Ajker Patrika

নির্বাচনের আগেই পে কমিশন বাস্তবায়ন ও গেজেট চান সরকারি কর্মচারীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২২
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নবম পে স্কেল গেজেট প্রকাশ বাস্তবায়ন’-এর দাবিতে প্রতিনিধি সমাবেশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নবম পে স্কেল গেজেট প্রকাশ বাস্তবায়ন’-এর দাবিতে প্রতিনিধি সমাবেশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই পে কমিশন বাস্তবায়ন ও নবম পে স্কেল গেজেট জারির দাবি করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নবম পে স্কেল গেজেট প্রকাশ বাস্তবায়ন’-এর দাবিতে আয়োজিত প্রতিনিধি সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বলা হয়, পে স্কেল বাস্তবায়ন করা না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে পরিষদের সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘পে কমিশন নির্বাচনের আগেই দিতে হবে। এটির বাস্তবায়ন না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। ১ ডিসেম্বর থেকে যত দিন পর্যন্ত পে কমিশন বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

অন্য বক্তারা বলেন, বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং তা নভেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এগুলো না করা হলে কর্মচারীরা সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে সারা দেশের সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গত বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে স্কেলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী নয়, বরং আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বেতন কমিশনের প্রতিবেদন (বেতনকাঠামো) চূড়ান্ত করে যাবে।

অর্থ উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এ দাবি জানাল।

সমাবেশে অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বেতনকাঠামোর বৈষম্য দূর করা এবং নবম পে স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। এটা যৌক্তিক দাবি এবং তা নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়ন করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আবু বক্কর ওরফে আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
আবু বক্কর ওরফে আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত আবু বক্কর ওরফে আসিফ (২২) নামের সৌদিপ্রবাসী যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, যুবকের স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় যুবকের স্ত্রীকেও আসামি করে মামলা করবে তারা।

নিহত আসিফ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের কেন্ডা গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে। ৮ নভেম্বর আসিফ সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।

নিহত আসিফের ছোট ভাই আরাফাত হোসেন জানান, তাঁর ভাই সৌদি আরবে থাকেন। দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। গত ২৭ অক্টোবর জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। ৮ নভেম্বর দুপুরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। এ দিন সন্ধ্যায় শ্যালককে নিয়ে বাজারে ঘুরতে যান আসিফ। বাজার করা শেষে হেঁটে শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। আবদুল্লাহপুর এলাকায় সাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সেখানে আগ থেকে ওত পেতে থাকা বাপ্পি ও পারভেজ নামের দুই যুবক আসিফকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকালে সেখানে মারা যান তিনি।

আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা পরে জানতে পারি, বাপ্পি নামের এক যুবকের সঙ্গে ভাবির বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেও জড়িত রয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আদালতে ভাবিকে আসামি করে হত্যা মামলা করব।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে ভাবি সদর দক্ষিণ থানায় ছুরিকাঘাতের একটি মামলা করেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে আসিফের স্ত্রীর বাবা বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিয়ের আগে আমার মেয়ের সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করত না। আমি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘ঘটনার দিন নিহত আসিফ শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত বাপ্পি ও পারভেজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এর জেরে তারা আসিফকে ছুরিকাঘাত করে। অভিযুক্তরা খারাপ প্রকৃতির। আমরা ৮ নভেম্বর রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিই। শুনেছি, শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসিফ মারা গেছেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’ আসিফ হত্যায় তাঁর স্ত্রী জড়িত কি না—জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২৬ টুকরা আশরাফুল: মূল আসামি জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪১
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত
ইনসেটে আশরাফুল হক। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের কাছে ড্রাম থেকে রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের (৪৩) খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে আশরাফুলের বন্ধু জরেজ ও তাঁর প্রেমিকা শামীমা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জরেজকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে হত্যার ঘটনায় আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

জরেজের প্রেমিকা শামীমাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব। অন্যদিকে জরেজকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রূপগঞ্জ বিএনপির সহসভাপতির বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
আলমগীর হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমগীর হোসেন নিজেই। তিনি বলেন, ‘দল থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে আমার বহিষ্কারাদেশ তুলে দেওয়া হয়েছে।’

প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাকসুর ভোট গ্রহণ ১৭ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দীন চৌধুরী এ তারিখ ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় প্রশাসনিক ভবন-১-এর সভাকক্ষে উপাচার্য এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করছি, সব পক্ষ এই তারিখ মেনে নেবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।’

তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—‘৮ তারিখ নির্বাচন দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘লন্ডনের প্রেসক্রিপশন এই ক্যাম্পাসে চলবে না’, ‘তুমিও জানো আমিও জানি, ভিসি, প্রো-ভিসি লন্ডনি’, ‘আবু সাঈদ রুদ্র, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু একটি পক্ষের প্রভাবে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। গতকাল উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ৯ বা ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। অথচ আজ হঠাৎ ১৭ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হলো, যা আমরা মানছি না।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত