অনলাইন ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের (সাবেক টুইটার) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কিছু ফরাসি সংবাদমাধ্যম। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমগুলোকে কোনো অর্থ না দিয়েই তাদের কনটেন্টগুলো প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ করা হচ্ছে।
এক্সের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে মামলা চালাচ্ছে—লে ফিগারো, লে ফিগারো, লেস ইকোস, লে প্যারিসিয়েন এবং লে মন্ডে নামের কিছু ফরাসি সংবাদপত্র। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সাংস্কৃতিক ম্যাগাজিন টেলেরামা, কুরিয়ার ইন্টারন্যাশনাল, হাফপোস্ট, মালেশারবেস পাবলিকেশনস ও নুওভেল অবস সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।
তারা অভিযোগ করছে যে, এক্স ‘নেইবারিং রাইটস’ লঙ্ঘন করেছে। এটি একটি ইউরোপীয় নির্দেশনা, যা ফরাসি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, যখন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো সংবাদ কনটেন্ট প্রকাশ করে, তখন সংবাদমাধ্যমগুলোকে অর্থ দিতে হবে।
এই পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি ফরাসি সংবাদ সংস্থা এজেন্স ফ্রান্স-প্রেস (এএফপি), ইতিমধ্যেই এক্স-এর বিরুদ্ধে একটি জরুরি নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছিল। তারা অভিযোগ করে যে, এক্স সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে তাদের কনটেন্ট প্রকাশ করছে এবং আইন অনুযায়ী উপযুক্ত অর্থ প্রদান করছে না।
গত ২৪ মে মিডিয়া কোম্পানির পক্ষে রায় দিয়েছে প্যারিস আদালত। রায়ে এক্স কে দুই মাস সময় দিয়েছে, যাতে তারা প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে সংবাদ কনটেন্ট থেকে অর্জিত আয় নিরূপণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক তথ্য সরবরাহ করতে পারে।
তাদের সর্বশেষ মামলার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে পত্রিকাগুলো বলছে, ‘এক্স এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেনি’ এবং ‘এটি তার আইনগত দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ফ্রান্স বহু বছর ধরে তার প্রকাশনা অধিকার এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর আয় রক্ষা করতে লড়াই করে আসছে। একে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসেবে দেখছে ফ্রান্স। এই কোম্পানিগুলো সংবাদ কনটেন্ট শেয়ার করে বা ওয়েব সার্চে সংবাদ স্টোরি দেখায়। ফ্রান্স দাবি করছে যে, এসব কর্মকাণ্ড সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য আর্থিক ক্ষতি সৃষ্টি করছে।
এটি মোকাবিলা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি কপিরাইটের ধরন তৈরি করেছে যা ‘নেইবারিং রাইটস’ নামে পরিচিত। এই অধিকারটি সংবাদমাধ্যমগুলোকে তাদের কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করার সুযোগ দেয়।
ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মগুলোর জন্য একটি পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করেছে। ২০১৯ সালে এটি প্রথম ইইউ দেশ ছিল যা মিডিয়া কোম্পানি এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রকাশনা অধিকার সম্পর্কিত নির্দেশিকা আইনগতভাবে কার্যকর করে। এর ফলে বড় প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে সংবাদ কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিরোধের পর গুগল এবং ফেসবুক উভয়ই সম্মত হয়েছিল যে, কোম্পানিগুলো কিছু ফরাসি মিডিয়াকে তাদের প্রতিবেদনগুলোর জন্য অর্থ প্রদান করবেগ।
চলতি বছরের মার্চ মাসে এক্সের ফরাসি আইনজীবী বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি ‘নেইবারিং রাইটস’ নির্দেশিকার আওতায় পড়ে না, কারণ গুগল বা ফেসবুকের তুলনায় ‘ব্যবহারকারীরা পোস্টের’ ওপর এটি বেশি নির্ভর করে এবং এটি নিজের উদ্যোগে সংবাদ কনটেন্ট প্রকাশ করে না। এ বিষয়ে ফরাসি পাবলিক ব্রডকাস্টার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের (সাবেক টুইটার) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কিছু ফরাসি সংবাদমাধ্যম। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমগুলোকে কোনো অর্থ না দিয়েই তাদের কনটেন্টগুলো প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশ করা হচ্ছে।
