আনিকা জীনাত, ঢাকা
আমাজনের ক্লথিং স্টোরে গিয়ে পণ্যের কিউআর কোড স্ক্যান করলেন। অমনি অ্যাপে ভেসে উঠল কাপড়ের সাইজ, রং ও পণ্যটির রেটিং। বাটনে স্পর্শ করেই কাপড়টি কাউন্টারে পাঠানো যাবে। ট্রায়াল রুমে অন্য একটি কাপড় এনে পরে দেখতে চাইলে সেটাও সম্ভব। সেখানে থাকা টাচ স্ক্রিনে বাটন টিপলেই পছন্দের কাপড়টি চলে আসবে। অর্থ পরিশোধের জন্য স্ক্যান করতে হবে শুধু হাতের তালু।
এসব শুনে পুরো বিষয়টি কাল্পনিক মনে হলেও এগুলো বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে শিগগিরই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আমাজনের স্টোরে এসব প্রযুক্তির কিছু কিছু ব্যবহার করে কেনাকাটা করা যাচ্ছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেনাকাটাকে আরও সহজ করে তোলা কয়েকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে।
১. কেমন লাগছে আমাকে?
গাড়ি, ঘরের স্মার্ট ডিভাইস বা সফটওয়্যারকে আরও উন্নত করতে যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার হচ্ছে, তেমনি শপিং মলের জন্য জনপ্রিয় হয়েছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি। ল্যাক্টোস নামের একটি ব্র্যান্ড এআর প্রযুক্তির অ্যাপ দিয়ে জুতা বা কাপড় ভার্চুয়ালি পরে দেখার সুযোগ দিচ্ছে। ধরুন, আপনি একটি জুতা পছন্দ করলেন। জুতাটির আর কী কী রং আছে এবং সেগুলো আপনাকে মানাবে কি না, তা জানতে অ্যাপটির ক্যামেরা চালু করতে হবে। পায়ের দিকে ফোন তাক করে সোয়াইপ করে গেলেই জুতা বদলাতে থাকবে।
২. স্ক্রিন যখন আয়না
টিম্বারল্যান্ড নামের একটি ব্র্যান্ড এনেছে ম্যাজিক মিরর। আদতে এটি স্ক্রিন। ম্যাজিক মিররে নিজেকে দেখতে চাইলে আগে তাদের অ্যাপে নিজের ছবি দিতে হবে। আপনার পরনে হয়তো আছে ফুল হাতা টি-শার্ট আর জিনসের প্যান্ট, তবে এই স্ক্রিনের সামনে গেলে সেটা হাফ প্যান্টও হয়ে যেতে পারে। কারণ, হাতের ইশারাতেই ভার্চুয়ালি নিজের পোশাক বদলে নেওয়া যাবে। জুতা বা অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ মানাবে কি না, তা-ও দেখে নেওয়া যাবে। আপনাকে কোন পোশাকে কেমন লাগছে, সেটা জানতে বন্ধুদের কাছে ছবি পাঠিয়ে মতামতও নেওয়া যাবে।
৩. বুঝেশুনে আসবাব কেনা
ঘরে কোন আসবাবটি দেখতে ভালো লাগবে, কোন জায়গায় রাখলে চলাচলে সুবিধা হবে, কোন আকারের আসবাব ঘরের সঙ্গে মানানসই হবে ইত্যাদি জানতে এআর ফার্নিচার অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যায়। আসবাব কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা দরকার, সেগুলো এসব অ্যাপে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও দেয়ালে কোন রং মানাবে তা জানতে ব্যবহার করতে পারেন ডিলাক্স অ্যাপটি। এখানে কয়েক শ রং আছে। আপনার ঘরের দেয়ালে কোন রং দেখতে কেমন লাগবে, তা জানা যাবে এই অ্যাপ থেকে।
৪. হাঁটলেই দেখা যাবে পণ্যের সারি
যদি এমন হয় আপনি কোনো দোকানেই দাঁড়িয়ে নেই, তারপরও প্রতিটি কোনায় যেতে পারছেন, তবে কেমন হবে? বিষয়টি কল্পনা করে নিতে হচ্ছে বলে ভাববেন না এমনটা ভবিষ্যতে ঘটবে না। এখনই ভার্চুয়াল স্টোর থেকে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। চীনের গ্রোসারি ওয়েবসাইট ইহাওডিয়ান ১ হাজারটি ভার্চুয়াল স্টোর রাতারাতি তৈরি করেছে। ফোনে শুধু দেখে নিতে হবে কোথায় তাদের স্টোর আছে। এরপর ফোন তাক করে হেঁটে যেতে হবে। এ স্টোর থেকে হাঁটতে হাঁটতেই কেনা যায় চিপসের প্যাকেট, লবণ, ফলসহ হাজারো পণ্য। কেনাকাটা শেষে পণ্য পৌঁছে যাবে ক্রেতার দেওয়া ঠিকানায়। মজার ব্যাপার হলো, যেখানেই তারা খালি জায়গা পেয়েছে সেখানেই স্টোর বসিয়েছে। পার্কিং লট বা খালি রাস্তায় এ স্টোর বসানোর ফলে কোম্পানিটিকে কোনো জমি কিনতে হয়নি। এই এক হাজার স্টোর যদি ইট-কাঠের ইমারত হতো তবে খরচের হিসাবটা কত হতো ভাবতে পারেন!
