অনলাইন ডেস্ক
গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির মূল ক্ষেত্রগুলোতে অবৈধভাবে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে বলে রায় দিয়েছেন একজন মার্কিন ফেডারেল বিচারক। এই মামলায় মূলত তিনটি ক্ষেত্রে গুগলের আধিপত্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়— ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, পাবলিশার টুলস এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জ। এর মধ্যে পাবলিশার টুলস এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে গুগল শেরম্যান অ্যাক্টের ধারা ১ এবং ২ লঙ্ঘন করেছে বলে আদালত রায় দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ লিওনি ব্রিনকেমা তিন সপ্তাহের বিচার প্রক্রিয়ার পর এই রায় দিয়েছেন। এই রায় মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে একমত, যারা বিশাল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে গুগলের ক্ষমতা সীমিত করতে চায়।
আদালতের ১১৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক ব্রিনকেমা বলেন, গুগল তাদের পাবলিশার অ্যাড সার্ভার এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জ ব্যবসাকে প্রযুক্তি এবং নীতিমালার মাধ্যমে এমনভাবে একীভূত করেছে, যা তাদের ওই বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষায় সহায়তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গুগল তাদের গ্রাহকদের ওপর প্রতিযোগিতা-বিরোধী নীতিমালা চাপিয়ে দিয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে জনপ্রিয় কিছু ফিচার বাদ দিয়ে দিয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতার সুযোগ নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি গুগলের গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলো, সমগ্র প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া এবং উন্মুক্ত ওয়েবের তথ্য ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
এই রায়ের ফলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এমনিতেই ২০২৪ সাল বিজ্ঞাপন বাজারের জন্য অস্থির বছর— এই রায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এর আগে গত আগস্টে গুগলকে অনুসন্ধান বাজারে (search market) একচেটিয়া ক্ষমতা রাখার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই মামলায় প্রস্তাব ছিল গুগলের জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজার আলাদা করে দেওয়া হতে পারে। যদিও গুগল তখন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে বলে, তাদের জনপ্রিয়তা শুধু উন্নত পণ্যসেবার কারণেই।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট বর্তমানে বিজ্ঞাপন থেকেই অধিকাংশ আয় করে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন (search ads)। এখন নতুন এই বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি সংক্রান্ত রায়ের ফলে গুগলকে হয়তো আরও কিছু ব্যবসা থেকে সরে আসতে হতে পারে। তবে আদালত এখনো চূড়ান্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঠিক করেনি।
এ বিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে মার্কেটিং ডাইভের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মেটা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও এই সপ্তাহেই একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আরও শক্তভাবে তুলছে।
গুগল আগামী ২৪ এপ্রিল তাদের ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির মূল ক্ষেত্রগুলোতে অবৈধভাবে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে বলে রায় দিয়েছেন একজন মার্কিন ফেডারেল বিচারক। এই মামলায় মূলত তিনটি ক্ষেত্রে গুগলের আধিপত্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়— ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, পাবলিশার টুলস এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জ। এর মধ্যে পাবলিশার টুলস এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে গুগল শেরম্যান অ্যাক্টের ধারা ১ এবং ২ লঙ্ঘন করেছে বলে আদালত রায় দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ লিওনি ব্রিনকেমা তিন সপ্তাহের বিচার প্রক্রিয়ার পর এই রায় দিয়েছেন। এই রায় মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে একমত, যারা বিশাল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে গুগলের ক্ষমতা সীমিত করতে চায়।
আদালতের ১১৫ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক ব্রিনকেমা বলেন, গুগল তাদের পাবলিশার অ্যাড সার্ভার এবং অ্যাড এক্সচেঞ্জ ব্যবসাকে প্রযুক্তি এবং নীতিমালার মাধ্যমে এমনভাবে একীভূত করেছে, যা তাদের ওই বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষায় সহায়তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গুগল তাদের গ্রাহকদের ওপর প্রতিযোগিতা-বিরোধী নীতিমালা চাপিয়ে দিয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে জনপ্রিয় কিছু ফিচার বাদ দিয়ে দিয়েছে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতার সুযোগ নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি গুগলের গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলো, সমগ্র প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া এবং উন্মুক্ত ওয়েবের তথ্য ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
এই রায়ের ফলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এমনিতেই ২০২৪ সাল বিজ্ঞাপন বাজারের জন্য অস্থির বছর— এই রায় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এর আগে গত আগস্টে গুগলকে অনুসন্ধান বাজারে (search market) একচেটিয়া ক্ষমতা রাখার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই মামলায় প্রস্তাব ছিল গুগলের জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজার আলাদা করে দেওয়া হতে পারে। যদিও গুগল তখন আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে বলে, তাদের জনপ্রিয়তা শুধু উন্নত পণ্যসেবার কারণেই।
গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট বর্তমানে বিজ্ঞাপন থেকেই অধিকাংশ আয় করে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন (search ads)। এখন নতুন এই বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি সংক্রান্ত রায়ের ফলে গুগলকে হয়তো আরও কিছু ব্যবসা থেকে সরে আসতে হতে পারে। তবে আদালত এখনো চূড়ান্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঠিক করেনি।
এ বিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে মার্কেটিং ডাইভের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মেটা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও এই সপ্তাহেই একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আরও শক্তভাবে তুলছে।
গুগল আগামী ২৪ এপ্রিল তাদের ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট ডেটা পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বুধবার সব অপারেটরকে এই নির্দেশনা দেয়।
১ দিন আগেমহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল শুক্রবার ঢাকায় আসছে।
২ দিন আগেতবে সমঝোতার নির্দিষ্ট শর্তাবলি আদালতে প্রকাশ করা হয়নি। বিচারকের সামনে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরাও কোনো বক্তব্য দেননি। বিচারক ম্যাককরমিক যখন মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ তিনি মামলাটি মুলতবি ঘোষণা করেন এবং উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
৩ দিন আগে