটি অলাভজনক এআই গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ওপেনএআই।
২০১৯ সালে কোম্পানিটির মূল অ-লাভজনক সংস্থার আওতায় একটি লাভজনক শাখা (ওপেনএআই এলপি) প্রতিষ্ঠা করেছে। এই লাভজনক শাখাটি গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য মাইক্রোসফটের কাছ থেকে অর্থায়ন পেয়েছে।
আর ২০২২ সালের শেষের দিকে এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি উন্মোচনের পর কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইতিহাসের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান অ্যাপ্লিকেশনে পরিণত হয়েছে, যার সাপ্তাহিক ২০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। এটি এআই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে।
ওপেনএআই-এর নতুন কাঠামো তার প্রধান প্রতিযোগী অ্যানথ্রোপিক এবং ইলন মাস্কের এক্সএআই কোম্পানির মতো হবে। এই ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব এবং স্থায়িত্বকে উৎসাহ দেয়।
চ্যাটজিপিটি নতুন অর্থায়ন পেলে কোম্পানিটির বাজার ১৫০ বিলিয়ন ডলার বা ১৫ হাজার কোটি ডলার হবে যা উবারের কাছাকাছি। অ্যাপল ও চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া এই অর্থায়নের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী হবে।
ওপেনএআইয়ের সঙ্গে ছয় বছরের বেশি ধরে কাজ করার পর গত বুধবার কোম্পানি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর প্রধান গবেষণা অফিসার বব ম্যাকগ্রু ও গবেষণার ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারেট জোফও পদত্যাগ করেছেন।
চ্যাটজিপিটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ছবি তৈরির টুল ডাল-ই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মুরাতি। গত বছর স্যাম অল্টম্যানকে বরখাস্ত করার পর কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআইয়ে ফিরে আসেন।
স্যাম অল্টম্যান তার পোস্টে বলেন, ‘মিরা, বব, এবং ব্যারেট স্বাধীন ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন। তবে মিরার এই সিদ্ধান্তের নেওয়ার সময়টি যুক্তিযুক্ত ছিল, এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নেতৃত্ব মসৃণভাবে হস্তান্তর করতে পারব।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও গার্ডিয়ান
বিশ্বজুড়েই ম্যারাথনে মানুষই দৌড়ায়। তবে চীনে দেখা গেল ভিন্ন দৃশ্য। সেখানে হাফ ম্যারাথনে দৌড়াল রোবট। একটি কিংবা দুটি নয়, ২০টি রোবট দৌড়াল সেই ম্যারাথনে।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসার প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ও জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ সক্রিয় থাকেন। ব্যবসাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও পণ্য বা সেবার ব্যাপারে বিশ্বাস তৈরি করতে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করা
১৭ ঘণ্টা আগেআগাগোড়াই স্মার্টফোনের সঙ্গে বড় হওয়া প্রথম প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। নতুন এক গবেষণা বলছে, ভুল তথ্যে বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে যেসব শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মানুষেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের মধ্যে প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্ম অন্যতম। সম্প্রতি কানাডা
১৭ ঘণ্টা আগেচাকরির বাজারে এক নতুন হুমকির নাম—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে প্রতারকেরা এখন তৈরি করছে ভুয়া প্রোফাইল। এসব ভুয়া প্রোফাইল দিয়ে অনলাইন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দূর থেকে কাজ করার সুযোগ পেতে চায় প্রতারকেরা।
১৭ ঘণ্টা আগে