৫. খুঁজে পাওয়া যাবে সব
যদি আগে থেকে কোনো তালিকা না করেন, তবে বিশাল আকারের স্টোর থেকে পণ্য কেনা বেশ কঠিন। কী কিনবেন, কেন কিনবেন—তা নিয়ে অনেকে দ্বিধায় থাকেন। এই দ্বিধা কাটাতে ইন স্টোর নেভিগেশনের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে ‘লোস’ নামের একটি মার্কিন কোম্পানি। তাদের স্টোরে গৃহসজ্জার এত এত সামগ্রী আছে যে খুঁজে বের করাও বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় বাঁচাতে কোম্পানিটি একটি এআর অ্যাপ তৈরি করেছে। অ্যাপটিতে বানানো যাবে শপিং লিস্ট। পণ্যটির বিস্তারিতও জানা যাবে ওই অ্যাপে।
আমাজনের ক্লথিং স্টোরে গিয়ে পণ্যের কিউআর কোড স্ক্যান করলেন। অমনি অ্যাপে ভেসে উঠল কাপড়ের সাইজ, রং ও পণ্যটির রেটিং। বাটনে স্পর্শ করেই কাপড়টি কাউন্টারে পাঠানো যাবে। ট্রায়াল রুমে অন্য একটি কাপড় এনে পরে দেখতে চাইলে সেটাও সম্ভব। সেখানে থাকা টাচ স্ক্রিনে বাটন টিপলেই পছন্দের কাপড়টি চলে আসবে। অর্থ পরিশোধের জন্য স্ক্যান করতে হবে শুধু হাতের তালু।
এসব শুনে পুরো বিষয়টি কাল্পনিক মনে হলেও এগুলো বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে শিগগিরই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে আমাজনের স্টোরে এসব প্রযুক্তির কিছু কিছু ব্যবহার করে কেনাকাটা করা যাচ্ছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেনাকাটাকে আরও সহজ করে তোলা কয়েকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে।
১. কেমন লাগছে আমাকে?
