
অধিনায়কত্ব-ইস্যুর কারণে ২০২৫ সাল বিশেষ মনে থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পারফরম্যান্সের বিচারে টেস্টে ভালো করলেও ওয়ানডেটা ভালো যায়নি তাঁর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শেষে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত শুধু পারফরম্যান্স নয়, বললেন প্রাসঙ্গিক আরও অনেক কিছু নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যদি ২০২৫ সাল ফিরে দেখেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত: আলহামদুলিল্লাহ, দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। এ বছরটা আমাদের ভালো সময় গেছে দল হিসেবে। তবে শ্রীলঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সাল একটু খারাপ গেল আপনার।
শান্ত: এ রকম হতেই পারে। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়েই এই গেমটা যায়। খুব বেশি চিন্তিত নই। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপটাও মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেন খারাপ হয়েছে, এটা বের করে এবং পরবর্তীকালে ওই জায়গায় ঠিকঠাক করে ফিরতে হয়। আগামী বছর যে ওয়ানডে ম্যাচ আছে, সেগুলো যদি খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করব ওসব জায়গায় ভালোভাবে ফিরে আসার।
প্রশ্ন: ২০২৭ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে আগামী বছরের বেশির ভাগ ওয়ানডে সিরিজ আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ বেশির ভাগই শক্তিশালী।
শান্ত: যে দলটা এখন নিয়মিত খেলছে, অনেক দিন হয়ে গেল, সবাই একসঙ্গে খেলছে। আশা তো করতেই পারি, আগামী বছর যাদের বিপক্ষে খেলব, প্রতিটির সঙ্গে জেতার সামর্থ্য রাখি।
প্রশ্ন: বিসিবি তিন অধিনায়ক, দুই অধিনায়ক কিংবা এক অধিনায়ক—তিন পথেই একাধিকবার হেঁটেছে। কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো?
শান্ত: মনে হয়, যত কম অধিনায়ক থাকবে, তত ভালো। এটার পেছনে কারণ হলো, ওই অধিনায়কের প্ল্যান করাটা সহজ হয়ে যায় এবং সে পরিষ্কার জানে, কাকে কখন কোন সময় খেলাতে চায়। নির্বাচকেরা এবং কোচরা এই জায়গায় স্বস্তিতে থাকবেন। এক অধিনায়ক হলে আমাদের মতো দেশে আসলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা অনেক বেশি ম্যাচ জিতি না; পাশাপাশি অনেক চাপ অধিনায়কের ওপরে আসে। এই চাপ নেওয়ার মতো কতটা সামর্থ্য তার আছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কম অধিনায়ক থাকলে তা আরও সহজ হয়ে যায়। এবং আশপাশের যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্যও সহজ যে আসলে আমি একটা অধিনায়ককে অনুসরণ করছি। একটা অধিনায়কের কমান্ড যে সে কী চায়। ড্রেসিংরুমে যত কম অধিনায়ক থাকবে, ততই ভালো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অধিনায়কদের ফ্রিডম নিয়ে আমরা খুবই সন্দিহান। তার মতামত, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছু।
প্রশ্ন: অধিনায়কদের স্বাধীনতা নিয়ে বলছিলেন। কদিন আগে প্রধান নির্বাচকের সিদ্ধান্তে লিটন দাসের অবস্থান নিয়ে তাই এত হইচই। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
শান্ত: আগে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করেছি। এখন এক ফরম্যাটে। আমার প্রথম প্রায়োরিটি হলো, কী চাই। দলে আমার কী প্রয়োজন। সব সময় নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। ওটা আদায় করে নিতে অনেক সময় পেরেছি, অনেক সময় পারিনি। যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় খুব জোর দিয়েছি যে আমার কমিউনিকেশন যেন ঠিক থাকে। লিটন যেটা করেছে, কিংবা নির্বাচক—এখানে কাউকেই আলাদা করে দেখতে চাই না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত এবং আমি জানি না, আসলে ভেতরে কী হয়েছে। তবে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে আরেকটু সুন্দরভাবে কমিউনিকেট করে যদি আমরা করি, আরও ভালো। এখানে লিটনের কোনো দোষ দেখি না কিংবা সিলেক্টরেরও না। এখানে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমার মনে হয়, টিমের ভালোর জন্যই তারা বলেছে। এখানে এমন নয় যে লিটন টিমের ভালো চায়নি বা সিলেক্টর টিমের ভালো চাননি। তবে কমিউনিকেশন করে যদি আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করতে পারি, তাহলে পরিবেশটা আরও ভালো হবে।
প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক। এবার দলে জায়গা পাওয়ার লড়াই। বিপিএলে ভালো করলে কি মনে হয় ফিরতে পারেন? এই বিপিএল কি আপনার কাছে প্রমাণের মঞ্চ?
শান্ত: বিষয়টা হচ্ছে, কাউকে প্রমাণ করার কিছু নেই। একটা সময় অধিনায়ক হিসেবে নিয়মিত ছিলাম, এখন অনিয়মিত। এটা পার্ট অব লাইফ। প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে এ রকম কিছু আসে। আমি যখনই খেলি, কাউকে প্রমাণ করতে খেলি না। তবে এবার বিপিএল টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে। অনেক হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে, রান করতে হবে এবং মনে করি, যদি ধারাবাহিক রান করি, ফিরতে পারব। বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সিলেক্টর যেভাবে আমাকে এক্সপ্লেইন করেছেন, আমার জানা আছে। এই বিপিএলে যেটা, সেটা ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে আশা করতেই পারি, ইনশা আল্লাহ আবার ফিরব।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা যখন একসঙ্গে খেলেছেন, তখন জাতীয় ক্রিকেট দলের যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল, বলা হচ্ছে এখন সেটা কিছুটা কমেছে। আপনিও কি তাই মনে করেন? হামজা চৌধুরীর আগমনে জাতীয় ফুটবল দল ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, প্রশ্নটা সেই প্রেক্ষাপটে করা।
শান্ত: একটু কমেছে, এটা অস্বীকারের কিছু নেই। একটু অবশ্যই কমবে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই—তাঁরা যে অবস্থানটা তৈরি করেছিলেন, ওই রকম অবস্থান এখন পর্যন্ত আমরা তৈরি করতে পারিনি। এটা সত্য। তবে যে ক্রেজের কথাটা বললেন, ক্রিকেট নিয়ে মানুষের যে আশা ছিল, ওটা কমেছে যদি বলেন, এই জায়গায় মনে করি না, খুব বেশি কমেছে। এখনো মাঠে দর্শক আসে। স্টিল প্লেয়ারদের পেছনে সাধারণ মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে। তাই ভালোবাসার জায়গাটা কিন্তু এখনো আছে। ফুটবল? হ্যাঁ, ভালো করছে। এটা অস্বীকারের কিছু নেই। ক্রিকেটে যে খেলোয়াড়দের কথা বললেন, তাঁরা যে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা তৈরি করেছেন, এটা অনেক সময় নিয়ে হয়েছে। যে খেলোয়াড়েরা এখন খেলছে, সময়ের সঙ্গে ওরকম ব্র্যান্ড ভ্যালু তারাও তৈরি করবে বলে মনে করি। একটা সময় তাঁরা (সাকিবরা) যেভাবে নিয়মিত ভালো করে একটা জায়গায় দলকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এখন যদি দেখেন মিরাজ, লিটন, মমিনুল ভাই, তাইজুল ভাই, মোস্তাফিজ দলে আছেন। এঁরাও অনেক ম্যাচে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। জানি না তাঁদের অবদান কেন সেভাবে সবার সামনে আসেনি। এদের তুলে ধরলে মনে হয় যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ধীরে ধীরে বাড়বে। আমাদের আসলে বাংলাদেশ টিম হিসেবে নিয়মিত জিততে হবে। এখানে একটু ঘাটতি আছে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স হচ্ছে, তবে দল হিসেবে যদি আমরা আরেকটু বেশি ম্যাচ জিতি, তিন ফরম্যাটেই তাহলে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা আবার পিকে চলে আসবে।
প্রশ্ন: ঢাকার বাইরে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াটা কেমন হওয়া উচিত? বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকটা জায়গায় নিতে কী ধরনের বিনিয়োগ করা দরকার?
শান্ত: বিনিয়োগের ব্যাপারে বলতে চাই না। এখানে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি, শুধু ঢাকায় নয়, প্রতিটি বিভাগে, প্রতিটি জেলায় ঠিকঠাক ফ্যাসিলিটিজ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার কথাও যদি বলেন, বাংলাদেশ টিম হয়তো কমবেশি টুকটাক ফ্যাসিলিটিজ পায়। তবে বাকি ক্রিকেটাররা আসলে তা কতটুকু পায়, এ নিয়ে সন্দেহ আছে। জেলায় জেলায়, বিভাগে বিভাগে প্রপার ফ্যাসিলিটিজ থাকবে এবং এবং প্রত্যেক ক্রিকেটার যেন ঠিকঠাক অনুশীলনের সুযোগটা পায়—বোর্ডের কাছে এই প্রত্যাশা থাকবে। এমন নয় যে জাস্ট একটা-দুইটা উইকেট তৈরি করে দিলাম। বিষয়টি এ রকম নয়। একেবারে ঠিকঠাক যেন সবাই সব সুযোগ-সুবিধা পায়।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু কোয়াবের নির্বাহী সদস্য, সে কারণে জানতে চাই, এখন ৪৪টি ক্লাবের সঙ্গে বোর্ডের যে টানাপোড়েন, ক্রিকেটাররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠে খেলাটা রাখতে এখানে কী করণীয়?
শান্ত: যাঁরা দায়িত্বে, তাঁদের খেলাটা পরিচালনা করা। আমরা ক্রিকেটাররা তো চাই খেলতে। সব জায়গায় আমরা একই কথাই বলেছি। আপনাদের পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা থাকতে পারে, অনেক সমস্যা থাকতে পারে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দেখতেও চাই না। আপনারা আপনাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন, তবে মাঠের খেলাটা মাঠে যেন প্রতিবছর সময়মতো গড়ায়। কারণ, একটা হলো আমাদের রুটি-রুজির ব্যাপার, আরেকটা হলো যদি খেলা না হয়, তাহলে আমরা কীভাবে বাংলাদেশ দলটা এগিয়ে নেব। কীভাবে আশা করর, বাংলাদেশ দল নিয়মিত ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দলকে হারাবে। আমরা চাই যে মাঠে খেলাটা হোক।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশোভন ট্রলের শিকার আপনার চেয়ে বেশি মনে হয় বাংলাদেশে আর কোনো ক্রিকেটার হননি। জাকের আলী-শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে এখন যে ট্রল হয়, তাঁদের যন্ত্রণা আপনার চেয়ে ভালো কে বুঝবে?
শান্ত: খুবই কঠিন। আমার মনে হয় এ রকম হওয়া উচিত নয়, যেভাবে আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হয়, এটা আসলেই করা ঠিক নয়। এবং আমি মনে করি, যাঁরা করেন, তাঁরা হয়তো না বুঝে করেন বা মজার ছলে করেন অনেকে। হয়তো এ থেকে তাদের কোনো আয় হতে পারে। যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, অনেক ভিউ আসে। অনেকে যে কষ্ট দেওয়ার জন্য করে, সেটাও আমি বলব না। তবে করা উচিত নয়। খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে বা ট্রল করবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো কিছু নিয়ে আক্রমণ করা উচিত নয়। তবে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা হতেই থাকবে। বর্তমান সময়ে এটা কমার লক্ষণও দেখি না। ক্রিকেটারদের এদিকে ফোকাস না করে কীভাবে নিজের স্কিল উন্নতি করা যায়, নিয়মিত পারফর্ম করা যায়, সেদিকে মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ। এটা এখন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিবার, সতীর্থ, দল, কোচিং স্টাফ বা ক্রিকেট বোর্ড থাকে। যদি এই মানুষগুলো থাকে, তাহলে আমার মনে হয় না বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যদি ২০২৫ সাল ফিরে দেখেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত: আলহামদুলিল্লাহ, দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। এ বছরটা আমাদের ভালো সময় গেছে দল হিসেবে। তবে শ্রীলঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সাল একটু খারাপ গেল আপনার।
শান্ত: এ রকম হতেই পারে। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়েই এই গেমটা যায়। খুব বেশি চিন্তিত নই। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপটাও মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেন খারাপ হয়েছে, এটা বের করে এবং পরবর্তীকালে ওই জায়গায় ঠিকঠাক করে ফিরতে হয়। আগামী বছর যে ওয়ানডে ম্যাচ আছে, সেগুলো যদি খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করব ওসব জায়গায় ভালোভাবে ফিরে আসার।
প্রশ্ন: ২০২৭ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে আগামী বছরের বেশির ভাগ ওয়ানডে সিরিজ আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ বেশির ভাগই শক্তিশালী।
শান্ত: যে দলটা এখন নিয়মিত খেলছে, অনেক দিন হয়ে গেল, সবাই একসঙ্গে খেলছে। আশা তো করতেই পারি, আগামী বছর যাদের বিপক্ষে খেলব, প্রতিটির সঙ্গে জেতার সামর্থ্য রাখি।
প্রশ্ন: বিসিবি তিন অধিনায়ক, দুই অধিনায়ক কিংবা এক অধিনায়ক—তিন পথেই একাধিকবার হেঁটেছে। কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো?
