উপল বড়ুয়া, ঢাকা

ফুটবলে এমন দিন আসবে, বছর দুয়েক আগেও হয়তো অনেকে কল্পনা করেননি। কতই তো আনন্দ-উচ্ছলে ভরে ছিল ফুটবলের সবুজ অঙ্গন। স্বভাবসুলভ চরিত্রে দিব্যি নেচেগেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। কেউ জোর করলে অটোগ্রাফের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দিচ্ছেন।
ভক্তরাও ম্যারাডোনা নাকি পেলে সেরা, এ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন চায়ের পেয়ালা হাতে। কিন্তু সময় এমন এক ব্ল্যাকহোল, ঘূর্ণিতে তার পেটে টেনে নিয়ে যায় অনেক কিছু। দুই বছর আগে এমন একদিন এল, থমকে দাঁড়াল পৃথিবী। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরের শীতরাত। ম্যারাডোনার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে গেল ফুটবল বিশ্ব। ৬০ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান ‘ফুটবল ঈশ্বর’।
দুই বছর পর স্বর্গে বসে কাতারে সাবেক শিষ্য লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয় দেখেছেন ম্যারাডোনা। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টাইনদের হাসতে দেখেছেন তিনি। বুয়েনস এইরেস থেকে রোজারিও যখন উৎসবে ভাসছে, তখন অন্য প্রান্তে শোকে নীরব ব্রাজিল। হেক্সা অপূর্ণ থাকার কষ্ট তো আছেই, তার সঙ্গে সেলেসাওরা যে হারিয়ে ফেলেছে পেলেকে। কেবল ব্রাজিল নয়, বিশ্ব ফুটবল হারাল তাদের রাজাকে।
দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন পেলে। সেই লড়াইয়ের চূড়ান্ত সমাপ্তি হলো গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে, সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে। বিশ্ববাসী পুরোনো বছরকে বিদায় দেওয়ার আগে বিদায় দিল ফুটবলসম্রাটকেও।
ম্যারাডোনাকে হারিয়ে পেলে বলেছিলেন, ‘একদিন স্বর্গে, আমরা দুজনে একই দলের হয়ে খেলব।’ প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে একই জার্সিতে খেলতে যেন তর সইল না তাঁর। এখন হয়তো স্বর্গে বসে দুই মহাতারকা হাততালি দেবেন বল নিয়ে মেসির সাপের মতো এঁকেবেঁকে ছুটে যাওয়া দেখে কিংবা নেইমারের অবিশ্বাস্য ড্রিবলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে।
স্বর্গে বসে আর কী কী করবেন পেলে-ম্যারাডোনা? অনন্ত সময় যখন হাতে পেয়েছেন, নিশ্চয় কথানুযায়ী ফুটবলটাও খেলবেন একসঙ্গে। এমনও হতে পারে ইয়োহান ক্রুইফ, জার্ড মুলার, পাওলো রসিদের একত্রে করে দল সাজাবেন পেলে-ম্যারাডোনা। আর সেই একাদশ মুখোমুখি হবে দেবতা জিউস, অ্যাপোলো, হারকিউলিস, হার্মেস, অর্ফিয়ুসদের নিয়ে গড়া একাদশের বিপক্ষে।
দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি’ বিশ্বসাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন হয়ে জ্বলজ্বল করছে সাত শতকের বেশি সময় ধরে। জীবিত কোনো ব্যক্তি কি স্বর্গে যেতে পারেন? সেই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। তবে দান্তে স্বর্গভ্রমণে গিয়েছিলেন। সে তো আমরা ডিভাইন কমেডিতেই পাই। সেই ভ্রমণে তাঁকে নরক-স্বর্গের বিভিন্ন স্থান ও ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আরেক রোমান মহাকবি ভার্জিল।
