Ajker Patrika

কোভিড ও নির্বাচন-সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছড়িয়ে নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলো ইউটিউবে ফিরছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২০ সালের পর ইউটিউবের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ছবি: ইউটিউব
২০২০ সালের পর ইউটিউবের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ছবি: ইউটিউব

করোনা মহামারি নিয়ে এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত ‘ভুল তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২০ সালে নিষিদ্ধ করা চ্যানেলগুলো ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। গুগল ঘোষণা দিয়েছে, পূর্বের এক কনটেন্ট মডারেশন সিদ্ধান্ত বাতিল করতে যাচ্ছে তারা। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইউটিউব তার ‘স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতি অঙ্গীকার’ পুনর্ব্যক্ত করেছে বলে জানানো হয়।

মার্কিন কংগ্রেসের হাউস জুডিশিয়ারি কমিটিতে পাঠানো এক চিঠিতে অ্যালফাবেট (গুগলের মূল কোম্পানি) জানায়, বাইডেন প্রশাসন কোম্পানিকে এমন কিছু কনটেন্ট মুছে ফেলার জন্য চাপ দিয়েছিল, যা তাদের নিজস্ব নীতিমালার লঙ্ঘন ছিল না। অ্যালফাবেটের আইনজীবীরা লিখেছেন, ‘যখন কোনো সরকার, এমনকি বাইডেন প্রশাসনও কোম্পানির কনটেন্ট মডারেশন পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে, তা অগ্রহণযোগ্য এবং ভুল।’

২০২০ সালে কোভিড মহামারির চূড়ান্ত সময় এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদের শেষ দিকে ইউটিউব একটি ‘মেডিকেল মিসইনফরমেশন পলিসি’ চালু করেছিল। এই নীতি অনুযায়ী, যেসব ভিডিওতে কোভিড-১৯ সম্পর্কে ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব প্রচার করা হয়, সেগুলো সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়। একইভাবে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর ইউটিউব সাময়িকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব চ্যানেলসহ কিছু চ্যানেল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এসব চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে দাবি করা হয়, ‘নির্বাচন চুরি হয়েছে’।

এরপর ট্রাম্পের মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) আন্দোলনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক স্টিভেন ক্রাউডারের মতো একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির ভিডিও ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি তাদের চ্যানেলের মনিটাইজেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এখন অ্যালফাবেট বলছে, ২০২০ সালের পর ইউটিউবের ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন তাদের লক্ষ্য ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করা। যেসব নীতিমালা ভাঙার কারণে এসব চ্যানেল নিষিদ্ধ হয়েছিল, সেগুলো আর নেই। তাই তাদের ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে।

এ ছাড়া গুগল জানিয়েছে, ইউটিউব এখন আর তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্টচেকার ব্যবহার করবে না। রিপাবলিকান পার্টি ও মাগা ঘরানার ইনফ্লুয়েন্সাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন, ফ্যাক্টচেকাররা রক্ষণশীল কনটেন্টকে অবমূল্যায়ন করে।

এক্সে একটি আলাদা বিবৃতিতে ইউটিউব জানিয়েছে, এটি একটি ‘সীমিত পাইলট প্রকল্প’। এই প্রকল্পে কেবল কিছু নির্বাচিত নির্মাতা ও পূর্বে নিষিদ্ধ হওয়া কিছু চ্যানেলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসব চ্যানেল ‘ডিপ্রিকেটেড’ নীতিমালার আওতায় ছিল।

এদিকে ইউটিউবের এই সিদ্ধান্তকে ‘সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে আরেকটি জয়’ বলে অভিহিত করেছেন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান প্রতিনিধি জিম জর্ডান। তিনি বলেন, ইউটিউব আমেরিকান জনগণের কাছে ‘ক্ষমা চাইছে’ এবং দান বংগিনোর মতো বিতর্কিত ইনফ্লুয়েন্সারদের (যিনি বর্তমানে এফবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর) ফেরার পথ করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউটিউব এখন ইউরোপীয় কনটেন্ট মডারেশন আইনগুলোর বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। এসব আইন যুক্তরাষ্ট্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে।

এদিকে অ্যালফাবেট এখনো একাধিক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার সম্মুখীন। এখনো ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনেও গুগলের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিওজে) এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। সম্প্রতি এক বিচারক রায় দেন, সার্চ ইঞ্জিনে অবৈধ একচেটিয়া আধিপত্য রাখলেও গুগলকে তার ক্রোম ব্রাউজার বিক্রি করতে হবে না। অবশ্য আরেক মামলায় গুগলকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভিভোর ক্যামেরায় প্রো ইমেজিং চিপ

