Ajker Patrika

শিগগিরই একসঙ্গে পৃথিবীর সব মানুষের আলাপে সাড়া দেবে চ্যাটজিপিটি: অল্টম্যান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি বাজারে আসে। ছবি: সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল
২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি বাজারে আসে। ছবি: সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-ভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান। সান ফ্রান্সিসকোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক নৈশভোজে তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এর সঙ্গে কথা বলবে। এমনকি, ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি হয়তো মানুষের সমস্ত কথোপকথনের চেয়ে বেশি কথাবার্তা বলবে।

তিনি বলন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধি যদি এ রকমই থাকে, খুব শিগগিরই প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলবে। এমন এক সময় আসবে, যখন চ্যাটজিপিটি হয়তো পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কথার চেয়ে বেশি কথাবার্তা বলবে। তাই এত বিস্তৃত ব্যবহারের জন্য একটি মাত্র মডেলের ব্যক্তিত্ব বা স্টাইল সবার জন্য কার্যকর হবে—এটা ভাবা যুক্তিসংগত হবে না।’

এই মন্তব্যের পেছনে ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নতুন ফ্ল্যাগশিপ মডেল জিপিটি-৫-এর উদ্বোধনের সময় সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলা। অনেক ব্যবহারকারী নতুন মডেলটিকে আগের মতো বন্ধুসুলভ বা সহায়ক মনে করেননি। এ ছাড়া জিপিটি-৫ চালুর সময় পুরোনো মডেল জিপিটি৪ও অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিলেও পরবর্তীতে ব্যবহারকারীদের প্রতিবাদের মুখে আবার চালু করতে বাধ্য হয় ওপেনএআই।

২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি বাজারে আসে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তিপণ্যে পরিণত হয়। মানুষের কথোপকথন অনুকরণ এবং সমস্যা সমাধানে এর অসাধারণ ক্ষমতা বহু মানুষের আশা জাগিয়েছিল যে, অবশেষে মানুষের সমপর্যায়ের মেশিন তৈরি হবে।

অল্টম্যান উল্লেখ করেন, নতুন সংস্করণে চ্যাটজিপিটির কথা বলার ভঙ্গি বদলেছে। তবে এতে ব্যবহারকারীরা কীভাবে বিরক্ত বা অসন্তুষ্ট হতে পারে, তা আগে থেকে ভালোভাবে বুঝতে পারেনি ওপেনএআই। শিগগির চ্যাটজিপিটিতে আরও বেশি কাস্টমাইজেশন নিয়ে আসা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার ও মানুষের চাহিদা মেটাতে একেবারে আলাদা ধরনের পণ্য নিয়ে আসবে ওপেনএআই।

ভবিষ্যতে ডেটা সেন্টারে ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলেও জানান অল্টম্যান। অর্থনীতিবিদেরা হয়তো উদ্বেগ প্রকাশ করলে তারা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন।

কোথা থেকে এত অর্থ সংগ্রহ করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি নতুন ধরনের আর্থিক যন্ত্র তৈরি করতে পারি, যা এখনো কেউ তৈরি করেনি।’

অল্টম্যান আরও জানান, অনেক বড় বিনিয়োগ সফল না-ও হতে পারে, যেমন: ইন্টারনেট অবকাঠামো নির্মাণের সময় অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মার্চের শেষে ওপেনএআই ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে, যা কোম্পানির মূল্যায়ন দাঁড়িয়েছে ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি ডলারে। ভবিষ্যতে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে এই মূল্যায়ন বেড়ে ৫০০ বিলিয়ন বা ৫০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত যেতে পারে।

তিনি বললেন, ‘কেউ বিপুল পরিমাণ অর্থ হারাবে, আর অনেকেই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করবে। আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, যদিও ভুল হতে পারে, পুরো অর্থনীতির জন্য এটি একটি বড় লাভ হবে।’

তথ্যসূত্র: ওয়্যারড

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাস্তি পাচ্ছেন বিটিআরসির মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত