ফিচার ডেস্ক

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে আমরা কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সহায়তা নিতে পারি, সেগুলো হলো—
রান্নাবান্না
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বিনোদন
খাবার ব্যবস্থাপনা
স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণ
আজকে আমরা কিছু জনপ্রিয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স নিয়ে বিস্তারিত জানব। আরও জানব তাদের উপকারিতা এবং সেগুলো কীভাবে কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও অনায়াসে কাটাতে সাহায্য করে।
১. এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার (AC) গরমের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমাদের শীতল অনুভূতি দিতে সাহায্য করে। এটি রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বয়ে এনে দেয়। এসি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন স্প্লিট এসি, উইন্ডো এসি এবং পোর্টেবল এসি; যার মধ্যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন আপনার বাজেটে সেরা এসিটি।
এয়ার কন্ডিশনারের ক্রমবিকাশ বলতে গেলে বেশ পুরোনো। প্রথম দিকের এসিগুলো ছিল আকারে বড় ও ভারী এবং শুধু বড় বড় অট্টালিকায় ব্যবহার করা হতো। কিন্তু আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, বহনযোগ্য এবং ঘরের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া আধুনিক এয়ার কন্ডিশনারগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং এগুলোয় রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা, যেমন অটো ক্লিন, হিউমিডিটি কন্ট্রোল এবং স্মার্ট কন্ট্রোল।
২. রেফ্রিজারেটর
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ প্রতিটি গৃহের জন্য একটি অপরিহার্য অ্যাপ্লায়েন্স। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রেশ রাখে, পচনশীলতা থেকে রক্ষা করে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে। আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি দেখা যায়, যেমন ডিজিটাল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, আইস মেকার এবং ওয়াটার ডিসপেনসার।
রেফ্রিজারেটর ব্যবহার বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনেক আগে থেকেই দেখা যায়। প্রথম দিকের রেফ্রিজারেটরগুলো ছিল বরফের ব্লক ব্যবহার করে তৈরি করা। কিন্তু আধুনিক রেফ্রিজারেটরগুলো ফ্রিওন গ্যাস ব্যবহার করে ঠান্ডা করে। এটি খাবারকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিছু রেফ্রিজারেটরে ডুয়েল কুলিং সিস্টেম থাকে, যা ফ্রিজ এবং ফ্রিজার উভয় অংশকে পৃথক পৃথকভাবে ঠান্ডা করে।
৩. ওয়াশিং মেশিন
ওয়াশিং মেশিন আমাদের অনেক পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। অ্যাপ্লায়েন্সটি বিভিন্ন ধরনের কাপড় ধোয়া, রিন্স করা থেকে ড্রাই করার কাজও করে। অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনগুলো আরও বেশি সুবিধাজনক; কারণ, এটি আপনাকে কোনো রূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই কাপড় পরিষ্কারের কাজ শেষ করে দেয়।
ওয়াশিং মেশিনেরও একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রথম দিকের ওয়াশিং মেশিনগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে কাপড় কাচতে হতো। কিন্তু আধুনিক ওয়াশিং মেশিনগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং করা থাকে, যা বিভিন্ন ফেব্রিকের কাপড়ের জন্য উপযুক্ত। এ ছাড়া কিছু ওয়াশিং মেশিনে ড্রাইং ফাংশনও থাকে, যা কাপড়কে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৪. মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেন হলো আরও একটি উপকারী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা খাবার গরম করা, ডিফ্রস্ট করা এবং কিছু ক্ষেত্রে বেকিংয়ের কাজও করে। এটি খুব স্বল্প সময়ে খাবার গরম করতে সক্ষম, যার ফলে আপনার সময় অনেকটা বাঁচবে। আধুনিক মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলোতে কনভেকশন এবং গ্রিল ফিচারও থাকে, যার ফলে আপনি আরও বিভিন্ন ধরনের রান্না করতে পারবেন।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের উদ্ভাবন নিশ্চিতরূপে রান্নার জগতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছিল। ১৯৪৫ সালে পেরসি স্পেন্সার নামক একজন ইঞ্জিনিয়ার মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে একটি চকলেট বার গলিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি বুঝতে পারেন যে মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন খাবার গরম করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর থেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যাত্রা শুরু।
৫. টেলিভিশন (TV)
