
আগামী এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় হবে এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপ। তা সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আ ন ম মামুন উর রশিদকে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে নিজের লক্ষ্য ও হকির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: ৯ বছর পর কোচ হিসেবে জাতীয় দলে ফিরতে পেরে কেমন লাগছে?
আ ন ম মামুন উর রশিদ: জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: এএইচএফ কাপে গত চার আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই মাস আপনার জন্য কম সময় হয়ে গেল না?
মামুন: আসলে ফেডারেশনও দেখতে চাচ্ছে, কোচ হিসেবে আমি কেমন পারফর্ম করি। পেশাদারত্বের দিক থেকে যদি দেখি, কোচের জবাবদিহি বা পারফরম্যান্সেরও একটা বিষয় থাকে। এটা চ্যালেঞ্জ আমার জন্য। আগে যারা কাজ করেছে, তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারি, তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। আশা করি, ভালো রেজাল্ট আনব। তখন হয়তো ওনারা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করবে।
প্রশ্ন: সার্চ কমিটি আপনাকে ডাকার পর হকি অঙ্গনে অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল। কারণ কী?
মামুন: আমার কোনো মন্তব্য নেই। এটা যারা করেছে, তারা বলতে পারবে। আমি দেখেছি, আমাকে কেন ডেকেছে, এ নিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছে। কিন্তু আমি তো স্বপ্রণোদিত হয়ে যাইনি। সার্চ কমিটি ডাকায় গিয়েছি।
প্রশ্ন: ফেডারেশনের কাছে আপনার পরিকল্পনাগুলো কী ছিল?
মামুন: জাতীয় দলের ম্যাচগুলো আমি নিয়মিত দেখি, বিভিন্ন অ্যানালিসিস করি। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। সেটা বিচার করেই আমি হকির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছি। ফেডারেশনের কী চাওয়া থাকতে পারে, সেটাও জানতে চেয়েছি। খেলোয়াড়দের ইনডিভিজুয়াল প্রোফাইল করা উচিত, ফিডব্যাক দেওয়া উচিত, মোটিভেশনাল কাজ করা উচিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও ভালো কী করতে পারে, এই জিনিসটা আমরা তাদের দেখিয়েছি।
প্রশ্ন: ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো আসলে কোথায়?
মামুন: ইতিবাচক দিক হলো, আমাদের খেলোয়াড়েরা খুবই প্রতিভাবান। তাদের কোনো ঘাটতি দেখি না। তবে তাদের ম্যাচ এক্সপোজার কম। তারা খুব বেশি ম্যাচ খেলে না। একটা টুর্নামেন্ট যখন হয়, তখন একটি ক্যাম্প হয়। সেই ক্যাম্প থেকেই সরাসরি খেলতে যায়। এটা একটা নেতিবাচক দিক। ক্যাম্পভিত্তিক জাতীয় দল না করে, ক্যাম্পের পেছনে যে খরচ হয়, তা দিয়ে কিন্তু আমরা বাইরে কিছু ম্যাচ খেলতে পারি। এক মাস ক্যাম্প করার চেয়ে ম্যাচ খেলা ডাবল বেনিফিটের।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে আপনার আসা-যাওয়ার মাঝে লম্বা সময় কেটে গেছে। এই সময়ে হকিতে ঠিক কতটা বদল এসেছে?
মামুন: এই ৯ বছরে আগের চেয়ে অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় এসেছে। হকিতে খুব ভালো একটা সময় যাচ্ছে। জুনিয়ররা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটা কিন্তু সিনিয়রদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে। সব খেলোয়াড়ই প্রতিভাবান। তারা মন থেকে চায় ভালো ফল করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশ ভালো। তবে হ্যাঁ, হকি নিয়মিত মাঠে ছিল না। এটা সাংগঠনিক সমস্যা।দুই বছর আগে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছিল, তারপর আর হয়নি। ওটা কিন্তু একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। বছরে রেগুলার একটা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে যদি ৫-৬টা টুর্নামেন্ট করা যায়, তাহলে খেলোয়াড়েরা খুশি থাকে। কারণ, তাদের রুটি-রুজিরও একটা ব্যবস্থা হয় এবং খেলারও স্পৃহা আসে।
প্রশ্ন: দলের ভেতর সিন্ডিকেট নিয়ে আগেও কথা উঠেছে। তা আপনার চোখে পড়েছে?
মামুন: আমি দলে গ্রুপিংকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমি ডিসিপ্লিনে বিশ্বাসী। জুনিয়র হোক বা সিনিয়র খেলোয়াড়—তাকে নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড়দের একটা গাইডলাইন দেওয়া হবে। সেটা আমার জন্য ভালো হবে। এতে করে খেলোয়াড়েরা টিমের প্রতি ফোকাস থাকবে।
প্রশ্ন: হকির অন্যতম বড় তারকা বলা হয় রাসেল মাহমুদ জিমিকে। এএইচএফ কাপের ফিটনেস ক্যাম্পে তাঁকে না ডাকার পেছনে কারণ কী?
মামুন: এটা ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত। যেহেতু আমি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ৬২ জনের তালিকাটা ফেডারেশন থেকে হয়েছে। আমার যে কোচিং দর্শন, সেখানে ইনডিভিজুয়াল খেলোয়াড়ের কোনো গুরুত্ব নেই। এখানে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে গুরুত্ব দিলে বাকি খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব পড়ে, দলের ভেতর একটা বৈষম্য তৈরি হয়। টিম ইউনিটিকে আমি বেশি গুরুত্ব দিই।
প্রশ্ন: জিমি না থাকায় দলে শূন্যতা তৈরি হবে?
মামুন: আমি তা মনে করি না। জিমির বিকল্প এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এক-দুজন নয়, অনেকে আছে তার জায়গা পূরণের জন্য। হকি দলীয় খেলা, যে কেউ যেকোনো পজিশনে খেলতে পারে। আমি একজন সাবেক মিডফিল্ডার বা ফরোয়ার্ড হিসেবে অনেক খেলোয়াড়কে দেখি, যারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড় না থাকলে দলে ব্যাঘাত ঘটবে, তা আমি বিশ্বাস করি না।
প্রশ্ন: হকির সঙ্গে বিশৃঙ্খলা শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা হকিকে কতটুকু পিছিয়ে দিয়েছে?
মামুন: অনেক। হকিতে যে নেতিবাচক জিনিসগুলো হয়, এটার বিভিন্ন কারণ আছে। যারা বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে থাকে, তারাই কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত। দিনশেষে ক্লাবের লোকগুলো ফেডারেশনে গেলে ক্লাবের স্বার্থ দেখে। এখানে স্বার্থের সংঘাত ঘটে। এখানে পরিবর্তন আনা উচিত। ফেডারেশনে ক্লাবের লোকই থাকবে, কিন্তু কাজের ধারা এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যেন স্বার্থের সংঘাত না ঘটে। ফেডারেশনের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: হকিকে নিয়মিত মাঠে রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
মামুন: অন্তর্বর্তী সরকার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে। তারা একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করছে। ফেডারেশনকে সরকারের জবাবদিহির আওতায় আনতে হলে গঠনতন্ত্রের ভেতরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, ফার্স্ট ডিভিশনসহ আরও কিছু টুর্নামেন্ট রাখতে হবে। এগুলো করতেই হবে, না হলে অনুদান কেটে দেওয়া উচিত। তাহলে কিন্তু ফেডারেশন বাধ্য টুর্নামেন্টগুলো করতে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ...
মামুন: বাংলাদেশের জন্য এটা একটা মাইলফলক। এদেরকে এখনই প্রিপারেশনে নেওয়া উচিত। তাদের ইউরোপে খেলানো উচিত। বিশ্বকাপে সব মহাদেশ থেকেই দল আসবে। গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন কোন দল পড়বে, আমরা জানি না। দলটার প্রতি এখনই ফোকাস দেওয়া উচিত। যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করার। এই ছেলেগুলো খুবই প্রতিভাবান। আমার ক্যাম্পে তারা প্রায় সবাই আছে। দলে জায়গা পেতে হলে তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে। তাদের বলেছি, তোমরা পারফর্ম করো, তোমাদের ফ্রিডম আছে।
প্রশ্ন: ৯ বছর পর কোচ হিসেবে জাতীয় দলে ফিরতে পেরে কেমন লাগছে?
আ ন ম মামুন উর রশিদ: জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: এএইচএফ কাপে গত চার আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই মাস আপনার জন্য কম সময় হয়ে গেল না?
মামুন: আসলে ফেডারেশনও দেখতে চাচ্ছে, কোচ হিসেবে আমি কেমন পারফর্ম করি। পেশাদারত্বের দিক থেকে যদি দেখি, কোচের জবাবদিহি বা পারফরম্যান্সেরও একটা বিষয় থাকে। এটা চ্যালেঞ্জ আমার জন্য। আগে যারা কাজ করেছে, তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারি, তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। আশা করি, ভালো রেজাল্ট আনব। তখন হয়তো ওনারা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করবে।
প্রশ্ন: সার্চ কমিটি আপনাকে ডাকার পর হকি অঙ্গনে অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল। কারণ কী?
মামুন: আমার কোনো মন্তব্য নেই। এটা যারা করেছে, তারা বলতে পারবে। আমি দেখেছি, আমাকে কেন ডেকেছে, এ নিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছে। কিন্তু আমি তো স্বপ্রণোদিত হয়ে যাইনি। সার্চ কমিটি ডাকায় গিয়েছি।
প্রশ্ন: ফেডারেশনের কাছে আপনার পরিকল্পনাগুলো কী ছিল?
মামুন: জাতীয় দলের ম্যাচগুলো আমি নিয়মিত দেখি, বিভিন্ন অ্যানালিসিস করি। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। সেটা বিচার করেই আমি হকির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছি। ফেডারেশনের কী চাওয়া থাকতে পারে, সেটাও জানতে চেয়েছি। খেলোয়াড়দের ইনডিভিজুয়াল প্রোফাইল করা উচিত, ফিডব্যাক দেওয়া উচিত, মোটিভেশনাল কাজ করা উচিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও ভালো কী করতে পারে, এই জিনিসটা আমরা তাদের দেখিয়েছি।
প্রশ্ন: ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো আসলে কোথায়?
মামুন: ইতিবাচক দিক হলো, আমাদের খেলোয়াড়েরা খুবই প্রতিভাবান। তাদের কোনো ঘাটতি দেখি না। তবে তাদের ম্যাচ এক্সপোজার কম। তারা খুব বেশি ম্যাচ খেলে না। একটা টুর্নামেন্ট যখন হয়, তখন একটি ক্যাম্প হয়। সেই ক্যাম্প থেকেই সরাসরি খেলতে যায়। এটা একটা নেতিবাচক দিক। ক্যাম্পভিত্তিক জাতীয় দল না করে, ক্যাম্পের পেছনে যে খরচ হয়, তা দিয়ে কিন্তু আমরা বাইরে কিছু ম্যাচ খেলতে পারি। এক মাস ক্যাম্প করার চেয়ে ম্যাচ খেলা ডাবল বেনিফিটের।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে আপনার আসা-যাওয়ার মাঝে লম্বা সময় কেটে গেছে। এই সময়ে হকিতে ঠিক কতটা বদল এসেছে?
মামুন: এই ৯ বছরে আগের চেয়ে অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় এসেছে। হকিতে খুব ভালো একটা সময় যাচ্ছে। জুনিয়ররা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটা কিন্তু সিনিয়রদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে। সব খেলোয়াড়ই প্রতিভাবান। তারা মন থেকে চায় ভালো ফল করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশ ভালো। তবে হ্যাঁ, হকি নিয়মিত মাঠে ছিল না। এটা সাংগঠনিক সমস্যা।দুই বছর আগে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছিল, তারপর আর হয়নি। ওটা কিন্তু একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। বছরে রেগুলার একটা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে যদি ৫-৬টা টুর্নামেন্ট করা যায়, তাহলে খেলোয়াড়েরা খুশি থাকে। কারণ, তাদের রুটি-রুজিরও একটা ব্যবস্থা হয় এবং খেলারও স্পৃহা আসে।
প্রশ্ন: দলের ভেতর সিন্ডিকেট নিয়ে আগেও কথা উঠেছে। তা আপনার চোখে পড়েছে?
