আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সৃজনশীলতা আর নতুন ভাবনার জন্য মার্কিন উদ্ভাবক স্টিভ জবসের কিছু অদ্ভুত, তবে কার্যকর অভ্যাস ছিল। তার অন্যতম পরিচিত কৌশল ছিল ‘১০ মিনিট রুলস’। কোনো সমস্যায় আটকে গেলে, তিনি ডেস্ক ছেড়ে উঠে পড়তেন, হাঁটতে বেরিয়ে যেতেন। মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই তিনি ফিরে আসতেন নতুন ধারণা ও সমাধান নিয়ে।
এক সময়কার এই ব্যতিক্রমী অভ্যাসকে আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটাচলা সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
স্টিভ জবসের ‘১০ মিনিট নিয়ম’ কী
জবসের কাছে হাঁটাচলার কারণ শুধু শরীরচর্চা ছিল না, বরং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করার হাতিয়ারও ছিল। তিনি প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে মিটিং করতেন। কোনো সমস্যা নিয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকতেন না। বরং কিছুক্ষণ হাঁটতেন এবং ফিরে এসে অনেক সময়ই পেয়ে যেতেন সমস্যার নতুন দিক বা কার্যকর সমাধান। তাঁর মতে, চাপের মধ্যে নয়, বরং স্বাধীন ভাবনার মধ্যেই সৃজনশীলতার বিকাশ হয়।
স্ট্যানফোর্ডের গবেষণায় যা উঠে এসেছে
জবসের অভ্যাসের অনেক বছর পর স্ট্যানফোর্ডের গবেষকেরা বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করেন। ২০১৪ সালে জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি: লার্নিং, মেমোরি অ্যান্ড কগনিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় গবেষক মারিলি ওপেজো ও ড্যানিয়েল শোয়ার্টজ দেখান, হাঁটার সময় সৃজনশীল চিন্তার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা যখন বসে ছিলেন, তখন তাঁদের ভাবনা ছিল তুলনামূলকভাবে কম বৈচিত্র্যপূর্ণ। তবে ঘরের ভেতরে বা বাইরের পরিবেশে হাঁটা হোক না কেন, তাঁরা অনেক বেশি নতুন ও ভিন্নধর্মী উদ্ভাবনী ধারণা দিতে পেরেছিলেন।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়—সৃজনশীলতার এই প্রভাব শুধু হাঁটার সময় নয়, হাঁটা শেষে কিছু সময় পর্যন্তও থেকে যায়। অর্থাৎ, হাঁটা একধরনের ‘রিসেট’ হিসেবে কাজ করে, যা মস্তিষ্ককে পরে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
হাঁটার পেছনের স্নায়ুবিজ্ঞান
নিউরোসায়েন্স বলছে, হাঁটা আমাদের চিন্তার স্থবিরতা ভেঙে দিয়ে নতুন ধারায় ভাবতে সাহায্য করে। এটি ডাইভারজেন্ট থিংকিং বা ভিন্নভাবে চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটায়—যেখানে মস্তিষ্ক একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান ভাবতে পারে। হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কের সেই অঞ্চলগুলো উদ্দীপ্ত হয়, যা স্মৃতি, কল্পনা, মনোযোগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক রুটিন ভাঙে, মেজাজ ভালো হয় এবং মন তৈরি হয় নতুন চিন্তার জন্য। এ কারণেই স্টিভ জবস তার হাঁটার পর ফিরে এসে পেতেন আরও প্রখর ও কার্যকর ধারণা।
স্টিভ জবসের একসময়ের ব্যক্তিগত অভ্যাস আজ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সৃজনশীল সংস্থা থেকে শুরু করে করপোরেট অফিস—সর্বত্রই এখন হাঁটার সময় নেওয়া হয় বিরতি হিসেবে, যেখানে কর্মীরা ফিরে পান নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী চিন্তা।
