অনলাইন ডেস্ক
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পথ দেখানোর জন্য বিভিন্ন দেশে গাইড ডগ (কুকুর) ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও বিস্তর খরচের পর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পথ দেখাতে সাহায্য করতে পারে এ ধরনের কুকুর। এবার রোবটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মিশেলে ছয় পায়ের এক রোবট কুকুর তৈরি করেছেন চীনের গবেষকেরা। রোবটিক গাইড ডগটি ব্যবহার করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা যেন আরও স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই গবেষক দলটির উদ্দেশ্য। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সাধারণ গাইড কুকরের চেয়ে আলাদা এই রোবটিক গাইড ডগ। এর সঙ্গে বিভিন্ন ক্যামেরা ও সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কুকুরটি বিভিন্ন পরিবেশে সহজে চলাচল করতে পারে। এমনকি ট্রাফিক লাইটসের সংকেতও চিহ্নিত করতে পারে, যা সাধারণ গাইড ডগের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে রোবটিক কুকুরটি এখনো পরীক্ষা–নিরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
রোবটিক গাইড ডগটির সাইজ প্রায় ইংলিশ বুলডগের (কুকুরের এক প্রজাতি) সমান। এটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কথা শুনতে পারবে এবং জবাবও দিতে পারবে। কুকুরটির ভয়েস রিকগনিশন, রুট প্ল্যানিং (গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পরিকল্পনা) ও ট্রাফিক লাইট শনাক্তকরণ ক্ষমতার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। কুকুরটি ছয় পায়ের সাহায্যে স্থিতিশীলতা বজায় রেখে মসৃণভাবে চলাচল করতে পারবে।
সাংহাইয়ের জিয়াও টং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক গাও ফেং বলেন, ‘কুকুরটি তিনটি পা তোলার পরও মাটিতে তিনটি পা থাকে, যা অনেকটা ক্যামেরার ট্রাইপডের মতো। এটিই সবচেয়ে স্থিতিশীল আকৃতি।’
জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি টিমকে রোবটটি পরীক্ষা করতে সাহায্য করছেন চীনের বিবাহিত দম্পতি লি ফেই (৪১) ও ঝু সিবিন (৪২)। তাঁরা দুজনেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চীনা ভাষায় কুকুরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন তাঁরা।
লি একেবারেই দৃষ্টিশক্তিহীন এবং ঝু স্বল্প দৃষ্টির অধিকারী। ঝু একটি বেতের ছড়ি ব্যবহার করে লিকে চলাফেরায় সাহায্য করেন। লি বলেন, ‘এই রোবট গাইড কুকুরটি বাজারে এলে আমি এটি ব্যবহার করতে পারব। একা ভ্রমণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত কিছু সমস্যা সমাধান করতে পারবে এই কুকর। যেমন: হাসপাতাল বা বাজারে আমি একা যেতে পারি না। পরিবারের কোনো সদস্য বা স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে বাইরে যেতে হয়।’
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে রোবট গাইড কুকুর তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে সাধারণ গাইড কুকুরের বেশ অভাব রয়েছে চীনে। গাও বলেন, চীনে প্রায় ২ কোটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জন্য চার শতাধিক গাইড কুকুর রয়েছে।
দেশটিতে তুলনামূলকভাবে নতুন ধারণা হলো পোষা প্রাণীর মালিকানা ও গাইড কুকুর। চীনের অনেক কর্মক্ষেত্রে, রেস্তোরাঁয় ও অন্যান্য পাবলিক স্থানে ল্যাব্রাডরের মতো সাধারণত সাহায্যকারী কুকুরকে স্বাগত জানানো হয় না।
