কর্মক্ষেত্রে ভিডিও কলের একটি নিয়ম হলো, স্ক্রিন শেয়ার করার আগে গোপনীয় ফাইল বন্ধ করতে হয়। তা না হলে যে তথ্য আপনি শেয়ার করতে চান না, সেটাও বাইরের লোক জেনে যাবে। আর সেটা যদি হয় ব্যবসায়িক তথ্য, তাহলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
অনিচ্ছাকৃত ভুলের কবলে পড়ে এমন পরিণতির মুখে পড়েছেন এনভিডিয়ার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তাঁর কারণে গোপন তথ্য চুরির অভিযোগে এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী (অটোমোটিভ) ফরাসি কোম্পানি ভ্যালিও এই মামলা করে।
সাবেক কর্মস্থল ভ্যালিওর কর্মীদের সঙ্গে ২০২২ সালে একটি বৈঠকের সময় স্ক্রিন শেয়ার করতে গিয়ে ভুলক্রমে তিনি কম্পিউটারের কিছু সোর্স কোড ফাইল দেখিয়ে ফেলেন। ভ্যালিওর কর্মীরা কোডগুলো তাদের কোম্পানির বলে চিনতে পারেন; সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেন। এরপর গোপনীয় ব্যবসায়িক কোড চুরির জন্য এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গ্রাহকদের জন্য উন্নত পার্কিং ব্যবস্থা ও ড্রাইভিং প্রযুক্তি তৈরির জন্য একটি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভ্যালিও ও এনভিডিয়া যৌথভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়। ভ্যালিও মামলায় অভিযোগ করেছে, কোম্পানির পার্কিং ও ড্রাইভিং প্রযুক্তির বিকাশে সহায়তাকারী সাবেক কর্মচারী মনিরুজ্জামান বুঝতে পারেন এ বিষয়ের ডেটাগুলো এনভিডিয়ার কাছে তাঁকে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ করে তুলবে। তাই ‘হাজার হাজার ফাইল’ ও ৬ জিবি সোর্স কোড চুরির উদ্দেশ্যে ভ্যালিওর সিস্টেমে নিজের ই-মেইলের অননুমোদিত প্রবেশিধাকার দেন মনিরুজ্জামান।
এর কয়েক মাস পর তিনি ভ্যালিও ছেড়ে যান এবং তাঁকে এনভিডিয়ার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের পদ দেওয়া হয়। তিনি চুরি করা তথ্য নিয়ে গিয়ে এনভিডিয়ার কাছে দেন। ভ্যালিওর মতো এনভিডিয়াতেও একই প্রকল্পে কাজ করছিলেন মনিরুজ্জামান। সে কারণেই তিনি ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন।
সাবেক কর্মী মনিরুজ্জামান সফটওয়্যার চুরির দায় স্বীকার করেছেন দাবি করে ভ্যালিও বলছে, তাঁর জার্মানির বাড়িতে অভিযান চালিয় পুলিশ হার্ডওয়্যার ও সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট উদ্ধার করেছে। ব্লুমবার্গের মতে, ব্যবসায়িক গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য মনিরুজ্জামান এর আগে জার্মান আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে ১৫ হাজার ৭৫০ ডলার জরিমানা করেন আদালত।
২০২২ সালের জুনে এক চিঠিতে এনভিডিয়ার আইনজীবীরা মামলার বাদীর আইনজীবীকে বলেন, ভ্যালিওর কোড বা কথিত বাণিজ্য গোপনীয়তার বিষয়ে কোম্পানির কোনো আগ্রহ নেই। তাঁরা মক্কেলের অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেজন্য তারা জোরালো পদক্ষেপ নেবেন।
চলতি মাসের শুরুতে এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে ভ্যালিও। অভিযোগে বলা হয়, গোপন তথ্য চুরির মাধ্যমে লাখ লাখ ডলারের খরচ বাঁচিয়েছে এনভিডিয়া। এর ফলে বিপুল মুনাফা করেছে, যেটা তাদের অধিকার ছিল না।
গাড়ির শিল্পে তীব্রতর প্রতিযোগিতার উদাহরণ এই ঘটনা। ২০১৭ সালে ওয়েমোর সাবেক কর্মী অ্যান্থনি লেভান্ডোস্কির মাধ্যমে উবার ১৪ হাজার গোপনীয় ও কোম্পানির মালিকাধীন ফাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল কোম্পানিটি। এজন্য লেভান্ডোস্কিকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ছয় মাস পরে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করেছিলেন।
কর্মক্ষেত্রে ভিডিও কলের একটি নিয়ম হলো, স্ক্রিন শেয়ার করার আগে গোপনীয় ফাইল বন্ধ করতে হয়। তা না হলে যে তথ্য আপনি শেয়ার করতে চান না, সেটাও বাইরের লোক জেনে যাবে। আর সেটা যদি হয় ব্যবসায়িক তথ্য, তাহলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
অনিচ্ছাকৃত ভুলের কবলে পড়ে এমন পরিণতির মুখে পড়েছেন এনভিডিয়ার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তাঁর কারণে গোপন তথ্য চুরির অভিযোগে এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী (অটোমোটিভ) ফরাসি কোম্পানি ভ্যালিও এই মামলা করে।