প্রথমে ভার্জিল দান্তেকে নিয়ে যান ইনফার্নো বা নরকে। এরপর পার্গেটারিও বা পরিশুদ্ধির পাহাড়ে। সেখান থেকে প্যারাদিসো বা স্বর্গলোকে। ম্যারাডোনাও হয়তো অমর্ত্যলোকের নতুন অতিথি পেলেকে নিয়ে বের হবেন নরক-স্বর্গ দেখাতে। ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে বলবেন, ‘ওই হচ্ছে স্বর্গের সপ্তম চূড়া পার্গেটারিও। একটু পরে আমরা সেই চূড়ায় উঠে স্বর্গীয় জীবন কাটাব।’
পেলে হয়তো সব দেখেশুনে আশ্চর্য হয়ে বলবেন, ‘তার আগে বল নিয়ে একটু হাত-পা ঝেড়ে নিলে হয় না! অনেক দিন ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থেকে শরীরটা পাথর হয়ে গেছে।’
দীর্ঘ স্বর্গীয়বাসের ক্লান্তি কাটাতে ফুটবল তো আছেই, কখনো কখনো গিটার হাতেও বসে যাবেন পেলে। ছয় তারের ক্ল্যাসিক্যাল দেল ভেচ্চিও গিটারটা হাতে নিয়ে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লেখা গানটা শোনাবেন। পাশে বসে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবেন ছিয়াশির মহানায়ক। পেলে-ম্যারাডোনাকে বল নিয়ে ছুটতে দেখে স্টেডিয়ামভর্তি দর্শক যেভাবে হাততালিতে ফেটে পড়ত, তেমনি তাঁদের গান শুনে স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্র আসন ছেড়ে উঠে আসবেন। দেবতাদের ফুলেল বৃষ্টিতে স্নাত হবেন পেলে-ম্যারাডোনা। ফুটবল ঈশ্বর ও ফুটবল রাজার মিলন বলে কথা!

ফুটবলে এমন দিন আসবে, বছর দুয়েক আগেও হয়তো অনেকে কল্পনা করেননি। কতই তো আনন্দ-উচ্ছলে ভরে ছিল ফুটবলের সবুজ অঙ্গন। স্বভাবসুলভ চরিত্রে দিব্যি নেচেগেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। কেউ জোর করলে অটোগ্রাফের সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দিচ্ছেন।
ভক্তরাও ম্যারাডোনা নাকি পেলে সেরা, এ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন চায়ের পেয়ালা হাতে। কিন্তু সময় এমন এক ব্ল্যাকহোল, ঘূর্ণিতে তার পেটে টেনে নিয়ে যায় অনেক কিছু। দুই বছর আগে এমন একদিন এল, থমকে দাঁড়াল পৃথিবী। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরের শীতরাত। ম্যারাডোনার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে গেল ফুটবল বিশ্ব। ৬০ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান ‘ফুটবল ঈশ্বর’।
দুই বছর পর স্বর্গে বসে কাতারে সাবেক শিষ্য লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ জয় দেখেছেন ম্যারাডোনা। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টাইনদের হাসতে দেখেছেন তিনি। বুয়েনস এইরেস থেকে রোজারিও যখন উৎসবে ভাসছে, তখন অন্য প্রান্তে শোকে নীরব ব্রাজিল। হেক্সা অপূর্ণ থাকার কষ্ট তো আছেই, তার সঙ্গে সেলেসাওরা যে হারিয়ে ফেলেছে পেলেকে। কেবল ব্রাজিল নয়, বিশ্ব ফুটবল হারাল তাদের রাজাকে।
দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন পেলে। সেই লড়াইয়ের চূড়ান্ত সমাপ্তি হলো গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে, সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে। বিশ্ববাসী পুরোনো বছরকে বিদায় দেওয়ার আগে বিদায় দিল ফুটবলসম্রাটকেও।
ম্যারাডোনাকে হারিয়ে পেলে বলেছিলেন, ‘একদিন স্বর্গে, আমরা দুজনে একই দলের হয়ে খেলব।’ প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে একই জার্সিতে খেলতে যেন তর সইল না তাঁর। এখন হয়তো স্বর্গে বসে দুই মহাতারকা হাততালি দেবেন বল নিয়ে মেসির সাপের মতো এঁকেবেঁকে ছুটে যাওয়া দেখে কিংবা নেইমারের অবিশ্বাস্য ড্রিবলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে।
স্বর্গে বসে আর কী কী করবেন পেলে-ম্যারাডোনা? অনন্ত সময় যখন হাতে পেয়েছেন, নিশ্চয় কথানুযায়ী ফুটবলটাও খেলবেন একসঙ্গে। এমনও হতে পারে ইয়োহান ক্রুইফ, জার্ড মুলার, পাওলো রসিদের একত্রে করে দল সাজাবেন পেলে-ম্যারাডোনা। আর সেই একাদশ মুখোমুখি হবে দেবতা জিউস, অ্যাপোলো, হারকিউলিস, হার্মেস, অর্ফিয়ুসদের নিয়ে গড়া একাদশের বিপক্ষে।
দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি’ বিশ্বসাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন হয়ে জ্বলজ্বল করছে সাত শতকের বেশি সময় ধরে। জীবিত কোনো ব্যক্তি কি স্বর্গে যেতে পারেন? সেই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। তবে দান্তে স্বর্গভ্রমণে গিয়েছিলেন। সে তো আমরা ডিভাইন কমেডিতেই পাই। সেই ভ্রমণে তাঁকে নরক-স্বর্গের বিভিন্ন স্থান ও ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আরেক রোমান মহাকবি ভার্জিল।
প্রথমে ভার্জিল দান্তেকে নিয়ে যান ইনফার্নো বা নরকে। এরপর পার্গেটারিও বা পরিশুদ্ধির পাহাড়ে। সেখান থেকে প্যারাদিসো বা স্বর্গলোকে। ম্যারাডোনাও হয়তো অমর্ত্যলোকের নতুন অতিথি পেলেকে নিয়ে বের হবেন নরক-স্বর্গ দেখাতে। ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে বলবেন, ‘ওই হচ্ছে স্বর্গের সপ্তম চূড়া পার্গেটারিও। একটু পরে আমরা সেই চূড়ায় উঠে স্বর্গীয় জীবন কাটাব।’
পেলে হয়তো সব দেখেশুনে আশ্চর্য হয়ে বলবেন, ‘তার আগে বল নিয়ে একটু হাত-পা ঝেড়ে নিলে হয় না! অনেক দিন ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থেকে শরীরটা পাথর হয়ে গেছে।’
দীর্ঘ স্বর্গীয়বাসের ক্লান্তি কাটাতে ফুটবল তো আছেই, কখনো কখনো গিটার হাতেও বসে যাবেন পেলে। ছয় তারের ক্ল্যাসিক্যাল দেল ভেচ্চিও গিটারটা হাতে নিয়ে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লেখা গানটা শোনাবেন। পাশে বসে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবেন ছিয়াশির মহানায়ক। পেলে-ম্যারাডোনাকে বল নিয়ে ছুটতে দেখে স্টেডিয়ামভর্তি দর্শক যেভাবে হাততালিতে ফেটে পড়ত, তেমনি তাঁদের গান শুনে স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্র আসন ছেড়ে উঠে আসবেন। দেবতাদের ফুলেল বৃষ্টিতে স্নাত হবেন পেলে-ম্যারাডোনা। ফুটবল ঈশ্বর ও ফুটবল রাজার মিলন বলে কথা!