মামুন: আমি দলে গ্রুপিংকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমি ডিসিপ্লিনে বিশ্বাসী। জুনিয়র হোক বা সিনিয়র খেলোয়াড়—তাকে নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড়দের একটা গাইডলাইন দেওয়া হবে। সেটা আমার জন্য ভালো হবে। এতে করে খেলোয়াড়েরা টিমের প্রতি ফোকাস থাকবে।
প্রশ্ন: হকির অন্যতম বড় তারকা বলা হয় রাসেল মাহমুদ জিমিকে। এএইচএফ কাপের ফিটনেস ক্যাম্পে তাঁকে না ডাকার পেছনে কারণ কী?
মামুন: এটা ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত। যেহেতু আমি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ৬২ জনের তালিকাটা ফেডারেশন থেকে হয়েছে। আমার যে কোচিং দর্শন, সেখানে ইনডিভিজুয়াল খেলোয়াড়ের কোনো গুরুত্ব নেই। এখানে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে গুরুত্ব দিলে বাকি খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব পড়ে, দলের ভেতর একটা বৈষম্য তৈরি হয়। টিম ইউনিটিকে আমি বেশি গুরুত্ব দিই।
প্রশ্ন: জিমি না থাকায় দলে শূন্যতা তৈরি হবে?
মামুন: আমি তা মনে করি না। জিমির বিকল্প এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এক-দুজন নয়, অনেকে আছে তার জায়গা পূরণের জন্য। হকি দলীয় খেলা, যে কেউ যেকোনো পজিশনে খেলতে পারে। আমি একজন সাবেক মিডফিল্ডার বা ফরোয়ার্ড হিসেবে অনেক খেলোয়াড়কে দেখি, যারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড় না থাকলে দলে ব্যাঘাত ঘটবে, তা আমি বিশ্বাস করি না।
প্রশ্ন: হকির সঙ্গে বিশৃঙ্খলা শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা হকিকে কতটুকু পিছিয়ে দিয়েছে?
মামুন: অনেক। হকিতে যে নেতিবাচক জিনিসগুলো হয়, এটার বিভিন্ন কারণ আছে। যারা বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে থাকে, তারাই কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত। দিনশেষে ক্লাবের লোকগুলো ফেডারেশনে গেলে ক্লাবের স্বার্থ দেখে। এখানে স্বার্থের সংঘাত ঘটে। এখানে পরিবর্তন আনা উচিত। ফেডারেশনে ক্লাবের লোকই থাকবে, কিন্তু কাজের ধারা এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যেন স্বার্থের সংঘাত না ঘটে। ফেডারেশনের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: হকিকে নিয়মিত মাঠে রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
মামুন: অন্তর্বর্তী সরকার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে। তারা একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করছে। ফেডারেশনকে সরকারের জবাবদিহির আওতায় আনতে হলে গঠনতন্ত্রের ভেতরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, ফার্স্ট ডিভিশনসহ আরও কিছু টুর্নামেন্ট রাখতে হবে। এগুলো করতেই হবে, না হলে অনুদান কেটে দেওয়া উচিত। তাহলে কিন্তু ফেডারেশন বাধ্য টুর্নামেন্টগুলো করতে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ...
মামুন: বাংলাদেশের জন্য এটা একটা মাইলফলক। এদেরকে এখনই প্রিপারেশনে নেওয়া উচিত। তাদের ইউরোপে খেলানো উচিত। বিশ্বকাপে সব মহাদেশ থেকেই দল আসবে। গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন কোন দল পড়বে, আমরা জানি না। দলটার প্রতি এখনই ফোকাস দেওয়া উচিত। যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করার। এই ছেলেগুলো খুবই প্রতিভাবান। আমার ক্যাম্পে তারা প্রায় সবাই আছে। দলে জায়গা পেতে হলে তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে। তাদের বলেছি, তোমরা পারফর্ম করো, তোমাদের ফ্রিডম আছে।

আগামী এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় হবে এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপ। তা সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আ ন ম মামুন উর রশিদকে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে নিজের লক্ষ্য ও হকির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ
আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা

প্রশ্ন: ৯ বছর পর কোচ হিসেবে জাতীয় দলে ফিরতে পেরে কেমন লাগছে?
আ ন ম মামুন উর রশিদ: জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: এএইচএফ কাপে গত চার আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই মাস আপনার জন্য কম সময় হয়ে গেল না?
মামুন: আসলে ফেডারেশনও দেখতে চাচ্ছে, কোচ হিসেবে আমি কেমন পারফর্ম করি। পেশাদারত্বের দিক থেকে যদি দেখি, কোচের জবাবদিহি বা পারফরম্যান্সেরও একটা বিষয় থাকে। এটা চ্যালেঞ্জ আমার জন্য। আগে যারা কাজ করেছে, তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারি, তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। আশা করি, ভালো রেজাল্ট আনব। তখন হয়তো ওনারা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করবে।
প্রশ্ন: সার্চ কমিটি আপনাকে ডাকার পর হকি অঙ্গনে অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল। কারণ কী?
মামুন: আমার কোনো মন্তব্য নেই। এটা যারা করেছে, তারা বলতে পারবে। আমি দেখেছি, আমাকে কেন ডেকেছে, এ নিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছে। কিন্তু আমি তো স্বপ্রণোদিত হয়ে যাইনি। সার্চ কমিটি ডাকায় গিয়েছি।
প্রশ্ন: ফেডারেশনের কাছে আপনার পরিকল্পনাগুলো কী ছিল?
মামুন: জাতীয় দলের ম্যাচগুলো আমি নিয়মিত দেখি, বিভিন্ন অ্যানালিসিস করি। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। সেটা বিচার করেই আমি হকির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছি। ফেডারেশনের কী চাওয়া থাকতে পারে, সেটাও জানতে চেয়েছি। খেলোয়াড়দের ইনডিভিজুয়াল প্রোফাইল করা উচিত, ফিডব্যাক দেওয়া উচিত, মোটিভেশনাল কাজ করা উচিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও ভালো কী করতে পারে, এই জিনিসটা আমরা তাদের দেখিয়েছি।
প্রশ্ন: ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো আসলে কোথায়?