সাবেক কর্মস্থল ভ্যালিওর কর্মীদের সঙ্গে ২০২২ সালে একটি বৈঠকের সময় স্ক্রিন শেয়ার করতে গিয়ে ভুলক্রমে তিনি কম্পিউটারের কিছু সোর্স কোড ফাইল দেখিয়ে ফেলেন। ভ্যালিওর কর্মীরা কোডগুলো তাদের কোম্পানির বলে চিনতে পারেন; সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেন। এরপর গোপনীয় ব্যবসায়িক কোড চুরির জন্য এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গ্রাহকদের জন্য উন্নত পার্কিং ব্যবস্থা ও ড্রাইভিং প্রযুক্তি তৈরির জন্য একটি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভ্যালিও ও এনভিডিয়া যৌথভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়। ভ্যালিও মামলায় অভিযোগ করেছে, কোম্পানির পার্কিং ও ড্রাইভিং প্রযুক্তির বিকাশে সহায়তাকারী সাবেক কর্মচারী মনিরুজ্জামান বুঝতে পারেন এ বিষয়ের ডেটাগুলো এনভিডিয়ার কাছে তাঁকে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ করে তুলবে। তাই ‘হাজার হাজার ফাইল’ ও ৬ জিবি সোর্স কোড চুরির উদ্দেশ্যে ভ্যালিওর সিস্টেমে নিজের ই-মেইলের অননুমোদিত প্রবেশিধাকার দেন মনিরুজ্জামান।
এর কয়েক মাস পর তিনি ভ্যালিও ছেড়ে যান এবং তাঁকে এনভিডিয়ার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের পদ দেওয়া হয়। তিনি চুরি করা তথ্য নিয়ে গিয়ে এনভিডিয়ার কাছে দেন। ভ্যালিওর মতো এনভিডিয়াতেও একই প্রকল্পে কাজ করছিলেন মনিরুজ্জামান। সে কারণেই তিনি ভিডিও কনফারেন্সে ছিলেন।
সাবেক কর্মী মনিরুজ্জামান সফটওয়্যার চুরির দায় স্বীকার করেছেন দাবি করে ভ্যালিও বলছে, তাঁর জার্মানির বাড়িতে অভিযান চালিয় পুলিশ হার্ডওয়্যার ও সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট উদ্ধার করেছে। ব্লুমবার্গের মতে, ব্যবসায়িক গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য মনিরুজ্জামান এর আগে জার্মান আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে ১৫ হাজার ৭৫০ ডলার জরিমানা করেন আদালত।
২০২২ সালের জুনে এক চিঠিতে এনভিডিয়ার আইনজীবীরা মামলার বাদীর আইনজীবীকে বলেন, ভ্যালিওর কোড বা কথিত বাণিজ্য গোপনীয়তার বিষয়ে কোম্পানির কোনো আগ্রহ নেই। তাঁরা মক্কেলের অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেজন্য তারা জোরালো পদক্ষেপ নেবেন।
চলতি মাসের শুরুতে এনভিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে ভ্যালিও। অভিযোগে বলা হয়, গোপন তথ্য চুরির মাধ্যমে লাখ লাখ ডলারের খরচ বাঁচিয়েছে এনভিডিয়া। এর ফলে বিপুল মুনাফা করেছে, যেটা তাদের অধিকার ছিল না।
গাড়ির শিল্পে তীব্রতর প্রতিযোগিতার উদাহরণ এই ঘটনা। ২০১৭ সালে ওয়েমোর সাবেক কর্মী অ্যান্থনি লেভান্ডোস্কির মাধ্যমে উবার ১৪ হাজার গোপনীয় ও কোম্পানির মালিকাধীন ফাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিল কোম্পানিটি। এজন্য লেভান্ডোস্কিকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ছয় মাস পরে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করেছিলেন।
প্রযুক্তি খাতে নিজেদের অবস্থান আরও জোরালো করতে এবার ল্যাপটপ নিয়ে এল মটোরোলা। ভারতের বাজারের জন্য উন্মোচন করা হয়েছে তাদের প্রথম ল্যাপটপ মটো বুক ৬০। পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে এই ডিভাইস। একই সঙ্গে মটোরোলা চালু করেছে মটো প্যাড ৬০ প্রো ট্যাবলেট।
১ ঘণ্টা আগেমিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য রুখতে ‘ফুটনোটস’ নামের নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে টিকটক। ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) ‘কমিউনিটি নোটস’-এর মতোই কাজ করবে ফিচারটি।
৩ ঘণ্টা আগেদৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদে চলাফেরার পথ সহজ করতে এক নতুন ধরনের পরিধানযোগ্য ডিভাইস তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের চারপাশের প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে এবং চলার জন্য নিরাপদ পথের নির্দেশনা দেয়।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার ইতিমধ্যে সাবমেরিন কেবল ব্যান্ডউইথের মূল্য ১০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ফাইবারের জটিলতা নিরসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএসের বদলে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
৫ ঘণ্টা আগে