Ajker Patrika

চোট থামিয়ে দিলেও আক্ষেপ নেই উমতিতির

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩৬
চোটের কারণে থেমে যেতে হলো বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে। ছবি: সংগৃহীত
চোটের কারণে থেমে যেতে হলো বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারকে। ছবি: সংগৃহীত

চোটের সঙ্গে আর পেরে উঠলেন না স্যামুয়েল উমতিতি। তাই ৩১ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় জানাতে বাধ্য হলেন বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডার। ফুটবলকে বিদায় বললেও আক্ষেপ নেই তাঁর।

লিঁও দিয়ে ২০১২ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন উমতিতি। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে মাঠের পারফরম্যান্সে অনেক দারুণ সময়ের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল উমতিতির। তাঁর করা একমাত্র গোলে ফাইনালে উঠেছিল ফরাসিরা। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলেন উমতিতি।

কাতালান ক্লাবটির হয়ে দুটি লা লিগা, তিনটি কোপা দেল রের শিরোপা জেতেন উমতিতি। এতোসব সাফল্যের ভীড়ে ইনজুরির কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরেও থাকতে হয়েছে তাকে। এই চোটই শেষ পর্যন্ত তাঁর ক্যারিয়ার শেষ করে দিলো। গত মৌসুম শেষে লিল অধ্যায় শেষ হয় উমতিতির। এরপর নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে চোটের বিষয়টি ভেবে তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ক্লাব। উমতিতিও তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অপেক্ষায় না থেকে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিলেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে তিনটি ক্লাবের হয়ে খেললেও বার্সার খেলোয়াড় হিসেবেই বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন উমতিতি। লা লিগা জায়ান্টদের হয়ে ৭ বছরের ক্যারিয়ারে ১৩৪ ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি।

ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বার্তায় উমতিতি লিখেছেন, ‘উত্থান-পতনে ভরা ক্যারিয়ারে বিদায় জানানোর সময় এসেছে। আমি আবেগের সাথে মাঠে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছি। তাই আমার কোনও আক্ষেপ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বাংলাদেশের ক্রিকেটটাকে এভাবে নষ্ট করবেন না প্লিজ’

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৩৩
মিরপুরের উইকেট নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন রুবেল হোসেন। ছবি: ফেসবুক
মিরপুরের উইকেট নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন রুবেল হোসেন। ছবি: ফেসবুক

প্রতিপক্ষের জন্য ফাঁদ পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এমন ফাঁদে পড়েছে অসংখ্যবার। এই তো গত জুলাইয়েও মিরপুরের উইকেট নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ও সাদা বলের প্রধান কোচ মাইক হেসন। তিন মাস পর সেই মিরপুরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাতা হয়েছে মরণফাঁদ।

বর্তমান ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০০ হচ্ছে হরহামেশাই। ৩০০-৩৫০ রান তাড়া করে জয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। কিন্তু মিরপুরে ৪০০ তো বহুদূর, এখানে আগে ব্যাটিং করে কোনোমতে ২০০ পেরোলেই সেটা জয়সূচক রান হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুরের শেরেবাংলায় ২০৭ রান করে বাংলাদেশ জিতেছে ৭৪ রানে। একই মাঠে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুই দলই করেছে সমান ২১৩ রান। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে এক ওভারে।

ব্যাটারদের বধ্যভূমি মিরপুরের উইকেট নিয়ে গতকাল রুবেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ৩৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি পেসার লিখেছেন, ‘আমার ১২-১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এমন কালো, অদ্ভুত ফাটা উইকেট কখনো দেখিনি। আপনি এমন উইকেট বানিয়ে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পারফরম্যান্স আশা করছেন। এটা আসলে অনেক বড় বোকামি। বাংলাদেশের ক্রিকেটটাকে নষ্ট করবেন না প্লিজ। এই দেশের কোটি মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে। তাদের সেই ভালোবাসাটাকে বাঁচিয়ে রাখুন।’

বাংলাদেশ গতকাল টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ৪৮ ওভার পর্যন্ত স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৭৯ রান। ৩.৭৯ রানরেট। শেষের দিকে রিশাদ হোসেনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই তো বাংলাদেশ ২১৩ রান পর্যন্ত তুলতে পেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে গেলেও ব্যাটিংয়ে নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা হয়েছে তাদেরও। আর মিরপুরের কালো মাটির উইকেটে খেলে বৈশ্বিক মঞ্চে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ভরাডুবি হচ্ছে নিয়মিত। মিরপুরের উইকেটের সমালোচনায় রুবেল গতকাল লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে মিরপুর উইকেটে যুদ্ধ চলছে। এটা আগেও ছিল, এখনো আছে। কিছুই বদলায়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। কিন্তু এত বাজে উইকেটে ক্রিকেট খেলা সত্যিই ভীষণ কষ্টকর।’

টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮১৪ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে গতকালের ম্যাচটাই তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সুপার ওভারের ম্যাচ।বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডেটা এখন সিরিজ নির্ধারণী হয়ে গেছে। মিরপুরে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে তৃতীয় ওয়ানডে। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামে হবে সিরিজের তিন টি-টোয়েন্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আট মাস পর ফিরে আবার বাদ পড়ার শঙ্কায় সৌম্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪০
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৯ বলে ৪৫ রান করেছেন সৌম্য সরকার। ছবি: ক্রিকইনফো
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৯ বলে ৪৫ রান করেছেন সৌম্য সরকার। ছবি: ক্রিকইনফো