মামুন: ইতিবাচক দিক হলো, আমাদের খেলোয়াড়েরা খুবই প্রতিভাবান। তাদের কোনো ঘাটতি দেখি না। তবে তাদের ম্যাচ এক্সপোজার কম। তারা খুব বেশি ম্যাচ খেলে না। একটা টুর্নামেন্ট যখন হয়, তখন একটি ক্যাম্প হয়। সেই ক্যাম্প থেকেই সরাসরি খেলতে যায়। এটা একটা নেতিবাচক দিক। ক্যাম্পভিত্তিক জাতীয় দল না করে, ক্যাম্পের পেছনে যে খরচ হয়, তা দিয়ে কিন্তু আমরা বাইরে কিছু ম্যাচ খেলতে পারি। এক মাস ক্যাম্প করার চেয়ে ম্যাচ খেলা ডাবল বেনিফিটের।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে আপনার আসা-যাওয়ার মাঝে লম্বা সময় কেটে গেছে। এই সময়ে হকিতে ঠিক কতটা বদল এসেছে?
মামুন: এই ৯ বছরে আগের চেয়ে অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় এসেছে। হকিতে খুব ভালো একটা সময় যাচ্ছে। জুনিয়ররা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটা কিন্তু সিনিয়রদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে। সব খেলোয়াড়ই প্রতিভাবান। তারা মন থেকে চায় ভালো ফল করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশ ভালো। তবে হ্যাঁ, হকি নিয়মিত মাঠে ছিল না। এটা সাংগঠনিক সমস্যা।দুই বছর আগে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছিল, তারপর আর হয়নি। ওটা কিন্তু একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। বছরে রেগুলার একটা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে যদি ৫-৬টা টুর্নামেন্ট করা যায়, তাহলে খেলোয়াড়েরা খুশি থাকে। কারণ, তাদের রুটি-রুজিরও একটা ব্যবস্থা হয় এবং খেলারও স্পৃহা আসে।
প্রশ্ন: দলের ভেতর সিন্ডিকেট নিয়ে আগেও কথা উঠেছে। তা আপনার চোখে পড়েছে?
মামুন: আমি দলে গ্রুপিংকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমি ডিসিপ্লিনে বিশ্বাসী। জুনিয়র হোক বা সিনিয়র খেলোয়াড়—তাকে নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড়দের একটা গাইডলাইন দেওয়া হবে। সেটা আমার জন্য ভালো হবে। এতে করে খেলোয়াড়েরা টিমের প্রতি ফোকাস থাকবে।
প্রশ্ন: হকির অন্যতম বড় তারকা বলা হয় রাসেল মাহমুদ জিমিকে। এএইচএফ কাপের ফিটনেস ক্যাম্পে তাঁকে না ডাকার পেছনে কারণ কী?
মামুন: এটা ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত। যেহেতু আমি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ৬২ জনের তালিকাটা ফেডারেশন থেকে হয়েছে। আমার যে কোচিং দর্শন, সেখানে ইনডিভিজুয়াল খেলোয়াড়ের কোনো গুরুত্ব নেই। এখানে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে গুরুত্ব দিলে বাকি খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব পড়ে, দলের ভেতর একটা বৈষম্য তৈরি হয়। টিম ইউনিটিকে আমি বেশি গুরুত্ব দিই।
প্রশ্ন: জিমি না থাকায় দলে শূন্যতা তৈরি হবে?
মামুন: আমি তা মনে করি না। জিমির বিকল্প এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এক-দুজন নয়, অনেকে আছে তার জায়গা পূরণের জন্য। হকি দলীয় খেলা, যে কেউ যেকোনো পজিশনে খেলতে পারে। আমি একজন সাবেক মিডফিল্ডার বা ফরোয়ার্ড হিসেবে অনেক খেলোয়াড়কে দেখি, যারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড় না থাকলে দলে ব্যাঘাত ঘটবে, তা আমি বিশ্বাস করি না।
প্রশ্ন: হকির সঙ্গে বিশৃঙ্খলা শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা হকিকে কতটুকু পিছিয়ে দিয়েছে?
মামুন: অনেক। হকিতে যে নেতিবাচক জিনিসগুলো হয়, এটার বিভিন্ন কারণ আছে। যারা বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে থাকে, তারাই কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত। দিনশেষে ক্লাবের লোকগুলো ফেডারেশনে গেলে ক্লাবের স্বার্থ দেখে। এখানে স্বার্থের সংঘাত ঘটে। এখানে পরিবর্তন আনা উচিত। ফেডারেশনে ক্লাবের লোকই থাকবে, কিন্তু কাজের ধারা এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যেন স্বার্থের সংঘাত না ঘটে। ফেডারেশনের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: হকিকে নিয়মিত মাঠে রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
মামুন: অন্তর্বর্তী সরকার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে। তারা একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করছে। ফেডারেশনকে সরকারের জবাবদিহির আওতায় আনতে হলে গঠনতন্ত্রের ভেতরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, ফার্স্ট ডিভিশনসহ আরও কিছু টুর্নামেন্ট রাখতে হবে। এগুলো করতেই হবে, না হলে অনুদান কেটে দেওয়া উচিত। তাহলে কিন্তু ফেডারেশন বাধ্য টুর্নামেন্টগুলো করতে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ...
মামুন: বাংলাদেশের জন্য এটা একটা মাইলফলক। এদেরকে এখনই প্রিপারেশনে নেওয়া উচিত। তাদের ইউরোপে খেলানো উচিত। বিশ্বকাপে সব মহাদেশ থেকেই দল আসবে। গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন কোন দল পড়বে, আমরা জানি না। দলটার প্রতি এখনই ফোকাস দেওয়া উচিত। যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করার। এই ছেলেগুলো খুবই প্রতিভাবান। আমার ক্যাম্পে তারা প্রায় সবাই আছে। দলে জায়গা পেতে হলে তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে। তাদের বলেছি, তোমরা পারফর্ম করো, তোমাদের ফ্রিডম আছে।
প্রশ্ন: ৯ বছর পর কোচ হিসেবে জাতীয় দলে ফিরতে পেরে কেমন লাগছে?
আ ন ম মামুন উর রশিদ: জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: এএইচএফ কাপে গত চার আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই মাস আপনার জন্য কম সময় হয়ে গেল না?
মামুন: আসলে ফেডারেশনও দেখতে চাচ্ছে, কোচ হিসেবে আমি কেমন পারফর্ম করি। পেশাদারত্বের দিক থেকে যদি দেখি, কোচের জবাবদিহি বা পারফরম্যান্সেরও একটা বিষয় থাকে। এটা চ্যালেঞ্জ আমার জন্য। আগে যারা কাজ করেছে, তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি যদি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারি, তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। আশা করি, ভালো রেজাল্ট আনব। তখন হয়তো ওনারা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করবে।
প্রশ্ন: সার্চ কমিটি আপনাকে ডাকার পর হকি অঙ্গনে অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল। কারণ কী?
মামুন: আমার কোনো মন্তব্য নেই। এটা যারা করেছে, তারা বলতে পারবে। আমি দেখেছি, আমাকে কেন ডেকেছে, এ নিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছে। কিন্তু আমি তো স্বপ্রণোদিত হয়ে যাইনি। সার্চ কমিটি ডাকায় গিয়েছি।
প্রশ্ন: ফেডারেশনের কাছে আপনার পরিকল্পনাগুলো কী ছিল?
মামুন: জাতীয় দলের ম্যাচগুলো আমি নিয়মিত দেখি, বিভিন্ন অ্যানালিসিস করি। খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। সেটা বিচার করেই আমি হকির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছি। ফেডারেশনের কী চাওয়া থাকতে পারে, সেটাও জানতে চেয়েছি। খেলোয়াড়দের ইনডিভিজুয়াল প্রোফাইল করা উচিত, ফিডব্যাক দেওয়া উচিত, মোটিভেশনাল কাজ করা উচিত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও ভালো কী করতে পারে, এই জিনিসটা আমরা তাদের দেখিয়েছি।
প্রশ্ন: ইতিবাচক-নেতিবাচক দিকগুলো আসলে কোথায়?
মামুন: ইতিবাচক দিক হলো, আমাদের খেলোয়াড়েরা খুবই প্রতিভাবান। তাদের কোনো ঘাটতি দেখি না। তবে তাদের ম্যাচ এক্সপোজার কম। তারা খুব বেশি ম্যাচ খেলে না। একটা টুর্নামেন্ট যখন হয়, তখন একটি ক্যাম্প হয়। সেই ক্যাম্প থেকেই সরাসরি খেলতে যায়। এটা একটা নেতিবাচক দিক। ক্যাম্পভিত্তিক জাতীয় দল না করে, ক্যাম্পের পেছনে যে খরচ হয়, তা দিয়ে কিন্তু আমরা বাইরে কিছু ম্যাচ খেলতে পারি। এক মাস ক্যাম্প করার চেয়ে ম্যাচ খেলা ডাবল বেনিফিটের।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে আপনার আসা-যাওয়ার মাঝে লম্বা সময় কেটে গেছে। এই সময়ে হকিতে ঠিক কতটা বদল এসেছে?
মামুন: এই ৯ বছরে আগের চেয়ে অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় এসেছে। হকিতে খুব ভালো একটা সময় যাচ্ছে। জুনিয়ররা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটা কিন্তু সিনিয়রদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে। সব খেলোয়াড়ই প্রতিভাবান। তারা মন থেকে চায় ভালো ফল করার জন্য। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশ ভালো। তবে হ্যাঁ, হকি নিয়মিত মাঠে ছিল না। এটা সাংগঠনিক সমস্যা।দুই বছর আগে কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছিল, তারপর আর হয়নি। ওটা কিন্তু একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। বছরে রেগুলার একটা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে যদি ৫-৬টা টুর্নামেন্ট করা যায়, তাহলে খেলোয়াড়েরা খুশি থাকে। কারণ, তাদের রুটি-রুজিরও একটা ব্যবস্থা হয় এবং খেলারও স্পৃহা আসে।
প্রশ্ন: দলের ভেতর সিন্ডিকেট নিয়ে আগেও কথা উঠেছে। তা আপনার চোখে পড়েছে?
মামুন: আমি দলে গ্রুপিংকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমি ডিসিপ্লিনে বিশ্বাসী। জুনিয়র হোক বা সিনিয়র খেলোয়াড়—তাকে নীতি অনুযায়ী চলতে হবে। ফেডারেশন থেকে খেলোয়াড়দের একটা গাইডলাইন দেওয়া হবে। সেটা আমার জন্য ভালো হবে। এতে করে খেলোয়াড়েরা টিমের প্রতি ফোকাস থাকবে।
প্রশ্ন: হকির অন্যতম বড় তারকা বলা হয় রাসেল মাহমুদ জিমিকে। এএইচএফ কাপের ফিটনেস ক্যাম্পে তাঁকে না ডাকার পেছনে কারণ কী?
মামুন: এটা ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত। যেহেতু আমি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ৬২ জনের তালিকাটা ফেডারেশন থেকে হয়েছে। আমার যে কোচিং দর্শন, সেখানে ইনডিভিজুয়াল খেলোয়াড়ের কোনো গুরুত্ব নেই। এখানে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে গুরুত্ব দিলে বাকি খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব পড়ে, দলের ভেতর একটা বৈষম্য তৈরি হয়। টিম ইউনিটিকে আমি বেশি গুরুত্ব দিই।
প্রশ্ন: জিমি না থাকায় দলে শূন্যতা তৈরি হবে?
মামুন: আমি তা মনে করি না। জিমির বিকল্প এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এক-দুজন নয়, অনেকে আছে তার জায়গা পূরণের জন্য। হকি দলীয় খেলা, যে কেউ যেকোনো পজিশনে খেলতে পারে। আমি একজন সাবেক মিডফিল্ডার বা ফরোয়ার্ড হিসেবে অনেক খেলোয়াড়কে দেখি, যারা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড় না থাকলে দলে ব্যাঘাত ঘটবে, তা আমি বিশ্বাস করি না।
প্রশ্ন: হকির সঙ্গে বিশৃঙ্খলা শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা হকিকে কতটুকু পিছিয়ে দিয়েছে?
মামুন: অনেক। হকিতে যে নেতিবাচক জিনিসগুলো হয়, এটার বিভিন্ন কারণ আছে। যারা বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে থাকে, তারাই কিন্তু ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত। দিনশেষে ক্লাবের লোকগুলো ফেডারেশনে গেলে ক্লাবের স্বার্থ দেখে। এখানে স্বার্থের সংঘাত ঘটে। এখানে পরিবর্তন আনা উচিত। ফেডারেশনে ক্লাবের লোকই থাকবে, কিন্তু কাজের ধারা এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যেন স্বার্থের সংঘাত না ঘটে। ফেডারেশনের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: হকিকে নিয়মিত মাঠে রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
মামুন: অন্তর্বর্তী সরকার অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে। তারা একটা গঠনতন্ত্র তৈরি করছে। ফেডারেশনকে সরকারের জবাবদিহির আওতায় আনতে হলে গঠনতন্ত্রের ভেতরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, ফার্স্ট ডিভিশনসহ আরও কিছু টুর্নামেন্ট রাখতে হবে। এগুলো করতেই হবে, না হলে অনুদান কেটে দেওয়া উচিত। তাহলে কিন্তু ফেডারেশন বাধ্য টুর্নামেন্টগুলো করতে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ...
মামুন: বাংলাদেশের জন্য এটা একটা মাইলফলক। এদেরকে এখনই প্রিপারেশনে নেওয়া উচিত। তাদের ইউরোপে খেলানো উচিত। বিশ্বকাপে সব মহাদেশ থেকেই দল আসবে। গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন কোন দল পড়বে, আমরা জানি না। দলটার প্রতি এখনই ফোকাস দেওয়া উচিত। যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করার। এই ছেলেগুলো খুবই প্রতিভাবান। আমার ক্যাম্পে তারা প্রায় সবাই আছে। দলে জায়গা পেতে হলে তাদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে। তাদের বলেছি, তোমরা পারফর্ম করো, তোমাদের ফ্রিডম আছে।

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ মিনিট আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ মিনিট আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৪৪ মিনিট আগে
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলকে দেখে বোঝারই উপায় নেই। ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও তারা জিতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে চাপে পড়লেও ব্যাটাররা খেলছেন সাবলীলভাবে। সেই অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-সাবাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের মুখ থেকে ফিরে যায় কিংস। দোরিয়েলতনের ফ্লিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আল সিব গোলরক্ষক আহমেদ আলরাওয়াহি। বিপদ কাটিয়ে ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আল সিব। আরশাদ আলআলাওয়ির লং পাস বুকে থামিয়ে বসুন্ধরার গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের পাশ দিয়ে নিখুঁতভাবে জালে বল পাঠান নাসের আলরাওয়াহি।
গোল হজমের পরও বসুন্ধরা মনোবল হারায়নি। ১৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দোরিয়েলতনের শট ঠেকিয়ে দেন আলরাওয়াহি। ৪১ মিনিটে অবশেষে সফল হয় কিংস। রাফায়েল অগুস্তোর গোলে ফেরা য় সমতা। সাদ উদ্দিনের রিবাউন্ড শট বক্সে নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান অগুস্তো।
বিরতির পর আরও জমে উঠে ম্যাচ। ৫৩ মিনিটে রাকিবের গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কিংস। দোরিয়েলতনের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে যান রাকিব। এরপর দূরপাল্লার অসাধারণ এক শটে পরাস্ত করেন আলরাওয়াহিকে। আল সিব গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও বলের নাগাল পাননি।
সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি কিংস। ৬০ মিনিটে হোসেন আল আজমির ক্রসে নিচু শটে আল সিবকে সমতায় ফেরান জহির আল আঘবারি। ৭৭ মিনিটে আবারও আল আজমির ক্রস থেকেই আসে আল সিবের জয়সূচক গোল। দারুণ ভলিতে জাল কাঁপান আব্দুলআজিজ আল মাকবালি।
বুধবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল আনসার এফসির মুখোমুখি হবে কিংস।
কিক অফের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারত বসুন্ধরা কিংস। সানডের দারুণ কাটব্যাক থেকে দরিয়েলতন গোমেজের স্লাইড লাফিয়ে ফিরিয়ে দেন আল সিবের গোলকিপার। অষ্টম মিনিটে নাসের আল রাওয়াহির গোলে এগিয়ে যায় আল সিব। বক্সে লং বল পেয়ে বুক থেকে পায়ে নামিয়ে টোকায় শ্রাবণকে কাটিয়ে জালে বল ঠেলে দেন এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে থাকা বসুন্ধরা কিংস সেভাবে কার্যকরী কোনো আক্রমণ শানাতে পারছিল না। ১৭ মিনিটে দরিয়েলতন গোমেজের দুর্বল শট অনায়েসে গ্লাভসবন্দী করেন আল সিব গোলকিপার।
২৫ মিনিটে দরিয়েলতনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বা প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন সানডে। কিন্তু বক্সের অনেকটা দূর থেকে তড়িঘড়ি করে শট নেন।
প্রথম আধা ঘন্টা পর খেলায় ছন্দ খুজে পায় বসুন্ধরা কিংস। বিরতির তিন মিনিট আগে রাফায়েল আগুস্তর গোলে ১-১ সমতায় ফেরে মারিও গোমেজের দল। ম্যাচে পাওয়া প্রথম কর্নার প্রতিপক্ষের রক্ষণ বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বলে মাটি কামরানো শট নেন সাদ উদ্দিন। গোলমুখের সামনে আগুস্তর পায়ে ভমবল লেগে উপরে ভেসে ওঠে, এরপর সামনে থাকা গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে আলতো টোকায় কাজ সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর রাকিবের দৃষ্টিনন্দন গোলে দ্রুতই লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। মাঝ মাঠে দরিয়েলতনের কাছ থেকে বল নিয়ে আল সিব মিডফিল্ডার বালুসিকে কাটান। বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের আড়াআড়ি শটে জালে বল জড়ান। সিবের গোলকিপার আল রাওয়াহি ডান দিকে ঝাপিয়ে বলের নাগাল পাননি।
৬০ মিনিটে জাহির আল আগবারির গোলে জয় ২-২ সমতা টানে ওমানের ক্লাবটি। ১০ মিনিট পর বদরি হিসেবে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সিনিয়র সোহেল রানাকে মাঠে নামান কোচ মারিও গোমেজ।
৭৭ মিনিটে কিংসের বক্সে ফাহিম, তাজ আর এমানুয়েল টনির সামনে আল বুসাইদির সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে ভলিতে জালে বল পাঠান আব্দুল আজিজ মুকবালি। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ওমানের লিগ চ্যাম্পিয়নরা

জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ মিনিট আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৪৪ মিনিট আগে
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলকে দেখে বোঝারই উপায় নেই। ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও তারা জিতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে চাপে পড়লেও ব্যাটাররা খেলছেন সাবলীলভাবে। সেই অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোবহানা মোস্তারি এলে তাঁর কাছে এসেছে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রসঙ্গ। এই স্টেডিয়ামে গত সোমবার বাংলাদেশ জিতলে এখন সেমিতে ওঠার নানা সমীকরণ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে শেষ ১২ বলে ১২ রানের সহজ সমীকরণ না মেলানোর দুঃখ তো অত সহজে ভোলা যায় না। মুম্বাইয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তারি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর অনেক কঠিন সময় গেছে। গত চার দিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। আমাদের ম্যানেজমেন্টও কোনো নেতিবাচক কথা বলছেন না। তারা সব সময়ই ইতিবাচক কথা বলে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বসে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন বাংলাদেশ ৮ দলের মধ্যে ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। যে পাঁচ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কাকে হারালে এখন দৃশ্যপট অন্যরকম হতো। ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব। এখন সেটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। অতীতে যা হয়ে গেছে, সেগুলো নিয়ে এখন আর ভাবতে চান না মোস্তারি। ২৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের ভুলে ম্যাচ হেরে বসি। কেবল এক ম্যাচ জিতেছি। খুবই হতাশাজনক। তবে আগামীকাল আমাদের ম্যাচ। সবাই ইতিবাচক থাকতে চাচ্ছি।’
ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে বা ভারতকে হারালে আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজ আইপিএলে নিয়মিতই খেলছেন। আগামীকাল যেহেতু বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে নামবে, সেক্ষেত্রে নারী প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) দল পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করে—এই প্রশ্নের উত্তরে মোস্তারি বলেন,‘ডব্লিউপিএল একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। প্রত্যেকবার আমাদের নাম পাঠাই। কিন্তু কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার নেয় না। ভারতের এই কন্ডিশনে মারুফা অনেক ভালো করছে। রাবেয়াও দুর্দান্ত খেলছে। নতুন মৌসুমে দল পাওয়া যাবে বলে মনে করি।’
৩৩১ ও ৩০৮ রান করে সিরিজে সর্বোচ্চ দুই রানসংগ্রাহক ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও প্রতীকা রাওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের (১৫) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট ভারতের দীপ্তি শার্মার। ব্যাটিং, ফিল্ডিং খারাপ হলেও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বোলিং দারুণ হয়েছে। লেগস্পিনার রাবেয়া খান নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছয়টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার, মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার। বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড স্বর্ণা এই বিশ্বকাপেই করেছেন।
এদিকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ আজ ঠিক হয়ে গেছে। ২৯ অক্টোবর গুয়াহাটিতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ মিনিট আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৪৪ মিনিট আগে
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলকে দেখে বোঝারই উপায় নেই। ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও তারা জিতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে চাপে পড়লেও ব্যাটাররা খেলছেন সাবলীলভাবে। সেই অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চতুর্থ আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৩৯.৯৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। রুপা জেতা ভারত ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে ৪০.৬৫ সেকেন্ডে। যদিও ২০০ মিটার পর্যন্ত ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষের ২০০ মিটারে আর পেরে উঠেননি মোতালেব ও ইসমাইল। মেয়েদের ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১১০ মিটার হার্ডলস, ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ডিসকাস থ্রোয়ে পদক এনে দিতে পারেননি অ্যাথলেটরা। গতকাল প্রথম দিনও কেটেছে শূন্য হাতে।

জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ মিনিট আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ মিনিট আগে
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলকে দেখে বোঝারই উপায় নেই। ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও তারা জিতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে চাপে পড়লেও ব্যাটাররা খেলছেন সাবলীলভাবে। সেই অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলকে দেখে বোঝারই উপায় নেই। ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও তারা জিতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে চাপে পড়লেও ব্যাটাররা খেলছেন সাবলীলভাবে। সেই অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ভারত—চার দল এরই মধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ইন্দোরে আজ অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটা দুই দলের জন্যই ছিল সেমির আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। ছন্দে থাকা অজিরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১৯৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা। তারাও খেলেছে ৭ ম্যাচ।
৯৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ১১ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ফোব লিচফিল্ড ৫ রানে আউট হয়েছেন। তিন নম্বরে নামা এলিস পেরি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তবে সেটা অজিদের জয়ের পথে তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন বেথ মুনি ও জর্জিয়া ভল। ফিফটি করে ম্যাচ করার সুযোগ ছিল মুনির সামনে। কারণ, ফিফটি করতে তাঁর দরকার ছিল ৮ রান। আর দলের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার নাদিনে দি ক্লার্ক সেটা (মুনির ফিফটি) হতে দেননি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ৪২ রান করা মুনিকে ফিরিয়েছেন ডি ক্লার্ক। ৪১ বলের ইনিংসে ৬ চার মেরেছেন মুনি।
মুনির ফিফটি মিসের পর শেষটা করেছেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানারি ডার্কসেনকে দুটি চার মারেন সাদারল্যান্ড। সেই ওভারের পঞ্চম বলে সাদারল্যান্ড ২ রান নিলে অজিদের স্কোর হয়ে যায় ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৯ রান। ১৯৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যালানা কিং। ৭ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। দুই ওভার মেডেন দিয়েছেন। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে গেছে।
নারী বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হবে আগামীকাল। সকালে বিশাখাপত্তনমে শুরু হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। বিকেলে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগেই সেমিফাইনালের লাইনআপ ঠিক হয়ে গেছে। কারণ, নিউজিল্যান্ড জিতলে তারা পাবে ৬ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশ জিতলে ভারত শেষ করবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে। অস্বাভাবিকভাবে নেট রানরেটে ভারতকে যদি নিউজিল্যান্ড টপকেও যায়, তাতে কোনো লাভ নেই। কারণ, নিউজিল্যান্ড এখন যে চার পয়েন্ট পেয়েছে, তার দুই পয়েন্টই বৃষ্টি থেকে পাওয়া। আর ভারতের ৬ পয়েন্ট তিন ম্যাচ জিতেই পাওয়া।
ভারত কাল জিতলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করবে। কারণ, ইংল্যান্ড ৯ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে তিনে। ইংলিশরা কাল জিতলে দুইয়ে উঠে আসবে। তখন ১০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নেমে যাবে তিনে। তার মানে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ও তিনের মধ্যেই থাকছে। তারা ২৯ অক্টোবর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গুয়াহাটিতে। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ থাকলেও অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলকে দেখে বোঝারই উপায় নেই। ৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেও তারা জিতে যাচ্ছে। এমনকি এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়ে চাপে পড়লেও ব্যাটাররা খেলছেন সাবলীলভাবে। সেই অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ভারত—চার দল এরই মধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ইন্দোরে আজ অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটা দুই দলের জন্যই ছিল সেমির আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। ছন্দে থাকা অজিরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১৯৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৩। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা। তারাও খেলেছে ৭ ম্যাচ।
৯৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ১১ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ফোব লিচফিল্ড ৫ রানে আউট হয়েছেন। তিন নম্বরে নামা এলিস পেরি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। তবে সেটা অজিদের জয়ের পথে তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন বেথ মুনি ও জর্জিয়া ভল। ফিফটি করে ম্যাচ করার সুযোগ ছিল মুনির সামনে। কারণ, ফিফটি করতে তাঁর দরকার ছিল ৮ রান। আর দলের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার নাদিনে দি ক্লার্ক সেটা (মুনির ফিফটি) হতে দেননি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ৪২ রান করা মুনিকে ফিরিয়েছেন ডি ক্লার্ক। ৪১ বলের ইনিংসে ৬ চার মেরেছেন মুনি।
মুনির ফিফটি মিসের পর শেষটা করেছেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানারি ডার্কসেনকে দুটি চার মারেন সাদারল্যান্ড। সেই ওভারের পঞ্চম বলে সাদারল্যান্ড ২ রান নিলে অজিদের স্কোর হয়ে যায় ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৯ রান। ১৯৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যালানা কিং। ৭ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট। দুই ওভার মেডেন দিয়েছেন। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে গেছে।
নারী বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হবে আগামীকাল। সকালে বিশাখাপত্তনমে শুরু হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। বিকেলে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগেই সেমিফাইনালের লাইনআপ ঠিক হয়ে গেছে। কারণ, নিউজিল্যান্ড জিতলে তারা পাবে ৬ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশ জিতলে ভারত শেষ করবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে। অস্বাভাবিকভাবে নেট রানরেটে ভারতকে যদি নিউজিল্যান্ড টপকেও যায়, তাতে কোনো লাভ নেই। কারণ, নিউজিল্যান্ড এখন যে চার পয়েন্ট পেয়েছে, তার দুই পয়েন্টই বৃষ্টি থেকে পাওয়া। আর ভারতের ৬ পয়েন্ট তিন ম্যাচ জিতেই পাওয়া।
ভারত কাল জিতলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করবে। কারণ, ইংল্যান্ড ৯ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে তিনে। ইংলিশরা কাল জিতলে দুইয়ে উঠে আসবে। তখন ১০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নেমে যাবে তিনে। তার মানে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ও তিনের মধ্যেই থাকছে। তারা ২৯ অক্টোবর প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গুয়াহাটিতে। ভারত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০ অক্টোবর ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।

জাতীয় দলে কাজ করাটা সম্মান ও গৌরবের বিষয়ে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে কাজ করার পর চার বছর বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করিয়েছি। জাতীয় দলে এখন ফিরে এসে ভালোই লাগছে। শুধু এএইচএফ কাপের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের শট জালে জড়াতেই কাঁপন ধরে গেল গ্যালারিতে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এমন গর্জন কারা ছড়াতে পারেন তা নিশ্চয় বলে দেওয়ার দরকার নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের এমন অকূণ্ঠ সমর্থনের পরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ শুরুটা আশানুরূপ হলো না বসুন্ধরা কিংস। ওমানের ক্লাব আল সিবের কাছে আজ ৩-২ গোলে হেরেছে তারা।
৯ মিনিট আগে
শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে বাংলাদেশের হারের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। ২০ অক্টোবর ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির চোখেমুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে ডাগআউটে সেদিন জ্যোতির হতাশ হয়ে বসে থাকাটাই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীকী ছবি।
১২ মিনিট আগে
ভারতের রাঁচিতে সাফ অ্যাথলেটিকসের দ্বিতীয় দিনে আজ পদকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ গুণিতক ১০০ মিটারে রিলেতে ব্রোঞ্জপদক এনে দিয়েছেন চার অ্যাথলেট লুসাদ ইসলাম, তারেক রহমান, আব্দুল মোতালেব ও মোহাম্মদ ইসমাইল। ৪০.৯৪ সেকেন্ড সময় নেন তাঁরা। সাফ অ্যাথলেটিকসের চার আসর মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পদক।
৪৪ মিনিট আগে