গাড়ি, ঘরের স্মার্ট ডিভাইস বা সফটওয়্যারকে আরও উন্নত করতে যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার হচ্ছে, তেমনি শপিং মলের জন্য জনপ্রিয় হয়েছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি। ল্যাক্টোস নামের একটি ব্র্যান্ড এআর প্রযুক্তির অ্যাপ দিয়ে জুতা বা কাপড় ভার্চুয়ালি পরে দেখার সুযোগ দিচ্ছে। ধরুন, আপনি একটি জুতা পছন্দ করলেন। জুতাটির আর কী কী রং আছে এবং সেগুলো আপনাকে মানাবে কি না, তা জানতে অ্যাপটির ক্যামেরা চালু করতে হবে। পায়ের দিকে ফোন তাক করে সোয়াইপ করে গেলেই জুতা বদলাতে থাকবে।
২. স্ক্রিন যখন আয়না
টিম্বারল্যান্ড নামের একটি ব্র্যান্ড এনেছে ম্যাজিক মিরর। আদতে এটি স্ক্রিন। ম্যাজিক মিররে নিজেকে দেখতে চাইলে আগে তাদের অ্যাপে নিজের ছবি দিতে হবে। আপনার পরনে হয়তো আছে ফুল হাতা টি-শার্ট আর জিনসের প্যান্ট, তবে এই স্ক্রিনের সামনে গেলে সেটা হাফ প্যান্টও হয়ে যেতে পারে। কারণ, হাতের ইশারাতেই ভার্চুয়ালি নিজের পোশাক বদলে নেওয়া যাবে। জুতা বা অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ মানাবে কি না, তা-ও দেখে নেওয়া যাবে। আপনাকে কোন পোশাকে কেমন লাগছে, সেটা জানতে বন্ধুদের কাছে ছবি পাঠিয়ে মতামতও নেওয়া যাবে।
৩. বুঝেশুনে আসবাব কেনা
ঘরে কোন আসবাবটি দেখতে ভালো লাগবে, কোন জায়গায় রাখলে চলাচলে সুবিধা হবে, কোন আকারের আসবাব ঘরের সঙ্গে মানানসই হবে ইত্যাদি জানতে এআর ফার্নিচার অ্যাপগুলো ব্যবহার করা যায়। আসবাব কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা দরকার, সেগুলো এসব অ্যাপে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও দেয়ালে কোন রং মানাবে তা জানতে ব্যবহার করতে পারেন ডিলাক্স অ্যাপটি। এখানে কয়েক শ রং আছে। আপনার ঘরের দেয়ালে কোন রং দেখতে কেমন লাগবে, তা জানা যাবে এই অ্যাপ থেকে।
৪. হাঁটলেই দেখা যাবে পণ্যের সারি
যদি এমন হয় আপনি কোনো দোকানেই দাঁড়িয়ে নেই, তারপরও প্রতিটি কোনায় যেতে পারছেন, তবে কেমন হবে? বিষয়টি কল্পনা করে নিতে হচ্ছে বলে ভাববেন না এমনটা ভবিষ্যতে ঘটবে না। এখনই ভার্চুয়াল স্টোর থেকে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। চীনের গ্রোসারি ওয়েবসাইট ইহাওডিয়ান ১ হাজারটি ভার্চুয়াল স্টোর রাতারাতি তৈরি করেছে। ফোনে শুধু দেখে নিতে হবে কোথায় তাদের স্টোর আছে। এরপর ফোন তাক করে হেঁটে যেতে হবে। এ স্টোর থেকে হাঁটতে হাঁটতেই কেনা যায় চিপসের প্যাকেট, লবণ, ফলসহ হাজারো পণ্য। কেনাকাটা শেষে পণ্য পৌঁছে যাবে ক্রেতার দেওয়া ঠিকানায়। মজার ব্যাপার হলো, যেখানেই তারা খালি জায়গা পেয়েছে সেখানেই স্টোর বসিয়েছে। পার্কিং লট বা খালি রাস্তায় এ স্টোর বসানোর ফলে কোম্পানিটিকে কোনো জমি কিনতে হয়নি। এই এক হাজার স্টোর যদি ইট-কাঠের ইমারত হতো তবে খরচের হিসাবটা কত হতো ভাবতে পারেন!
৫. খুঁজে পাওয়া যাবে সব
যদি আগে থেকে কোনো তালিকা না করেন, তবে বিশাল আকারের স্টোর থেকে পণ্য কেনা বেশ কঠিন। কী কিনবেন, কেন কিনবেন—তা নিয়ে অনেকে দ্বিধায় থাকেন। এই দ্বিধা কাটাতে ইন স্টোর নেভিগেশনের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে ‘লোস’ নামের একটি মার্কিন কোম্পানি। তাদের স্টোরে গৃহসজ্জার এত এত সামগ্রী আছে যে খুঁজে বের করাও বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সময় বাঁচাতে কোম্পানিটি একটি এআর অ্যাপ তৈরি করেছে। অ্যাপটিতে বানানো যাবে শপিং লিস্ট। পণ্যটির বিস্তারিতও জানা যাবে ওই অ্যাপে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
৩ দিন আগে