সৈকত দে
চ্যাটজিপিটি হালের ফেনোমেনন। আমরা প্রায় সবাই এর সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাই। খানিক মজার ছলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্র গাণিতিক বিশ্লেষণে আমাদের পছন্দমতো উত্তর দিয়ে মুগ্ধ করে। অজস্র তথ্য নিত্য যাচাই করে উত্তর তৈরিতে ক্রমেই পারঙ্গম হয়ে উঠছে এটি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি সময় কাটানোর আনন্দদায়ক মাধ্যমের পাশাপাশি হয়ে উঠছে বিপদের। সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার খবরও বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। নকল চ্যাটজিপিটি অ্যাপস প্রযুক্তি-ভাবুকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে। এসব অ্যাপস প্রায়ই অদরকারি তথ্য আর অনুমতি চেয়ে বসে। ইনস্টল করার পর সেলফোন বা ল্যাপটপে ছড়িয়ে দেয় ম্যালওয়্যার। চেয়ে নেয় অকারণ সাবস্ক্রিপশন।
পুরো পৃথিবী এখন চ্যাটজিপিটি-জ্বরে ভুগছে। কিছু মানুষ অ্যাপ স্টোরে অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি খুঁজে পেতে ভুল করছেন। ভুলভাল অ্যাপ নামিয়ে পড়ছেন বিপদে। এসব অ্যাপ থেকে সাবধান না হলে ব্যক্তিগত তথ্য হুমকির মুখে পড়বে। খানিকটা সচেতন হলেই আমরা বিপত্তি এড়াতে পারি। সচেতন হতেই জানতে হবে কিছু পদ্ধতি।
অ্যাপ পারমিশন ভ্যারিফাই করা
চ্যাটবট কার্যপদ্ধতির অতিরিক্ত সন্দেহজনক তথ্য চেয়ে বসলে অনুমতি দেওয়া যাবে না মোটেই; বরং সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনের তথ্যাবলি। নিজেকেই নাহয় জিজ্ঞেস করে দেখুন, চ্যাটবটের পক্ষে আপনার ফোনের নম্বর বা স্পর্শকাতর তথ্য চাওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে কি না।
দেখে নিতে হবে অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান
অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, চ্যাটজিপিটির এক্সক্লুসিভ ডেভেলপার হলো ওপেন এআই। গুগল প্লেস্টোরে পাওয়া অন্যান্য চ্যাটবট নানা রকম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত। এসব দেখতে প্রায় একই রকম। চ্যাটজিপিটি দাবি করা অ্যাপকে বিশ্বাস করার আগে অ্যাপ স্টোরে তার পুরো প্রোফাইল পড়ে দেখে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে ওপেন এআইয়ের সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না। যদি একটি অ্যাপ চ্যাটজিপিটি বলে দাবি করে নিজেকে কিন্তু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই না হয়, সেটি ডাউনলোড করলেই বিপদে পড়তে হবে।
ইউজার রিভিউ
আগে যাঁরা ব্যবহার করেছেন, তাঁদের মতামত পরখ করে দেখা যেতে পারে। অ্যাপ স্টোর বা প্লেস্টোর শীর্ষ রেটিং পাওয়া রিভিউগুলো শুরুতেই দেখায়, যাতে সম্ভাব্য ভোক্তা বোঝেন অধিকাংশ ব্যবহারকারী অ্যাপটিকে ভালো বলছেন। কিছু অসাধু ডেভেলপার পেইড রিভিউ করায় তাদের বিপজ্জনক অ্যাপের জন্য। পাঁচ তারা রিভিউ দেখে বিগলিত হওয়া যাবে না। এমনও হতে পারে, দুই তারা রিভিউ পাওয়া অ্যাপটি আপনার জন্য সঠিক নির্বাচন।
ভুল অ্যাপে সাবস্ক্রিপশন নয়
‘জিনি’ নামের একটি অ্যাপ চ্যাটজিপিটি এবং জিপিটি ফোরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ব্যবহারকারীরা বলছেন, এই চ্যাটবট ভুল তথ্য দিচ্ছে। এতে একধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যাকে হ্যালুসিনেশন বলা যেতে পারে। আরও আশঙ্কার বিষয়, কিছু ব্যবহারকারী এটির সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে সমস্যায় পড়ছেন। এমনকি তাঁদের কার্ড থেকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
বিনা মূল্যের এবং নিরাপদ বিকল্প খোঁজা নকল জিপিটির আপৎ থেকে বাঁচার একমাত্র সমাধান হলো, ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি, গুগলের বার্ড এবং মাইক্রোসফটের বিং চ্যাট অনলাইন ব্যবস্থায় বিনা মূল্যে ব্যবহার করা। মাসিক বা সাপ্তাহিক টাকা কেটে নেওয়ার আশঙ্কা থেকে বাঁচতে হলে এসব চ্যাট বট সার্ভিস ব্যবহার নিরাপদ। সাফারি বা ক্রোম ব্রাউজার এ ক্ষেত্রে অধিক কার্যকর। এই দুটি ব্রাউজারের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আলাপ চালাতে বাড়তি অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে না। এই কয়েকটি সতর্কতা মেনে চললে চ্যাটজিপিটির রমরমার দিনে অনলাইন যাপন হবে নিরাপদ ও আনন্দময়।
চ্যাটজিপিটি হালের ফেনোমেনন। আমরা প্রায় সবাই এর সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাই। খানিক মজার ছলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যন্ত্র গাণিতিক বিশ্লেষণে আমাদের পছন্দমতো উত্তর দিয়ে মুগ্ধ করে। অজস্র তথ্য নিত্য যাচাই করে উত্তর তৈরিতে ক্রমেই পারঙ্গম হয়ে উঠছে এটি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি সময় কাটানোর আনন্দদায়ক মাধ্যমের পাশাপাশি হয়ে উঠছে বিপদের। সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার খবরও বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। নকল চ্যাটজিপিটি অ্যাপস প্রযুক্তি-ভাবুকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে। এসব অ্যাপস প্রায়ই অদরকারি তথ্য আর অনুমতি চেয়ে বসে। ইনস্টল করার পর সেলফোন বা ল্যাপটপে ছড়িয়ে দেয় ম্যালওয়্যার। চেয়ে নেয় অকারণ সাবস্ক্রিপশন।
পুরো পৃথিবী এখন চ্যাটজিপিটি-জ্বরে ভুগছে। কিছু মানুষ অ্যাপ স্টোরে অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি খুঁজে পেতে ভুল করছেন। ভুলভাল অ্যাপ নামিয়ে পড়ছেন বিপদে। এসব অ্যাপ থেকে সাবধান না হলে ব্যক্তিগত তথ্য হুমকির মুখে পড়বে। খানিকটা সচেতন হলেই আমরা বিপত্তি এড়াতে পারি। সচেতন হতেই জানতে হবে কিছু পদ্ধতি।
অ্যাপ পারমিশন ভ্যারিফাই করা
চ্যাটবট কার্যপদ্ধতির অতিরিক্ত সন্দেহজনক তথ্য চেয়ে বসলে অনুমতি দেওয়া যাবে না মোটেই; বরং সতর্কভাবে যাচাই করে দেখতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনের তথ্যাবলি। নিজেকেই নাহয় জিজ্ঞেস করে দেখুন, চ্যাটবটের পক্ষে আপনার ফোনের নম্বর বা স্পর্শকাতর তথ্য চাওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে কি না।
দেখে নিতে হবে অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান
অ্যাপ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে, চ্যাটজিপিটির এক্সক্লুসিভ ডেভেলপার হলো ওপেন এআই। গুগল প্লেস্টোরে পাওয়া অন্যান্য চ্যাটবট নানা রকম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত। এসব দেখতে প্রায় একই রকম। চ্যাটজিপিটি দাবি করা অ্যাপকে বিশ্বাস করার আগে অ্যাপ স্টোরে তার পুরো প্রোফাইল পড়ে দেখে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে ওপেন এআইয়ের সঙ্গে এটির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না। যদি একটি অ্যাপ চ্যাটজিপিটি বলে দাবি করে নিজেকে কিন্তু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই না হয়, সেটি ডাউনলোড করলেই বিপদে পড়তে হবে।
ইউজার রিভিউ
আগে যাঁরা ব্যবহার করেছেন, তাঁদের মতামত পরখ করে দেখা যেতে পারে। অ্যাপ স্টোর বা প্লেস্টোর শীর্ষ রেটিং পাওয়া রিভিউগুলো শুরুতেই দেখায়, যাতে সম্ভাব্য ভোক্তা বোঝেন অধিকাংশ ব্যবহারকারী অ্যাপটিকে ভালো বলছেন। কিছু অসাধু ডেভেলপার পেইড রিভিউ করায় তাদের বিপজ্জনক অ্যাপের জন্য। পাঁচ তারা রিভিউ দেখে বিগলিত হওয়া যাবে না। এমনও হতে পারে, দুই তারা রিভিউ পাওয়া অ্যাপটি আপনার জন্য সঠিক নির্বাচন।
ভুল অ্যাপে সাবস্ক্রিপশন নয়
‘জিনি’ নামের একটি অ্যাপ চ্যাটজিপিটি এবং জিপিটি ফোরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ব্যবহারকারীরা বলছেন, এই চ্যাটবট ভুল তথ্য দিচ্ছে। এতে একধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যাকে হ্যালুসিনেশন বলা যেতে পারে। আরও আশঙ্কার বিষয়, কিছু ব্যবহারকারী এটির সাবস্ক্রিপশন বাতিল করতে সমস্যায় পড়ছেন। এমনকি তাঁদের কার্ড থেকে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
বিনা মূল্যের এবং নিরাপদ বিকল্প খোঁজা নকল জিপিটির আপৎ থেকে বাঁচার একমাত্র সমাধান হলো, ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি, গুগলের বার্ড এবং মাইক্রোসফটের বিং চ্যাট অনলাইন ব্যবস্থায় বিনা মূল্যে ব্যবহার করা। মাসিক বা সাপ্তাহিক টাকা কেটে নেওয়ার আশঙ্কা থেকে বাঁচতে হলে এসব চ্যাট বট সার্ভিস ব্যবহার নিরাপদ। সাফারি বা ক্রোম ব্রাউজার এ ক্ষেত্রে অধিক কার্যকর। এই দুটি ব্রাউজারের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আলাপ চালাতে বাড়তি অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে না। এই কয়েকটি সতর্কতা মেনে চললে চ্যাটজিপিটির রমরমার দিনে অনলাইন যাপন হবে নিরাপদ ও আনন্দময়।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নতুন একাধিক এআইভিত্তিক উদ্যোক্তা স্থান পেয়েছেন। তবে এআইকে ঘিরে প্রতিক্রিয়া সবার এক রকম নয়।
৫ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে মেটা এআই-এর কাছে ছবি, ভিডিও ও টেক্সট পাঠিয়ে সেগুলোর বিশ্লেষণ করাতে পারবেন। পরীক্ষামূলকভাবে ফিচারটি প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ২.২৫. ১৮.৮ সংস্করণে চালু হয়েছে। পাশাপাশি কিছু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যও এটি ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেএক সময় ইন্টারনেট থেকে তথ্য জানার জন্য মানুষ নির্ভর করত একমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের ওপর। আর সেই দুনিয়ার শীর্ষে ছিল গুগল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এখন চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে। চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল তথ্য খোঁজার নতুন বিকল্প হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
৮ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনের মুহূর্তগুলো আরও আকর্ষণীয় ও জীবন্ত করে তুলতে স্টোরি ফিচারটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীরা। এই ফিচারের মাধ্যমে শুধু ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলেই হয় না, তাতে বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে স্টিকার, মিউজিক ও টেক্সট। এই উপাদানগুলো স্টোরিকে করে তোলে আরও জীবন্ত, তথ্যপূর্ণ ও মনোমুগ্ধ
১১ ঘণ্টা আগে