শান্ত: মনে হয়, যত কম অধিনায়ক থাকবে, তত ভালো। এটার পেছনে কারণ হলো, ওই অধিনায়কের প্ল্যান করাটা সহজ হয়ে যায় এবং সে পরিষ্কার জানে, কাকে কখন কোন সময় খেলাতে চায়। নির্বাচকেরা এবং কোচরা এই জায়গায় স্বস্তিতে থাকবেন। এক অধিনায়ক হলে আমাদের মতো দেশে আসলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা অনেক বেশি ম্যাচ জিতি না; পাশাপাশি অনেক চাপ অধিনায়কের ওপরে আসে। এই চাপ নেওয়ার মতো কতটা সামর্থ্য তার আছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কম অধিনায়ক থাকলে তা আরও সহজ হয়ে যায়। এবং আশপাশের যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্যও সহজ যে আসলে আমি একটা অধিনায়ককে অনুসরণ করছি। একটা অধিনায়কের কমান্ড যে সে কী চায়। ড্রেসিংরুমে যত কম অধিনায়ক থাকবে, ততই ভালো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অধিনায়কদের ফ্রিডম নিয়ে আমরা খুবই সন্দিহান। তার মতামত, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছু।
প্রশ্ন: অধিনায়কদের স্বাধীনতা নিয়ে বলছিলেন। কদিন আগে প্রধান নির্বাচকের সিদ্ধান্তে লিটন দাসের অবস্থান নিয়ে তাই এত হইচই। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
শান্ত: আগে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করেছি। এখন এক ফরম্যাটে। আমার প্রথম প্রায়োরিটি হলো, কী চাই। দলে আমার কী প্রয়োজন। সব সময় নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। ওটা আদায় করে নিতে অনেক সময় পেরেছি, অনেক সময় পারিনি। যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় খুব জোর দিয়েছি যে আমার কমিউনিকেশন যেন ঠিক থাকে। লিটন যেটা করেছে, কিংবা নির্বাচক—এখানে কাউকেই আলাদা করে দেখতে চাই না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত এবং আমি জানি না, আসলে ভেতরে কী হয়েছে। তবে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে আরেকটু সুন্দরভাবে কমিউনিকেট করে যদি আমরা করি, আরও ভালো। এখানে লিটনের কোনো দোষ দেখি না কিংবা সিলেক্টরেরও না। এখানে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমার মনে হয়, টিমের ভালোর জন্যই তারা বলেছে। এখানে এমন নয় যে লিটন টিমের ভালো চায়নি বা সিলেক্টর টিমের ভালো চাননি। তবে কমিউনিকেশন করে যদি আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করতে পারি, তাহলে পরিবেশটা আরও ভালো হবে।
প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক। এবার দলে জায়গা পাওয়ার লড়াই। বিপিএলে ভালো করলে কি মনে হয় ফিরতে পারেন? এই বিপিএল কি আপনার কাছে প্রমাণের মঞ্চ?
শান্ত: বিষয়টা হচ্ছে, কাউকে প্রমাণ করার কিছু নেই। একটা সময় অধিনায়ক হিসেবে নিয়মিত ছিলাম, এখন অনিয়মিত। এটা পার্ট অব লাইফ। প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে এ রকম কিছু আসে। আমি যখনই খেলি, কাউকে প্রমাণ করতে খেলি না। তবে এবার বিপিএল টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে। অনেক হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে, রান করতে হবে এবং মনে করি, যদি ধারাবাহিক রান করি, ফিরতে পারব। বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সিলেক্টর যেভাবে আমাকে এক্সপ্লেইন করেছেন, আমার জানা আছে। এই বিপিএলে যেটা, সেটা ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে আশা করতেই পারি, ইনশা আল্লাহ আবার ফিরব।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা যখন একসঙ্গে খেলেছেন, তখন জাতীয় ক্রিকেট দলের যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল, বলা হচ্ছে এখন সেটা কিছুটা কমেছে। আপনিও কি তাই মনে করেন? হামজা চৌধুরীর আগমনে জাতীয় ফুটবল দল ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, প্রশ্নটা সেই প্রেক্ষাপটে করা।
শান্ত: একটু কমেছে, এটা অস্বীকারের কিছু নেই। একটু অবশ্যই কমবে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই—তাঁরা যে অবস্থানটা তৈরি করেছিলেন, ওই রকম অবস্থান এখন পর্যন্ত আমরা তৈরি করতে পারিনি। এটা সত্য। তবে যে ক্রেজের কথাটা বললেন, ক্রিকেট নিয়ে মানুষের যে আশা ছিল, ওটা কমেছে যদি বলেন, এই জায়গায় মনে করি না, খুব বেশি কমেছে। এখনো মাঠে দর্শক আসে। স্টিল প্লেয়ারদের পেছনে সাধারণ মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে। তাই ভালোবাসার জায়গাটা কিন্তু এখনো আছে। ফুটবল? হ্যাঁ, ভালো করছে। এটা অস্বীকারের কিছু নেই। ক্রিকেটে যে খেলোয়াড়দের কথা বললেন, তাঁরা যে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা তৈরি করেছেন, এটা অনেক সময় নিয়ে হয়েছে। যে খেলোয়াড়েরা এখন খেলছে, সময়ের সঙ্গে ওরকম ব্র্যান্ড ভ্যালু তারাও তৈরি করবে বলে মনে করি। একটা সময় তাঁরা (সাকিবরা) যেভাবে নিয়মিত ভালো করে একটা জায়গায় দলকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এখন যদি দেখেন মিরাজ, লিটন, মমিনুল ভাই, তাইজুল ভাই, মোস্তাফিজ দলে আছেন। এঁরাও অনেক ম্যাচে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। জানি না তাঁদের অবদান কেন সেভাবে সবার সামনে আসেনি। এদের তুলে ধরলে মনে হয় যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ধীরে ধীরে বাড়বে। আমাদের আসলে বাংলাদেশ টিম হিসেবে নিয়মিত জিততে হবে। এখানে একটু ঘাটতি আছে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স হচ্ছে, তবে দল হিসেবে যদি আমরা আরেকটু বেশি ম্যাচ জিতি, তিন ফরম্যাটেই তাহলে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা আবার পিকে চলে আসবে।
প্রশ্ন: ঢাকার বাইরে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াটা কেমন হওয়া উচিত? বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকটা জায়গায় নিতে কী ধরনের বিনিয়োগ করা দরকার?
শান্ত: বিনিয়োগের ব্যাপারে বলতে চাই না। এখানে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি, শুধু ঢাকায় নয়, প্রতিটি বিভাগে, প্রতিটি জেলায় ঠিকঠাক ফ্যাসিলিটিজ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার কথাও যদি বলেন, বাংলাদেশ টিম হয়তো কমবেশি টুকটাক ফ্যাসিলিটিজ পায়। তবে বাকি ক্রিকেটাররা আসলে তা কতটুকু পায়, এ নিয়ে সন্দেহ আছে। জেলায় জেলায়, বিভাগে বিভাগে প্রপার ফ্যাসিলিটিজ থাকবে এবং এবং প্রত্যেক ক্রিকেটার যেন ঠিকঠাক অনুশীলনের সুযোগটা পায়—বোর্ডের কাছে এই প্রত্যাশা থাকবে। এমন নয় যে জাস্ট একটা-দুইটা উইকেট তৈরি করে দিলাম। বিষয়টি এ রকম নয়। একেবারে ঠিকঠাক যেন সবাই সব সুযোগ-সুবিধা পায়।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু কোয়াবের নির্বাহী সদস্য, সে কারণে জানতে চাই, এখন ৪৪টি ক্লাবের সঙ্গে বোর্ডের যে টানাপোড়েন, ক্রিকেটাররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠে খেলাটা রাখতে এখানে কী করণীয়?
শান্ত: যাঁরা দায়িত্বে, তাঁদের খেলাটা পরিচালনা করা। আমরা ক্রিকেটাররা তো চাই খেলতে। সব জায়গায় আমরা একই কথাই বলেছি। আপনাদের পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা থাকতে পারে, অনেক সমস্যা থাকতে পারে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দেখতেও চাই না। আপনারা আপনাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন, তবে মাঠের খেলাটা মাঠে যেন প্রতিবছর সময়মতো গড়ায়। কারণ, একটা হলো আমাদের রুটি-রুজির ব্যাপার, আরেকটা হলো যদি খেলা না হয়, তাহলে আমরা কীভাবে বাংলাদেশ দলটা এগিয়ে নেব। কীভাবে আশা করর, বাংলাদেশ দল নিয়মিত ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দলকে হারাবে। আমরা চাই যে মাঠে খেলাটা হোক।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশোভন ট্রলের শিকার আপনার চেয়ে বেশি মনে হয় বাংলাদেশে আর কোনো ক্রিকেটার হননি। জাকের আলী-শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে এখন যে ট্রল হয়, তাঁদের যন্ত্রণা আপনার চেয়ে ভালো কে বুঝবে?
শান্ত: খুবই কঠিন। আমার মনে হয় এ রকম হওয়া উচিত নয়, যেভাবে আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হয়, এটা আসলেই করা ঠিক নয়। এবং আমি মনে করি, যাঁরা করেন, তাঁরা হয়তো না বুঝে করেন বা মজার ছলে করেন অনেকে। হয়তো এ থেকে তাদের কোনো আয় হতে পারে। যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, অনেক ভিউ আসে। অনেকে যে কষ্ট দেওয়ার জন্য করে, সেটাও আমি বলব না। তবে করা উচিত নয়। খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে বা ট্রল করবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো কিছু নিয়ে আক্রমণ করা উচিত নয়। তবে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা হতেই থাকবে। বর্তমান সময়ে এটা কমার লক্ষণও দেখি না। ক্রিকেটারদের এদিকে ফোকাস না করে কীভাবে নিজের স্কিল উন্নতি করা যায়, নিয়মিত পারফর্ম করা যায়, সেদিকে মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ। এটা এখন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিবার, সতীর্থ, দল, কোচিং স্টাফ বা ক্রিকেট বোর্ড থাকে। যদি এই মানুষগুলো থাকে, তাহলে আমার মনে হয় না বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা উচিত।

অধিনায়কত্ব-ইস্যুর কারণে ২০২৫ সাল বিশেষ মনে থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পারফরম্যান্সের বিচারে টেস্টে ভালো করলেও ওয়ানডেটা ভালো যায়নি তাঁর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শেষে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত শুধু পারফরম্যান্স নয়, বললেন প্রাসঙ্গিক আরও অনেক কিছু নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যদি ২০২৫ সাল ফিরে দেখেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত: আলহামদুলিল্লাহ, দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। এ বছরটা আমাদের ভালো সময় গেছে দল হিসেবে। তবে শ্রীলঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সাল একটু খারাপ গেল আপনার।
শান্ত: এ রকম হতেই পারে। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়েই এই গেমটা যায়। খুব বেশি চিন্তিত নই। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপটাও মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেন খারাপ হয়েছে, এটা বের করে এবং পরবর্তীকালে ওই জায়গায় ঠিকঠাক করে ফিরতে হয়। আগামী বছর যে ওয়ানডে ম্যাচ আছে, সেগুলো যদি খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করব ওসব জায়গায় ভালোভাবে ফিরে আসার।
প্রশ্ন: ২০২৭ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে আগামী বছরের বেশির ভাগ ওয়ানডে সিরিজ আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ বেশির ভাগই শক্তিশালী।
শান্ত: যে দলটা এখন নিয়মিত খেলছে, অনেক দিন হয়ে গেল, সবাই একসঙ্গে খেলছে। আশা তো করতেই পারি, আগামী বছর যাদের বিপক্ষে খেলব, প্রতিটির সঙ্গে জেতার সামর্থ্য রাখি।
প্রশ্ন: বিসিবি তিন অধিনায়ক, দুই অধিনায়ক কিংবা এক অধিনায়ক—তিন পথেই একাধিকবার হেঁটেছে। কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো?
শান্ত: মনে হয়, যত কম অধিনায়ক থাকবে, তত ভালো। এটার পেছনে কারণ হলো, ওই অধিনায়কের প্ল্যান করাটা সহজ হয়ে যায় এবং সে পরিষ্কার জানে, কাকে কখন কোন সময় খেলাতে চায়। নির্বাচকেরা এবং কোচরা এই জায়গায় স্বস্তিতে থাকবেন। এক অধিনায়ক হলে আমাদের মতো দেশে আসলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা অনেক বেশি ম্যাচ জিতি না; পাশাপাশি অনেক চাপ অধিনায়কের ওপরে আসে। এই চাপ নেওয়ার মতো কতটা সামর্থ্য তার আছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কম অধিনায়ক থাকলে তা আরও সহজ হয়ে যায়। এবং আশপাশের যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্যও সহজ যে আসলে আমি একটা অধিনায়ককে অনুসরণ করছি। একটা অধিনায়কের কমান্ড যে সে কী চায়। ড্রেসিংরুমে যত কম অধিনায়ক থাকবে, ততই ভালো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অধিনায়কদের ফ্রিডম নিয়ে আমরা খুবই সন্দিহান। তার মতামত, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছু।
প্রশ্ন: অধিনায়কদের স্বাধীনতা নিয়ে বলছিলেন। কদিন আগে প্রধান নির্বাচকের সিদ্ধান্তে লিটন দাসের অবস্থান নিয়ে তাই এত হইচই। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
শান্ত: আগে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করেছি। এখন এক ফরম্যাটে। আমার প্রথম প্রায়োরিটি হলো, কী চাই। দলে আমার কী প্রয়োজন। সব সময় নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। ওটা আদায় করে নিতে অনেক সময় পেরেছি, অনেক সময় পারিনি। যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় খুব জোর দিয়েছি যে আমার কমিউনিকেশন যেন ঠিক থাকে। লিটন যেটা করেছে, কিংবা নির্বাচক—এখানে কাউকেই আলাদা করে দেখতে চাই না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত এবং আমি জানি না, আসলে ভেতরে কী হয়েছে। তবে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে আরেকটু সুন্দরভাবে কমিউনিকেট করে যদি আমরা করি, আরও ভালো। এখানে লিটনের কোনো দোষ দেখি না কিংবা সিলেক্টরেরও না। এখানে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমার মনে হয়, টিমের ভালোর জন্যই তারা বলেছে। এখানে এমন নয় যে লিটন টিমের ভালো চায়নি বা সিলেক্টর টিমের ভালো চাননি। তবে কমিউনিকেশন করে যদি আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করতে পারি, তাহলে পরিবেশটা আরও ভালো হবে।
প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক। এবার দলে জায়গা পাওয়ার লড়াই। বিপিএলে ভালো করলে কি মনে হয় ফিরতে পারেন? এই বিপিএল কি আপনার কাছে প্রমাণের মঞ্চ?
শান্ত: বিষয়টা হচ্ছে, কাউকে প্রমাণ করার কিছু নেই। একটা সময় অধিনায়ক হিসেবে নিয়মিত ছিলাম, এখন অনিয়মিত। এটা পার্ট অব লাইফ। প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে এ রকম কিছু আসে। আমি যখনই খেলি, কাউকে প্রমাণ করতে খেলি না। তবে এবার বিপিএল টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে। অনেক হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে, রান করতে হবে এবং মনে করি, যদি ধারাবাহিক রান করি, ফিরতে পারব। বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সিলেক্টর যেভাবে আমাকে এক্সপ্লেইন করেছেন, আমার জানা আছে। এই বিপিএলে যেটা, সেটা ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে আশা করতেই পারি, ইনশা আল্লাহ আবার ফিরব।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা যখন একসঙ্গে খেলেছেন, তখন জাতীয় ক্রিকেট দলের যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল, বলা হচ্ছে এখন সেটা কিছুটা কমেছে। আপনিও কি তাই মনে করেন? হামজা চৌধুরীর আগমনে জাতীয় ফুটবল দল ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, প্রশ্নটা সেই প্রেক্ষাপটে করা।
শান্ত: একটু কমেছে, এটা অস্বীকারের কিছু নেই। একটু অবশ্যই কমবে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই—তাঁরা যে অবস্থানটা তৈরি করেছিলেন, ওই রকম অবস্থান এখন পর্যন্ত আমরা তৈরি করতে পারিনি। এটা সত্য। তবে যে ক্রেজের কথাটা বললেন, ক্রিকেট নিয়ে মানুষের যে আশা ছিল, ওটা কমেছে যদি বলেন, এই জায়গায় মনে করি না, খুব বেশি কমেছে। এখনো মাঠে দর্শক আসে। স্টিল প্লেয়ারদের পেছনে সাধারণ মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে। তাই ভালোবাসার জায়গাটা কিন্তু এখনো আছে। ফুটবল? হ্যাঁ, ভালো করছে। এটা অস্বীকারের কিছু নেই। ক্রিকেটে যে খেলোয়াড়দের কথা বললেন, তাঁরা যে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা তৈরি করেছেন, এটা অনেক সময় নিয়ে হয়েছে। যে খেলোয়াড়েরা এখন খেলছে, সময়ের সঙ্গে ওরকম ব্র্যান্ড ভ্যালু তারাও তৈরি করবে বলে মনে করি। একটা সময় তাঁরা (সাকিবরা) যেভাবে নিয়মিত ভালো করে একটা জায়গায় দলকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এখন যদি দেখেন মিরাজ, লিটন, মমিনুল ভাই, তাইজুল ভাই, মোস্তাফিজ দলে আছেন। এঁরাও অনেক ম্যাচে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। জানি না তাঁদের অবদান কেন সেভাবে সবার সামনে আসেনি। এদের তুলে ধরলে মনে হয় যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ধীরে ধীরে বাড়বে। আমাদের আসলে বাংলাদেশ টিম হিসেবে নিয়মিত জিততে হবে। এখানে একটু ঘাটতি আছে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স হচ্ছে, তবে দল হিসেবে যদি আমরা আরেকটু বেশি ম্যাচ জিতি, তিন ফরম্যাটেই তাহলে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা আবার পিকে চলে আসবে।
প্রশ্ন: ঢাকার বাইরে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াটা কেমন হওয়া উচিত? বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকটা জায়গায় নিতে কী ধরনের বিনিয়োগ করা দরকার?
শান্ত: বিনিয়োগের ব্যাপারে বলতে চাই না। এখানে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি, শুধু ঢাকায় নয়, প্রতিটি বিভাগে, প্রতিটি জেলায় ঠিকঠাক ফ্যাসিলিটিজ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার কথাও যদি বলেন, বাংলাদেশ টিম হয়তো কমবেশি টুকটাক ফ্যাসিলিটিজ পায়। তবে বাকি ক্রিকেটাররা আসলে তা কতটুকু পায়, এ নিয়ে সন্দেহ আছে। জেলায় জেলায়, বিভাগে বিভাগে প্রপার ফ্যাসিলিটিজ থাকবে এবং এবং প্রত্যেক ক্রিকেটার যেন ঠিকঠাক অনুশীলনের সুযোগটা পায়—বোর্ডের কাছে এই প্রত্যাশা থাকবে। এমন নয় যে জাস্ট একটা-দুইটা উইকেট তৈরি করে দিলাম। বিষয়টি এ রকম নয়। একেবারে ঠিকঠাক যেন সবাই সব সুযোগ-সুবিধা পায়।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু কোয়াবের নির্বাহী সদস্য, সে কারণে জানতে চাই, এখন ৪৪টি ক্লাবের সঙ্গে বোর্ডের যে টানাপোড়েন, ক্রিকেটাররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠে খেলাটা রাখতে এখানে কী করণীয়?
শান্ত: যাঁরা দায়িত্বে, তাঁদের খেলাটা পরিচালনা করা। আমরা ক্রিকেটাররা তো চাই খেলতে। সব জায়গায় আমরা একই কথাই বলেছি। আপনাদের পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা থাকতে পারে, অনেক সমস্যা থাকতে পারে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দেখতেও চাই না। আপনারা আপনাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন, তবে মাঠের খেলাটা মাঠে যেন প্রতিবছর সময়মতো গড়ায়। কারণ, একটা হলো আমাদের রুটি-রুজির ব্যাপার, আরেকটা হলো যদি খেলা না হয়, তাহলে আমরা কীভাবে বাংলাদেশ দলটা এগিয়ে নেব। কীভাবে আশা করর, বাংলাদেশ দল নিয়মিত ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দলকে হারাবে। আমরা চাই যে মাঠে খেলাটা হোক।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশোভন ট্রলের শিকার আপনার চেয়ে বেশি মনে হয় বাংলাদেশে আর কোনো ক্রিকেটার হননি। জাকের আলী-শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে এখন যে ট্রল হয়, তাঁদের যন্ত্রণা আপনার চেয়ে ভালো কে বুঝবে?
শান্ত: খুবই কঠিন। আমার মনে হয় এ রকম হওয়া উচিত নয়, যেভাবে আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হয়, এটা আসলেই করা ঠিক নয়। এবং আমি মনে করি, যাঁরা করেন, তাঁরা হয়তো না বুঝে করেন বা মজার ছলে করেন অনেকে। হয়তো এ থেকে তাদের কোনো আয় হতে পারে। যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, অনেক ভিউ আসে। অনেকে যে কষ্ট দেওয়ার জন্য করে, সেটাও আমি বলব না। তবে করা উচিত নয়। খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে বা ট্রল করবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো কিছু নিয়ে আক্রমণ করা উচিত নয়। তবে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা হতেই থাকবে। বর্তমান সময়ে এটা কমার লক্ষণও দেখি না। ক্রিকেটারদের এদিকে ফোকাস না করে কীভাবে নিজের স্কিল উন্নতি করা যায়, নিয়মিত পারফর্ম করা যায়, সেদিকে মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ। এটা এখন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিবার, সতীর্থ, দল, কোচিং স্টাফ বা ক্রিকেট বোর্ড থাকে। যদি এই মানুষগুলো থাকে, তাহলে আমার মনে হয় না বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যদি ২০২৫ সাল ফিরে দেখেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত: আলহামদুলিল্লাহ, দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। এ বছরটা আমাদের ভালো সময় গেছে দল হিসেবে। তবে শ্রীলঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। সব মিলিয়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সাল একটু খারাপ গেল আপনার।
শান্ত: এ রকম হতেই পারে। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়েই এই গেমটা যায়। খুব বেশি চিন্তিত নই। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপটাও মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেন খারাপ হয়েছে, এটা বের করে এবং পরবর্তীকালে ওই জায়গায় ঠিকঠাক করে ফিরতে হয়। আগামী বছর যে ওয়ানডে ম্যাচ আছে, সেগুলো যদি খেলার সুযোগ পাই, চেষ্টা করব ওসব জায়গায় ভালোভাবে ফিরে আসার।
প্রশ্ন: ২০২৭ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে আগামী বছরের বেশির ভাগ ওয়ানডে সিরিজ আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষ বেশির ভাগই শক্তিশালী।
শান্ত: যে দলটা এখন নিয়মিত খেলছে, অনেক দিন হয়ে গেল, সবাই একসঙ্গে খেলছে। আশা তো করতেই পারি, আগামী বছর যাদের বিপক্ষে খেলব, প্রতিটির সঙ্গে জেতার সামর্থ্য রাখি।
প্রশ্ন: বিসিবি তিন অধিনায়ক, দুই অধিনায়ক কিংবা এক অধিনায়ক—তিন পথেই একাধিকবার হেঁটেছে। কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো?
শান্ত: মনে হয়, যত কম অধিনায়ক থাকবে, তত ভালো। এটার পেছনে কারণ হলো, ওই অধিনায়কের প্ল্যান করাটা সহজ হয়ে যায় এবং সে পরিষ্কার জানে, কাকে কখন কোন সময় খেলাতে চায়। নির্বাচকেরা এবং কোচরা এই জায়গায় স্বস্তিতে থাকবেন। এক অধিনায়ক হলে আমাদের মতো দেশে আসলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা অনেক বেশি ম্যাচ জিতি না; পাশাপাশি অনেক চাপ অধিনায়কের ওপরে আসে। এই চাপ নেওয়ার মতো কতটা সামর্থ্য তার আছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কম অধিনায়ক থাকলে তা আরও সহজ হয়ে যায়। এবং আশপাশের যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্যও সহজ যে আসলে আমি একটা অধিনায়ককে অনুসরণ করছি। একটা অধিনায়কের কমান্ড যে সে কী চায়। ড্রেসিংরুমে যত কম অধিনায়ক থাকবে, ততই ভালো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অধিনায়কদের ফ্রিডম নিয়ে আমরা খুবই সন্দিহান। তার মতামত, দল নির্বাচন থেকে শুরু করে সবকিছু।
প্রশ্ন: অধিনায়কদের স্বাধীনতা নিয়ে বলছিলেন। কদিন আগে প্রধান নির্বাচকের সিদ্ধান্তে লিটন দাসের অবস্থান নিয়ে তাই এত হইচই। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
শান্ত: আগে তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করেছি। এখন এক ফরম্যাটে। আমার প্রথম প্রায়োরিটি হলো, কী চাই। দলে আমার কী প্রয়োজন। সব সময় নির্বাচকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। ওটা আদায় করে নিতে অনেক সময় পেরেছি, অনেক সময় পারিনি। যোগাযোগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় খুব জোর দিয়েছি যে আমার কমিউনিকেশন যেন ঠিক থাকে। লিটন যেটা করেছে, কিংবা নির্বাচক—এখানে কাউকেই আলাদা করে দেখতে চাই না। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত এবং আমি জানি না, আসলে ভেতরে কী হয়েছে। তবে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে আরেকটু সুন্দরভাবে কমিউনিকেট করে যদি আমরা করি, আরও ভালো। এখানে লিটনের কোনো দোষ দেখি না কিংবা সিলেক্টরেরও না। এখানে নিজ নিজ জায়গা থেকে আমার মনে হয়, টিমের ভালোর জন্যই তারা বলেছে। এখানে এমন নয় যে লিটন টিমের ভালো চায়নি বা সিলেক্টর টিমের ভালো চাননি। তবে কমিউনিকেশন করে যদি আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করতে পারি, তাহলে পরিবেশটা আরও ভালো হবে।
প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক। এবার দলে জায়গা পাওয়ার লড়াই। বিপিএলে ভালো করলে কি মনে হয় ফিরতে পারেন? এই বিপিএল কি আপনার কাছে প্রমাণের মঞ্চ?
শান্ত: বিষয়টা হচ্ছে, কাউকে প্রমাণ করার কিছু নেই। একটা সময় অধিনায়ক হিসেবে নিয়মিত ছিলাম, এখন অনিয়মিত। এটা পার্ট অব লাইফ। প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে এ রকম কিছু আসে। আমি যখনই খেলি, কাউকে প্রমাণ করতে খেলি না। তবে এবার বিপিএল টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরতে। অনেক হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে, রান করতে হবে এবং মনে করি, যদি ধারাবাহিক রান করি, ফিরতে পারব। বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সিলেক্টর যেভাবে আমাকে এক্সপ্লেইন করেছেন, আমার জানা আছে। এই বিপিএলে যেটা, সেটা ঠিকঠাক করতে পারি, তাহলে আশা করতেই পারি, ইনশা আল্লাহ আবার ফিরব।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা যখন একসঙ্গে খেলেছেন, তখন জাতীয় ক্রিকেট দলের যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল, বলা হচ্ছে এখন সেটা কিছুটা কমেছে। আপনিও কি তাই মনে করেন? হামজা চৌধুরীর আগমনে জাতীয় ফুটবল দল ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, প্রশ্নটা সেই প্রেক্ষাপটে করা।
শান্ত: একটু কমেছে, এটা অস্বীকারের কিছু নেই। একটু অবশ্যই কমবে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই—তাঁরা যে অবস্থানটা তৈরি করেছিলেন, ওই রকম অবস্থান এখন পর্যন্ত আমরা তৈরি করতে পারিনি। এটা সত্য। তবে যে ক্রেজের কথাটা বললেন, ক্রিকেট নিয়ে মানুষের যে আশা ছিল, ওটা কমেছে যদি বলেন, এই জায়গায় মনে করি না, খুব বেশি কমেছে। এখনো মাঠে দর্শক আসে। স্টিল প্লেয়ারদের পেছনে সাধারণ মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে। তাই ভালোবাসার জায়গাটা কিন্তু এখনো আছে। ফুটবল? হ্যাঁ, ভালো করছে। এটা অস্বীকারের কিছু নেই। ক্রিকেটে যে খেলোয়াড়দের কথা বললেন, তাঁরা যে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা তৈরি করেছেন, এটা অনেক সময় নিয়ে হয়েছে। যে খেলোয়াড়েরা এখন খেলছে, সময়ের সঙ্গে ওরকম ব্র্যান্ড ভ্যালু তারাও তৈরি করবে বলে মনে করি। একটা সময় তাঁরা (সাকিবরা) যেভাবে নিয়মিত ভালো করে একটা জায়গায় দলকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এখন যদি দেখেন মিরাজ, লিটন, মমিনুল ভাই, তাইজুল ভাই, মোস্তাফিজ দলে আছেন। এঁরাও অনেক ম্যাচে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। জানি না তাঁদের অবদান কেন সেভাবে সবার সামনে আসেনি। এদের তুলে ধরলে মনে হয় যে ব্র্যান্ড ভ্যালু ধীরে ধীরে বাড়বে। আমাদের আসলে বাংলাদেশ টিম হিসেবে নিয়মিত জিততে হবে। এখানে একটু ঘাটতি আছে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স হচ্ছে, তবে দল হিসেবে যদি আমরা আরেকটু বেশি ম্যাচ জিতি, তিন ফরম্যাটেই তাহলে ব্র্যান্ড ভ্যালুটা আবার পিকে চলে আসবে।
প্রশ্ন: ঢাকার বাইরে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াটা কেমন হওয়া উচিত? বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরেকটা জায়গায় নিতে কী ধরনের বিনিয়োগ করা দরকার?
শান্ত: বিনিয়োগের ব্যাপারে বলতে চাই না। এখানে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে মনে করি, শুধু ঢাকায় নয়, প্রতিটি বিভাগে, প্রতিটি জেলায় ঠিকঠাক ফ্যাসিলিটিজ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার কথাও যদি বলেন, বাংলাদেশ টিম হয়তো কমবেশি টুকটাক ফ্যাসিলিটিজ পায়। তবে বাকি ক্রিকেটাররা আসলে তা কতটুকু পায়, এ নিয়ে সন্দেহ আছে। জেলায় জেলায়, বিভাগে বিভাগে প্রপার ফ্যাসিলিটিজ থাকবে এবং এবং প্রত্যেক ক্রিকেটার যেন ঠিকঠাক অনুশীলনের সুযোগটা পায়—বোর্ডের কাছে এই প্রত্যাশা থাকবে। এমন নয় যে জাস্ট একটা-দুইটা উইকেট তৈরি করে দিলাম। বিষয়টি এ রকম নয়। একেবারে ঠিকঠাক যেন সবাই সব সুযোগ-সুবিধা পায়।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু কোয়াবের নির্বাহী সদস্য, সে কারণে জানতে চাই, এখন ৪৪টি ক্লাবের সঙ্গে বোর্ডের যে টানাপোড়েন, ক্রিকেটাররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাঠে খেলাটা রাখতে এখানে কী করণীয়?
শান্ত: যাঁরা দায়িত্বে, তাঁদের খেলাটা পরিচালনা করা। আমরা ক্রিকেটাররা তো চাই খেলতে। সব জায়গায় আমরা একই কথাই বলেছি। আপনাদের পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা থাকতে পারে, অনেক সমস্যা থাকতে পারে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দেখতেও চাই না। আপনারা আপনাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন, তবে মাঠের খেলাটা মাঠে যেন প্রতিবছর সময়মতো গড়ায়। কারণ, একটা হলো আমাদের রুটি-রুজির ব্যাপার, আরেকটা হলো যদি খেলা না হয়, তাহলে আমরা কীভাবে বাংলাদেশ দলটা এগিয়ে নেব। কীভাবে আশা করর, বাংলাদেশ দল নিয়মিত ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় বড় দলকে হারাবে। আমরা চাই যে মাঠে খেলাটা হোক।
প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশোভন ট্রলের শিকার আপনার চেয়ে বেশি মনে হয় বাংলাদেশে আর কোনো ক্রিকেটার হননি। জাকের আলী-শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে এখন যে ট্রল হয়, তাঁদের যন্ত্রণা আপনার চেয়ে ভালো কে বুঝবে?
শান্ত: খুবই কঠিন। আমার মনে হয় এ রকম হওয়া উচিত নয়, যেভাবে আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল হয়, এটা আসলেই করা ঠিক নয়। এবং আমি মনে করি, যাঁরা করেন, তাঁরা হয়তো না বুঝে করেন বা মজার ছলে করেন অনেকে। হয়তো এ থেকে তাদের কোনো আয় হতে পারে। যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, অনেক ভিউ আসে। অনেকে যে কষ্ট দেওয়ার জন্য করে, সেটাও আমি বলব না। তবে করা উচিত নয়। খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে বা ট্রল করবেন। কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো কিছু নিয়ে আক্রমণ করা উচিত নয়। তবে এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা হতেই থাকবে। বর্তমান সময়ে এটা কমার লক্ষণও দেখি না। ক্রিকেটারদের এদিকে ফোকাস না করে কীভাবে নিজের স্কিল উন্নতি করা যায়, নিয়মিত পারফর্ম করা যায়, সেদিকে মনোযোগ গুরুত্বপূর্ণ। এটা এখন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিবার, সতীর্থ, দল, কোচিং স্টাফ বা ক্রিকেট বোর্ড থাকে। যদি এই মানুষগুলো থাকে, তাহলে আমার মনে হয় না বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা উচিত।

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৮ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

অধিনায়কত্ব-ইস্যুর কারণে ২০২৫ সাল বিশেষ মনে থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পারফরম্যান্সের বিচারে টেস্টে ভালো করলেও ওয়ানডেটা ভালো যায়নি তাঁর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শেষে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত শুধু পারফরম্যান্স নয়, বললেন
১ দিন আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
১০ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

অধিনায়কত্ব-ইস্যুর কারণে ২০২৫ সাল বিশেষ মনে থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পারফরম্যান্সের বিচারে টেস্টে ভালো করলেও ওয়ানডেটা ভালো যায়নি তাঁর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শেষে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত শুধু পারফরম্যান্স নয়, বললেন
১ দিন আগে
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৮ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

অধিনায়কত্ব-ইস্যুর কারণে ২০২৫ সাল বিশেষ মনে থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পারফরম্যান্সের বিচারে টেস্টে ভালো করলেও ওয়ানডেটা ভালো যায়নি তাঁর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শেষে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত শুধু পারফরম্যান্স নয়, বললেন
১ দিন আগে
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৮ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

অধিনায়কত্ব-ইস্যুর কারণে ২০২৫ সাল বিশেষ মনে থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। পারফরম্যান্সের বিচারে টেস্টে ভালো করলেও ওয়ানডেটা ভালো যায়নি তাঁর। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন শেষে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্ত শুধু পারফরম্যান্স নয়, বললেন
১ দিন আগে
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
৮ ঘণ্টা আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
৯ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
১০ ঘণ্টা আগে