আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নতুন করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের পাভেল দুরভ। তিনি দাবি করেন, মলদোভায় নির্বাচনের সময় কিছু টেলিগ্রাম চ্যানেল সেন্সর করার বিনিময়ে তাঁর বিচারকাজে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফরাসি গোয়েন্দারা।
রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থানরত অবস্থায় এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে দুরভ এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এক অজ্ঞাত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ফরাসি গোয়েন্দারা তাঁকে এই প্রস্তাব দেন।
মলদোভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গতকাল রোববার। এই নির্বাচন দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার পন্থী বিরোধী দল দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দূরে রাখতে চায়।
এই পটভূমিতে দুরভ বলেন, টেলিগ্রামের নীতিমালা পরিষ্কারভাবে ভঙ্গ করেছে, এমন কিছু চ্যানেল মুছে ফেলেছেন তিনি। তবে বাকি চ্যানেলগুলো মুছে ফেলতে তাঁর ওপর চাপ ছিল। মধ্যস্থতাকারী জানান, এসব চ্যানেল সরিয়ে দিলে ফরাসি গোয়েন্দারা দুরভের বিচারকের কাছে ‘ভালো কথা বলবেন’।
দুরভ বলেন, ‘এটি ছিল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। যদি সত্যিই গোয়েন্দারা বিচারকের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন, তাহলে এটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ। আর যদি তারা শুধু দাবি করে থাকেন, তবে তারা ফ্রান্সে আমার আইনি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব ইউরোপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছেন।’
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুরভ নির্বাচন চলাকালে বারবার এ ধরনের অভিযোগ করে থাকেন। তারা বলেন, ‘রোমানিয়ার পর এবার মলদোভা। দুরভ নির্বাচন চলাকালে অভিযোগ করতে ভালোবাসেন।’
এর আগে, ২০২৫ সালের মে মাসে দুরভ অভিযোগ করেন, রোমানিয়ায় নির্বাচনের আগে তাঁকে কনজারভেটিভ চ্যানেল টেলিগ্রাম থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিল ফ্রান্সের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএসই (DGSE)। তবে সংস্থাটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
২০২৪ সালে ফরাসি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন পাভেল দুরভ। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে বিচারিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম অ্যাপে সংঘটিত অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন, ‘ফ্রান্সের অভিযোগগুলো আইনি ও যৌক্তিকভাবে অমূলক।’
২০১৪ সালে রাশিয়া ছেড়ে আসেন পাভেল দুরভ। কারণ, তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিকেতে (Vk) বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে রাশিয়ান সরকারের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ভিকেকে বিক্রি করে দেন।
বর্তমানে তাঁর তৈরি টেলিগ্রাম অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। বিশেষ করে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে অ্যাপটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নতুন করে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের পাভেল দুরভ। তিনি দাবি করেন, মলদোভায় নির্বাচনের সময় কিছু টেলিগ্রাম চ্যানেল সেন্সর করার বিনিময়ে তাঁর বিচারকাজে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফরাসি গোয়েন্দারা।
রোববার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থানরত অবস্থায় এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে দুরভ এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এক অজ্ঞাত মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ফরাসি গোয়েন্দারা তাঁকে এই প্রস্তাব দেন।
মলদোভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গতকাল রোববার। এই নির্বাচন দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার পন্থী বিরোধী দল দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দূরে রাখতে চায়।
এই পটভূমিতে দুরভ বলেন, টেলিগ্রামের নীতিমালা পরিষ্কারভাবে ভঙ্গ করেছে, এমন কিছু চ্যানেল মুছে ফেলেছেন তিনি। তবে বাকি চ্যানেলগুলো মুছে ফেলতে তাঁর ওপর চাপ ছিল। মধ্যস্থতাকারী জানান, এসব চ্যানেল সরিয়ে দিলে ফরাসি গোয়েন্দারা দুরভের বিচারকের কাছে ‘ভালো কথা বলবেন’।
দুরভ বলেন, ‘এটি ছিল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। যদি সত্যিই গোয়েন্দারা বিচারকের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন, তাহলে এটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ। আর যদি তারা শুধু দাবি করে থাকেন, তবে তারা ফ্রান্সে আমার আইনি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব ইউরোপের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছেন।’
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুরভ নির্বাচন চলাকালে বারবার এ ধরনের অভিযোগ করে থাকেন। তারা বলেন, ‘রোমানিয়ার পর এবার মলদোভা। দুরভ নির্বাচন চলাকালে অভিযোগ করতে ভালোবাসেন।’
এর আগে, ২০২৫ সালের মে মাসে দুরভ অভিযোগ করেন, রোমানিয়ায় নির্বাচনের আগে তাঁকে কনজারভেটিভ চ্যানেল টেলিগ্রাম থেকে সরিয়ে দিতে বলেছিল ফ্রান্সের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএসই (DGSE)। তবে সংস্থাটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
২০২৪ সালে ফরাসি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন পাভেল দুরভ। বর্তমানে তিনি ফ্রান্সে বিচারিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে টেলিগ্রাম অ্যাপে সংঘটিত অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তবে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন, ‘ফ্রান্সের অভিযোগগুলো আইনি ও যৌক্তিকভাবে অমূলক।’
২০১৪ সালে রাশিয়া ছেড়ে আসেন পাভেল দুরভ। কারণ, তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিকেতে (Vk) বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে রাশিয়ান সরকারের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি ভিকেকে বিক্রি করে দেন।
বর্তমানে তাঁর তৈরি টেলিগ্রাম অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। বিশেষ করে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোতে অ্যাপটির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
১৭ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২১ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২১ ঘণ্টা আগেছবি তুলতে কে না ভালোবাসে! হাতের কাছে মোবাইল ফোন থাকলেই হলো, মুহূর্তে বন্দী করে ফেলা যায় প্রিয় দৃশ্য বা স্মৃতি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ভ্রমণের স্মৃতি কিংবা একান্ত মুহূর্ত—সবই জমা হয় মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে।
১ দিন আগে