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
১১ মিনিট আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
দিল্লি ভ্রমণ করে আজ ভারত সফর শেষ হলো মেসির। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাঠে ঢুকতেই দর্শকেরা ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান দিয়েছেন। আর্জেন্টাইন ফলোয়ার্ডের বরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোহান জেটলি উপস্থিত ছিলেন। মেসিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট উপহার দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, মেসিকে একটা ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয়েছে। এমন আপ্যায়নে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘ভারতে এই কয় দিনে যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এটা ছিল আমাদের জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক সংক্ষিপ্ত সফর ছিল, তবে সবার ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো এমন অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।’
মুম্বাইয়ে গতকাল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার, সুনীল ছেত্রী, মেসি—একসঙ্গে তিন কিংবদন্তিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। শচীনের কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সি উপহার পেয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তখন ব্যাপারটাকে ‘দুই নম্বর টেনের’ একসঙ্গে সাক্ষাৎ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ওয়াংখেড়েতেও শোনা গেছে ‘মেসি, মেসি’ স্লোগান। ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর—এই তিন দিনে মেসি ভক্ত-সমর্থকসহ সবার কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে আবারও ভারত সফরের ইচ্ছা তাঁর অনেক বেড়ে গেল। এবার কোনো ম্যাচ না খেললেও সেবার একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। মেসি বলেন, ‘আপনারা এই কদিনে যারা করেছেন, সত্যি বলতে অসাধারণ। অসংখ্য ধন্যবাদ। কোনো না কোনোদিন অবশ্যই ফিরব। হয়তো একটা ম্যাচ খেলা হবে। তবে অবশ্যই ফিরছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
মেসির আজ সকালে দিল্লিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটের একটু দেরি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সোজা দিল্লির লিলা প্যালেস হোটেলে চলে যান। মেসির এই সফরে পুরোটা জুড়েই ছিলেন রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজ। মেসির মতো দি পল-সুয়ারেজকেও ফ্রেমে বাঁধানো ক্রিকেট ব্যাট ও ভারতীয় দলের জার্সি দেওয়া হয়েছে। ভারতের সাবেক গোলরক্ষক অদিতি চৌহান তাঁর স্বাক্ষরিত টি-শার্ট উপহার দিয়েছেন মেসি, সুয়ারেজ, দি পলকে। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালে মেসি ভারত সফর করেছিলেন।

ফুটবলে এমন দিন আসবে, বছর দুয়েক আগেও হয়তো অনেকে কল্পনা করেননি। কতই তো আনন্দ-উচ্ছলে ভরে ছিল ফুটবলের সবুজ অঙ্গন। স্বভাবসুলভ চরিত্রে দিব্যি নেচেগেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন
০১ জানুয়ারি ২০২৩
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
বিগ ব্যাশে আজ মুখোমুখি হয়েছে মেলবোর্ন রেনেগেডস-ব্রিসবেন হিট। ব্রিসবেনের জার্সিতে খেলা শাহিন আজ বিগ ব্যাশে প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে তাঁর অভিষেকটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। বিশেষ করে রেনেগেডসের ইনিংসে ১৮তম ওভারে তাঁর উল্টাপাল্টা বোলিংয়ের কারণে। ওভারের তৃতীয় বলে টিম সাইফার্টকে কোমরের ওপরের সমান ডেলিভারি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একই রকম ডেলিভারি শাহিন আফ্রিদির। এবার ব্যাটার রেনেগেডসের ওলিভার পিক। এক ওভারে দুটো বিমার ছোড়ার কারণে আম্পায়ার শাহিনকে আর ওভারের বাকি অংশ করতে দেননি আম্পায়ার।
১৮তম ওভারে শাহিন বৈধ চার ডেলিভারি করেছেন। তবে তিন নো বলসহ করেছেন সাত বল। আরেকটা নো বল হয়েছে ফ্রন্ট ফুটের কারণে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে নাথান ম্যাকসুইনি খরচ করেন ৫ রান। শাহিনের বোলিং শেষ করতে হয়েছে ২.৪ ওভারে ৪৩ রানে। কোনো উইকেট তিনি পাননি। শাহিনের এমন বোলিং নিয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘‘তার রাত এখানেই শেষ। সে একই ওভারে কোমরের সমান উচ্চতায় দুটি বল ছুড়ল। আম্পায়ার বললেন, ‘সরি, তুমি আর বোলিং করতে পারবে না।’’ মাইকেল ভন বলেন, ‘বলগুলো বিপজ্জনক হয়েছে।’
টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া মেলবোর্ন রেনেগেডস করেছে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১২ রান। ৫৬ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফার্ট করেন ১০২ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে আটকে যায় ব্রিসবেন হিট। মেলবোর্নের ১৪ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাইফার্ট। শাহিন পরাজিত হলেও ১১ বছর আগে আবদুর রেহমান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছিল। সেবার রেহমান কোনো বল না করেই খরচ করেছিলেন ৮ রান।

ফুটবলে এমন দিন আসবে, বছর দুয়েক আগেও হয়তো অনেকে কল্পনা করেননি। কতই তো আনন্দ-উচ্ছলে ভরে ছিল ফুটবলের সবুজ অঙ্গন। স্বভাবসুলভ চরিত্রে দিব্যি নেচেগেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন
০১ জানুয়ারি ২০২৩
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
১১ মিনিট আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
পেশাদার ক্যারিয়ারে শোয়েব আখতার গতির ঝড়ে ব্যাটারদের কাবু করে দিতেন হরহামেশাই। কখনো ব্যাটারদের হেলমেটে, কখনোবা তাঁর আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে হাঁটু-কব্জিসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেতেন ব্যাটাররা। বাউন্সার তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাঁর গতিতে স্টাম্প উড়ে চলে যেত অনেক দূরে। তরুণ প্রজন্মের অনেক পেসারই আদর্শ মনে করেন পাকিস্তানি এই গতিতারকাকে। কিন্তু তাঁর সময়ের যে পেসারদের আগ্রাসন, সেটা এখন খুব একটা দেখা যায় না বলে আজ শেরাটনে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দোষ দিতে চাই না। তাঁদের জন্ম এই টি-টোয়েন্টি যুগে। অনেক ভ্রমণ করতে হয়।’
ব্যাঙের ছাতার মতো টি-টোয়েন্টি, টি-টেনসহ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের অনেকবার টানা ম্যাচ খেলতে হয়েছে। ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। এমনকি চোটে পড়ে অনেক সময় ম্যাচও মিস করেন তাঁরা। এ কারণে বর্তমানের ক্রিকেটাররা অতটা আগ্রাহী হয়ে উঠতে পারেন না। ঢাকার শেরাটনে আজ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি গতিতারকা বলেন, ‘ম্যাচ খেলে পরদিন সকালে আবার খেলতে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে বোলিং করতে দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার সময় নেই। তবে ছয় মাস বিশ্রাম নিতে পারলে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারত। যে মাত্রায় আগ্রাসন দেখতে চাই, সেটা এখন দেখতে পাই না।’
ঢাকা ক্যাপিটালসের পরামর্শক হিসেবে ২০২৬ বিপিএলে কাজ করবেন শোয়েব আখতার। ঢাকার শেরাটন হোটেলে আজ যখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেন, তাঁর পাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। ক্যারিয়ার, পছন্দের ক্রিকেটার, বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য—এসব ব্যাপার নিয়েই শেরাটনে আলাপ-আলোচনা হয়েছে বেশি। শোয়েব আখতারও যে এই সংবাদ সম্মেলন উপভোগ করেছেন, সেটা তাঁর কথাবার্তা শুনেই বোঝা গেছে। মজার ছলে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমার প্রিয় তিন ডেলিভারি হচ্ছে, শচীনকে প্রথম বলে আউট করা। দ্বিতীয়টা হলো ব্রায়ান লারার ঘাড়ে আঘাত করা। তিন নাম্বারটা হলো গ্যারি কারস্টেনের বুকে আঘাত করা। আরে না না। মজা করেছি আমি। আমার সেরা তিন ডেলিভারি হচ্ছে— ২০০২ সালে শচীন ও কলম্বোতে গিলক্রিস্টকে ইয়র্কারে আউট করা। তিন-চার নম্বরটা হলো টেস্টে দ্রুত গতির ডেলিভারিতে জ্যাক ক্যালিসের উইকেট নেওয়া।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যে চাপের কথা শোয়েব আখতার বলেছেন, সেটা একেবারে অযৌক্তিক নয়। তবে পেসাররা আগ্রাসী হতে গেলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সিরাজরা আইসিসির থেকে তিরস্কারের পাশাপাশি জরিমানাও গুনেছেন। এ বছরের ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে ১২তম বিপিএল। সিলেটে হবে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ। ২৩ জানুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরেবাংলায়।