যেমনটা আমরা সবাই জানি, টেলিভিশন বা TV আমাদের ঘরের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। টিভি ছাড়া বর্তমানে আমাদের এক দিনও চলে না। এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, সিনেমা, খবর এবং অন্যান্য কনটেন্ট উপভোগ করার সুযোগ দেয়। আধুনিক টেলিভিশনগুলোয় বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন স্মার্ট টিভি ফাংশন, 4K রেজল্যুশন, HDR এবং ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।
টেলিভিশনও একটি প্রাচীনতম আবিষ্কার। প্রথম দিকের টেলিভিশনগুলো ছিল সাদাকালো এবং তাদের পর্দা ছিল ছোট। কিন্তু আধুনিক টেলিভিশনগুলো রঙিন, বড় পর্দার এবং হাই রেজল্যুশনের সঙ্গে আসে। এ ছাড়া স্মার্ট টিভিগুলো ইন্টারনেট কানেকটিভিটি এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে, যার ফলে আপনি স্ট্রিমিং সার্ভিস, গেমিং এবং অন্যান্য অনেক কিছু করা যায়।
৬. ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার গৃহস্থলের ধুলা, ময়লা এবং পোকামাকড় পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা পরিশ্রম কমিয়ে দেয় এবং আপনার ঘরে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে। আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ওজনে হালকা, বহনযোগ্য এবং তাদের মধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সুবিধাদি থাকে, যেমন HEPA ফিল্টার, যা অ্যালার্জেনসকে ফিল্টার করে।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আবিষ্কারও একটি আকর্ষণীয় ঘটনা ছিল। ১৯০১ সালে হাবার্ট বুথ নামক একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আবিষ্কার করেন। প্রথম দিকের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছিল বড় এবং ভারী এবং তাদের পরিচালনা করতে অনেকটা বেগ পেতে হতো। কিন্তু আধুনিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনারগুলো ছোট ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যা পরিষ্কার করার কাজকে আরও সহজতর করে তোলে।
৭. রাইস কুকার
রাইস কুকার রান্নার কাজকে অনেকটা সহজ করে দেয়, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোতে। এটি চাল রান্না করার কাজকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। আধুনিক রাইস কুকারগুলোতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের চাল রান্নার জন্য উপযুক্ত।
রাইস কুকারের আবিষ্কার বেশ পুরোনো না হলেও বলার মতো। প্রথম দিকের রাইস কুকারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাত দিয়ে চাল রান্না করতে হতো। কিন্তু আধুনিক রাইস কুকারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন টাইমার, কিপ ওয়ার্ম ফাংশন এবং ডিলে স্টার্ট।
৮. ডিশওয়াশার
ডিশওয়াশার একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি অনেক গৃহিণীর সময় এবং পরিশ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে। আধুনিক ডিশওয়াশারগুলোয় বিভিন্ন পূর্বনির্ধারিত প্রোগ্রাম থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের থালাবাসনের জন্য উপযুক্ত।
ডিশওয়াশারের ব্যবহার অনেক সময় ধরেই। প্রথম দিকের ডিশওয়াশারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে নিজ হাতে বাসনপত্র পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু আধুনিক ডিশওয়াশারগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন হিটেড ড্রাইং, স্যানিটাইজিং এবং এনার্জি এফিশিয়েন্ট মোড।
৯. ব্লেন্ডার
ব্লেন্ডার একটি বহুমুখী হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। এটি স্মুদি, সস, স্যুপ এবং অন্যান্য খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ব্লেন্ডারগুলোতে বিভিন্ন স্পিড এবং ফাংশন থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত করতে সহায়তা করে।
ব্লেন্ডার আরও আগে থেকে রান্নার কাজে রাঁধুনিদের পরিশ্রম লাঘব করে আসছে। আগের ব্লেন্ডারগুলো ছিল ম্যানুয়াল, যেখানে হাতের সাহায্যে খাবার ব্লেন্ড করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ব্লেন্ডারগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন পালস ফাংশন, আইস ক্রাশিং এবং ডিশওয়াশার সেফ পার্টস।
১০. ফুড প্রসেসর
ফুড প্রসেসর একটি গুরুত্বপূর্ণ হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুতকরণে সাহায্য করে। এটি চপিং, স্লাইসিং, গ্রেটিং এবং মিক্সিংয়ের কাজ করে। আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলোতে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট থাকে, যা বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য ডিজাইন করা।
আগের ফুড প্রসেসরগুলো ম্যানুয়ালি অপারেট করতে হতো, যেখানে হাতের সহায়তায় খাবার প্রসেস করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ফুড প্রসেসরগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল ব্লেডস, ডিফারেন্ট স্পিড সেটিংস এবং লার্জ ক্যাপাসিটি বোল।
১১. ইলেকট্রিক গ্রিল
ইলেকট্রিক গ্রিল ভোজনরসিক ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে সহজ করে তোলে। এটি মাংস, মাছ এবং সবজি গ্রিল করতে ব্যবহার করা হয়। আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলোতে বিভিন্ন ফিচার থাকে, যেমন অ্যাডজাস্টেবল টেম্পারেচার কন্ট্রোল, নন-স্টিক সারফেস এবং রিমুভেবল ড্রিপ ট্রে।
প্রাথমিক পর্যায়ের ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো ছিল ম্যানুয়াল। অটোমেটিক ফিচারগুলো তেমন একটা ছিল না, তাই হাত দিয়ে খাবার গ্রিল করতে হতো। কিন্তু আধুনিক ইলেকট্রিক গ্রিলগুলো সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব আধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ, যা গ্রিলিংয়ের কাজকে আরও নিরাপদ এবং নির্ঝঞ্ঝাট করে তোলে।
১২. হেয়ার ড্রায়ার
যাঁরা চুলের যত্ন নেন, তাঁদের একটি হেয়ার ড্রায়ার না হলেই নয়। এটি চুল শুকানোর কাজকে সহজ করে এবং দ্রুত রেডি হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীদের সহায়তা করতে সক্ষম। আধুনিক হেয়ার ড্রায়ারগুলোয় অত্যাধুনিক ফিচার থাকে, যেমন মাল্টিপল হিট এবং স্পিড সেটিংস, কুল শট বাটন এবং ডিফিউজার অ্যাটাচমেন্ট।
Star Tech আপনার এবং আপনার পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যে এসব হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করে থাকে। নিঃসন্দেহে স্টার টেক আপনার নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো সরবরাহে one-stop সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমাদের অনলাইন শপ বা সরাসরি দোকানে এসে সংগ্রহ করুন আপনার প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সে।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
১৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১ দিন আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১ দিন আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে যেমন হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। অন্যদিকে কিশোর ব্যবহারকারীদের একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকার ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী আনিকা ওয়েলস নিশ্চিত করেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৬ বছরের কম বয়সী হিসেবে চিহ্নিত দুই লক্ষাধিক টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাক্টিভেট) করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে আইনটির তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা প্রমাণ করে। তবে মজার বিষয় হলো, অনেক ব্যবহারকারী যারা নিজেদের ১৬-এর নিচে বলে দাবি করছে, তারা এখনো প্ল্যাটফর্মে রয়ে গেছে এবং নিজেদের টিকে থাকার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কিশোরদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বার্তাগুলো নজর কাড়ছে। এক টিকটক ব্যবহারকারী একটি ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সরাসরি লিখেছে, ‘প্রিয় অ্যান্থনি আলবানিজ, আমি আপনার নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।’ এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মন্তব্যে, যারা দাবি করছে যে তারা ১৬ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও প্ল্যাটফর্মে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
কেউ কেউ তো সময় উল্লেখ করে তাদের ‘বিজয়’ উদ্যাপন করছে। সাধারণ মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘আমরা এখনো বহাল তবিয়তে আছি, এখন ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮: ০৫।’ এমনকি কেউ কেউ এলটন জনের জনপ্রিয় গান ‘আই অ্যাম স্টিল স্ট্যান্ডিং’-এর একটি লাইন উদ্ধৃত করে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ঘোষণা করেছে।
অনেকে জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের মূল অ্যাকাউন্ট থেকে বের করে দিলেও, তারা গোপন ব্যাক-আপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে। প্রযুক্তিগত এই ফাঁক গলে কেউ কেউ স্ন্যাপচ্যাট বা ইনস্টাগ্রামের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ হলেও টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের টিকটক অ্যাকাউন্টও এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর তিনি এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, এটি ‘ইতিমধ্যেই সফল’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ব্যবহারকারীরা নিষেধাজ্ঞাটির ব্যর্থতা নিয়ে বার্তাবর্ষণ করেছে।
আলবানিজের একটি টিকটক ভিডিওর নিচে সরাসরি এক ব্যবহারকারী লিখেছে, ‘আরে বন্ধু, এখনো এখানে আছি।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছে, ‘এটা কাজ করেনি ব্রো, আমি এখনো এখানে।’