ফিচার ডেস্ক
ভিভোর ক্যামেরায় প্রো ইমেজিং চিপ

মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।

এতে আছে ২০০ মেগাপিক্সেলের জাইস এপিও টেলিফটো ক্যামেরা। এর আলট্রা-সেন্সিং সেন্সর ও সিআইপিএ ৫.৫-রেটেড গিম্বল স্টেবিলাইজেশনের কারণে দূরের ছবি আরও স্থির ও পরিষ্কার হবে। বাস্তব মুহূর্তগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপ দিতে জাইস গিম্বল ক্যামেরা ও এলওয়াইটি-৮২৮ সেন্সর মানুষের চোখে দেখা প্রাকৃতিক দৃশ্যের আরও কাছাকাছি অভিজ্ঞতা দেবে। মোবাইল ফোনটিতে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এ ক্যামেরা উচ্চ ডিটেইল প্রাণবন্তসহ সেলফি ও সাধারণ ছবি দেবে। স্টেজ মোড ২ দশমিক শূন্যতে রয়েছে ফোরকে রেকর্ডিং, মোশন ফ্রিজ ও ডুয়েল-ভিউ ভিডিও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি আনল অপো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩২
৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি আনল অপো

অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে। বার্ষিক ও’ফ্যানস ফেস্টিভাল উপলক্ষে চালু হয়েছে এই প্রথম সুরক্ষা ব্যবস্থা। ক্রেতারা কেনার তারিখ থেকে সম্পূর্ণ ৯০ দিনের জন্য রিপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট উপভোগ করতে পারবেন।

অপো এ৬ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে এতে রয়েছে আইপি ৬৯ আল্টিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিস্ট্যান্স এবং ডিভাইসের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে উন্নত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম। ডিভাইসটি অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লুর মতো প্রাণবন্ত রঙে বাজারে এসেছে।

অপো এ৬এক্স ফোনে রয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর, ৬৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং ১২০ হার্জ আলট্রা ব্রাইট ডিসপ্লে। আইস ব্লু ও প্লাম পার্পলের মতো আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি।

অপো বাংলাদেশের অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, অপো এ৬ ও এ৬এক্স ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথমবারের মতো ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট পলিসি ও বর্ধিত দুই বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে এসেছে। এই উদ্যোগটি গুণগত মানের প্রতি আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি এবং একইসাথে, ও’ফ্যানস কমিউনিটির প্রতি আমাদের গভীর নিষ্ঠার শক্তিশালী প্রতিফলন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিড়াল-কুকুরের ভাইরাল ভিডিও: বিনোদনের আড়ালে পোষ্যদের নীরব যন্ত্রণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ব্যাপক বিনোদনের খোরাক হলেও পোষা প্রাণীদের মানসিক চাপ থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাপক বিনোদনের খোরাক হলেও পোষা প্রাণীদের মানসিক চাপ থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত। ছবি: সংগৃহীত

ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে।

গবেষকেরা ১৬২টি বহুল প্রচারিত ভিডিও বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে সরাসরি নিষ্ঠুরতা দেখানো না হলেও পোষ্যদের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকির প্রমাণ মিলেছে। এই ভিডিওগুলো মূলত মানুষের হাসি বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও, এর ফলে প্রাণীরা নীরব যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ভিডিওগুলোর ৫৩ শতাংশেরও বেশি প্রাণীকে আঘাতের ঝুঁকিতে ফেলেছে এবং ৮২ শতাংশে মানসিক চাপের স্পষ্ট আচরণগত লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। বহু ক্ষেত্রেই ভিডিওতে থাকা মানুষদের পোষ্যদের উত্ত্যক্ত করতে, ভয় দেখাতে বা অপ্রয়োজনীয় হয়রানি করতে দেখা গেছে।

গবেষণায় মোট চার ধরনের ভিডিও চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পশু-কল্যাণে সরাসরি সমস্যার সৃষ্টি করে:

১. ক্ষতিকারক চ্যালেঞ্জ: বিশ্লেষণ করা ভিডিওগুলোর ৬ দশমিক ২ শতাংশে এমন ভাইরাল চ্যালেঞ্জ দেখা গেছে, যা পশুর কল্যাণে সরাসরি আঘাত হানে। উদাহরণস্বরূপ, এমন প্রবণতা যেখানে পোষ্যদের বিনা কারণে ‘থাপ্পড়’ মারা হয় বা এমন কাজ করতে বাধ্য করা হয় যা তাদের ব্যথা দেয়।

২. সংবেদনশীল পোষ্যদের লক্ষ্য করে তৈরি চ্যালেঞ্জ: এই ধরনের ভিডিওতে সাধারণত প্রাণীদের তাদের স্বভাব বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজ করতে বা বিরক্ত করার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করা হয়, যা তাদের বিরক্তি বা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।

৩. নিছক মজার জন্য তৈরি ভিডিও: এগুলো মানুষের উপভোগের জন্য তৈরি হলেও, প্রায়শই খেলার ছলে পোষ্যের আচরণগত সীমাকে অতিক্রম করে যায়।

৪. মানুষের মতো সাজানো বা অ্যানথ্রোপোমরফিক কনটেন্ট: প্রায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ ভিডিওতে পোষ্যদের এমন অদ্ভুত পোশাক পরানো হয় বা মানুষের মতো সাজানো হয়, যা তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা বা শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দেয় এবং তীব্র অস্বস্তি সৃষ্টি করে।

চাপের যে লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা হয়:

ভিডিওগুলোতে থাকা পোষ্যদের মধ্যে মানসিক চাপের স্পষ্ট লক্ষণগুলো প্রায়শই মজার মোড়কে ঢাকা পড়ে যায়। এই লক্ষণগুলো পশু-কল্যাণ বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

কুকুরদের ক্ষেত্রে: সাধারণত চোখ বড় করে তাকানো, কান পেছনে টেনে নেওয়া, হাই তোলা, ঠোঁট চাটা এবং পরিস্থিতি বা মানুষটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখা গেছে।

বিড়ালদের ক্ষেত্রে: চোখ বিস্ফারিত হওয়া, চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া, কান ফ্ল্যাট (পেছনের দিকে চেপে) করে রাখা এবং শরীরের পেশি শক্ত করে রাখার মতো চাপ ও ভয়ের লক্ষণ ছিল।

প্রজনন-সংক্রান্ত এবং শারীরিক সমস্যা:

গবেষণায় সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর মাধ্যমে প্রচারিত কিছু দীর্ঘমেয়াদি পশু-কল্যাণ সমস্যার দিকেও আলোকপাত করা হয়েছে। বহু ভিডিওতে এমন প্রাণীদের দেখানো হয়, যাদের প্রজনন-সংক্রান্ত কারণে আজীবন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। যেমন—স্কটিশ ফোল্ড বিড়াল (যারা জেনেটিক কারণে অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভোগে) বা ফ্ল্যাট-ফেসেড কুকুর (যেমন পাগ্ বা বুলডগ, যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে)। এ ছাড়া, কান কাটা, লেজ কাটা বা অতিরিক্ত স্থূলকায় পোষ্যদেরও এসব ভিডিওতে বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে দেখানো হয়।

গবেষকদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা:

গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, পোষ্যদের সহজাত মাধুর্য নেতিবাচক অনলাইন অভিজ্ঞতাকে প্রশমিত করে। তবে, একটি আবেগপূর্ণ বা হাস্যকর উপস্থাপনা প্রায়শই পোষ্যের কষ্টের লক্ষণগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিয়ে প্রকৃত পশু-কল্যাণ সমস্যাকে আড়াল করতে পারে।

গবেষণাপত্রের লেখকেরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তাঁরা পোষ্যদের মধ্যে মানসিক চাপের লক্ষণগুলো চিনতে শেখেন এবং এমন ভাইরাল ‘চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন যা প্রাণীদের ক্ষতি করতে পারে। তাঁরা আরও উৎসাহিত করেছেন যে, ভিডিওতে যদি কোনো প্রাণীর কষ্ট বা নিগ্রহের লক্ষণ দেখা যায়, তবে সেই ভিডিওগুলোকে রিপোর্ট বা হাইড করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩০
মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা।

এ বিষয়ে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা রাত সোয়া ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমাদের শাট ডাউন কর্মসূচি চলবে। সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার বিটিআরসি আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তারা যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমরা দোকান খুলব। না হলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’

এর আগে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনে এমবিসিবির ব্যানারে জড়ো হন ব্যবসায়ীরা। এতে ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় একাধিক হাসপাতাল থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

ব্যবসায়ীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, এনইআইআর সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে বিশেষ একটি গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।

১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিটিআরসি আশা করছে, এনইআইআর কার্যকর হলে অবৈধভাবে দেশে আসা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: বোরকা পরে ঢুকে স্কুলড্রেসে বেরিয়ে যান একজন, গৃহকর্মী বলে সন্দেহ

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

‘নারীশাসিত পুরুষ’: সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বল—আসিফকে ওমর সানীর চ্যালেঞ্জ

২০০ আসনে জিতলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে জামায়াত: শফিকুর রহমান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত