আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা প্রথমবারের মতো একটি চালকবিহীন গাড়ি সরাসরি কারখানা থেকে গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।
গত ২৭ জুন (শুক্রবার) টেক্সাসের অস্টিনে অবস্থিত টেসলার গিগাফ্যাক্টরি থেকে একটি মডেল ওয়াই স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) চালক ছাড়াই স্থানীয় একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এই যাত্রার একটি ভিডিও প্রকাশ করে টেসলা। সেখানে দেখা যায়, ড্রাইভারের আসনে কোনো মানুষ নেই এবং অস্টিনের হাইওয়ে দিয়ে গাড়িটি চলছে।
তবে কোন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সংস্করণ এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে কবে এই ডেলিভারি সেবা পাওয়া যাবে, তা-ও স্পষ্ট করেনি টেসলা।
টেসলা ওয়েবসাইটে ওয়াই মডেলের ইউজার ম্যানুয়াল পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির সবচেয়ে উন্নত সংস্করণের এই স্বচালিত গাড়ি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের চালকের আসনে থাকতে হবে এবং যেকোনো সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
টেসলার ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, গাড়িটি পুরো যাত্রাপথে সম্পূর্ণভাবে চালকবিহীন ছিল। হাইওয়ে, আবাসিক রাস্তা, পার্কিং লট অতিক্রম করে এটি নির্ধারিত অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে যায়, যেখানে এক ক্রেতা এবং কিছু টেসলা কর্মী অপেক্ষা করছিলেন। যদিও গাড়িটি যেখানটায় থামে, সেটি ‘নো স্টপ ফায়ার লেন’ হিসেবে চিহ্নিত একটি লাল দাগ দেওয়া স্থান।
বর্তমানে মার্কিন ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) টেসলার স্বচালিত প্রযুক্তিসংক্রান্ত নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে তদন্ত করছে। সম্প্রতি রোবোট্যাক্সি উদ্বোধনের পর প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে কি না, তা নিয়েও তথ্য চেয়েছে তারা।
গত শুক্রবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি টেসলা মডেল ওয়াই কারখানা থেকে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে গেছে। কেউ গাড়িতে ছিল না, রিমোট অপারেটরও না—এটি একেবারে সম্পূর্ণ স্বচালিত। আমাদের জানামতে, জনসাধারণের হাইওয়েতে চালক ও রিমোট কন্ট্রোল ছাড়া সম্পূর্ণ স্বচালিত যাত্রা এটিই প্রথম।’
তবে মাস্কের এই দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন ওয়েমো ২০২৪ সাল থেকেই ফিনিক্স, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোতে চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি সেবা চালু করেছে, যেখানে জনসাধারণের হাইওয়েতে চালক ছাড়াই গাড়ি চলেছে।
টেসলার এআই প্রধান অশোক এল্লুস্বামী এক্সে জানান, টেসলা এলোমেলোভাবে অস্টিন অঞ্চলের এক মডেল ওয়াই ক্রেতাকে বেছে নেয় এবং গাড়িটি কারখানায় তৈরি অন্য সব মডেল ওয়াইয়ের মতোই। তিনি আরও বলেন, ডেলিভারির সময় গাড়িটি প্রতি ঘণ্টায় ৭২ মাইল গতি অর্জন করে, যদিও টেক্সাসে হাইওয়ের সর্বোচ্চ গতিসীমা প্রতি ঘণ্টায় ৭০ মাইল।
এদিকে, গত সপ্তাহ অস্টিনে রোবোট্যাক্সি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করেছে টেসলা, যেখানে ১০ থেকে ২০টি মডেল ওয়াই গাড়ি অংশ নিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে টেসলার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও তা এখনো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। আপাতত শুধু আমন্ত্রিত কিছু ব্যক্তি, যেমন: সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও বিশ্লেষকেরা এ সেবা পাচ্ছেন। এই গাড়িগুলোর সামনের যাত্রীর আসনে একজন মানব নিরাপত্তা কর্মী থাকেন এবং গাড়িগুলো একটি রিমোট অপারেশন সেন্টার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
২০১৬ সাল থেকেই ইলন মাস্ক দাবি করে আসছেন, সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে টেসলার সব গাড়ি স্বচালিত হয়ে উঠবে এবং ‘টেসলা শেয়ার্ড ফ্লিট’-এ যুক্ত হয়ে আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।
২০১৯ সালে মাস্ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যেই ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু হবে। সেই ঘোষণা দিয়ে তিনি ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি।
এদিকে ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে টেসলার বিক্রি কমেছে। চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী বিওয়াইডি, নিও ও শাওমি এর মতো ব্র্যান্ড নতুন ও সস্তা মডেল নিয়ে বাজারে প্রবেশ করায় টেসলার ওপর চাপ বাড়ছে। তাই সবার নজর এখন টেসলার দ্বিতীয় প্রান্তিকের উৎপাদন ও সরবরাহ সংখ্যায়। প্রতিষ্ঠানটি আগামী ২ জুলাই এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করবে।
তথ্যসূত্র: এনগেজেট ও সিএনবিসি
বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা প্রথমবারের মতো একটি চালকবিহীন গাড়ি সরাসরি কারখানা থেকে গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।
গত ২৭ জুন (শুক্রবার) টেক্সাসের অস্টিনে অবস্থিত টেসলার গিগাফ্যাক্টরি থেকে একটি মডেল ওয়াই স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) চালক ছাড়াই স্থানীয় একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এই যাত্রার একটি ভিডিও প্রকাশ করে টেসলা। সেখানে দেখা যায়, ড্রাইভারের আসনে কোনো মানুষ নেই এবং অস্টিনের হাইওয়ে দিয়ে গাড়িটি চলছে।
তবে কোন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সংস্করণ এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি। এ ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে কবে এই ডেলিভারি সেবা পাওয়া যাবে, তা-ও স্পষ্ট করেনি টেসলা।
টেসলা ওয়েবসাইটে ওয়াই মডেলের ইউজার ম্যানুয়াল পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির সবচেয়ে উন্নত সংস্করণের এই স্বচালিত গাড়ি ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের চালকের আসনে থাকতে হবে এবং যেকোনো সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
টেসলার ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, গাড়িটি পুরো যাত্রাপথে সম্পূর্ণভাবে চালকবিহীন ছিল। হাইওয়ে, আবাসিক রাস্তা, পার্কিং লট অতিক্রম করে এটি নির্ধারিত অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে যায়, যেখানে এক ক্রেতা এবং কিছু টেসলা কর্মী অপেক্ষা করছিলেন। যদিও গাড়িটি যেখানটায় থামে, সেটি ‘নো স্টপ ফায়ার লেন’ হিসেবে চিহ্নিত একটি লাল দাগ দেওয়া স্থান।
বর্তমানে মার্কিন ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) টেসলার স্বচালিত প্রযুক্তিসংক্রান্ত নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে তদন্ত করছে। সম্প্রতি রোবোট্যাক্সি উদ্বোধনের পর প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে কি না, তা নিয়েও তথ্য চেয়েছে তারা।
গত শুক্রবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘প্রথম সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি টেসলা মডেল ওয়াই কারখানা থেকে ক্রেতার বাসায় পৌঁছে গেছে। কেউ গাড়িতে ছিল না, রিমোট অপারেটরও না—এটি একেবারে সম্পূর্ণ স্বচালিত। আমাদের জানামতে, জনসাধারণের হাইওয়েতে চালক ও রিমোট কন্ট্রোল ছাড়া সম্পূর্ণ স্বচালিত যাত্রা এটিই প্রথম।’
তবে মাস্কের এই দাবি পুরোপুরি সঠিক নয়। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন ওয়েমো ২০২৪ সাল থেকেই ফিনিক্স, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোতে চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি সেবা চালু করেছে, যেখানে জনসাধারণের হাইওয়েতে চালক ছাড়াই গাড়ি চলেছে।
টেসলার এআই প্রধান অশোক এল্লুস্বামী এক্সে জানান, টেসলা এলোমেলোভাবে অস্টিন অঞ্চলের এক মডেল ওয়াই ক্রেতাকে বেছে নেয় এবং গাড়িটি কারখানায় তৈরি অন্য সব মডেল ওয়াইয়ের মতোই। তিনি আরও বলেন, ডেলিভারির সময় গাড়িটি প্রতি ঘণ্টায় ৭২ মাইল গতি অর্জন করে, যদিও টেক্সাসে হাইওয়ের সর্বোচ্চ গতিসীমা প্রতি ঘণ্টায় ৭০ মাইল।
এদিকে, গত সপ্তাহ অস্টিনে রোবোট্যাক্সি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করেছে টেসলা, যেখানে ১০ থেকে ২০টি মডেল ওয়াই গাড়ি অংশ নিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে টেসলার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও তা এখনো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। আপাতত শুধু আমন্ত্রিত কিছু ব্যক্তি, যেমন: সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও বিশ্লেষকেরা এ সেবা পাচ্ছেন। এই গাড়িগুলোর সামনের যাত্রীর আসনে একজন মানব নিরাপত্তা কর্মী থাকেন এবং গাড়িগুলো একটি রিমোট অপারেশন সেন্টার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
২০১৬ সাল থেকেই ইলন মাস্ক দাবি করে আসছেন, সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে টেসলার সব গাড়ি স্বচালিত হয়ে উঠবে এবং ‘টেসলা শেয়ার্ড ফ্লিট’-এ যুক্ত হয়ে আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।
২০১৯ সালে মাস্ক ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যেই ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু হবে। সেই ঘোষণা দিয়ে তিনি ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি।
এদিকে ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে টেসলার বিক্রি কমেছে। চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী বিওয়াইডি, নিও ও শাওমি এর মতো ব্র্যান্ড নতুন ও সস্তা মডেল নিয়ে বাজারে প্রবেশ করায় টেসলার ওপর চাপ বাড়ছে। তাই সবার নজর এখন টেসলার দ্বিতীয় প্রান্তিকের উৎপাদন ও সরবরাহ সংখ্যায়। প্রতিষ্ঠানটি আগামী ২ জুলাই এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করবে।
তথ্যসূত্র: এনগেজেট ও সিএনবিসি
বিশ্বখ্যাত চিপ ডিজাইন প্রতিষ্ঠান আর্ম হোল্ডিংস গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল চিপ ডিজাইনের সিরিজ উন্মোচন করেছে। ‘লুমেক্স’ নামের এই নতুন ডিজাইন সেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে সামনে রেখেই তৈরি, যা স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচের মতো মোবাইল ডিভাইসে ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করতে পারবে।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলপ্রেমীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল আলোচিত, নতুন প্রজন্মের ও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন—আইফোন ১৭ এয়ার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তরে
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া জগতে নির্বিঘ্ন যোগাযোগ ও সংযোগের শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে কিউআর কোড। আর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই ফিচার গ্রহণ করেছে টিকটক। এই কিউআর কোডগুলো সরাসরি এবং সহজভাবে টিকটক প্রোফাইল ও কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পথ করে দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনে ব্রডব্যান্ড গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে আরও এক ধাপ এগোল ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। স্টারলিংকের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা (ডাইরেক্ট টু সেল) চালুর জন্য স্পেসএক্স ৫০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনতে একোস্টারের সঙ্গে ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ড
১ দিন আগে