গাও বলেন, প্রজননের প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাবে চীনে সীমিতসংখ্যক সাধারণ গাইড কুকুর পাওয়া যায়। এর বিপরীতে রোবট গাইড কুকুর ব্যাপক পরিমাণে তৈরি করা যেতে পারে, বিশেষ করে চীনের মতো একটি বড় উৎপাদনশীল দেশে। এটি অনেকটা গাড়ির মতো। গাড়ির মতো ব্যাপকভাবে উৎপাদন করলে এর দামও কমে যাবে। রোবটিক গাইড ডগের একটি বড় বাজার রয়েছে। কারণ বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর গাইড ডগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পথ দেখানোর জন্য বিভিন্ন দেশে গাইড ডগ (কুকুর) ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও বিস্তর খরচের পর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পথ দেখাতে সাহায্য করতে পারে এ ধরনের কুকুর। এবার রোবটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মিশেলে ছয় পায়ের এক রোবট কুকুর তৈরি করেছেন চীনের গবেষকেরা। রোবটিক গাইড ডগটি ব্যবহার করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা যেন আরও স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই গবেষক দলটির উদ্দেশ্য। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সাধারণ গাইড কুকরের চেয়ে আলাদা এই রোবটিক গাইড ডগ। এর সঙ্গে বিভিন্ন ক্যামেরা ও সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কুকুরটি বিভিন্ন পরিবেশে সহজে চলাচল করতে পারে। এমনকি ট্রাফিক লাইটসের সংকেতও চিহ্নিত করতে পারে, যা সাধারণ গাইড ডগের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে রোবটিক কুকুরটি এখনো পরীক্ষা–নিরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
রোবটিক গাইড ডগটির সাইজ প্রায় ইংলিশ বুলডগের (কুকুরের এক প্রজাতি) সমান। এটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কথা শুনতে পারবে এবং জবাবও দিতে পারবে। কুকুরটির ভয়েস রিকগনিশন, রুট প্ল্যানিং (গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পরিকল্পনা) ও ট্রাফিক লাইট শনাক্তকরণ ক্ষমতার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। কুকুরটি ছয় পায়ের সাহায্যে স্থিতিশীলতা বজায় রেখে মসৃণভাবে চলাচল করতে পারবে।
সাংহাইয়ের জিয়াও টং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক গাও ফেং বলেন, ‘কুকুরটি তিনটি পা তোলার পরও মাটিতে তিনটি পা থাকে, যা অনেকটা ক্যামেরার ট্রাইপডের মতো। এটিই সবচেয়ে স্থিতিশীল আকৃতি।’
জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি টিমকে রোবটটি পরীক্ষা করতে সাহায্য করছেন চীনের বিবাহিত দম্পতি লি ফেই (৪১) ও ঝু সিবিন (৪২)। তাঁরা দুজনেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চীনা ভাষায় কুকুরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন তাঁরা।
লি একেবারেই দৃষ্টিশক্তিহীন এবং ঝু স্বল্প দৃষ্টির অধিকারী। ঝু একটি বেতের ছড়ি ব্যবহার করে লিকে চলাফেরায় সাহায্য করেন। লি বলেন, ‘এই রোবট গাইড কুকুরটি বাজারে এলে আমি এটি ব্যবহার করতে পারব। একা ভ্রমণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত কিছু সমস্যা সমাধান করতে পারবে এই কুকর। যেমন: হাসপাতাল বা বাজারে আমি একা যেতে পারি না। পরিবারের কোনো সদস্য বা স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে বাইরে যেতে হয়।’
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে রোবট গাইড কুকুর তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে সাধারণ গাইড কুকুরের বেশ অভাব রয়েছে চীনে। গাও বলেন, চীনে প্রায় ২ কোটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জন্য চার শতাধিক গাইড কুকুর রয়েছে।
দেশটিতে তুলনামূলকভাবে নতুন ধারণা হলো পোষা প্রাণীর মালিকানা ও গাইড কুকুর। চীনের অনেক কর্মক্ষেত্রে, রেস্তোরাঁয় ও অন্যান্য পাবলিক স্থানে ল্যাব্রাডরের মতো সাধারণত সাহায্যকারী কুকুরকে স্বাগত জানানো হয় না।
গাও বলেন, প্রজননের প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাবে চীনে সীমিতসংখ্যক সাধারণ গাইড কুকুর পাওয়া যায়। এর বিপরীতে রোবট গাইড কুকুর ব্যাপক পরিমাণে তৈরি করা যেতে পারে, বিশেষ করে চীনের মতো একটি বড় উৎপাদনশীল দেশে। এটি অনেকটা গাড়ির মতো। গাড়ির মতো ব্যাপকভাবে উৎপাদন করলে এর দামও কমে যাবে। রোবটিক গাইড ডগের একটি বড় বাজার রয়েছে। কারণ বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর গাইড ডগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
৯ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৪ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১৬ ঘণ্টা আগে