আরাফাত আহমেদ রিফাত
তাঁর সফলতার গল্প পৌঁছে গেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কানে। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে শেরপুরের মিনহাজদের মতো তরুণেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’
কিন্তু কে এই মিনহাজ? জানতে হলে শুনতে হবে তাঁর গল্প। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসাশিক্ষার চলমান বাস্তবতা সবারই জানা। একজন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর কর্মজীবনের চিরাচরিত ধারণা ভেঙে নতুন পথে হেঁটেছিলেন শেরপুরের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র মিনহাজ উদ্দীন। সে পথে হেঁটে এখন তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সিং উদ্যোক্তা।
মিনহাজের জন্ম জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়। পড়ালেখার খরচ চালানোর মতো সাধ্য তাঁর পরিবারের ছিল না। ফলে শৈশবেই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরের জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসায়। তখন থেকেই তাঁকে অন্যের বাড়িতে জায়গির থেকে লেখাপড়া করতে হয়। লেখাপড়ার সুবাদে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটে শেরপুরে। ২০১০ সালে তিনি কোরআনে হাফেজ হন।
মাদ্রাসায় লেখাপড়া করলেও তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি মিনহাজের বেশ ঝোঁক ছিল। সে সময় ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি জনপ্রিয় ছিল না বাংলাদেশে। ২০১৭ সালে শেরপুর সরকারি কলেজে এলআইসিটি নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়। মিনহাজ সেখানে বিনা মূল্যে ওয়েব ডিজাইন কোর্স শেখেন। এ প্রশিক্ষণ নেওয়াটাই ছিল তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর ধীরে ধীরে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন তিনি। মাত্র দুই বছরের মাথায় তাঁর মতো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিতে তিনি চালু করেন ‘আইটি টাচ ইন কওমি মাদ্রাসা’। সেখান থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় এক হাজার মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই এখন সফল আইটি উদ্যোক্তা।
এ প্রসঙ্গে মিনহাজ উদ্দীন জানিয়েছেন, তিনি চান কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষে ১০-১২ হাজার টাকার চাকরির আশায় বসে না থেকে আইসিটিতে দক্ষ হোক। নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করুক। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকে সফল হচ্ছেন, এটি তাঁর কাছে আনন্দের বিষয় বলে জানিয়েছেন মিনহাজ।
একজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হয়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা শুরুতে অনেক হুজুর খারাপ চোখে দেখেছেন বলে জানান মিনহাজ। যদিও এখন অনেকের সে ধারণা বদলে গেছে। অনেকেই তাঁর কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন। সুযোগ পেলে সারা দেশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে চান মিনহাজ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৫০ লাখ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে স্মার্ট কর্মসংস্থান গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি লেখাপড়া ভালোভাবে চালিয়ে গেছেন মিনহাজ। ২০১৭ সালে তিনি শেরপুরের জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিসে উত্তীর্ণ হন। ২০১৯ সালে তিনি শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ইসলামি শিক্ষায় স্নাতক এবং ২০২১ সালে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর সফলতার গল্প পৌঁছে গেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কানে। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে শেরপুরের মিনহাজদের মতো তরুণেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’
কিন্তু কে এই মিনহাজ? জানতে হলে শুনতে হবে তাঁর গল্প। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাদ্রাসাশিক্ষার চলমান বাস্তবতা সবারই জানা। একজন মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর কর্মজীবনের চিরাচরিত ধারণা ভেঙে নতুন পথে হেঁটেছিলেন শেরপুরের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র মিনহাজ উদ্দীন। সে পথে হেঁটে এখন তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সিং উদ্যোক্তা।
মিনহাজের জন্ম জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়। পড়ালেখার খরচ চালানোর মতো সাধ্য তাঁর পরিবারের ছিল না। ফলে শৈশবেই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরের জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসায়। তখন থেকেই তাঁকে অন্যের বাড়িতে জায়গির থেকে লেখাপড়া করতে হয়। লেখাপড়ার সুবাদে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটে শেরপুরে। ২০১০ সালে তিনি কোরআনে হাফেজ হন।
মাদ্রাসায় লেখাপড়া করলেও তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি মিনহাজের বেশ ঝোঁক ছিল। সে সময় ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি জনপ্রিয় ছিল না বাংলাদেশে। ২০১৭ সালে শেরপুর সরকারি কলেজে এলআইসিটি নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়। মিনহাজ সেখানে বিনা মূল্যে ওয়েব ডিজাইন কোর্স শেখেন। এ প্রশিক্ষণ নেওয়াটাই ছিল তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর ধীরে ধীরে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন তিনি। মাত্র দুই বছরের মাথায় তাঁর মতো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিতে তিনি চালু করেন ‘আইটি টাচ ইন কওমি মাদ্রাসা’। সেখান থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় এক হাজার মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই এখন সফল আইটি উদ্যোক্তা।
এ প্রসঙ্গে মিনহাজ উদ্দীন জানিয়েছেন, তিনি চান কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শেষে ১০-১২ হাজার টাকার চাকরির আশায় বসে না থেকে আইসিটিতে দক্ষ হোক। নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করুক। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকে সফল হচ্ছেন, এটি তাঁর কাছে আনন্দের বিষয় বলে জানিয়েছেন মিনহাজ।
একজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হয়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা শুরুতে অনেক হুজুর খারাপ চোখে দেখেছেন বলে জানান মিনহাজ। যদিও এখন অনেকের সে ধারণা বদলে গেছে। অনেকেই তাঁর কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন। সুযোগ পেলে সারা দেশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে চান মিনহাজ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৫০ লাখ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে স্মার্ট কর্মসংস্থান গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি লেখাপড়া ভালোভাবে চালিয়ে গেছেন মিনহাজ। ২০১৭ সালে তিনি শেরপুরের জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিসে উত্তীর্ণ হন। ২০১৯ সালে তিনি শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ইসলামি শিক্ষায় স্নাতক এবং ২০২১ সালে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
যখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ মার্চ নতুন পণ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাথিং। সেই ইভেন্টে ‘নাথিং ফোন ৩ এ’ এবং ‘ফোন ৩এ প্রো’ উন্মোচন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ফোন দুটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিলেও কোম্পানিটির সম্ভাব্য মডেলের ছবি অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। এই ছবি
১৯ ঘণ্টা আগেচীনের ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তাঁর মতে, মডেলটি ‘দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্ভাবন’ হিসেবে কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় কুক এই মন্তব্য করে।
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করছে জাপানের অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক। নতুন বিনিয়োগের ফলে ওপেনএআই–এর মোট বাজারমূল্য ৩০০ বিলয়ন ডলার হবে। এই আলোচনা সফল হলে, এটি একক ফান্ডিং রাউন্ডে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ
২১ ঘণ্টা আগে