এক্সের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে মামলা চালাচ্ছে—লে ফিগারো, লে ফিগারো, লেস ইকোস, লে প্যারিসিয়েন এবং লে মন্ডে নামের কিছু ফরাসি সংবাদপত্র। এর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সাংস্কৃতিক ম্যাগাজিন টেলেরামা, কুরিয়ার ইন্টারন্যাশনাল, হাফপোস্ট, মালেশারবেস পাবলিকেশনস ও নুওভেল অবস সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।
তারা অভিযোগ করছে যে, এক্স ‘নেইবারিং রাইটস’ লঙ্ঘন করেছে। এটি একটি ইউরোপীয় নির্দেশনা, যা ফরাসি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, যখন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো সংবাদ কনটেন্ট প্রকাশ করে, তখন সংবাদমাধ্যমগুলোকে অর্থ দিতে হবে।
এই পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি ফরাসি সংবাদ সংস্থা এজেন্স ফ্রান্স-প্রেস (এএফপি), ইতিমধ্যেই এক্স-এর বিরুদ্ধে একটি জরুরি নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছিল। তারা অভিযোগ করে যে, এক্স সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে তাদের কনটেন্ট প্রকাশ করছে এবং আইন অনুযায়ী উপযুক্ত অর্থ প্রদান করছে না।
গত ২৪ মে মিডিয়া কোম্পানির পক্ষে রায় দিয়েছে প্যারিস আদালত। রায়ে এক্স কে দুই মাস সময় দিয়েছে, যাতে তারা প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে সংবাদ কনটেন্ট থেকে অর্জিত আয় নিরূপণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক তথ্য সরবরাহ করতে পারে।
তাদের সর্বশেষ মামলার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে পত্রিকাগুলো বলছে, ‘এক্স এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেনি’ এবং ‘এটি তার আইনগত দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে।’
ফ্রান্স বহু বছর ধরে তার প্রকাশনা অধিকার এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর আয় রক্ষা করতে লড়াই করে আসছে। একে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হিসেবে দেখছে ফ্রান্স। এই কোম্পানিগুলো সংবাদ কনটেন্ট শেয়ার করে বা ওয়েব সার্চে সংবাদ স্টোরি দেখায়। ফ্রান্স দাবি করছে যে, এসব কর্মকাণ্ড সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য আর্থিক ক্ষতি সৃষ্টি করছে।
এটি মোকাবিলা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি কপিরাইটের ধরন তৈরি করেছে যা ‘নেইবারিং রাইটস’ নামে পরিচিত। এই অধিকারটি সংবাদমাধ্যমগুলোকে তাদের কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করার সুযোগ দেয়।
ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মগুলোর জন্য একটি পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করেছে। ২০১৯ সালে এটি প্রথম ইইউ দেশ ছিল যা মিডিয়া কোম্পানি এবং সংবাদ সংস্থাগুলোর প্রকাশনা অধিকার সম্পর্কিত নির্দেশিকা আইনগতভাবে কার্যকর করে। এর ফলে বড় প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে সংবাদ কনটেন্ট ব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিরোধের পর গুগল এবং ফেসবুক উভয়ই সম্মত হয়েছিল যে, কোম্পানিগুলো কিছু ফরাসি মিডিয়াকে তাদের প্রতিবেদনগুলোর জন্য অর্থ প্রদান করবেগ।
চলতি বছরের মার্চ মাসে এক্সের ফরাসি আইনজীবী বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি ‘নেইবারিং রাইটস’ নির্দেশিকার আওতায় পড়ে না, কারণ গুগল বা ফেসবুকের তুলনায় ‘ব্যবহারকারীরা পোস্টের’ ওপর এটি বেশি নির্ভর করে এবং এটি নিজের উদ্যোগে সংবাদ কনটেন্ট প্রকাশ করে না। এ বিষয়ে ফরাসি পাবলিক ব্রডকাস্টার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
৬ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১০ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১৩ ঘণ্টা আগে