রানা আব্বাস, ঢাকা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
মরুর রাজ্যে ক্রিকেটের বীজ বুনে দেওয়া হয়েছিল আশির দশকের শুরুতে। বিপুল আর্থিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার আর উন্নত ব্যবস্থাপনায় এই ধূসর ভূমে সবুজ বৃক্ষের মতোই প্রাণবন্ত হয়েছে ক্রিকেট। আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানী, অন্যভাবে বললে ক্রিকেট-হৃৎপিণ্ডে!
একটা সময় আমিরাতের ক্রিকেট-যজ্ঞের কেন্দ্র ছিল শারজা। আর তার বেশির ভাগই ছিল পাকিস্তানকেন্দ্রিক। গত দুই দশকে তার অংশীদার হয়েছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। আরব আমিরাত যেন ক্রিকেটের জটিল সব সমীকরণ মেলানোর গ্রহণযোগ্য এক সূত্র।
২০১৮ এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল ভারত। সে সময় ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতা চরমে ওঠায় টুর্নামেন্টের পাশে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে যায়। রাজনৈতিক ঝামেলায় একটা অর্থকরী টুর্নামেন্ট ভেস্তে গেলে সবারই ক্ষতি—এ ভাবনায় একটা সমঝোতায় আসে এশীয় ক্রিকেটের পরাশক্তিরা। সমাধান হয় আমিরাত। ভারতের ব্যবস্থাপনায় সে টুর্নামেন্ট হয় দুবাই-আবুধাবিতে।
আশি-নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তান শারজায় ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে একটা সফরকারী দল হিসেবে। গত দুই দশকে আমিরাতে তাদের খেলতে হচ্ছে ‘হোমগ্রাউন্ড’ বানিয়ে। নিরাপত্তার ইস্যুতে পাকিস্তানে ওপরের সারির টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো সহজেই যেতে চায় না। আফগানিস্তান দল এখনো নিজের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারে না। তাদের বড় সহায় এই মরুর দেশ। পাকিস্তান-আফগানিস্তান কেন, ‘বিপদে’ পড়ে ভারতও ঠাঁই নিয়েছে আমিরাতে। গত বছর করোনায় যখন আইপিএল নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা, তখন সমাধান হয়ে এসেছে দুবাই-আবুধাবি। আইপিএল না হওয়া মানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি। সেই ক্ষতি ঠেকাতে গত বছর আইপিএলের তাঁবু পড়েছে মরুতেই।
এ বছর নিজের মাঠেই আইপিএল আয়োজন করেছিল ভারত। কিন্তু করোনার কাছে হার মেনে মাঝপথে টুর্নামেন্ট থেমে গেল। এই সংকট থেকে উতরে যাওয়ার বটিকা আবার সেই দুবাই-আবুধাবি। আইপিএলই নয়; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজকদের কাছে আকর্ষণীয় নাম আমিরাত। আর এবার প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় টুর্নামেন্ট (কোনো বিশ্বকাপ) হতে যাচ্ছে এখানে। আগামী মাসে মরুতেই হবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
জাভেদ মিয়াঁদাদ অবশ্য বলতে পারেন, আশির দশকেই আমিরাতে বড় বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছে। শারজার প্রতি ‘বড়ে মিয়া’র কী আত্মিক সম্পর্ক, ২০০৩ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘কাটিং এজে’ই পরিষ্কার। বইয়ে ‘শারজা’ নামে একটা অধ্যায়ই রেখেছেন মিয়াঁদাদ। সেটির শুরুতে লিখেছেন, ‘কে ভেবেছিল মধ্যপ্রাচ্যের একটি মরুর শহরে একদিন সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন হবে! একটি ক্রিকেটের কেন্দ্র হিসেবে শারজার আবির্ভাব খেলাটার জন্যই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার ক্রিকেটে।’ বইয়ের আরেক জায়গায় লিখেছেন, ‘ক্রিকেটের অনেক ভালো কিছুর শুরু এই শারজায়।
নতুন এক ঠিকানায় বিশ্বমানের ক্রিকেট রপ্তানি হয়েছে, আধুনিক ক্রিকেটে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বিস্তার ছিল এটি। ক্রিকেট যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে, তেমনি নিরপেক্ষ ভেন্যু হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানের দর্শকেরা দুই দেশের চিরবৈরিতা দূরে রেখে এক জায়গায় বসে সঠিক চেতনায় খেলাটা উপভোগ করেছে।’
মরুর দেশের প্রতি মিয়াঁদাদের ভালো লাগা আরও একটি কারণে। খেলোয়াড়ি জীবনের দুর্দান্ত কিছু কীর্তি তাঁর এখানেই। বিশেষ করে ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল শারজায় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের সেই ফাইনাল। ২৪৬ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে মিয়াঁদাদ অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দিয়েছিলেন চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা মেরে। যেটি আজও ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত।
শুধু মিয়াঁদাদই নন; ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তিই গৌরবের চিহ্ন এঁকেছেন মরুতে। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে কোকাকোলা কাপটা বিখ্যাত হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের টানা দুটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে। দর্শকেরা শুধু দেখেন ক্রিকেটারদের ক্রিকেটশৈলীই। তবে মরুর কন্ডিশনে একজন খেলোয়াড়কে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় তা টেন্ডুলকার নিজেই বলেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’-তে। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা কোকাকোলা কাপ ফাইনালের আগে নাকি তাঁর শরীরই চলছিল না। লিখেছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর শক্ত হয়ে গেল। বাথরুমে হেঁটে যাওয়াটাও কঠিন হলো। পানিশূন্যতায় এটা হতে পারে। আমি যথেষ্ট পানি খেয়েছিলাম। ক্যারিয়ারের যে হাতে গোনা কয়েকবার সকালে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সমস্যা হয়েছে, এটি ছিল তার একটি।’
এই চ্যালেঞ্জ উতরে পরের দিন শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ফাইনালে টেন্ডুলকার খেলেছিলেন ম্যাচ জেতানো ১৩৪ রানের ইনিংস। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন মার্সিডিজ এসএল ৬০০। টেন্ডুলকারের মার্সিডিজ পুরস্কারের কথা বলা বিশেষ কারণে। শারজার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দামি সব পুরস্কারের প্রচলন। মিয়াঁদাদ যেমন বলেছেন, ‘...শারজা প্রথম ভেন্যু, যেখানে ক্রিকেটারদের বড় অঙ্কের প্রাইজমানি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে।’
অবশ্য এই টাকাপয়সা নিয়ে একটা মজার স্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। পঞ্চম এশিয়া কাপ খেলতে ১৯৯৫ সালে মরুর দেশে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তৃত দিগন্তে পাখা মেলা শুরু হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ, হাসিবুল হোসেন, জাভেদ ওমরদের; যাঁরা প্রত্যেকে পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হিসেবে।
ওই এশিয়া কাপের কথা তুললেই বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুলের স্মৃতিতে ভেসে আসে মজার একটা ঘটনা, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড আমাদের হুমকি দিলেন ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার। আমরা ঘাবড়েই গেলাম! পেতামই মাত্র ৫০ ডলার ম্যাচ ফি। সেটিও হারানোর শঙ্কায়। পকেট-টকেট হাতড়ে লয়েডকে আমরা বললাম, যা আছে নিয়ে যান।’
‘আর্থিক ক্ষতি’র মুখে পড়তে গিয়ে কোনোভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। তবে বিপুল আর্থিক লাভের কথা ভেবেই আইসিসি তাদের সদর দপ্তর ইংল্যান্ড থেকে সরিয়ে দুবাইয়ে এনেছে। গত দুই দশকে আক্ষরিক অর্থেই সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানীতে। একটা সময় যে দেশে ক্রিকেট ছিল শুধুই শারজাকেন্দ্রিক, সেটি এখন আরও বিস্তৃত।
অবশ্য শুধু ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডেই নয়, মরুর দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ আছে ক্রিকেটের অন্ধকার জগতেরও! ফিক্সিং কিংবা ম্যাচ গড়াপেটার আলোচনা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে ‘দুবাই’ নামটাও।
আমজাদ হোসেনের নাটকের সংলাপ, ‘টাকা দাও দুবাই যামু’ ভীষণ জনপ্রিয় ছিল আশির দশকে। সেই সংলাপটা এখন একটু ঘুরিয়ে বলা যায়, ‘দুবাই যামু, ক্রিকেট দেখতে’। মজাটা হচ্ছে, গত চার দশকে যে দেশে ক্রিকেটের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড যতটা বিস্তৃত হয়েছে, তার তুলনায় ক্রিকেট খেলাটা সেই তিমিরেই থেকে গেল।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
মরুর রাজ্যে ক্রিকেটের বীজ বুনে দেওয়া হয়েছিল আশির দশকের শুরুতে। বিপুল আর্থিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার আর উন্নত ব্যবস্থাপনায় এই ধূসর ভূমে সবুজ বৃক্ষের মতোই প্রাণবন্ত হয়েছে ক্রিকেট। আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানী, অন্যভাবে বললে ক্রিকেট-হৃৎপিণ্ডে!
একটা সময় আমিরাতের ক্রিকেট-যজ্ঞের কেন্দ্র ছিল শারজা। আর তার বেশির ভাগই ছিল পাকিস্তানকেন্দ্রিক। গত দুই দশকে তার অংশীদার হয়েছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। আরব আমিরাত যেন ক্রিকেটের জটিল সব সমীকরণ মেলানোর গ্রহণযোগ্য এক সূত্র।
২০১৮ এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল ভারত। সে সময় ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতা চরমে ওঠায় টুর্নামেন্টের পাশে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে যায়। রাজনৈতিক ঝামেলায় একটা অর্থকরী টুর্নামেন্ট ভেস্তে গেলে সবারই ক্ষতি—এ ভাবনায় একটা সমঝোতায় আসে এশীয় ক্রিকেটের পরাশক্তিরা। সমাধান হয় আমিরাত। ভারতের ব্যবস্থাপনায় সে টুর্নামেন্ট হয় দুবাই-আবুধাবিতে।
আশি-নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তান শারজায় ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে একটা সফরকারী দল হিসেবে। গত দুই দশকে আমিরাতে তাদের খেলতে হচ্ছে ‘হোমগ্রাউন্ড’ বানিয়ে। নিরাপত্তার ইস্যুতে পাকিস্তানে ওপরের সারির টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো সহজেই যেতে চায় না। আফগানিস্তান দল এখনো নিজের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারে না। তাদের বড় সহায় এই মরুর দেশ। পাকিস্তান-আফগানিস্তান কেন, ‘বিপদে’ পড়ে ভারতও ঠাঁই নিয়েছে আমিরাতে। গত বছর করোনায় যখন আইপিএল নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা, তখন সমাধান হয়ে এসেছে দুবাই-আবুধাবি। আইপিএল না হওয়া মানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি। সেই ক্ষতি ঠেকাতে গত বছর আইপিএলের তাঁবু পড়েছে মরুতেই।
এ বছর নিজের মাঠেই আইপিএল আয়োজন করেছিল ভারত। কিন্তু করোনার কাছে হার মেনে মাঝপথে টুর্নামেন্ট থেমে গেল। এই সংকট থেকে উতরে যাওয়ার বটিকা আবার সেই দুবাই-আবুধাবি। আইপিএলই নয়; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজকদের কাছে আকর্ষণীয় নাম আমিরাত। আর এবার প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় টুর্নামেন্ট (কোনো বিশ্বকাপ) হতে যাচ্ছে এখানে। আগামী মাসে মরুতেই হবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
জাভেদ মিয়াঁদাদ অবশ্য বলতে পারেন, আশির দশকেই আমিরাতে বড় বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছে। শারজার প্রতি ‘বড়ে মিয়া’র কী আত্মিক সম্পর্ক, ২০০৩ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘কাটিং এজে’ই পরিষ্কার। বইয়ে ‘শারজা’ নামে একটা অধ্যায়ই রেখেছেন মিয়াঁদাদ। সেটির শুরুতে লিখেছেন, ‘কে ভেবেছিল মধ্যপ্রাচ্যের একটি মরুর শহরে একদিন সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন হবে! একটি ক্রিকেটের কেন্দ্র হিসেবে শারজার আবির্ভাব খেলাটার জন্যই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার ক্রিকেটে।’ বইয়ের আরেক জায়গায় লিখেছেন, ‘ক্রিকেটের অনেক ভালো কিছুর শুরু এই শারজায়।
নতুন এক ঠিকানায় বিশ্বমানের ক্রিকেট রপ্তানি হয়েছে, আধুনিক ক্রিকেটে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বিস্তার ছিল এটি। ক্রিকেট যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে, তেমনি নিরপেক্ষ ভেন্যু হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানের দর্শকেরা দুই দেশের চিরবৈরিতা দূরে রেখে এক জায়গায় বসে সঠিক চেতনায় খেলাটা উপভোগ করেছে।’
মরুর দেশের প্রতি মিয়াঁদাদের ভালো লাগা আরও একটি কারণে। খেলোয়াড়ি জীবনের দুর্দান্ত কিছু কীর্তি তাঁর এখানেই। বিশেষ করে ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল শারজায় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের সেই ফাইনাল। ২৪৬ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে মিয়াঁদাদ অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দিয়েছিলেন চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা মেরে। যেটি আজও ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত।
শুধু মিয়াঁদাদই নন; ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তিই গৌরবের চিহ্ন এঁকেছেন মরুতে। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে কোকাকোলা কাপটা বিখ্যাত হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের টানা দুটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে। দর্শকেরা শুধু দেখেন ক্রিকেটারদের ক্রিকেটশৈলীই। তবে মরুর কন্ডিশনে একজন খেলোয়াড়কে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় তা টেন্ডুলকার নিজেই বলেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’-তে। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা কোকাকোলা কাপ ফাইনালের আগে নাকি তাঁর শরীরই চলছিল না। লিখেছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর শক্ত হয়ে গেল। বাথরুমে হেঁটে যাওয়াটাও কঠিন হলো। পানিশূন্যতায় এটা হতে পারে। আমি যথেষ্ট পানি খেয়েছিলাম। ক্যারিয়ারের যে হাতে গোনা কয়েকবার সকালে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সমস্যা হয়েছে, এটি ছিল তার একটি।’
এই চ্যালেঞ্জ উতরে পরের দিন শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ফাইনালে টেন্ডুলকার খেলেছিলেন ম্যাচ জেতানো ১৩৪ রানের ইনিংস। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন মার্সিডিজ এসএল ৬০০। টেন্ডুলকারের মার্সিডিজ পুরস্কারের কথা বলা বিশেষ কারণে। শারজার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দামি সব পুরস্কারের প্রচলন। মিয়াঁদাদ যেমন বলেছেন, ‘...শারজা প্রথম ভেন্যু, যেখানে ক্রিকেটারদের বড় অঙ্কের প্রাইজমানি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে।’
অবশ্য এই টাকাপয়সা নিয়ে একটা মজার স্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। পঞ্চম এশিয়া কাপ খেলতে ১৯৯৫ সালে মরুর দেশে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তৃত দিগন্তে পাখা মেলা শুরু হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ, হাসিবুল হোসেন, জাভেদ ওমরদের; যাঁরা প্রত্যেকে পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হিসেবে।
ওই এশিয়া কাপের কথা তুললেই বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুলের স্মৃতিতে ভেসে আসে মজার একটা ঘটনা, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড আমাদের হুমকি দিলেন ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার। আমরা ঘাবড়েই গেলাম! পেতামই মাত্র ৫০ ডলার ম্যাচ ফি। সেটিও হারানোর শঙ্কায়। পকেট-টকেট হাতড়ে লয়েডকে আমরা বললাম, যা আছে নিয়ে যান।’
‘আর্থিক ক্ষতি’র মুখে পড়তে গিয়ে কোনোভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। তবে বিপুল আর্থিক লাভের কথা ভেবেই আইসিসি তাদের সদর দপ্তর ইংল্যান্ড থেকে সরিয়ে দুবাইয়ে এনেছে। গত দুই দশকে আক্ষরিক অর্থেই সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানীতে। একটা সময় যে দেশে ক্রিকেট ছিল শুধুই শারজাকেন্দ্রিক, সেটি এখন আরও বিস্তৃত।
অবশ্য শুধু ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডেই নয়, মরুর দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ আছে ক্রিকেটের অন্ধকার জগতেরও! ফিক্সিং কিংবা ম্যাচ গড়াপেটার আলোচনা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে ‘দুবাই’ নামটাও।
আমজাদ হোসেনের নাটকের সংলাপ, ‘টাকা দাও দুবাই যামু’ ভীষণ জনপ্রিয় ছিল আশির দশকে। সেই সংলাপটা এখন একটু ঘুরিয়ে বলা যায়, ‘দুবাই যামু, ক্রিকেট দেখতে’। মজাটা হচ্ছে, গত চার দশকে যে দেশে ক্রিকেটের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড যতটা বিস্তৃত হয়েছে, তার তুলনায় ক্রিকেট খেলাটা সেই তিমিরেই থেকে গেল।
রানা আব্বাস, ঢাকা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
মরুর রাজ্যে ক্রিকেটের বীজ বুনে দেওয়া হয়েছিল আশির দশকের শুরুতে। বিপুল আর্থিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার আর উন্নত ব্যবস্থাপনায় এই ধূসর ভূমে সবুজ বৃক্ষের মতোই প্রাণবন্ত হয়েছে ক্রিকেট। আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানী, অন্যভাবে বললে ক্রিকেট-হৃৎপিণ্ডে!
একটা সময় আমিরাতের ক্রিকেট-যজ্ঞের কেন্দ্র ছিল শারজা। আর তার বেশির ভাগই ছিল পাকিস্তানকেন্দ্রিক। গত দুই দশকে তার অংশীদার হয়েছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। আরব আমিরাত যেন ক্রিকেটের জটিল সব সমীকরণ মেলানোর গ্রহণযোগ্য এক সূত্র।
২০১৮ এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল ভারত। সে সময় ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতা চরমে ওঠায় টুর্নামেন্টের পাশে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে যায়। রাজনৈতিক ঝামেলায় একটা অর্থকরী টুর্নামেন্ট ভেস্তে গেলে সবারই ক্ষতি—এ ভাবনায় একটা সমঝোতায় আসে এশীয় ক্রিকেটের পরাশক্তিরা। সমাধান হয় আমিরাত। ভারতের ব্যবস্থাপনায় সে টুর্নামেন্ট হয় দুবাই-আবুধাবিতে।
আশি-নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তান শারজায় ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে একটা সফরকারী দল হিসেবে। গত দুই দশকে আমিরাতে তাদের খেলতে হচ্ছে ‘হোমগ্রাউন্ড’ বানিয়ে। নিরাপত্তার ইস্যুতে পাকিস্তানে ওপরের সারির টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো সহজেই যেতে চায় না। আফগানিস্তান দল এখনো নিজের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারে না। তাদের বড় সহায় এই মরুর দেশ। পাকিস্তান-আফগানিস্তান কেন, ‘বিপদে’ পড়ে ভারতও ঠাঁই নিয়েছে আমিরাতে। গত বছর করোনায় যখন আইপিএল নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা, তখন সমাধান হয়ে এসেছে দুবাই-আবুধাবি। আইপিএল না হওয়া মানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি। সেই ক্ষতি ঠেকাতে গত বছর আইপিএলের তাঁবু পড়েছে মরুতেই।
এ বছর নিজের মাঠেই আইপিএল আয়োজন করেছিল ভারত। কিন্তু করোনার কাছে হার মেনে মাঝপথে টুর্নামেন্ট থেমে গেল। এই সংকট থেকে উতরে যাওয়ার বটিকা আবার সেই দুবাই-আবুধাবি। আইপিএলই নয়; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজকদের কাছে আকর্ষণীয় নাম আমিরাত। আর এবার প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় টুর্নামেন্ট (কোনো বিশ্বকাপ) হতে যাচ্ছে এখানে। আগামী মাসে মরুতেই হবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
জাভেদ মিয়াঁদাদ অবশ্য বলতে পারেন, আশির দশকেই আমিরাতে বড় বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছে। শারজার প্রতি ‘বড়ে মিয়া’র কী আত্মিক সম্পর্ক, ২০০৩ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘কাটিং এজে’ই পরিষ্কার। বইয়ে ‘শারজা’ নামে একটা অধ্যায়ই রেখেছেন মিয়াঁদাদ। সেটির শুরুতে লিখেছেন, ‘কে ভেবেছিল মধ্যপ্রাচ্যের একটি মরুর শহরে একদিন সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন হবে! একটি ক্রিকেটের কেন্দ্র হিসেবে শারজার আবির্ভাব খেলাটার জন্যই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার ক্রিকেটে।’ বইয়ের আরেক জায়গায় লিখেছেন, ‘ক্রিকেটের অনেক ভালো কিছুর শুরু এই শারজায়।
নতুন এক ঠিকানায় বিশ্বমানের ক্রিকেট রপ্তানি হয়েছে, আধুনিক ক্রিকেটে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বিস্তার ছিল এটি। ক্রিকেট যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে, তেমনি নিরপেক্ষ ভেন্যু হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানের দর্শকেরা দুই দেশের চিরবৈরিতা দূরে রেখে এক জায়গায় বসে সঠিক চেতনায় খেলাটা উপভোগ করেছে।’
মরুর দেশের প্রতি মিয়াঁদাদের ভালো লাগা আরও একটি কারণে। খেলোয়াড়ি জীবনের দুর্দান্ত কিছু কীর্তি তাঁর এখানেই। বিশেষ করে ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল শারজায় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের সেই ফাইনাল। ২৪৬ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে মিয়াঁদাদ অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দিয়েছিলেন চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা মেরে। যেটি আজও ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত।
শুধু মিয়াঁদাদই নন; ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তিই গৌরবের চিহ্ন এঁকেছেন মরুতে। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে কোকাকোলা কাপটা বিখ্যাত হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের টানা দুটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে। দর্শকেরা শুধু দেখেন ক্রিকেটারদের ক্রিকেটশৈলীই। তবে মরুর কন্ডিশনে একজন খেলোয়াড়কে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় তা টেন্ডুলকার নিজেই বলেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’-তে। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা কোকাকোলা কাপ ফাইনালের আগে নাকি তাঁর শরীরই চলছিল না। লিখেছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর শক্ত হয়ে গেল। বাথরুমে হেঁটে যাওয়াটাও কঠিন হলো। পানিশূন্যতায় এটা হতে পারে। আমি যথেষ্ট পানি খেয়েছিলাম। ক্যারিয়ারের যে হাতে গোনা কয়েকবার সকালে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সমস্যা হয়েছে, এটি ছিল তার একটি।’
এই চ্যালেঞ্জ উতরে পরের দিন শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ফাইনালে টেন্ডুলকার খেলেছিলেন ম্যাচ জেতানো ১৩৪ রানের ইনিংস। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন মার্সিডিজ এসএল ৬০০। টেন্ডুলকারের মার্সিডিজ পুরস্কারের কথা বলা বিশেষ কারণে। শারজার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দামি সব পুরস্কারের প্রচলন। মিয়াঁদাদ যেমন বলেছেন, ‘...শারজা প্রথম ভেন্যু, যেখানে ক্রিকেটারদের বড় অঙ্কের প্রাইজমানি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে।’
অবশ্য এই টাকাপয়সা নিয়ে একটা মজার স্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। পঞ্চম এশিয়া কাপ খেলতে ১৯৯৫ সালে মরুর দেশে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তৃত দিগন্তে পাখা মেলা শুরু হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ, হাসিবুল হোসেন, জাভেদ ওমরদের; যাঁরা প্রত্যেকে পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হিসেবে।
ওই এশিয়া কাপের কথা তুললেই বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুলের স্মৃতিতে ভেসে আসে মজার একটা ঘটনা, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড আমাদের হুমকি দিলেন ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার। আমরা ঘাবড়েই গেলাম! পেতামই মাত্র ৫০ ডলার ম্যাচ ফি। সেটিও হারানোর শঙ্কায়। পকেট-টকেট হাতড়ে লয়েডকে আমরা বললাম, যা আছে নিয়ে যান।’
‘আর্থিক ক্ষতি’র মুখে পড়তে গিয়ে কোনোভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। তবে বিপুল আর্থিক লাভের কথা ভেবেই আইসিসি তাদের সদর দপ্তর ইংল্যান্ড থেকে সরিয়ে দুবাইয়ে এনেছে। গত দুই দশকে আক্ষরিক অর্থেই সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানীতে। একটা সময় যে দেশে ক্রিকেট ছিল শুধুই শারজাকেন্দ্রিক, সেটি এখন আরও বিস্তৃত।
অবশ্য শুধু ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডেই নয়, মরুর দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ আছে ক্রিকেটের অন্ধকার জগতেরও! ফিক্সিং কিংবা ম্যাচ গড়াপেটার আলোচনা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে ‘দুবাই’ নামটাও।
আমজাদ হোসেনের নাটকের সংলাপ, ‘টাকা দাও দুবাই যামু’ ভীষণ জনপ্রিয় ছিল আশির দশকে। সেই সংলাপটা এখন একটু ঘুরিয়ে বলা যায়, ‘দুবাই যামু, ক্রিকেট দেখতে’। মজাটা হচ্ছে, গত চার দশকে যে দেশে ক্রিকেটের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড যতটা বিস্তৃত হয়েছে, তার তুলনায় ক্রিকেট খেলাটা সেই তিমিরেই থেকে গেল।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
মরুর রাজ্যে ক্রিকেটের বীজ বুনে দেওয়া হয়েছিল আশির দশকের শুরুতে। বিপুল আর্থিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার আর উন্নত ব্যবস্থাপনায় এই ধূসর ভূমে সবুজ বৃক্ষের মতোই প্রাণবন্ত হয়েছে ক্রিকেট। আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানী, অন্যভাবে বললে ক্রিকেট-হৃৎপিণ্ডে!
একটা সময় আমিরাতের ক্রিকেট-যজ্ঞের কেন্দ্র ছিল শারজা। আর তার বেশির ভাগই ছিল পাকিস্তানকেন্দ্রিক। গত দুই দশকে তার অংশীদার হয়েছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। আরব আমিরাত যেন ক্রিকেটের জটিল সব সমীকরণ মেলানোর গ্রহণযোগ্য এক সূত্র।
২০১৮ এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল ভারত। সে সময় ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতা চরমে ওঠায় টুর্নামেন্টের পাশে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে যায়। রাজনৈতিক ঝামেলায় একটা অর্থকরী টুর্নামেন্ট ভেস্তে গেলে সবারই ক্ষতি—এ ভাবনায় একটা সমঝোতায় আসে এশীয় ক্রিকেটের পরাশক্তিরা। সমাধান হয় আমিরাত। ভারতের ব্যবস্থাপনায় সে টুর্নামেন্ট হয় দুবাই-আবুধাবিতে।
আশি-নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তান শারজায় ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছে একটা সফরকারী দল হিসেবে। গত দুই দশকে আমিরাতে তাদের খেলতে হচ্ছে ‘হোমগ্রাউন্ড’ বানিয়ে। নিরাপত্তার ইস্যুতে পাকিস্তানে ওপরের সারির টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো সহজেই যেতে চায় না। আফগানিস্তান দল এখনো নিজের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারে না। তাদের বড় সহায় এই মরুর দেশ। পাকিস্তান-আফগানিস্তান কেন, ‘বিপদে’ পড়ে ভারতও ঠাঁই নিয়েছে আমিরাতে। গত বছর করোনায় যখন আইপিএল নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা, তখন সমাধান হয়ে এসেছে দুবাই-আবুধাবি। আইপিএল না হওয়া মানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি। সেই ক্ষতি ঠেকাতে গত বছর আইপিএলের তাঁবু পড়েছে মরুতেই।
এ বছর নিজের মাঠেই আইপিএল আয়োজন করেছিল ভারত। কিন্তু করোনার কাছে হার মেনে মাঝপথে টুর্নামেন্ট থেমে গেল। এই সংকট থেকে উতরে যাওয়ার বটিকা আবার সেই দুবাই-আবুধাবি। আইপিএলই নয়; বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আয়োজকদের কাছে আকর্ষণীয় নাম আমিরাত। আর এবার প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় টুর্নামেন্ট (কোনো বিশ্বকাপ) হতে যাচ্ছে এখানে। আগামী মাসে মরুতেই হবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের মঞ্চ—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
জাভেদ মিয়াঁদাদ অবশ্য বলতে পারেন, আশির দশকেই আমিরাতে বড় বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছে। শারজার প্রতি ‘বড়ে মিয়া’র কী আত্মিক সম্পর্ক, ২০০৩ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘কাটিং এজে’ই পরিষ্কার। বইয়ে ‘শারজা’ নামে একটা অধ্যায়ই রেখেছেন মিয়াঁদাদ। সেটির শুরুতে লিখেছেন, ‘কে ভেবেছিল মধ্যপ্রাচ্যের একটি মরুর শহরে একদিন সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন হবে! একটি ক্রিকেটের কেন্দ্র হিসেবে শারজার আবির্ভাব খেলাটার জন্যই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার ক্রিকেটে।’ বইয়ের আরেক জায়গায় লিখেছেন, ‘ক্রিকেটের অনেক ভালো কিছুর শুরু এই শারজায়।
নতুন এক ঠিকানায় বিশ্বমানের ক্রিকেট রপ্তানি হয়েছে, আধুনিক ক্রিকেটে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক বিস্তার ছিল এটি। ক্রিকেট যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে, তেমনি নিরপেক্ষ ভেন্যু হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানের দর্শকেরা দুই দেশের চিরবৈরিতা দূরে রেখে এক জায়গায় বসে সঠিক চেতনায় খেলাটা উপভোগ করেছে।’
মরুর দেশের প্রতি মিয়াঁদাদের ভালো লাগা আরও একটি কারণে। খেলোয়াড়ি জীবনের দুর্দান্ত কিছু কীর্তি তাঁর এখানেই। বিশেষ করে ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল শারজায় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের সেই ফাইনাল। ২৪৬ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে মিয়াঁদাদ অবিস্মরণীয় এক জয় এনে দিয়েছিলেন চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা মেরে। যেটি আজও ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত।
শুধু মিয়াঁদাদই নন; ক্রিকেটের অনেক কিংবদন্তিই গৌরবের চিহ্ন এঁকেছেন মরুতে। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে কোকাকোলা কাপটা বিখ্যাত হয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের টানা দুটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে। দর্শকেরা শুধু দেখেন ক্রিকেটারদের ক্রিকেটশৈলীই। তবে মরুর কন্ডিশনে একজন খেলোয়াড়কে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় তা টেন্ডুলকার নিজেই বলেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’-তে। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা কোকাকোলা কাপ ফাইনালের আগে নাকি তাঁর শরীরই চলছিল না। লিখেছেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর শক্ত হয়ে গেল। বাথরুমে হেঁটে যাওয়াটাও কঠিন হলো। পানিশূন্যতায় এটা হতে পারে। আমি যথেষ্ট পানি খেয়েছিলাম। ক্যারিয়ারের যে হাতে গোনা কয়েকবার সকালে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সমস্যা হয়েছে, এটি ছিল তার একটি।’
এই চ্যালেঞ্জ উতরে পরের দিন শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ফাইনালে টেন্ডুলকার খেলেছিলেন ম্যাচ জেতানো ১৩৪ রানের ইনিংস। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন মার্সিডিজ এসএল ৬০০। টেন্ডুলকারের মার্সিডিজ পুরস্কারের কথা বলা বিশেষ কারণে। শারজার হাত ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দামি সব পুরস্কারের প্রচলন। মিয়াঁদাদ যেমন বলেছেন, ‘...শারজা প্রথম ভেন্যু, যেখানে ক্রিকেটারদের বড় অঙ্কের প্রাইজমানি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে।’
অবশ্য এই টাকাপয়সা নিয়ে একটা মজার স্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের। পঞ্চম এশিয়া কাপ খেলতে ১৯৯৫ সালে মরুর দেশে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তৃত দিগন্তে পাখা মেলা শুরু হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ, হাসিবুল হোসেন, জাভেদ ওমরদের; যাঁরা প্রত্যেকে পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হিসেবে।
ওই এশিয়া কাপের কথা তুললেই বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুলের স্মৃতিতে ভেসে আসে মজার একটা ঘটনা, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড আমাদের হুমকি দিলেন ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার। আমরা ঘাবড়েই গেলাম! পেতামই মাত্র ৫০ ডলার ম্যাচ ফি। সেটিও হারানোর শঙ্কায়। পকেট-টকেট হাতড়ে লয়েডকে আমরা বললাম, যা আছে নিয়ে যান।’
‘আর্থিক ক্ষতি’র মুখে পড়তে গিয়ে কোনোভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। তবে বিপুল আর্থিক লাভের কথা ভেবেই আইসিসি তাদের সদর দপ্তর ইংল্যান্ড থেকে সরিয়ে দুবাইয়ে এনেছে। গত দুই দশকে আক্ষরিক অর্থেই সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিণত হয়েছে ক্রিকেটের রাজধানীতে। একটা সময় যে দেশে ক্রিকেট ছিল শুধুই শারজাকেন্দ্রিক, সেটি এখন আরও বিস্তৃত।
অবশ্য শুধু ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডেই নয়, মরুর দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ আছে ক্রিকেটের অন্ধকার জগতেরও! ফিক্সিং কিংবা ম্যাচ গড়াপেটার আলোচনা উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে ‘দুবাই’ নামটাও।
আমজাদ হোসেনের নাটকের সংলাপ, ‘টাকা দাও দুবাই যামু’ ভীষণ জনপ্রিয় ছিল আশির দশকে। সেই সংলাপটা এখন একটু ঘুরিয়ে বলা যায়, ‘দুবাই যামু, ক্রিকেট দেখতে’। মজাটা হচ্ছে, গত চার দশকে যে দেশে ক্রিকেটের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড যতটা বিস্তৃত হয়েছে, তার তুলনায় ক্রিকেট খেলাটা সেই তিমিরেই থেকে গেল।

নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসিকে অমর করে রখতে চায় বার্সেলোনা। এজন্য হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুর বাইরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালানরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা।
৮ ঘণ্টা আগে
বাছাইপর্বে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দল জেতানোর পথে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছুঁয়েছেন ৪০০ গোলের মাইলফলক। এমন দারুণ একটি ম্যাচ শেষে এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স।
৯ ঘণ্টা আগে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজের মারকুটে ব্যাটিং স্বামর্থ্যের প্রমাণ দেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১০১ রান করে আইপিএল ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। এবার এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সূর্যবংশী। বসেছেন র
১০ ঘণ্টা আগে
হামজা চৌধুরী কি কখনো গোলকিপিং করেছেন? হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন, গতকাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাটায় ৯০ মিনিটের খেলায় খেলেছেন ৮০ মিনিটের মতো। মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ—সর্বত্র নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসিকে অমর করে রখতে চায় বার্সেলোনা। এজন্য হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুর বাইরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালানরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা।
২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সার জার্সিতে খেলেছেন মেসি। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে স্প্যানিশ জায়ান্ট শিবির ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমান এই ফুটবলার। ফ্রান্সের রাজধানী পাড়ার ক্লাবটিতে দুই মৌসুমে কাটিয়ে বর্তমানে মেজর লিগ সকারের ক্লাব (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন মেসি। সম্প্রতি কাউকে না জানিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে হাজির হন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই মধ্যে এবার মেসির ভাস্কর্য তৈরির ঘোষণা দিলেন লাপোর্তা। এজন্য মেসির পরিবারের অনুমতি দরকার বলেও জানিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে বার্সার দুই কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ ও লাসলো কুবালার পাশে মেসির ভাস্কর্য তৈরি করবে বার্সা।
একটি বইয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে লাপোর্তা বলেন, ‘মেসির ভাস্কর্য তৈরি করতে পাররে আমাদের ভালো লাগবে। বার্সার কিংবদন্তি ফুটবলারদের পাশে মেসির ভাস্কর্য দেখতে পেলে ভক্তরা খুশি হবে। বোর্ড মিটিংয়ে আমরা সহকর্মীরা সবসময়ই ভাবি, মেসির জন্য আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন। ক্রুইফ ও কুবালার মতো তাঁর একটা ভাস্কর্য থাকলে ভালো হয়। কারণ এই দুইজনের মতো মেসিও কিংবদন্তি ফুটবলার।’
ইতোমধ্যে মেসির ভাস্কর্য্যের নকশা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বার্সা। এখন কেবল মেসির পরিবারের সম্মতির অপেক্ষা। লাপোর্তা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। মেসির পরিবারের সম্মতি থাকতে হবে। আমার ভাস্কর্য নকশা হয়ে গেলে প্রস্তাব দেব। নতুন স্টেডিয়ামে বার্সায় সব কিংবদন্তির মতো মেসির ভাস্কর্য থাকলে দারুণ হবে।’

নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসিকে অমর করে রখতে চায় বার্সেলোনা। এজন্য হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুর বাইরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালানরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা।
২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সার জার্সিতে খেলেছেন মেসি। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে স্প্যানিশ জায়ান্ট শিবির ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমান এই ফুটবলার। ফ্রান্সের রাজধানী পাড়ার ক্লাবটিতে দুই মৌসুমে কাটিয়ে বর্তমানে মেজর লিগ সকারের ক্লাব (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন মেসি। সম্প্রতি কাউকে না জানিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে হাজির হন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরই মধ্যে এবার মেসির ভাস্কর্য তৈরির ঘোষণা দিলেন লাপোর্তা। এজন্য মেসির পরিবারের অনুমতি দরকার বলেও জানিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে বার্সার দুই কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ ও লাসলো কুবালার পাশে মেসির ভাস্কর্য তৈরি করবে বার্সা।
একটি বইয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে লাপোর্তা বলেন, ‘মেসির ভাস্কর্য তৈরি করতে পাররে আমাদের ভালো লাগবে। বার্সার কিংবদন্তি ফুটবলারদের পাশে মেসির ভাস্কর্য দেখতে পেলে ভক্তরা খুশি হবে। বোর্ড মিটিংয়ে আমরা সহকর্মীরা সবসময়ই ভাবি, মেসির জন্য আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন। ক্রুইফ ও কুবালার মতো তাঁর একটা ভাস্কর্য থাকলে ভালো হয়। কারণ এই দুইজনের মতো মেসিও কিংবদন্তি ফুটবলার।’
ইতোমধ্যে মেসির ভাস্কর্য্যের নকশা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বার্সা। এখন কেবল মেসির পরিবারের সম্মতির অপেক্ষা। লাপোর্তা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। মেসির পরিবারের সম্মতি থাকতে হবে। আমার ভাস্কর্য নকশা হয়ে গেলে প্রস্তাব দেব। নতুন স্টেডিয়ামে বার্সায় সব কিংবদন্তির মতো মেসির ভাস্কর্য থাকলে দারুণ হবে।’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাছাইপর্বে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দল জেতানোর পথে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছুঁয়েছেন ৪০০ গোলের মাইলফলক। এমন দারুণ একটি ম্যাচ শেষে এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স।
৯ ঘণ্টা আগে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজের মারকুটে ব্যাটিং স্বামর্থ্যের প্রমাণ দেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১০১ রান করে আইপিএল ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। এবার এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সূর্যবংশী। বসেছেন র
১০ ঘণ্টা আগে
হামজা চৌধুরী কি কখনো গোলকিপিং করেছেন? হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন, গতকাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাটায় ৯০ মিনিটের খেলায় খেলেছেন ৮০ মিনিটের মতো। মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ—সর্বত্র নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বাছাইপর্বে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দল জেতানোর পথে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছুঁয়েছেন ৪০০ গোলের মাইলফলক। এমন দারুণ একটি ম্যাচ শেষে এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স।
সাবেক ক্লাব পিএসজির মাঠে ইউক্রেনের বিপক্ষে খেলতে নেমে স্বরূপেই ছিলেন এমবাপ্পে। পুরো সময়ই মাঠে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের প্রাণ। ম্যাচের পর অপ্রত্যাশিতভাবে ফ্রান্স জাতীয় দল ছেড়ে স্পেনের ফ্লাইটে উঠেছেন এমবাপ্পে।
আন্তর্জাতিক বিরতির মাঝপথে এমবাপ্পে জাতীয় দল ছেড়ে যাওয়ায় শুরুতে অবাক হয়েছিল সবাই। তবে এর পেছনের কারণ জানতেও বেশ সময় লাগেনি। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন জানায়, গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন এমবাপ্পে। চোটাক্রান্ত স্থানে ফোলা ও ব্যথা থাকায় প্রধান কোচ দিদিয়ের দেশম ও মেডিকেল টিমের সিদ্ধান্তে তাঁকে রিয়ালে পাঠানো হয়েছে। মাদ্রিদ পৌঁছে আজই স্ক্যান করানোর কথা রয়েছে এমবাপ্পের।
এমবাপ্পের চোট নিয়ে অবশ্য শঙ্কার কিছু থাকছে না রিয়াল এবং ফ্রান্সের ভক্তদের জন্য। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, এমবাপ্পের চোট তেমন গুরুতর নয়। অর্থাৎ মাঠে ফিরতে বেশি সময় লাগবে না সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজনের।
বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ১৬ নভেম্বর আজারবাইজানের মাঠে খেলবে ফ্রান্স। চোট গুরুতর না হলেও সে ম্যাচে যে এমবাপ্পে খেলতে পারবেন না সেটা নিশ্চিত। সেরা তারকা না খেললেও মাথা ব্যথার কারণ নেই ফ্রান্সের। মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় ম্যাচটি কেবলমাত্র নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য।
৫ ম্যাচে ৪ জয়ের পাশাপাশি একটিতে ড্র করেছে ফ্রান্স। ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দুইয়ে অবস্থান করছে আইসল্যান্ড।

বাছাইপর্বে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দল জেতানোর পথে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছুঁয়েছেন ৪০০ গোলের মাইলফলক। এমন দারুণ একটি ম্যাচ শেষে এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স।
সাবেক ক্লাব পিএসজির মাঠে ইউক্রেনের বিপক্ষে খেলতে নেমে স্বরূপেই ছিলেন এমবাপ্পে। পুরো সময়ই মাঠে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের প্রাণ। ম্যাচের পর অপ্রত্যাশিতভাবে ফ্রান্স জাতীয় দল ছেড়ে স্পেনের ফ্লাইটে উঠেছেন এমবাপ্পে।
আন্তর্জাতিক বিরতির মাঝপথে এমবাপ্পে জাতীয় দল ছেড়ে যাওয়ায় শুরুতে অবাক হয়েছিল সবাই। তবে এর পেছনের কারণ জানতেও বেশ সময় লাগেনি। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন জানায়, গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন এমবাপ্পে। চোটাক্রান্ত স্থানে ফোলা ও ব্যথা থাকায় প্রধান কোচ দিদিয়ের দেশম ও মেডিকেল টিমের সিদ্ধান্তে তাঁকে রিয়ালে পাঠানো হয়েছে। মাদ্রিদ পৌঁছে আজই স্ক্যান করানোর কথা রয়েছে এমবাপ্পের।
এমবাপ্পের চোট নিয়ে অবশ্য শঙ্কার কিছু থাকছে না রিয়াল এবং ফ্রান্সের ভক্তদের জন্য। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, এমবাপ্পের চোট তেমন গুরুতর নয়। অর্থাৎ মাঠে ফিরতে বেশি সময় লাগবে না সময়ের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজনের।
বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ১৬ নভেম্বর আজারবাইজানের মাঠে খেলবে ফ্রান্স। চোট গুরুতর না হলেও সে ম্যাচে যে এমবাপ্পে খেলতে পারবেন না সেটা নিশ্চিত। সেরা তারকা না খেললেও মাথা ব্যথার কারণ নেই ফ্রান্সের। মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় ম্যাচটি কেবলমাত্র নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জন্য।
৫ ম্যাচে ৪ জয়ের পাশাপাশি একটিতে ড্র করেছে ফ্রান্স। ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দুইয়ে অবস্থান করছে আইসল্যান্ড।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসিকে অমর করে রখতে চায় বার্সেলোনা। এজন্য হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুর বাইরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালানরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা।
৮ ঘণ্টা আগে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজের মারকুটে ব্যাটিং স্বামর্থ্যের প্রমাণ দেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১০১ রান করে আইপিএল ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। এবার এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সূর্যবংশী। বসেছেন র
১০ ঘণ্টা আগে
হামজা চৌধুরী কি কখনো গোলকিপিং করেছেন? হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন, গতকাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাটায় ৯০ মিনিটের খেলায় খেলেছেন ৮০ মিনিটের মতো। মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ—সর্বত্র নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।
১১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজের মারকুটে ব্যাটিং স্বামর্থ্যের প্রমাণ দেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১০১ রান করে আইপিএল ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। এবার এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সূর্যবংশী। বসেছেন রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্তের পাশে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত ‘এ’ দল। দোহার ওয়েস্ট অ্যান্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৯৭ রান তোলে তারা। দলকে বিশাল পুঁজি এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন সূর্যবংশী। মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১৪৪ রান। এই ব্যাটারের ৩২ বলের ইনিংসটা সাজানো ১৫ ছক্কা ও ১১ চারে।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এটা টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। সমান বলে সেঞ্চুরি হাঁকান রোহিত ও পন্ত। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি অভিষেক শর্মা ও উর্ভিল প্যাটেলের দখলে। তাঁরা দুজনেই ২৮ বলে সেঞ্চুরি করেছেন।
রেকর্ডের পরিবর্তে সূর্যবংশীর জন্য দিনটা বাজে যেতে পারতো। শূন্য রানেই জীবন পান তিনি। নতুন জীবন পেয়ে এর সঠিক ব্যবহারই করেছেন। তাঁকে আউট করতে না পারার সুযোগ হাতছাড়া করার চড়া মূল্য দিতে হয়েছে আরব আমিরাতের বোলারদের। সূর্যবংশীকে যেন বল করতেই ভয় পাচ্ছিলেন আরব আমিরাতের বোলাররা।
রেকর্ড সেঞ্চুরি করার পথে মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করেন সূর্যবংশী। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের ঘরে যেতে খেলেন ৩৩ বল। মুহাম্মাদ আরফানের বলে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সূর্যবংশী। টি–টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ৩৪২।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজের মারকুটে ব্যাটিং স্বামর্থ্যের প্রমাণ দেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১০১ রান করে আইপিএল ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। এবার এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সূর্যবংশী। বসেছেন রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্তের পাশে।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত ‘এ’ দল। দোহার ওয়েস্ট অ্যান্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৯৭ রান তোলে তারা। দলকে বিশাল পুঁজি এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন সূর্যবংশী। মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১৪৪ রান। এই ব্যাটারের ৩২ বলের ইনিংসটা সাজানো ১৫ ছক্কা ও ১১ চারে।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে এটা টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। সমান বলে সেঞ্চুরি হাঁকান রোহিত ও পন্ত। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি অভিষেক শর্মা ও উর্ভিল প্যাটেলের দখলে। তাঁরা দুজনেই ২৮ বলে সেঞ্চুরি করেছেন।
রেকর্ডের পরিবর্তে সূর্যবংশীর জন্য দিনটা বাজে যেতে পারতো। শূন্য রানেই জীবন পান তিনি। নতুন জীবন পেয়ে এর সঠিক ব্যবহারই করেছেন। তাঁকে আউট করতে না পারার সুযোগ হাতছাড়া করার চড়া মূল্য দিতে হয়েছে আরব আমিরাতের বোলারদের। সূর্যবংশীকে যেন বল করতেই ভয় পাচ্ছিলেন আরব আমিরাতের বোলাররা।
রেকর্ড সেঞ্চুরি করার পথে মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করেন সূর্যবংশী। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের ঘরে যেতে খেলেন ৩৩ বল। মুহাম্মাদ আরফানের বলে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সূর্যবংশী। টি–টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ৩৪২।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসিকে অমর করে রখতে চায় বার্সেলোনা। এজন্য হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুর বাইরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালানরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা।
৮ ঘণ্টা আগে
বাছাইপর্বে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দল জেতানোর পথে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছুঁয়েছেন ৪০০ গোলের মাইলফলক। এমন দারুণ একটি ম্যাচ শেষে এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স।
৯ ঘণ্টা আগে
হামজা চৌধুরী কি কখনো গোলকিপিং করেছেন? হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন, গতকাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাটায় ৯০ মিনিটের খেলায় খেলেছেন ৮০ মিনিটের মতো। মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ—সর্বত্র নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হামজা চৌধুরী কি কখনো গোলকিপিং করেছেন? হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন, গতকাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাটায় ৯০ মিনিটের খেলায় খেলেছেন ৮০ মিনিটের মতো। মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ—সর্বত্র নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।
সাম্প্রতিক সময়ে গোল বাংলাদেশের কাছে সোনার হরিণের মতো। কোনো ম্যাচের আগে অবধারিতভাবে ফুটবলারদের কাছে প্রশ্ন থাকে, গোল করা নিয়ে কীভাবে কাজ করছেন। হামজা ফরোয়ার্ড নন, তবু তাঁর দিকে একই প্রশ্ন না করে উপায় ছিল না। নিজের স্বভাবজাত হাসিতে তখন হামজা বলে দেন, ‘চেষ্টা করব’। সেই চেষ্টার ফসল এতটাই যে, ৬ ম্যাচ খেলে নামের পাশে ৪ গোল যোগ করে ফেলেছেন তিনি। আর গতকাল যা করলেন, রীতিমতো অবিশ্বাস্য, অভাবনীয় ও অকল্পনীয় কোনো বিশেষণেই তা ফেলা যায় না।
ওভারহেড কিকে গোল—তা-ও একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের কাছ থেকে। বাংলাদেশ কেন, ফুটবল দুনিয়াতেই তা বিরল। এমনই এক গোল শোরগোল ফেলে দিয়েছে। আবার সেটাও ঠিক তেমন মুহূর্তে, যেমন পরিস্থিতিতে এমন গোল করার জন্য বাংলাদেশের আছেন এক হামজাই! যাঁর খেলায় মিশে আছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ছোঁয়া।
জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে হামজার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। বিরতির পর প্রথম মিনিটেই কাটা দিয়ে উঠল গায়ের লোম। জামালের বাড়ানো ভলি পেয়ে কোনো বিকল্প চিন্তা না করে হাওয়ায় ভেসে গেলেন হামজা। দুই পা ছড়িয়ে অসাধারণ এক সামঞ্জস্যে কোনাকুনিভাবে বল ফেললেন জালে।
গ্যালারি থেকে কেউ গর্জে উঠলেন, কেউবা হতবাক হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। ঠিক এর চার মিনিট পর আবারও হামজা জাদুতে মুগ্ধ হতে হয়। পেনাল্টিতে এমন একটি শট নিলেন, যা আপনি ইউরোপিয়ান বা লাতিন ফুটবলে দেখে অভ্যস্ত। পানেনকা শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বনে যেতে দেখাও এক অন্য রকম প্রশান্তির। হামজা সেটাই করেছেন।
বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর প্রথম গোলটি এসেছিল হেড থেকে। এরপর হংকংয়ের বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে গোল। ওভারহেড–পানেনকা সবকিছুতেই যেন পটু। রক্ষণের কথা নিশ্চয় আলাদা করে না বললে নয়। আক্রমণ প্রতিহত করা থেকে শুরু করে ওপরে ওঠার কাজটা এই মুহূর্তে তাঁর চেয়ে ভালো আর কেইবা পারে। বাংলাদেশ দলে শুধু গোলকিপিং করাটাই বাকি রেখেছেন তিনি। করতে দিলে হয়তো হতাশ করবেন না। ঠিক যেমন নেপাল কোচ হরি খড়কা বলছিলেন, ‘এটা তো কোচের কৌশল (হামজাকে তুলে নেওয়া)। তবে আমি মনে করি, যদি হামজা খেলত, তাহলে আমাদের দ্বিতীয় গোল পাওয়াটা কঠিন হতো।’
নিজের একক নৈপুণ্য দেখানোর পরও ২–২ গোলের ড্রয়ে হামজা আড়াল করতে পারলেন না হতাশা, ‘আবারও হতাশাময় এক সমাপ্তি, যে ম্যাচটিতে আমাদের জেতা উচিত ছিল। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সব সময়ের মতোই ধন্যবাদ। একতাবদ্ধ থাকতে হবে আমাদের। সবাইকে মিলে তৈরি হতে হবে বড় ম্যাচের জন্য।’
সেই বড় ম্যাচটা ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে। কোচ হাভিয়ের কাবেরাকে কৌশল সাজাতে হবে হামজাকে কেন্দ্র করেই। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাকমতো কি করতে পারছেন তিনি? নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে রাকিব হোসেনকে বাঁয়ে ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে ডানে খেলান তিনি। দুজন কোনোভাবেই একে অপরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁদের সহজাত পজিশনে ফেরানোর পরই বদলে যেতে শুরু করে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের চিত্র।
সাংবাদিকদের জন্য বরাবরই অনুশীলন দরজা বন্ধ রাখেন কাবরেরা। অথচ শেষ মুহূর্তে নেপালকে সমতায় ফেরানো গোল করা অনন্ত তামাং খেলেন বাংলাদেশি ক্লাব ফর্টিস এফসির হয়ে। সেই ফর্টিসের বিপক্ষেই কিছুদিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দিনশেষে কাবরেরা কী পেলেন, তা আর বলে দেওয়ার কিছু নেই। আগামীকাল আসা ভারতীয় দলের বিপক্ষে কী কৌশল সাজাবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

হামজা চৌধুরী কি কখনো গোলকিপিং করেছেন? হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন, গতকাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাটায় ৯০ মিনিটের খেলায় খেলেছেন ৮০ মিনিটের মতো। মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ—সর্বত্র নিংড়ে দিয়েছেন নিজেকে।
সাম্প্রতিক সময়ে গোল বাংলাদেশের কাছে সোনার হরিণের মতো। কোনো ম্যাচের আগে অবধারিতভাবে ফুটবলারদের কাছে প্রশ্ন থাকে, গোল করা নিয়ে কীভাবে কাজ করছেন। হামজা ফরোয়ার্ড নন, তবু তাঁর দিকে একই প্রশ্ন না করে উপায় ছিল না। নিজের স্বভাবজাত হাসিতে তখন হামজা বলে দেন, ‘চেষ্টা করব’। সেই চেষ্টার ফসল এতটাই যে, ৬ ম্যাচ খেলে নামের পাশে ৪ গোল যোগ করে ফেলেছেন তিনি। আর গতকাল যা করলেন, রীতিমতো অবিশ্বাস্য, অভাবনীয় ও অকল্পনীয় কোনো বিশেষণেই তা ফেলা যায় না।
ওভারহেড কিকে গোল—তা-ও একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের কাছ থেকে। বাংলাদেশ কেন, ফুটবল দুনিয়াতেই তা বিরল। এমনই এক গোল শোরগোল ফেলে দিয়েছে। আবার সেটাও ঠিক তেমন মুহূর্তে, যেমন পরিস্থিতিতে এমন গোল করার জন্য বাংলাদেশের আছেন এক হামজাই! যাঁর খেলায় মিশে আছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ছোঁয়া।
জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে হামজার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। বিরতির পর প্রথম মিনিটেই কাটা দিয়ে উঠল গায়ের লোম। জামালের বাড়ানো ভলি পেয়ে কোনো বিকল্প চিন্তা না করে হাওয়ায় ভেসে গেলেন হামজা। দুই পা ছড়িয়ে অসাধারণ এক সামঞ্জস্যে কোনাকুনিভাবে বল ফেললেন জালে।
গ্যালারি থেকে কেউ গর্জে উঠলেন, কেউবা হতবাক হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। ঠিক এর চার মিনিট পর আবারও হামজা জাদুতে মুগ্ধ হতে হয়। পেনাল্টিতে এমন একটি শট নিলেন, যা আপনি ইউরোপিয়ান বা লাতিন ফুটবলে দেখে অভ্যস্ত। পানেনকা শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বনে যেতে দেখাও এক অন্য রকম প্রশান্তির। হামজা সেটাই করেছেন।
বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর প্রথম গোলটি এসেছিল হেড থেকে। এরপর হংকংয়ের বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে গোল। ওভারহেড–পানেনকা সবকিছুতেই যেন পটু। রক্ষণের কথা নিশ্চয় আলাদা করে না বললে নয়। আক্রমণ প্রতিহত করা থেকে শুরু করে ওপরে ওঠার কাজটা এই মুহূর্তে তাঁর চেয়ে ভালো আর কেইবা পারে। বাংলাদেশ দলে শুধু গোলকিপিং করাটাই বাকি রেখেছেন তিনি। করতে দিলে হয়তো হতাশ করবেন না। ঠিক যেমন নেপাল কোচ হরি খড়কা বলছিলেন, ‘এটা তো কোচের কৌশল (হামজাকে তুলে নেওয়া)। তবে আমি মনে করি, যদি হামজা খেলত, তাহলে আমাদের দ্বিতীয় গোল পাওয়াটা কঠিন হতো।’
নিজের একক নৈপুণ্য দেখানোর পরও ২–২ গোলের ড্রয়ে হামজা আড়াল করতে পারলেন না হতাশা, ‘আবারও হতাশাময় এক সমাপ্তি, যে ম্যাচটিতে আমাদের জেতা উচিত ছিল। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সব সময়ের মতোই ধন্যবাদ। একতাবদ্ধ থাকতে হবে আমাদের। সবাইকে মিলে তৈরি হতে হবে বড় ম্যাচের জন্য।’
সেই বড় ম্যাচটা ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে। কোচ হাভিয়ের কাবেরাকে কৌশল সাজাতে হবে হামজাকে কেন্দ্র করেই। কিন্তু নিজের কাজটা ঠিকঠাকমতো কি করতে পারছেন তিনি? নেপালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে রাকিব হোসেনকে বাঁয়ে ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে ডানে খেলান তিনি। দুজন কোনোভাবেই একে অপরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁদের সহজাত পজিশনে ফেরানোর পরই বদলে যেতে শুরু করে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের চিত্র।
সাংবাদিকদের জন্য বরাবরই অনুশীলন দরজা বন্ধ রাখেন কাবরেরা। অথচ শেষ মুহূর্তে নেপালকে সমতায় ফেরানো গোল করা অনন্ত তামাং খেলেন বাংলাদেশি ক্লাব ফর্টিস এফসির হয়ে। সেই ফর্টিসের বিপক্ষেই কিছুদিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দিনশেষে কাবরেরা কী পেলেন, তা আর বলে দেওয়ার কিছু নেই। আগামীকাল আসা ভারতীয় দলের বিপক্ষে কী কৌশল সাজাবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গত শনিবার রাজস্থান-দিল্লির ম্যাচে টিভি ক্যামেরা (ড্রোন ক্যামেরাই হবে) আবুধাবি স্টেডিয়ামের বাইরের দৃশ্য দেখাচ্ছিল। চোখে পড়ল ঊষর মরভূমিতে চোখজুড়ানো টুকরো টুকরো সবুজ ভূমি।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিজেদের ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসিকে অমর করে রখতে চায় বার্সেলোনা। এজন্য হোম ভেন্যু ক্যাম্প ন্যুর বাইরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাস্কর্য স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতালানরা। এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা।
৮ ঘণ্টা আগে
বাছাইপর্বে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স। দল জেতানোর পথে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছুঁয়েছেন ৪০০ গোলের মাইলফলক। এমন দারুণ একটি ম্যাচ শেষে এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স।
৯ ঘণ্টা আগে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ আসরে নিজের মারকুটে ব্যাটিং স্বামর্থ্যের প্রমাণ দেন বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১০১ রান করে আইপিএল ইতিহাসে জায়গা করে নেন এই ব্যাটার। এবার এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টেও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সূর্যবংশী। বসেছেন র
১০ ঘণ্টা আগে