অনলাইন ডেস্ক
চীনের সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের বিরুদ্ধে গত সোমবার তৃতীয় দফার অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটি ১৪০টি চীনা কোম্পানির জন্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাউরা টেকনোলজি গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনে চিপ তৈরির সক্ষমতা সীমিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি চীনের চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিওটেক, এ সি এম রিসার্চ এবং সি ক্যারিয়ার টেকনোলজি এর ওপরও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া চীনে উন্নত মেমরি চিপ এবং অন্যান্য চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির রপ্তানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
চীনের ওপর সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হচ্ছে এই পদক্ষেপটি। চীনকে চিপ বাজারে প্রবেশ ও উৎপাদন সীমিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত সামরিক প্রয়োগে সাহায্য করতে পারে বা অন্যথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। এটি এমন সময় হয়েছে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে। বাইডেনের অনেক কঠোর চীনবিরোধী ট্রাম্প প্রশাসনেও বহাল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে—চীনে পাঠানো উচ্চ ব্যান্ডউইথ মেমরি চিপগুলোর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উচ্চমানের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অপরিহার্য, ২৪টি নতুন চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি এবং তিনটি সফটওয়্যার টুলের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে তৈরি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির ওপর নতুন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা।
এই টুলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণগুলো সম্ভবত ল্যাম রিসার্চ, কেএলএ এবং অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোম্পানি যেমন ডাচ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এএসএম ইন্টারন্যাশনাল–এর ওপরও প্রভাব ফেলবে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীনের প্রায় দুই ডজন সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি, দুটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং ১০০ টিরও বেশি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সোয়েসিউর টেকনোলজি কো, সি’এন কুইংদাও, এবং শেনজেন পেনসুন টেকনোলজি কো, যারা চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজির সঙ্গে কাজ করে। টেলিযোগাযোগ টুল প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন নিজেই উন্নত চিপ উৎপাদন করে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘এন্টিটি লিস্ট’ বা ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তালিকা’-এ যুক্ত করা হবে, যার ফলে মার্কিন সরবরাহকারীদের তাদের কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ লাইসেন্স গ্রহণ করা ছাড়া কোনো রপ্তানি করা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত করে। সোমবারের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চীন তার কোম্পানির অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেমিকন্ডাক্টর খাতে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নিজেদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে চীন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ উন্নত চিপ এবং সেগুলো তৈরি করার যন্ত্রপাতির রপ্তানি সীমিত করেছে। তবে এটি এখনও এআই চিপের ক্ষেত্রে এনভিডিয়া এবং চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসএমএল এর মতো কোম্পানি থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
এছাড়া সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কোরপোরেকশন চীনের সবচেয়ে বড় চিপ চুক্তি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটির ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। কোম্পানিটিকে ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তবে সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে এক নীতিমালা ছিল যার মাধ্যমে এই কোম্পানির কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য বিলিয়ন ডলার মূল্যের লাইসেন্স অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথমবারের মতো চিপ খাতে বিনয়োগ করে এমন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি কোম্পানিকে এন্টিটি লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করবে। চীনের প্রাইভেট ইকুইটি প্রতিষ্ঠান ওয়াইজ রোড ক্যাপিটাল, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইংটেক টেকনোলজি কো এবং জেসি ক্যাপিটাল এই তালিকায় যোগ করা হয়েছে।
এন্টিটি লিস্টে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পণ্য পাঠানোর জন্য লাইসেন্স অন্য কোম্পানিগুলো সাধারণত অনুমতি পায় না।
নতুন প্যাকেজের কিছু মার্কিন মিত্র দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কারণ এটি তাদের কোম্পানিগুলোর পণ্য চীনে পাঠানোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে। নতুন নিয়মটি মার্কিন, জাপানি, এবং ডাচ প্রস্তুতকারকদের দ্বারা তৈরি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এগুলো বিশ্বের অন্যান্য অংশে তৈরি হয়ে চীনের নির্দিষ্ট চিপ প্ল্যান্টে পাঠানো হবে।
ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান থেকে তৈরি যন্ত্রপাতি এই নতুন নিয়মের আওতায় আসবে। তবে জাপান এবং নেদারল্যান্ডস এই নিয়মের আওতামুক্ত।
বিদেশী কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের নিয়মটি ১৬টি কোম্পানির ওপর প্রযোজ্য হবে, যেগুলো চীনের সবচেয়ে উন্নত চিপ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই নিয়মটিতে আরও একটি পরিবর্তন আনা হবে। এই পরিবর্তন অনুযায়ী কোনো পণ্যে মার্কিন প্রযুক্তি বা চিপের কোনো অংশও থাকলেও সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে পড়বে এবং ওই পণ্যটি চীনে রপ্তানি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাইসেন্সের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি সেই পণ্যে যদি মাত্র কিছু অংশ মার্কিন প্রযুক্তির হয়, তবুও সেটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে।
বিশেষ করে জাপান এবং নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে নতুন নিয়মগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এমন দেশগুলোকে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যারা একই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্যাকেজের আরেকটি নিয়ম হচ্ছে, ‘এইচবিএম২’ বা তার পরের সংস্করণের সঙ্গে সম্পর্কিত এআই চিপে ব্যবহৃত মেমরিগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, এসকে হিনিক্স এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান মাইক্রন তৈরি করেছে। তবে এজন্য শুধুমাত্র স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বেশি প্রভাবিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্যামসাং তার এইচবিএম চিপের প্রায় ২০ শতাংশ চীনে বিক্রি করে।
নতুন নিয়মগুলো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে চীনের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় প্যাকেজ। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ব্যবস্থার মধ্যে কিছু উচ্চমানের চিপ বিক্রি এবং উৎপাদন সীমিত করা হয়েছিল। একে ১৯৯০-এর দশকের পর চীনকে লক্ষ্য করে মার্কিন প্রযুক্তি নীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
চীনের সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের বিরুদ্ধে গত সোমবার তৃতীয় দফার অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটি ১৪০টি চীনা কোম্পানির জন্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাউরা টেকনোলজি গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনে চিপ তৈরির সক্ষমতা সীমিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি চীনের চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিওটেক, এ সি এম রিসার্চ এবং সি ক্যারিয়ার টেকনোলজি এর ওপরও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া চীনে উন্নত মেমরি চিপ এবং অন্যান্য চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির রপ্তানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
চীনের ওপর সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হচ্ছে এই পদক্ষেপটি। চীনকে চিপ বাজারে প্রবেশ ও উৎপাদন সীমিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত সামরিক প্রয়োগে সাহায্য করতে পারে বা অন্যথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। এটি এমন সময় হয়েছে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে। বাইডেনের অনেক কঠোর চীনবিরোধী ট্রাম্প প্রশাসনেও বহাল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে—চীনে পাঠানো উচ্চ ব্যান্ডউইথ মেমরি চিপগুলোর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উচ্চমানের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অপরিহার্য, ২৪টি নতুন চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি এবং তিনটি সফটওয়্যার টুলের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে তৈরি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির ওপর নতুন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা।
এই টুলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণগুলো সম্ভবত ল্যাম রিসার্চ, কেএলএ এবং অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোম্পানি যেমন ডাচ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এএসএম ইন্টারন্যাশনাল–এর ওপরও প্রভাব ফেলবে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীনের প্রায় দুই ডজন সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি, দুটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং ১০০ টিরও বেশি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সোয়েসিউর টেকনোলজি কো, সি’এন কুইংদাও, এবং শেনজেন পেনসুন টেকনোলজি কো, যারা চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজির সঙ্গে কাজ করে। টেলিযোগাযোগ টুল প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন নিজেই উন্নত চিপ উৎপাদন করে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘এন্টিটি লিস্ট’ বা ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তালিকা’-এ যুক্ত করা হবে, যার ফলে মার্কিন সরবরাহকারীদের তাদের কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ লাইসেন্স গ্রহণ করা ছাড়া কোনো রপ্তানি করা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত করে। সোমবারের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চীন তার কোম্পানির অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেমিকন্ডাক্টর খাতে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নিজেদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে চীন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ উন্নত চিপ এবং সেগুলো তৈরি করার যন্ত্রপাতির রপ্তানি সীমিত করেছে। তবে এটি এখনও এআই চিপের ক্ষেত্রে এনভিডিয়া এবং চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসএমএল এর মতো কোম্পানি থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
এছাড়া সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কোরপোরেকশন চীনের সবচেয়ে বড় চিপ চুক্তি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটির ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। কোম্পানিটিকে ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তবে সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে এক নীতিমালা ছিল যার মাধ্যমে এই কোম্পানির কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য বিলিয়ন ডলার মূল্যের লাইসেন্স অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথমবারের মতো চিপ খাতে বিনয়োগ করে এমন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি কোম্পানিকে এন্টিটি লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করবে। চীনের প্রাইভেট ইকুইটি প্রতিষ্ঠান ওয়াইজ রোড ক্যাপিটাল, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইংটেক টেকনোলজি কো এবং জেসি ক্যাপিটাল এই তালিকায় যোগ করা হয়েছে।
এন্টিটি লিস্টে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পণ্য পাঠানোর জন্য লাইসেন্স অন্য কোম্পানিগুলো সাধারণত অনুমতি পায় না।
নতুন প্যাকেজের কিছু মার্কিন মিত্র দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কারণ এটি তাদের কোম্পানিগুলোর পণ্য চীনে পাঠানোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে। নতুন নিয়মটি মার্কিন, জাপানি, এবং ডাচ প্রস্তুতকারকদের দ্বারা তৈরি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এগুলো বিশ্বের অন্যান্য অংশে তৈরি হয়ে চীনের নির্দিষ্ট চিপ প্ল্যান্টে পাঠানো হবে।
ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান থেকে তৈরি যন্ত্রপাতি এই নতুন নিয়মের আওতায় আসবে। তবে জাপান এবং নেদারল্যান্ডস এই নিয়মের আওতামুক্ত।
বিদেশী কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের নিয়মটি ১৬টি কোম্পানির ওপর প্রযোজ্য হবে, যেগুলো চীনের সবচেয়ে উন্নত চিপ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই নিয়মটিতে আরও একটি পরিবর্তন আনা হবে। এই পরিবর্তন অনুযায়ী কোনো পণ্যে মার্কিন প্রযুক্তি বা চিপের কোনো অংশও থাকলেও সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে পড়বে এবং ওই পণ্যটি চীনে রপ্তানি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাইসেন্সের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি সেই পণ্যে যদি মাত্র কিছু অংশ মার্কিন প্রযুক্তির হয়, তবুও সেটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে।
বিশেষ করে জাপান এবং নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে নতুন নিয়মগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এমন দেশগুলোকে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যারা একই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্যাকেজের আরেকটি নিয়ম হচ্ছে, ‘এইচবিএম২’ বা তার পরের সংস্করণের সঙ্গে সম্পর্কিত এআই চিপে ব্যবহৃত মেমরিগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, এসকে হিনিক্স এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান মাইক্রন তৈরি করেছে। তবে এজন্য শুধুমাত্র স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বেশি প্রভাবিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্যামসাং তার এইচবিএম চিপের প্রায় ২০ শতাংশ চীনে বিক্রি করে।
নতুন নিয়মগুলো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে চীনের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় প্যাকেজ। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ব্যবস্থার মধ্যে কিছু উচ্চমানের চিপ বিক্রি এবং উৎপাদন সীমিত করা হয়েছিল। একে ১৯৯০-এর দশকের পর চীনকে লক্ষ্য করে মার্কিন প্রযুক্তি নীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
৯ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৪ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
১৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
১৬ ঘণ্টা আগে