ফুটবলে এমন দিন আসবে, বছর দুয়েক আগেও হয়তো অনেকে কল্পনা করেননি। কতই তো আনন্দ-উচ্ছলে ভরে ছিল ফুটবলের সবুজ অঙ্গন। স্বভাবসুলভ চরিত্রে দিব্যি নেচেগেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন
০১ জানুয়ারি ২০২৩
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
১১ মিনিট আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৪ দলের বিশ্বকাপে ১৭তম হয়ে জিতে নিয়েছে চ্যালেঞ্জার কাপ। অভাবনীয় সাফল্যের পরও পুরস্কারের ঘোষণা পেতে অপেক্ষা করা লাগল খানিকটা। আজ তাদের ৪০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হকি ফেডারেশন। বিমানবাহিনী দেবে ২০ লাখ টাকা।
৬০ লাখ টাকার বাইরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম আলাদা করে পাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আজ অনূর্ধ্ব-২১ দল ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছে হকি ফেডারেশন।
বিমানবাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম মাঠে লড়াকু মানসিকতা দেখতে চাই। বলেছিলাম নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে খেলতে। তোমাদের এখন থেকে ২০২৬ এশিয়ান গেমস ও পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, দেশের হকির উন্নয়নে আমরা আগের চেয়ে আরো বেশি বিস্তৃত ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করব।’
বোনাসে অঙ্ক শুনে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ হ্যাটট্রিকে ১৮ গোল করা আমিরুল বলেন, সংবর্ধনা পেয়ে দলের সবচেয়ে বড় তারকা আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এই সংবর্ধনার পাওয়ায় আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। অন্যান্য খেলায় সাফল্য ফেলে সরকার থেকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়। আমাদের বিষয়গুলোও যদি দেখা হয় তাহলে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো হবে। পাশাপাশি আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটা পরিকল্পনা করা হয় তাহলে আগামীতে আমরা আরো ভালো করতে পারব।’
হকি সেভাবে তেমন কোনো কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আমিরুল, ‘আমরা যদি ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারতাম।’
বিশ্বকাপ খেলে আসার পরও ঘরোয়া হকি মাঠে গড়ানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, প্রথম বিভাগ লিগ চালু করার জন্য এই মাসেই ক্লাবগুলোকে চিঠি পাঠানো হবে।
বিশ্বকাপের দল ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে চীনের দাঝুতে অনুষ্ঠিত নারীদের অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামন্টে কাজাখস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জেতেন মেয়েরা। সোমবারের সংবর্ধনায় দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাসের ঘোষণা দেন ফেডারেশন সভাপতি।

ফুটবলে এমন দিন আসবে, বছর দুয়েক আগেও হয়তো অনেকে কল্পনা করেননি। কতই তো আনন্দ-উচ্ছলে ভরে ছিল ফুটবলের সবুজ অঙ্গন। স্বভাবসুলভ চরিত্রে দিব্যি নেচেগেয়ে বেড়াচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন
০১ জানুয়ারি ২০২৩
এক কলকাতা পর্ব বাদ দিলে লিওনেল মেসির ভারত সফরটা হয়েছে মনে রাখার মতোই। হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি—সব জায়গাতেই আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ডকে রাজকীয়ভাবে বরণ করা হয়েছে। ভারত সফরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়ে গেলেন মেসি।
১১ মিনিট আগে
২০১৪ সালের মিরপুরে সেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের ‘বিশেষ’ সেই বোলিংয়ের ঘটনা হয়তো অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেবার তিনটা বিমার ছোড়ার পর আর বোলিংই করতে পারেননি তিনি। ১১ বছর পর আজ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে সেই পুরোনো ঘটনাটা আবার মনে করিয়ে দিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের দিকে তেড়ে যাওয়া, স্লেজিংয়ে তাঁতিয়ে দেওয়া—আগুনের জবাব আগুনে দেওয়া বলতে তো এমনটাই বোঝায়। বর্তমান ক্রিকেটে পেসারদের এমন আগ্রাসন যে একেবারে দেখা যায় না, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আশি-নব্বইয়ের দশকের মতো অতটা আগুন দেখা যায় না বললেই চলে।
২ ঘণ্টা আগে