সৃজনশীলতা আর নতুন ভাবনার জন্য মার্কিন উদ্ভাবক স্টিভ জবসের কিছু অদ্ভুত, তবে কার্যকর অভ্যাস ছিল। তার অন্যতম পরিচিত কৌশল ছিল ‘১০ মিনিট রুলস’। কোনো সমস্যায় আটকে গেলে, তিনি ডেস্ক ছেড়ে উঠে পড়তেন, হাঁটতে বেরিয়ে যেতেন। মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই তিনি ফিরে আসতেন নতুন ধারণা ও সমাধান নিয়ে।
এক সময়কার এই ব্যতিক্রমী অভ্যাসকে আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটাচলা সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
স্টিভ জবসের ‘১০ মিনিট নিয়ম’ কী
জবসের কাছে হাঁটাচলার কারণ শুধু শরীরচর্চা ছিল না, বরং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করার হাতিয়ারও ছিল। তিনি প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে মিটিং করতেন। কোনো সমস্যা নিয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকতেন না। বরং কিছুক্ষণ হাঁটতেন এবং ফিরে এসে অনেক সময়ই পেয়ে যেতেন সমস্যার নতুন দিক বা কার্যকর সমাধান। তাঁর মতে, চাপের মধ্যে নয়, বরং স্বাধীন ভাবনার মধ্যেই সৃজনশীলতার বিকাশ হয়।
স্ট্যানফোর্ডের গবেষণায় যা উঠে এসেছে
জবসের অভ্যাসের অনেক বছর পর স্ট্যানফোর্ডের গবেষকেরা বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করেন। ২০১৪ সালে জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি: লার্নিং, মেমোরি অ্যান্ড কগনিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় গবেষক মারিলি ওপেজো ও ড্যানিয়েল শোয়ার্টজ দেখান, হাঁটার সময় সৃজনশীল চিন্তার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা যখন বসে ছিলেন, তখন তাঁদের ভাবনা ছিল তুলনামূলকভাবে কম বৈচিত্র্যপূর্ণ। তবে ঘরের ভেতরে বা বাইরের পরিবেশে হাঁটা হোক না কেন, তাঁরা অনেক বেশি নতুন ও ভিন্নধর্মী উদ্ভাবনী ধারণা দিতে পেরেছিলেন।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়—সৃজনশীলতার এই প্রভাব শুধু হাঁটার সময় নয়, হাঁটা শেষে কিছু সময় পর্যন্তও থেকে যায়। অর্থাৎ, হাঁটা একধরনের ‘রিসেট’ হিসেবে কাজ করে, যা মস্তিষ্ককে পরে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
হাঁটার পেছনের স্নায়ুবিজ্ঞান
নিউরোসায়েন্স বলছে, হাঁটা আমাদের চিন্তার স্থবিরতা ভেঙে দিয়ে নতুন ধারায় ভাবতে সাহায্য করে। এটি ডাইভারজেন্ট থিংকিং বা ভিন্নভাবে চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটায়—যেখানে মস্তিষ্ক একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান ভাবতে পারে। হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কের সেই অঞ্চলগুলো উদ্দীপ্ত হয়, যা স্মৃতি, কল্পনা, মনোযোগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক রুটিন ভাঙে, মেজাজ ভালো হয় এবং মন তৈরি হয় নতুন চিন্তার জন্য। এ কারণেই স্টিভ জবস তার হাঁটার পর ফিরে এসে পেতেন আরও প্রখর ও কার্যকর ধারণা।
স্টিভ জবসের একসময়ের ব্যক্তিগত অভ্যাস আজ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সৃজনশীল সংস্থা থেকে শুরু করে করপোরেট অফিস—সর্বত্রই এখন হাঁটার সময় নেওয়া হয় বিরতি হিসেবে, যেখানে কর্মীরা ফিরে পান নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী চিন্তা।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
১ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
১ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
১ দিন আগে