এই ধরনের প্রতিক্রিয়াই স্পষ্ট করে যে, সরকারের প্রাথমিক সফলতা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনকে পাশ কাটানোর প্রবণতা জোরদার।
খোদ বয়স যাচাইকরণের পদ্ধতি নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনম্যান গ্রান্ট কোনো নির্দিষ্ট বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির সুপারিশ করেননি। তিনি বরং একটি ‘ওয়াটারফল পদ্ধতি’ ব্যবহারের কথা বলেছেন, যেখানে সরকারি আইডি আপলোড করা ছাড়াও আরও একাধিক বিকল্প থাকবে। যদিও বয়স অনুমানকারী ফেশিয়াল স্ক্যান প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে পক্ষপাতিত্ব এবং শিশুদের মুখ চেনার ক্ষেত্রে নির্ভুলতার অভাব দেখা যায়।
কমিশনার ইনম্যান গ্রান্ট অবশ্য বাস্তববাদী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের বৃহৎ সিস্টেমে রাতারাতি শতভাগ সাফল্য আশা করা যায় না। তিনি বলেন, এখানে প্রযুক্তির কিছু দুর্বলতা থাকবে, এই বৃহৎ সিস্টেমগুলোতে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে। আমরা কিছু অনিয়ম দেখতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
আইনের বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের বা তাদের অভিভাবকদের কোনো শাস্তি হবে না। আইন মেনে চলার পুরো দায়িত্বটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর বর্তায়। তাদেরই ব্যবহারকারীর বয়স নিশ্চিত করতে হবে এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। আইন লঙ্ঘনের জন্য সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টকে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
ই-সেফটি কমিশনার আরও আশা করেন, প্ল্যাটফর্মগুলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)-এর মতো কৌশলও শনাক্ত করবে। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা লুকিয়ে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান গোপন করতে সাহায্য করে ভিপিএন।
এদিকে যেসব অপ্রাপ্তবয়স্ক তাদের প্রিয় অ্যাপ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, তারা এখন অন্য প্ল্যাটফর্মে আশ্রয় খুঁজছে। আজ সকালে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে শীর্ষ তিনটি জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল Lemon 8, Yope, এবং Coverstar। এই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরছে এবং এগুলো আপাতত ই-সেফটি কমিশনারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই।
মন্ত্রী ওয়েলস এই প্রবণতা নিয়েও সতর্ক। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীরা Lemon8-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ভিড় করছে এবং সেখানে ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তবে সেগুলোকেও তালিকায় যোগ করতে তিনি এক মুহূর্তও দেরি করবেন না।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১ দিন আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১ দিন আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার আইন কার্যকর হয়েছে। সরকার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ শিশুদের আসক্তিমূলক অ্যালগরিদম, অনলাইন বুলিং ও শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, সদ্য কার্যকর হওয়া ওই আইনটি ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ নানা দেশের নীতিনির্ধারকেরা অস্ট্রেলিয়ার এই উদ্যোগকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ১০টি বড় সামাজিক মাধ্যম—ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, টিকটক, রেডিট, কিক, টুইচ ও এক্স। এসব প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, তারা নতুন বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। তবে তাদের কেউ কেউ মনে করে—এত বড় পদক্ষেপ বাস্তবে শিশুদের নিরাপদ করবে কি না, তা এখনো প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, কিছু শিশু ও তাদের বাবা-মা হয়তো এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এটি নিখুঁত নাও হতে পারে, কিন্তু সমাজকে জানাতে হবে—কোন আচরণটি গ্রহণযোগ্য।’
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী—প্ল্যাটফর্মগুলোকে দেখাতে হবে তারা ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় বাধা দিতে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছে। তা না হলে প্রায় ৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ তিন বছরের জন্য অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখবে। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট করবে, তবে লগ ইন না করেও ভিডিও দেখার সুযোগ থেকে যাবে এই মাধ্যমটিতে। টিকটক জানিয়েছে, বয়স যাচাইকরণের মধ্য দিয়েই অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে এবং শিশুদের পোস্ট করা কনটেন্টও আর দেখা যাবে না।
