
‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান। দেশের ফুটবলের নবজাগরণ কাজে লাগিয়ে বিপণন জায়গায় নিজেদের পরিকল্পনা, লক্ষ্য নিয়ে কাল বিস্তারিত কথা বললেন ফাহাদ করিম। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস ও আনোয়ার সোহাগ।
রানা আব্বাস ও আনোয়ার সোহাগ

প্রশ্ন: শেষ পাঁচ মাসে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ বেশ বেড়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
ফাহাদ করিম: আমাদের মাইন্ডসেটে পরিবর্তন এসেছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল মুক্তমনা ও ইনক্লুসিভনেসে বিশ্বাসী। তিনি কোনো কিছুকে বদ্ধ রাখতে চান না। কেউ যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়, আমরা সেই সুযোগটা দেব। আমরা সেই মানসিকতার বাস্তবায়ন করছি। আর হামজা চৌধুরীর কারণে যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হবে, সেটা কিন্তু কেউ আশা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, সেটা আমরা একসময় শুনেছি এবং দেখেছিও। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন হামজাকে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, বাংলাদেশে ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলাররাও সবচেয়ে জনপ্রিয়। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবলে নবজাগরণ দেখা গেছে। তাঁর উপস্থিতিতে আমরা বাকি ফুটবলারদের মধ্যে যে অনুপ্রেরণা এবং পারফরম্যান্স দেখলাম, তাতে আমরা বুঝলাম, সে মানের কোনো খেলোয়াড় থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলে ইতিবাচকভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: জুনে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের পদ্ধতি কেমন হবে?
ফাহাদ: ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলারই টিকিট কেটে ফেলেছে বাংলাদেশে আসার। ৩০ জনের বেশি ফুটবলারের একটি পুল হয়েছে। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমরা তো সাধারণত এক দিনের ট্রায়াল করে থাকি। কিন্তু সভাপতি বললেন, তারা সবাই তো বাইরে থেকে আসবে, তাই ক্লান্ত থাকতে পারে। সে কারণে ন্যূনতম তিন দিনের একটি ট্রায়াল করার কথা বলেছেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেই কথা আমি টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি। একই সঙ্গে আমি ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমরা পাঁচজনের একটি স্বাধীন প্যানেল করব। সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (সাইফুল বারী টিটু) থাকবেন। বাফুফের কোচ বা সাবেক খেলোয়াড়ও থাকতে পারেন সেখানে। যাঁরা সবাইকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে আমরা প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চাই। তিন দিন ট্রায়ালের পর আমরা ফুটবলারদের বিস্তারিত ডেটাবেইস পেয়ে যাব। একই সঙ্গে স্বাধীন প্যানেলের একটা স্কোরিং পাব। টেকনিক্যাল টিম যদি মনে করে, কেউ জাতীয় দলের যোগ্য, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: প্রবাসী ফুটবলাররাই কি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদের সমাধান?
ফাহাদ: আমরা কিন্তু স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এমনটা করছি না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও আমাদের কাছে বাংলাদেশি। আমরা কোনো ভেদাভেদ করছি না। বিদেশে যারা, তারা ভালো সুযোগ-সুবিধা পায়, এটুকুই। আমরা হামজা-সমিতকে নিয়ে আলাপ করছি, কিন্তু স্কোয়াড তো ২৩ জনের। বাকি ২১ জন খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগ থেকেই আসছে। এর মাধ্যমে আমরা কোনো খেলোয়াড়কে খাটো করছি না। যার যেটা প্রাপ্য, সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা ফুটবল, সেরা খেলোয়াড় যেখানে আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। একই সঙ্গে কাজ করতে হবে ঘরোয়া পুল উন্নত করতে।
প্রশ্ন: বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যথার্থ মিশ্রণ নিয়ে কী ভাবছেন?
ফাহাদ: যোগ্যরা যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে, তা না কিন্তু। মোরসালিন-ফাহিমরা যখন এসেছিল, তারা কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গা পূরণ করেছে। বাইরে থেকে এলেই যে আমরা ধরে নিই, সে সুপারস্টার, তা নয় কিন্তু। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে। তারা এখন উৎসাহিত হবে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এই মিশ্রণটা করতে হবে দুই পক্ষের। কারণ, এটা দলীয় খেলা।
প্রশ্ন: ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে ঘরের মাঠে। ৫ ও ১০ জুনের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ফাহাদ: এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করব। আমরা বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করব। কিছু সীমিত টিকিট থাকবে করপোরেট পার্টনারদের জন্য। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহায়তা করে আসছেন। সেদিন দর্শকদের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো খেলা এভাবে দেখবে না, যেভাবে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ফুটবল তো ৯০ মিনিটের খেলা, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে এর আগে পরে কিছু এলিমেন্টস রাখব, ফলে দর্শকেরা পরিবেশটা যেন উপভোগ করতে পারে। আমরা ২০ মের ভেতর চেষ্টা করব টিকিট ছাড়ার। কম্পিটিশন কমিটি থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। বাকিটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য ন্যূনতম টাকা ৩০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে করার আলোচনা চলছে। তিনটি ম্যাচকে আমরা রাজস্ব আয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।
প্রশ্ন: ফুটবলের বিপণন সব সময় হয় ক্লাব ফুটবলকেন্দ্রিক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ফুটবল মার্কেটিং বলতে তেমন কিছু নেই। সামগ্রিকভাবে মার্কেটিং টিমের ভিশনটা কী?
ফাহাদ: প্রথমবারের মতো আমাদের একটা অ্যাওয়ে কিট উন্মোচন হয়েছে। সেটা খুব পেশাদারভাবে। এখন হোম কিট উন্মোচন করার সময় এসেছে। আমরা অনুরোধ করেছি, কিট পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থকদের জন্য আলাদা কোয়ালিটির জার্সি বানাতে। আমি চাচ্ছি, এটি ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে বাজারে আসে। সমর্থকেরা যেন এটা পরে খেলা দেখতে আসতে পারে। জার্সি বিক্রি থেকে আমরা কিছু অর্থ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের মতো ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু করার ব্যাপারে বাফুফের চিন্তাভাবনা কী?
ফাহাদ: আমাদের সভাপতি আসার পর থেকেই মাঠ চাচ্ছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবলের কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। জেনে অবাক হবেন, বাংলাদেশে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ পরিপূর্ণ কোনো স্টেডিয়াম নেই। অবশ্যই এটা আমাদের চাওয়া। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কক্সবাজারে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য একটি জায়গা চেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা বেশ কিছু স্টেডিয়াম চেয়েছি। তবে ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকলে ব্যাপারটা বড় করা যায়। আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
প্রশ্ন: মার্কেটিং টিমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্বের জোগান দেওয়া। এখানে মূলত কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন?
ফাহাদ: আমরা যখন এসেছি, তখন দেখলাম, আমরা একেবারে নেগেটিভে আছে। আগে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে, পরে পজিটিভে যেতে পারব। ফুটবল আয়োজন ব্যয়বহুল। পৃষ্ঠপোষক থেকে কত আয় করতে পারব, সেটা আমরা জানি এখন। তবে এক বছরে শূন্যে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিন্তু সেই গ্যাপটা ছোট করা শুরু করেছি। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। চার বছর পর যখন চলে যাব, পরে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন বলতে না পারেন, বাফুফে নেগেটিভে আছে। সমর্থকদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা পজিটিভ আনতে না পারলেও নেগেটিভে রাখব না।
প্রশ্ন: শেষ পাঁচ মাসে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ বেশ বেড়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
ফাহাদ করিম: আমাদের মাইন্ডসেটে পরিবর্তন এসেছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল মুক্তমনা ও ইনক্লুসিভনেসে বিশ্বাসী। তিনি কোনো কিছুকে বদ্ধ রাখতে চান না। কেউ যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়, আমরা সেই সুযোগটা দেব। আমরা সেই মানসিকতার বাস্তবায়ন করছি। আর হামজা চৌধুরীর কারণে যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হবে, সেটা কিন্তু কেউ আশা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, সেটা আমরা একসময় শুনেছি এবং দেখেছিও। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন হামজাকে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, বাংলাদেশে ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলাররাও সবচেয়ে জনপ্রিয়। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবলে নবজাগরণ দেখা গেছে। তাঁর উপস্থিতিতে আমরা বাকি ফুটবলারদের মধ্যে যে অনুপ্রেরণা এবং পারফরম্যান্স দেখলাম, তাতে আমরা বুঝলাম, সে মানের কোনো খেলোয়াড় থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলে ইতিবাচকভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: জুনে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের পদ্ধতি কেমন হবে?
ফাহাদ: ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলারই টিকিট কেটে ফেলেছে বাংলাদেশে আসার। ৩০ জনের বেশি ফুটবলারের একটি পুল হয়েছে। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমরা তো সাধারণত এক দিনের ট্রায়াল করে থাকি। কিন্তু সভাপতি বললেন, তারা সবাই তো বাইরে থেকে আসবে, তাই ক্লান্ত থাকতে পারে। সে কারণে ন্যূনতম তিন দিনের একটি ট্রায়াল করার কথা বলেছেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেই কথা আমি টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি। একই সঙ্গে আমি ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমরা পাঁচজনের একটি স্বাধীন প্যানেল করব। সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (সাইফুল বারী টিটু) থাকবেন। বাফুফের কোচ বা সাবেক খেলোয়াড়ও থাকতে পারেন সেখানে। যাঁরা সবাইকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে আমরা প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চাই। তিন দিন ট্রায়ালের পর আমরা ফুটবলারদের বিস্তারিত ডেটাবেইস পেয়ে যাব। একই সঙ্গে স্বাধীন প্যানেলের একটা স্কোরিং পাব। টেকনিক্যাল টিম যদি মনে করে, কেউ জাতীয় দলের যোগ্য, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: প্রবাসী ফুটবলাররাই কি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদের সমাধান?
ফাহাদ: আমরা কিন্তু স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এমনটা করছি না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও আমাদের কাছে বাংলাদেশি। আমরা কোনো ভেদাভেদ করছি না। বিদেশে যারা, তারা ভালো সুযোগ-সুবিধা পায়, এটুকুই। আমরা হামজা-সমিতকে নিয়ে আলাপ করছি, কিন্তু স্কোয়াড তো ২৩ জনের। বাকি ২১ জন খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগ থেকেই আসছে। এর মাধ্যমে আমরা কোনো খেলোয়াড়কে খাটো করছি না। যার যেটা প্রাপ্য, সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা ফুটবল, সেরা খেলোয়াড় যেখানে আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। একই সঙ্গে কাজ করতে হবে ঘরোয়া পুল উন্নত করতে।
প্রশ্ন: বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যথার্থ মিশ্রণ নিয়ে কী ভাবছেন?
ফাহাদ: যোগ্যরা যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে, তা না কিন্তু। মোরসালিন-ফাহিমরা যখন এসেছিল, তারা কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গা পূরণ করেছে। বাইরে থেকে এলেই যে আমরা ধরে নিই, সে সুপারস্টার, তা নয় কিন্তু। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে। তারা এখন উৎসাহিত হবে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এই মিশ্রণটা করতে হবে দুই পক্ষের। কারণ, এটা দলীয় খেলা।
প্রশ্ন: ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে ঘরের মাঠে। ৫ ও ১০ জুনের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ফাহাদ: এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করব। আমরা বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করব। কিছু সীমিত টিকিট থাকবে করপোরেট পার্টনারদের জন্য। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহায়তা করে আসছেন। সেদিন দর্শকদের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো খেলা এভাবে দেখবে না, যেভাবে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ফুটবল তো ৯০ মিনিটের খেলা, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে এর আগে পরে কিছু এলিমেন্টস রাখব, ফলে দর্শকেরা পরিবেশটা যেন উপভোগ করতে পারে। আমরা ২০ মের ভেতর চেষ্টা করব টিকিট ছাড়ার। কম্পিটিশন কমিটি থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। বাকিটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য ন্যূনতম টাকা ৩০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে করার আলোচনা চলছে। তিনটি ম্যাচকে আমরা রাজস্ব আয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।
প্রশ্ন: ফুটবলের বিপণন সব সময় হয় ক্লাব ফুটবলকেন্দ্রিক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ফুটবল মার্কেটিং বলতে তেমন কিছু নেই। সামগ্রিকভাবে মার্কেটিং টিমের ভিশনটা কী?
ফাহাদ: প্রথমবারের মতো আমাদের একটা অ্যাওয়ে কিট উন্মোচন হয়েছে। সেটা খুব পেশাদারভাবে। এখন হোম কিট উন্মোচন করার সময় এসেছে। আমরা অনুরোধ করেছি, কিট পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থকদের জন্য আলাদা কোয়ালিটির জার্সি বানাতে। আমি চাচ্ছি, এটি ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে বাজারে আসে। সমর্থকেরা যেন এটা পরে খেলা দেখতে আসতে পারে। জার্সি বিক্রি থেকে আমরা কিছু অর্থ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের মতো ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু করার ব্যাপারে বাফুফের চিন্তাভাবনা কী?
ফাহাদ: আমাদের সভাপতি আসার পর থেকেই মাঠ চাচ্ছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবলের কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। জেনে অবাক হবেন, বাংলাদেশে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ পরিপূর্ণ কোনো স্টেডিয়াম নেই। অবশ্যই এটা আমাদের চাওয়া। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কক্সবাজারে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য একটি জায়গা চেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা বেশ কিছু স্টেডিয়াম চেয়েছি। তবে ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকলে ব্যাপারটা বড় করা যায়। আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
প্রশ্ন: মার্কেটিং টিমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্বের জোগান দেওয়া। এখানে মূলত কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন?
ফাহাদ: আমরা যখন এসেছি, তখন দেখলাম, আমরা একেবারে নেগেটিভে আছে। আগে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে, পরে পজিটিভে যেতে পারব। ফুটবল আয়োজন ব্যয়বহুল। পৃষ্ঠপোষক থেকে কত আয় করতে পারব, সেটা আমরা জানি এখন। তবে এক বছরে শূন্যে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিন্তু সেই গ্যাপটা ছোট করা শুরু করেছি। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। চার বছর পর যখন চলে যাব, পরে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন বলতে না পারেন, বাফুফে নেগেটিভে আছে। সমর্থকদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা পজিটিভ আনতে না পারলেও নেগেটিভে রাখব না।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান। দেশের ফুটবলের নবজাগরণ কাজে লাগিয়ে বিপণন জায়গায় নিজেদের পরিকল্পনা, লক্ষ্য নিয়ে কাল বিস্তারিত কথা বললেন ফাহাদ করিম। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস ও আনোয়ার সোহাগ।
রানা আব্বাস ও আনোয়ার সোহাগ

প্রশ্ন: শেষ পাঁচ মাসে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ বেশ বেড়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
ফাহাদ করিম: আমাদের মাইন্ডসেটে পরিবর্তন এসেছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল মুক্তমনা ও ইনক্লুসিভনেসে বিশ্বাসী। তিনি কোনো কিছুকে বদ্ধ রাখতে চান না। কেউ যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়, আমরা সেই সুযোগটা দেব। আমরা সেই মানসিকতার বাস্তবায়ন করছি। আর হামজা চৌধুরীর কারণে যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হবে, সেটা কিন্তু কেউ আশা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, সেটা আমরা একসময় শুনেছি এবং দেখেছিও। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন হামজাকে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, বাংলাদেশে ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলাররাও সবচেয়ে জনপ্রিয়। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবলে নবজাগরণ দেখা গেছে। তাঁর উপস্থিতিতে আমরা বাকি ফুটবলারদের মধ্যে যে অনুপ্রেরণা এবং পারফরম্যান্স দেখলাম, তাতে আমরা বুঝলাম, সে মানের কোনো খেলোয়াড় থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলে ইতিবাচকভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: জুনে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের পদ্ধতি কেমন হবে?
ফাহাদ: ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলারই টিকিট কেটে ফেলেছে বাংলাদেশে আসার। ৩০ জনের বেশি ফুটবলারের একটি পুল হয়েছে। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমরা তো সাধারণত এক দিনের ট্রায়াল করে থাকি। কিন্তু সভাপতি বললেন, তারা সবাই তো বাইরে থেকে আসবে, তাই ক্লান্ত থাকতে পারে। সে কারণে ন্যূনতম তিন দিনের একটি ট্রায়াল করার কথা বলেছেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেই কথা আমি টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি। একই সঙ্গে আমি ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমরা পাঁচজনের একটি স্বাধীন প্যানেল করব। সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (সাইফুল বারী টিটু) থাকবেন। বাফুফের কোচ বা সাবেক খেলোয়াড়ও থাকতে পারেন সেখানে। যাঁরা সবাইকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে আমরা প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চাই। তিন দিন ট্রায়ালের পর আমরা ফুটবলারদের বিস্তারিত ডেটাবেইস পেয়ে যাব। একই সঙ্গে স্বাধীন প্যানেলের একটা স্কোরিং পাব। টেকনিক্যাল টিম যদি মনে করে, কেউ জাতীয় দলের যোগ্য, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: প্রবাসী ফুটবলাররাই কি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদের সমাধান?
ফাহাদ: আমরা কিন্তু স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এমনটা করছি না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও আমাদের কাছে বাংলাদেশি। আমরা কোনো ভেদাভেদ করছি না। বিদেশে যারা, তারা ভালো সুযোগ-সুবিধা পায়, এটুকুই। আমরা হামজা-সমিতকে নিয়ে আলাপ করছি, কিন্তু স্কোয়াড তো ২৩ জনের। বাকি ২১ জন খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগ থেকেই আসছে। এর মাধ্যমে আমরা কোনো খেলোয়াড়কে খাটো করছি না। যার যেটা প্রাপ্য, সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা ফুটবল, সেরা খেলোয়াড় যেখানে আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। একই সঙ্গে কাজ করতে হবে ঘরোয়া পুল উন্নত করতে।
প্রশ্ন: বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যথার্থ মিশ্রণ নিয়ে কী ভাবছেন?
ফাহাদ: যোগ্যরা যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে, তা না কিন্তু। মোরসালিন-ফাহিমরা যখন এসেছিল, তারা কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গা পূরণ করেছে। বাইরে থেকে এলেই যে আমরা ধরে নিই, সে সুপারস্টার, তা নয় কিন্তু। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে। তারা এখন উৎসাহিত হবে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এই মিশ্রণটা করতে হবে দুই পক্ষের। কারণ, এটা দলীয় খেলা।
প্রশ্ন: ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে ঘরের মাঠে। ৫ ও ১০ জুনের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ফাহাদ: এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করব। আমরা বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করব। কিছু সীমিত টিকিট থাকবে করপোরেট পার্টনারদের জন্য। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহায়তা করে আসছেন। সেদিন দর্শকদের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো খেলা এভাবে দেখবে না, যেভাবে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ফুটবল তো ৯০ মিনিটের খেলা, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে এর আগে পরে কিছু এলিমেন্টস রাখব, ফলে দর্শকেরা পরিবেশটা যেন উপভোগ করতে পারে। আমরা ২০ মের ভেতর চেষ্টা করব টিকিট ছাড়ার। কম্পিটিশন কমিটি থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। বাকিটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য ন্যূনতম টাকা ৩০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে করার আলোচনা চলছে। তিনটি ম্যাচকে আমরা রাজস্ব আয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।
প্রশ্ন: ফুটবলের বিপণন সব সময় হয় ক্লাব ফুটবলকেন্দ্রিক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ফুটবল মার্কেটিং বলতে তেমন কিছু নেই। সামগ্রিকভাবে মার্কেটিং টিমের ভিশনটা কী?
ফাহাদ: প্রথমবারের মতো আমাদের একটা অ্যাওয়ে কিট উন্মোচন হয়েছে। সেটা খুব পেশাদারভাবে। এখন হোম কিট উন্মোচন করার সময় এসেছে। আমরা অনুরোধ করেছি, কিট পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থকদের জন্য আলাদা কোয়ালিটির জার্সি বানাতে। আমি চাচ্ছি, এটি ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে বাজারে আসে। সমর্থকেরা যেন এটা পরে খেলা দেখতে আসতে পারে। জার্সি বিক্রি থেকে আমরা কিছু অর্থ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের মতো ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু করার ব্যাপারে বাফুফের চিন্তাভাবনা কী?
ফাহাদ: আমাদের সভাপতি আসার পর থেকেই মাঠ চাচ্ছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবলের কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। জেনে অবাক হবেন, বাংলাদেশে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ পরিপূর্ণ কোনো স্টেডিয়াম নেই। অবশ্যই এটা আমাদের চাওয়া। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কক্সবাজারে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য একটি জায়গা চেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা বেশ কিছু স্টেডিয়াম চেয়েছি। তবে ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকলে ব্যাপারটা বড় করা যায়। আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
প্রশ্ন: মার্কেটিং টিমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্বের জোগান দেওয়া। এখানে মূলত কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন?
ফাহাদ: আমরা যখন এসেছি, তখন দেখলাম, আমরা একেবারে নেগেটিভে আছে। আগে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে, পরে পজিটিভে যেতে পারব। ফুটবল আয়োজন ব্যয়বহুল। পৃষ্ঠপোষক থেকে কত আয় করতে পারব, সেটা আমরা জানি এখন। তবে এক বছরে শূন্যে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিন্তু সেই গ্যাপটা ছোট করা শুরু করেছি। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। চার বছর পর যখন চলে যাব, পরে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন বলতে না পারেন, বাফুফে নেগেটিভে আছে। সমর্থকদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা পজিটিভ আনতে না পারলেও নেগেটিভে রাখব না।
প্রশ্ন: শেষ পাঁচ মাসে প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আগ্রহ বেশ বেড়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
ফাহাদ করিম: আমাদের মাইন্ডসেটে পরিবর্তন এসেছে। সভাপতি তাবিথ আউয়াল মুক্তমনা ও ইনক্লুসিভনেসে বিশ্বাসী। তিনি কোনো কিছুকে বদ্ধ রাখতে চান না। কেউ যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চায়, আমরা সেই সুযোগটা দেব। আমরা সেই মানসিকতার বাস্তবায়ন করছি। আর হামজা চৌধুরীর কারণে যে এমন আলোড়ন সৃষ্টি হবে, সেটা কিন্তু কেউ আশা করেনি। বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, সেটা আমরা একসময় শুনেছি এবং দেখেছিও। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে এত ব্যস্ততার মধ্যে তাঁরা যেভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন হামজাকে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে, বাংলাদেশে ফুটবল এখনো জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলাররাও সবচেয়ে জনপ্রিয়। হামজার অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবলে নবজাগরণ দেখা গেছে। তাঁর উপস্থিতিতে আমরা বাকি ফুটবলারদের মধ্যে যে অনুপ্রেরণা এবং পারফরম্যান্স দেখলাম, তাতে আমরা বুঝলাম, সে মানের কোনো খেলোয়াড় থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলে ইতিবাচকভাবে পড়বে।
প্রশ্ন: জুনে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়ালের পদ্ধতি কেমন হবে?
ফাহাদ: ট্রায়ালে আসা অনেক ফুটবলারই টিকিট কেটে ফেলেছে বাংলাদেশে আসার। ৩০ জনের বেশি ফুটবলারের একটি পুল হয়েছে। আমরা সবাইকে সুযোগ দিতে চাই। আমরা তো সাধারণত এক দিনের ট্রায়াল করে থাকি। কিন্তু সভাপতি বললেন, তারা সবাই তো বাইরে থেকে আসবে, তাই ক্লান্ত থাকতে পারে। সে কারণে ন্যূনতম তিন দিনের একটি ট্রায়াল করার কথা বলেছেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেই কথা আমি টেকনিক্যাল কমিটিকে বলেছি। একই সঙ্গে আমি ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমরা পাঁচজনের একটি স্বাধীন প্যানেল করব। সেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (সাইফুল বারী টিটু) থাকবেন। বাফুফের কোচ বা সাবেক খেলোয়াড়ও থাকতে পারেন সেখানে। যাঁরা সবাইকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একই সঙ্গে আমরা প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে চাই। তিন দিন ট্রায়ালের পর আমরা ফুটবলারদের বিস্তারিত ডেটাবেইস পেয়ে যাব। একই সঙ্গে স্বাধীন প্যানেলের একটা স্কোরিং পাব। টেকনিক্যাল টিম যদি মনে করে, কেউ জাতীয় দলের যোগ্য, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
প্রশ্ন: প্রবাসী ফুটবলাররাই কি তাহলে দীর্ঘ মেয়াদের সমাধান?
ফাহাদ: আমরা কিন্তু স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য এমনটা করছি না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও আমাদের কাছে বাংলাদেশি। আমরা কোনো ভেদাভেদ করছি না। বিদেশে যারা, তারা ভালো সুযোগ-সুবিধা পায়, এটুকুই। আমরা হামজা-সমিতকে নিয়ে আলাপ করছি, কিন্তু স্কোয়াড তো ২৩ জনের। বাকি ২১ জন খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগ থেকেই আসছে। এর মাধ্যমে আমরা কোনো খেলোয়াড়কে খাটো করছি না। যার যেটা প্রাপ্য, সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা ফুটবল, সেরা খেলোয়াড় যেখানে আছে, সেখান থেকে আনতে হবে। একই সঙ্গে কাজ করতে হবে ঘরোয়া পুল উন্নত করতে।
প্রশ্ন: বাইরে থেকে আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের যথার্থ মিশ্রণ নিয়ে কী ভাবছেন?
ফাহাদ: যোগ্যরা যে শুধু বিদেশ থেকে আসবে, তা না কিন্তু। মোরসালিন-ফাহিমরা যখন এসেছিল, তারা কিন্তু সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গা পূরণ করেছে। বাইরে থেকে এলেই যে আমরা ধরে নিই, সে সুপারস্টার, তা নয় কিন্তু। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে। তারা এখন উৎসাহিত হবে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। এই মিশ্রণটা করতে হবে দুই পক্ষের। কারণ, এটা দলীয় খেলা।
প্রশ্ন: ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক পিছিয়ে। সামনে তিনটি ম্যাচ আছে ঘরের মাঠে। ৫ ও ১০ জুনের ম্যাচ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
ফাহাদ: এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা করব। আমরা বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করব। কিছু সীমিত টিকিট থাকবে করপোরেট পার্টনারদের জন্য। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সহায়তা করে আসছেন। সেদিন দর্শকদের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো খেলা এভাবে দেখবে না, যেভাবে আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ফুটবল তো ৯০ মিনিটের খেলা, সেখানে আমাদের করার কিছু নেই। তবে এর আগে পরে কিছু এলিমেন্টস রাখব, ফলে দর্শকেরা পরিবেশটা যেন উপভোগ করতে পারে। আমরা ২০ মের ভেতর চেষ্টা করব টিকিট ছাড়ার। কম্পিটিশন কমিটি থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। বাকিটা সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রাথমিকভাবে সাধারণ দর্শকদের জন্য ন্যূনতম টাকা ৩০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে করার আলোচনা চলছে। তিনটি ম্যাচকে আমরা রাজস্ব আয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।
প্রশ্ন: ফুটবলের বিপণন সব সময় হয় ক্লাব ফুটবলকেন্দ্রিক। সেই তুলনায় বাংলাদেশে ফুটবল মার্কেটিং বলতে তেমন কিছু নেই। সামগ্রিকভাবে মার্কেটিং টিমের ভিশনটা কী?
ফাহাদ: প্রথমবারের মতো আমাদের একটা অ্যাওয়ে কিট উন্মোচন হয়েছে। সেটা খুব পেশাদারভাবে। এখন হোম কিট উন্মোচন করার সময় এসেছে। আমরা অনুরোধ করেছি, কিট পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থকদের জন্য আলাদা কোয়ালিটির জার্সি বানাতে। আমি চাচ্ছি, এটি ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে বাজারে আসে। সমর্থকেরা যেন এটা পরে খেলা দেখতে আসতে পারে। জার্সি বিক্রি থেকে আমরা কিছু অর্থ পেয়ে থাকি।
প্রশ্ন: ক্রিকেটের মতো ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু করার ব্যাপারে বাফুফের চিন্তাভাবনা কী?
ফাহাদ: আমাদের সভাপতি আসার পর থেকেই মাঠ চাচ্ছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক, ফুটবলের কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যু নেই। জেনে অবাক হবেন, বাংলাদেশে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ পরিপূর্ণ কোনো স্টেডিয়াম নেই। অবশ্যই এটা আমাদের চাওয়া। সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা চলছে। কক্সবাজারে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য একটি জায়গা চেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা বেশ কিছু স্টেডিয়াম চেয়েছি। তবে ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু থাকলে ব্যাপারটা বড় করা যায়। আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই।
প্রশ্ন: মার্কেটিং টিমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজস্বের জোগান দেওয়া। এখানে মূলত কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন?
ফাহাদ: আমরা যখন এসেছি, তখন দেখলাম, আমরা একেবারে নেগেটিভে আছে। আগে শূন্যের কোঠায় আনতে হবে, পরে পজিটিভে যেতে পারব। ফুটবল আয়োজন ব্যয়বহুল। পৃষ্ঠপোষক থেকে কত আয় করতে পারব, সেটা আমরা জানি এখন। তবে এক বছরে শূন্যে ওঠা সম্ভব নয়। আমরা কিন্তু সেই গ্যাপটা ছোট করা শুরু করেছি। দুই-তিন বছর লেগে যাবে। চার বছর পর যখন চলে যাব, পরে যাঁরাই আসবেন, তাঁরা যেন বলতে না পারেন, বাফুফে নেগেটিভে আছে। সমর্থকদের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা পজিটিভ আনতে না পারলেও নেগেটিভে রাখব না।

যুব এশিয়া কাপের আগের ২ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসরেও ফেভারিট আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মেহবুব তাসকিন।
৪০ মিনিট আগে
ব্রাইটনকে আজ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা দেবে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচের ফল কী হবে, সেই আগ্রহের চেয়ে বরং ‘মোহামেদ সালাহকে কি দেখা যাবে এই ম্যাচে’ এ নিয়েই বেশি উচ্ছ্বাস ক্লাবটির সমর্থকদের। তবে যাঁরা মনে করছেন, ‘লিভারপুলে সালাহ অধ্যায় শেষ’ তাদের নতুন বার্তা দিলেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট।
২ ঘণ্টা আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

যুব এশিয়া কাপের আগের ২ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসরেও ফেভারিট আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মেহবুব তাসকিন। বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। আগে ব্যাট করতে নেমেছে তাঁর দল।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে সমানে সমান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। মুখোমুখি সবশেষ ৫ ম্যাচে দুটি করে জয় উভয় দলের। বাকি ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়েছে।
তামিমের নেতৃত্বেই গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এই তরুণ অলরাউন্ডারের কাঁধেই নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয়েছে। তাঁর ডেপুটি হিসেবে আছেন জাওয়াদ আবরার।
টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, এবং নেপাল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ১৫ ডিসেম্বর দ্য সেভেনস স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ১৭ ডিসেম্বের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তামিম-জাওয়াদদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটির ভেন্যু আইসিসি একাডেমি মাঠ। এর আগে ২০২৩,২০২৪ সবশেষ দুইটি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। যুব এশিয়া কাপের এই দুই টুর্নামেন্টও হয়েছিল আরব আমিরাতে।
দুই দলের একাদশ:
বাংলাদেশ: জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), সামিউন বাশির রাতুল, শেখ পারভেজ জীবন, রিজান হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন, ইকবাল হোসেন ইমন, রিফাত বেগ, শাহরিয়ার আহমেদ, সাদ ইসলাম রাজিন।
আফগানিস্তান: খালিদ আহমদজাই, ওসমান সাদাত, ফয়সাল খান, ওজাইরউল্লাহ নিয়াজাই, মেহবুব তাসকিন (অধিনায়ক), আজিজুল্লাহ মিয়াখিল, খাতির স্টানিকজাই, আব্দুল আজিজ খান, রোহুল্লা আরব, ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান, সালাম খান আহমদজাই।

যুব এশিয়া কাপের আগের ২ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসরেও ফেভারিট আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মেহবুব তাসকিন। বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। আগে ব্যাট করতে নেমেছে তাঁর দল।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে সমানে সমান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। মুখোমুখি সবশেষ ৫ ম্যাচে দুটি করে জয় উভয় দলের। বাকি ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়েছে।
তামিমের নেতৃত্বেই গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এই তরুণ অলরাউন্ডারের কাঁধেই নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয়েছে। তাঁর ডেপুটি হিসেবে আছেন জাওয়াদ আবরার।
টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, এবং নেপাল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ১৫ ডিসেম্বর দ্য সেভেনস স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ১৭ ডিসেম্বের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তামিম-জাওয়াদদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটির ভেন্যু আইসিসি একাডেমি মাঠ। এর আগে ২০২৩,২০২৪ সবশেষ দুইটি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। যুব এশিয়া কাপের এই দুই টুর্নামেন্টও হয়েছিল আরব আমিরাতে।
দুই দলের একাদশ:
বাংলাদেশ: জাওয়াদ আবরার, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), সামিউন বাশির রাতুল, শেখ পারভেজ জীবন, রিজান হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন, ইকবাল হোসেন ইমন, রিফাত বেগ, শাহরিয়ার আহমেদ, সাদ ইসলাম রাজিন।
আফগানিস্তান: খালিদ আহমদজাই, ওসমান সাদাত, ফয়সাল খান, ওজাইরউল্লাহ নিয়াজাই, মেহবুব তাসকিন (অধিনায়ক), আজিজুল্লাহ মিয়াখিল, খাতির স্টানিকজাই, আব্দুল আজিজ খান, রোহুল্লা আরব, ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান, সালাম খান আহমদজাই।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
ব্রাইটনকে আজ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা দেবে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচের ফল কী হবে, সেই আগ্রহের চেয়ে বরং ‘মোহামেদ সালাহকে কি দেখা যাবে এই ম্যাচে’ এ নিয়েই বেশি উচ্ছ্বাস ক্লাবটির সমর্থকদের। তবে যাঁরা মনে করছেন, ‘লিভারপুলে সালাহ অধ্যায় শেষ’ তাদের নতুন বার্তা দিলেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট।
২ ঘণ্টা আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ব্রাইটনকে আজ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা দেবে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচের ফল কী হবে, সেই আগ্রহের চেয়ে বরং ‘মোহামেদ সালাহকে কি দেখা যাবে এই ম্যাচে’ এ নিয়েই বেশি উচ্ছ্বাস ক্লাবটির সমর্থকদের। তবে যাঁরা মনে করছেন ‘লিভারপুলে সালাহ অধ্যায় শেষ’, তাদের নতুন বার্তা দিলেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট। বললেন, সালাহকে দলে রেখে দিতে না চাইবার কোনো কারণ নেই।
তাহলে কি ব্রাইটনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দেখা যাবে মিসরীয় স্ট্রাইকারকে? এই প্রশ্নেই একটা ফাঁক রেখে দিলেন স্লট। জানালেন, ম্যাচের আগে আরেক দফা তিনি কথা বলবেন সালাহর সঙ্গে। সে আলাপে কিছু ঠিক হয়ে গেলে সবকিছু আগের মতোই চলবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবকিছু আগের মতোই চলবে কি?
গত শনিবার লিডসের সঙ্গে ড্রয়ের পর সালাহ অভিযোগ করেছিলেন যে ক্লাব তাঁকে `বাসের নিচে ফেলে দিয়েছে’। ওই ম্যাচ শেষে এল্যান্ড রোডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে কোচের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো নয় বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সালাহ। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জানুয়ারির উইন্ডোতে অ্যানফিল্ড ছেড়ে যাওয়ারও।
আরও দুই বছর অ্যানফিল্ডে থেকে যাওয়ার জন্য গত এপ্রিলে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন সালাহ। তো এখন রিভারপুলে তাঁর ভবিষ্যৎ কী—এই প্রশ্নের উত্তরে আর্নে স্লট বলেন, ‘আমি তাকে না চাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’ এরপর স্লট আরও যোগ করেন, ‘আমি মো-এর সঙ্গে কথা বলব। সেই আলাপের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে শনিবার কীভাবে বিষয়টি দাঁড়ায়।’
লিভারপুলের হয়ে ৪২০ ম্যাচে ২৫০ গোল করা সালাহ সর্বশেষ মাঠে নামেন ৩ ডিসেম্বর সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে বদলি হিসেবে। আর তাঁর সর্বশেষ শুরুর একাদশে থাকা ছিল ২৬ নভেম্বর, পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে পরাজয়ের দিনে।
আগামী সোমবার আফ্রিকা কাপ অব নেশনস খেলতে দেশ ছাড়বেন এবং মিসর কত দূর এগোয়, তার ওপর নির্ভর করছে লিভারপুলে তিনি কবে ফিরবেন। ব্রাইটন ম্যাচের আগে কোচের সঙ্গে আরেক দফা যে আলোচনা হবে, সে আলোচনায়ও অনেক কিছু নির্ভর করছে।

ব্রাইটনকে আজ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা দেবে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচের ফল কী হবে, সেই আগ্রহের চেয়ে বরং ‘মোহামেদ সালাহকে কি দেখা যাবে এই ম্যাচে’ এ নিয়েই বেশি উচ্ছ্বাস ক্লাবটির সমর্থকদের। তবে যাঁরা মনে করছেন ‘লিভারপুলে সালাহ অধ্যায় শেষ’, তাদের নতুন বার্তা দিলেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট। বললেন, সালাহকে দলে রেখে দিতে না চাইবার কোনো কারণ নেই।
তাহলে কি ব্রাইটনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দেখা যাবে মিসরীয় স্ট্রাইকারকে? এই প্রশ্নেই একটা ফাঁক রেখে দিলেন স্লট। জানালেন, ম্যাচের আগে আরেক দফা তিনি কথা বলবেন সালাহর সঙ্গে। সে আলাপে কিছু ঠিক হয়ে গেলে সবকিছু আগের মতোই চলবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবকিছু আগের মতোই চলবে কি?
গত শনিবার লিডসের সঙ্গে ড্রয়ের পর সালাহ অভিযোগ করেছিলেন যে ক্লাব তাঁকে `বাসের নিচে ফেলে দিয়েছে’। ওই ম্যাচ শেষে এল্যান্ড রোডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে কোচের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো নয় বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সালাহ। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জানুয়ারির উইন্ডোতে অ্যানফিল্ড ছেড়ে যাওয়ারও।
আরও দুই বছর অ্যানফিল্ডে থেকে যাওয়ার জন্য গত এপ্রিলে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন সালাহ। তো এখন রিভারপুলে তাঁর ভবিষ্যৎ কী—এই প্রশ্নের উত্তরে আর্নে স্লট বলেন, ‘আমি তাকে না চাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’ এরপর স্লট আরও যোগ করেন, ‘আমি মো-এর সঙ্গে কথা বলব। সেই আলাপের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে শনিবার কীভাবে বিষয়টি দাঁড়ায়।’
লিভারপুলের হয়ে ৪২০ ম্যাচে ২৫০ গোল করা সালাহ সর্বশেষ মাঠে নামেন ৩ ডিসেম্বর সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে বদলি হিসেবে। আর তাঁর সর্বশেষ শুরুর একাদশে থাকা ছিল ২৬ নভেম্বর, পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে পরাজয়ের দিনে।
আগামী সোমবার আফ্রিকা কাপ অব নেশনস খেলতে দেশ ছাড়বেন এবং মিসর কত দূর এগোয়, তার ওপর নির্ভর করছে লিভারপুলে তিনি কবে ফিরবেন। ব্রাইটন ম্যাচের আগে কোচের সঙ্গে আরেক দফা যে আলোচনা হবে, সে আলোচনায়ও অনেক কিছু নির্ভর করছে।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
যুব এশিয়া কাপের আগের ২ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসরেও ফেভারিট আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মেহবুব তাসকিন।
৪০ মিনিট আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
১৩ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। আজ দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই। তিতাস শেষ ম্যাচে হারলেও গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে নৌবাহিনীর চেয়ে।
শেষ রাউন্ডে খেলাঘর দাবা সংঘের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৯ খেলায় তিতাসের গেম পয়েন্ট ৩১.৫। আর নৌবাহিনী ১০ খেলায় ২৮.৫ পয়েন্টের বেশি অর্জন করতে পারেনি। আজ দাবা ফেডারেশন কক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকে ৩.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে হারিয়েছে তিতাস। ক্লাবটির হয়ে জয়ের দেখা পান ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। মিসরীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ফওজি আদম অবশ্য ড্র করেন। এবার তিতাসের হয়ে খেলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার এবং সদ্য জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়াজ মোর্শেদও।
এ নিয়ে তৃতীয়বার ঘরোয়া দাবার শীর্ষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ২০০০ সালে প্রথমবার শিরোপা জেতে তারা। তখন অবশ্য দাবার শীর্ষ স্তর ছিল প্রথম বিভাগ। ২০১১ সালে তা রূপ নেয় প্রিমিয়ার লিগে। গত বছর করতে না পারায় এই বছর ৭ মাসের ব্যবধানে দুবার লিগ আয়োজন করছে ফেডারেশন। দুবারই চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ক্লাবটি মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
গত লিগে চারে থাকলেও এবার তিতাসের সামনে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করায় নৌবাহিনী। আজ ৪-০ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হারায় তারা। ৯ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। লিওনাইন চেস ক্লাব ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে মানহা’স ক্যাসেল ও সাধারণ বীমা করপোরেশন স্পোর্টিং ক্লাব যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। আজ দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই। তিতাস শেষ ম্যাচে হারলেও গেম পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে নৌবাহিনীর চেয়ে।
শেষ রাউন্ডে খেলাঘর দাবা সংঘের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৯ খেলায় তিতাসের গেম পয়েন্ট ৩১.৫। আর নৌবাহিনী ১০ খেলায় ২৮.৫ পয়েন্টের বেশি অর্জন করতে পারেনি। আজ দাবা ফেডারেশন কক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকে ৩.৫-১.৫ গেম পয়েন্টে হারিয়েছে তিতাস। ক্লাবটির হয়ে জয়ের দেখা পান ফিদে মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। মিসরীয় গ্র্যান্ডমাস্টার ফওজি আদম অবশ্য ড্র করেন। এবার তিতাসের হয়ে খেলেছেন উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার এবং সদ্য জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়াজ মোর্শেদও।
এ নিয়ে তৃতীয়বার ঘরোয়া দাবার শীর্ষ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ২০০০ সালে প্রথমবার শিরোপা জেতে তারা। তখন অবশ্য দাবার শীর্ষ স্তর ছিল প্রথম বিভাগ। ২০১১ সালে তা রূপ নেয় প্রিমিয়ার লিগে। গত বছর করতে না পারায় এই বছর ৭ মাসের ব্যবধানে দুবার লিগ আয়োজন করছে ফেডারেশন। দুবারই চ্যাম্পিয়ন হলো তিতাস। ক্লাবটি মূলত সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
গত লিগে চারে থাকলেও এবার তিতাসের সামনে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দাঁড় করায় নৌবাহিনী। আজ ৪-০ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসান ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে হারায় তারা। ৯ খেলায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। লিওনাইন চেস ক্লাব ৯ খেলায় ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৯ পয়েন্ট করে নিয়ে মানহা’স ক্যাসেল ও সাধারণ বীমা করপোরেশন স্পোর্টিং ক্লাব যুগ্মভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
যুব এশিয়া কাপের আগের ২ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসরেও ফেভারিট আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মেহবুব তাসকিন।
৪০ মিনিট আগে
ব্রাইটনকে আজ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা দেবে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচের ফল কী হবে, সেই আগ্রহের চেয়ে বরং ‘মোহামেদ সালাহকে কি দেখা যাবে এই ম্যাচে’ এ নিয়েই বেশি উচ্ছ্বাস ক্লাবটির সমর্থকদের। তবে যাঁরা মনে করছেন, ‘লিভারপুলে সালাহ অধ্যায় শেষ’ তাদের নতুন বার্তা দিলেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট।
২ ঘণ্টা আগে
বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সবশেষ ৮ ম্যাচের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ কেবল ২ ম্যাচ জিতেছে। তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে ৭ ডিসেম্বর লা লিগায় হারানোর পর আলোনসোর চাকরি হারানো নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এমন অবস্থায় পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বসে রিয়াল। পরশু আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি এখন রিয়াল কোচ আলোনসোর জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। তবে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস তেমন কিছু (আলোনসোর চাকরি হারানো) মনে করছেন না। সাংবাদিকদের তেবাস বলেন, ‘এমন নাটক আমি আগেও অনেকবার দেখেছি। রিয়াল মাদ্রিদ এমন এক দল যারা এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ এ বছর হয়েছেন আলোনসো। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ। একবার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে ওস্তাদ রিয়াল যেকোনো কিছু করতে পারে বলে মনে করেন তেবাস। খেলোয়াড় জীবনের অভিজ্ঞতা কোচ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বলে বিশ্বাস তেবাসের। লা লিগা সভাপতি বলেন, ‘জাবি আলোনসোর মধ্যে মাদ্রিদের ডিএনএ আছে। আমার বিশ্বাস সে, খেলোয়াড় ও ক্লাব সামনে এগিয়ে যাবে। তাদের শৈশব থেকেই এমন মানসিকতা। খেলোয়াড়ি জীবনে সেটা এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
সরাসরি না হলেও পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর চাকরি হারানোর ব্যাপারে প্রশ্ন এসেছিল আলোনসোর কাছে। রিয়াল কোচ অবশ্য এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। সিটির কাছে হারের পর আলোনসো বলেছিলেন, ‘আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ভুল-ত্রুটি শুধরে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। বাজে ফল হলেও ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে এখানে।’
৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে ম্যানচেস্টার সিটি অবস্থান করছে চার নম্বরে। পিএসজি, আতালান্তার ১৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানের কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। পিএসজি ও আতালান্তা অবস্থান করছে তিন ও পাঁচ নম্বরে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ১৫। ১২ পয়েন্টে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সাত নম্বরে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে। এদিকে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। পরশু মেন্দিজোরোজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লা লিগার আলাভেস-রিয়াল ম্যাচ।

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ।দল যখন বাজে অবস্থায় থাকে, তখন চাপটা বেশি থাকে কোচের ওপর। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো এখন তেমনই এক সংকটময় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান কোচের চাকরিটা তিনি টিকিয়ে রাখতে পারেন কি না, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা।
লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগসহ সবশেষ ৮ ম্যাচের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ কেবল ২ ম্যাচ জিতেছে। তিনটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে ৭ ডিসেম্বর লা লিগায় হারানোর পর আলোনসোর চাকরি হারানো নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এমন অবস্থায় পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে বসে রিয়াল। পরশু আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচটি এখন রিয়াল কোচ আলোনসোর জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। তবে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস তেমন কিছু (আলোনসোর চাকরি হারানো) মনে করছেন না। সাংবাদিকদের তেবাস বলেন, ‘এমন নাটক আমি আগেও অনেকবার দেখেছি। রিয়াল মাদ্রিদ এমন এক দল যারা এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।’
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ এ বছর হয়েছেন আলোনসো। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে খেলেছেন ২৩৬ ম্যাচ। একবার করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াতে ওস্তাদ রিয়াল যেকোনো কিছু করতে পারে বলে মনে করেন তেবাস। খেলোয়াড় জীবনের অভিজ্ঞতা কোচ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন বলে বিশ্বাস তেবাসের। লা লিগা সভাপতি বলেন, ‘জাবি আলোনসোর মধ্যে মাদ্রিদের ডিএনএ আছে। আমার বিশ্বাস সে, খেলোয়াড় ও ক্লাব সামনে এগিয়ে যাবে। তাদের শৈশব থেকেই এমন মানসিকতা। খেলোয়াড়ি জীবনে সেটা এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
সরাসরি না হলেও পরশু চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর চাকরি হারানোর ব্যাপারে প্রশ্ন এসেছিল আলোনসোর কাছে। রিয়াল কোচ অবশ্য এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না। সিটির কাছে হারের পর আলোনসো বলেছিলেন, ‘আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ভুল-ত্রুটি শুধরে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। বাজে ফল হলেও ইতিবাচক ব্যাপার রয়েছে এখানে।’
৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের লিগ পর্বে ম্যানচেস্টার সিটি অবস্থান করছে চার নম্বরে। পিএসজি, আতালান্তার ১৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানের কারণে তারা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। পিএসজি ও আতালান্তা অবস্থান করছে তিন ও পাঁচ নম্বরে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্সেনাল। দুইয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ১৫। ১২ পয়েন্টে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সাত নম্বরে। প্রত্যেকেই ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে। এদিকে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। পরশু মেন্দিজোরোজা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে লা লিগার আলাভেস-রিয়াল ম্যাচ।

‘সমিত সোমের পাসপোর্ট হয়ে গেছে, বাকি আর একটি প্রক্রিয়া সারতে কাল (আজ) ফিফার কাছে আবেদন করব’—কাল গুলশানে নিজে বাসভবনে বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলছিলেন ফাহাদ করিম চৌধুরী। প্রবাসী ফুটবলারদের বাংলাদেশ ফুটবলে যুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বাফুফের সহসভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান।
০৬ মে ২০২৫
যুব এশিয়া কাপের আগের ২ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই এবারের আসরেও ফেভারিট আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা তৃতীয় শিরোপা জেতার মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মেহবুব তাসকিন।
৪০ মিনিট আগে
ব্রাইটনকে আজ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা দেবে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচের ফল কী হবে, সেই আগ্রহের চেয়ে বরং ‘মোহামেদ সালাহকে কি দেখা যাবে এই ম্যাচে’ এ নিয়েই বেশি উচ্ছ্বাস ক্লাবটির সমর্থকদের। তবে যাঁরা মনে করছেন, ‘লিভারপুলে সালাহ অধ্যায় শেষ’ তাদের নতুন বার্তা দিলেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট।
২ ঘণ্টা আগে
৭ মাসের ব্যবধানে আবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতল তিতাস ক্লাব। গতকাল দশম রাউন্ডের খেলা শেষে এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ১৮ পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীরও। তবে তাদের কোনো ম্যাচ বাকি নেই।
১৩ ঘণ্টা আগে