এদিকে নিরাপদ বিবেচনায় ডিসকর্ড, রোবলক্স, গুগল ক্লাসরুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব কিডস-সহ আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম এখনো অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের জন্য উন্মুক্তই রাখা হচ্ছে। তবে ‘রোবলক্স’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, কারণ প্ল্যাটফর্মটিতে শিশুদের টার্গেট করা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স যাচাই করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো লাইভ ভিডিও সেলফি, নথিপত্র বা ইমেইল যাচাইয়ের পদ্ধতি অনুসরণ করবে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরেরা বিকল্প অ্যাপ খুঁজতে শুরু করেছে। এর ফলে ইয়োপে ও লেমন৮–এই দুটি অ্যাপ অল্প সময়েই হাজার হাজার নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, নতুন আইন কার্যকর করার পর শিশুরা বাইরে পর্যাপ্ত সময় কাটাচ্ছে কি না, বই পড়ছে কি না কিংবা মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে কি না—পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে তারা দেখতে চায়—শিশুরা নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম ছাড়িয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ অনলাইন জগতে চলে যাচ্ছে কি না।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় মূল্যায়ন করা হবে এবং বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণে সহায়তার জন্য এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
১৯ ঘণ্টা আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১ দিন আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।
এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।
সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।
ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্সে এ তথ্য জানান। সত্য নাদেলা বলেন, ভারতের ‘এআই ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, দক্ষতা ও সার্বভৌম সক্ষমতা’ গড়ে তুলতে মাইক্রোসফট এই বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
বিশ্বের অনেক প্রযুক্তি কোম্পানিই ভারতে তাদের বাজার সম্প্রসারণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দ্রুতগতিতে ডিজিটাল অবকাঠামোর বিস্তার হওয়ায় দেশটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজারগুলোর একটি।
এর আগে গত অক্টোবরে গুগল জানিয়েছিল, তারা আগামী পাঁচ বছরে ভারতে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর বিশাখাপত্তনমে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম এআই হাব স্থাপন করা হবে, যা হবে গুগলের অন্যতম বৃহত্তম বৈশ্বিক কেন্দ্র।
তিন দিনের ভারত সফরে থাকা নাদেলা নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এআই-বিষয়ক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ভারত সরকার কাজ করছে। দেশটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছে, যাতে বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো দেশটিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। সরকারের লক্ষ্য উদ্ভাবনী বাজার শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান বাড়ানো ও আমদানিনির্ভরতা কমানো।
সত্য নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদি এক্সে লিখেছেন, ‘এআই নিয়ে বিশ্ব ভারতের ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভারতে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এবার সেটি সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। আগের পরিকল্পনায় আগামী দুই বছরে নতুন ডেটা সেন্টার, ক্লাউড ও এআই অবকাঠামো তৈরি এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ ছিল।
ভারতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মাইক্রোসফট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। উন্নত কম্পিউটিং চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি ক্লাউড ও ডেটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, তারা ভারতে চলমান কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে চায়। দেশটিতে তাদের সবচেয়ে বড় হাইপারস্কেল সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নতুন ডেটা সেন্টার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
১৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১ দিন আগে
বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।
এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।
বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’
আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’
মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’
এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।
এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

বিদেশ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড (ব্যবহৃত), ক্লোনড, রিফারফিশড (সংযোজনকৃত) মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে অননুমোদিত মোবাইল আমদানিকারক ও বিক্রেতারা এসব ফোন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমদানি করতে চান। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) পদ্ধতি কার্যকর করার সময় পেছানো এবং মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো।
এসব দাবি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠক করেন মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হয়। এমবিসিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। এ সময় বিটিআরসি ভবনের বাইরে অবস্থান নেন শতাধিক মোবাইল ব্যবসায়ী।
বিটিআরসি থেকে বের হয়ে এমবিসিবির নেতারা জানান বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এমবিসিবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দাবিতে তারা (বিটিআরসি) কর্ণপাত করে নাই, আমাদের দাবি কেউ আমলে নেয় নাই। আমাদের কথা তারা বুঝে, বলার আগেই বুঝে, কিন্তু না বোঝার ভান করে।’
আগামীকাল বুধবার এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান শামীম মোল্লা। সে পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এমবিসিবির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে আমাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল ইউজড (ব্যবহৃত) ফোন। আমরা বলেছি, এ দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ ইউজড ফোন কেনে, ব্যবহার করে আবার বিক্রি করে বা এক্সচেঞ্জ (বিনিময়) করে। আমরা বারবার বলেছি এই ফোনগুলোকে ক্লোন, কপি ও রিফারবিশড বলে কালিমা লেপন করছেন আপনারা। আমরা ক্লোন-কপি বেচি না, আমরা যে মালটা বিক্রি করি, সেটা ধনী দেশের মানুষেরা ছেড়ে দেয়, আমরা সেটা দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করি।’
মোহাম্মদ আসলাম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহৃত ফোনের বাণিজ্য করতে দিতেই হবে। তবে বিটিআরসি বলেছে আপাতত এ বিষয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘আমরা বলেছি যেহেতু তারা এনইআইআর চালু করার জন্য নতুন ফোনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, পুরাতন ফোনের জন্য যে সরঞ্জাম লাগে সেটার টাকা আমরা সারা দেশের ব্যবসায়ীরা দেব। কিন্তু তারা অনড়।’
এমবিসিবির নেতারা জানান, বুধবার মোবাইল ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে মোবাইল ফোনের দাম বেড়ে যাবে এবং সাধারণ মোবাইলে বিক্রেতা পথে বসবে বলে অভিযোগ এমবিসিবির।
এমবিসিবির সঙ্গে বৈঠকের পর এক বার্তায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল হ্যন্ডসেট আমদানি এবং ভেন্ডর তালিকাভুক্তকরণ সনদ দেওয়ার বিদ্যমান প্রক্রিয়া সহজ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। এমবিসিবির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে থাকা অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের জন্য নির্ধারিত ছকে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর বিটিআরসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

আমাদের গৃহের হোম অ্যাপ্লায়েন্সগুলো আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে তোলে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স হলো এমন বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, যা আমাদের বাসাবাড়ির দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। আমাদের পরিবারের মা-বোনেরা এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হন। সচরাচর যেসব কাজের ক্ষেত্রে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরপরই দেশজুড়ে ডিজিটাল জগতে এক নতুন লুকোচুরি খেলা শুরু হয়েছে। এই আইন প্রয়োগের প্রথম দিনেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে; একদিকে
১৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার লাখ লাখ শিশু বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঘুম থেকে উঠে দেখবে—তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আর চালু নেই। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সম্প্রতি দেশটি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে দেশটি।
১ দিন আগে
আগামী চার বছরে ভারতে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এটি এশিয়ায় মাইক্রোসফটের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। ভারতের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অবকাঠামো উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
১ দিন আগে