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্য সরকারের শুরুটা স্বপ্নের মতো হলেও সেটা ধরে রাখতে পারেননি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঝোড়ো শুরু এনে দেওয়ার পাশাপাশি রানের বন্যা বইয়ে দিলেও হঠাৎই তাঁর ছন্দপতন। ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন।

বাংলাদেশের জার্সিতেই সৌম্য যে রানখড়ায় ভুগছেন, তেমনটা নয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)—ঘরোয়া ক্রিকেটের কোথাও বলার মতো কিছু নেই। ক্যারিয়ারসেরা ১৬৯ রানের ইনিংস ২০২৩-এর ডিসেম্বরে নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে আট মাস পর ফিরেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে ৪ রানে আউট হলেও গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৯ বলে করেছেন ৪৫ রান। যেখানে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে থিতু হওয়ার পর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। সুপার ওভারে ফ্রি হিটের সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি।

পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে ১ রানে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসে সৌম্য জানালেন, দীর্ঘদিন পর দলে ফিরলে একটা মানসিক চাপ কাজ করে। ৩২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘অনেক দিন পর দলে এসে আসলে একটু নতুনত্ব লাগেই। আবার খাপ খাইয়ে নিতে একটু সময়ও লাগে। মানসিক চাপও থাকে। কিন্তু যেহেতু খেলোয়াড় আমরা, এসেই খেলাটা আমাদের কাজ।যখনই সুযোগ পাই, নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করি। কারণ, প্রমাণ না করতে পারলে আবার দলের বাইরে চলে যেতে হবে।’

সুপার ওভারে দলকে জিতিয়ে নায়ক হওয়ার সুযোগ এসেছিল সৌম্যর সামনে। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন সৌম্য। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এটা বলতে পারেন, আমার জায়গায় আমি ব্যর্থ। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল এখান থেকে একটা বাউন্ডারি আদায় করতে পারব। উইকেট সহজে ছয় বা চার মারার মতো নয়। এটা ঠিক যে আজ (গতকাল) তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি। সুপার ওভারে যে বলগুলো খেলেছি, প্রায় সবই ফ্রি হিট ছিল। ছয় বা বাউন্ডরি মারার লক্ষ্য ছিল। হ্যাঁ, এটা আমি পারিনি। আমার এখানে ঘাটতি ছিল।’

টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮১৪ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে গতকালের ম্যাচটাই তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সুপার ওভারের ম্যাচ।বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডেটা এখন সিরিজ নির্ধারণী হয়ে গেছে। মিরপুরে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে তৃতীয় ওয়ানডে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও ডাক পেয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগান সিরিজ না খেলে তখন তিনি ঘরোয়া ক্রিকেট এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন। উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে সুযোগ পান কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন টি-টোয়েন্টি।

আরও পড়ুন: সুপার ওভারে রিশাদ না নামায় হতভম্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কী বলছেন সৌম্য

সোহানের ক্যাচ মিসকে দায়ী করছেন মিরাজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিরপুরের পিচ নাকি টিভি—কোথায় সমস্যা, ধরতেই পারেননি উইন্ডিজ ক্রিকেটার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ১১
মিরপুরের উইকেট নিয়ে মজা করেছেন আকিল হোসেন। ছবি: ক্রিকইনফো
মিরপুরের উইকেট নিয়ে মজা করেছেন আকিল হোসেন। ছবি: ক্রিকইনফো

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঘূর্ণি উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কৌশল অনেক পুরোনো। ঘরের মাঠের লো-স্কোরিং উইকেটে খেলে বৈশ্বিক মঞ্চে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও বারবার মুখ থুবড়ে পড়ে। মিরপুরের বোলিং বান্ধব উইকেট নিয়ে অনেক সমালোচনা যেমন হয়, তেমনি নানারকম ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তাও শোনা যায়।

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও মিরপুরের উইকেট বরাবরের মতোই ব্যাটারদের জন্যই বধ্যভূমি। আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০-৩৫০ হরহামেশা হলেও শেরেবাংলায় ২০০ রান তুলতেই জান বের হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। প্রথম দুই ওয়ানডের স্কোরকার্ড দেখলেই সেটা স্পষ্ট। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করেছে ও স্কোরবোর্ডে তুলেছে ২০৭ রান ও ২১৩ রান। যার মধ্যে প্রথম ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ৭৪ রানে জিতলেও গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে গেছে।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষেও আলোচনায় মিরপুরের সেই উইকেট। মূল ম্যাচে ১০ ওভারে ৪১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। সুপার ওভারে ওয়াইড, নো বল করে ৩ বল বাড়তি করলেও তাঁর ঘূর্ণির কাছে হার মেনে বাংলাদেশ থেমে গেছে ৯ রানে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের কালো মাটির উইকেটের প্রসঙ্গ এলে আকিল বেশ মজাই করেছেন। ক্যারিবীয় এই বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন,‘যখন টিভি চালু করলাম, প্রথম যে কাজটি করলাম, সেটা হলো টিভি পরীক্ষা করে দেখছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, টিভিতেই হয়তোবা সমস্যা। কারণ, স্ক্রিন একদম কালো। হয়তো রঙ চলে গেছে বা কিছু উল্টাপাল্টা মনে হচ্ছিল। পরে বুঝতে পারলাম, পিচটাই এমন কালো।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকলেও ওয়ানডে দলে ছিল না আকিলের নাম। শামার জোসেফ ও জেদিয়া ব্লেডস ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সুযোগ পান আকিল। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ সময় গতকাল ভোর চারটায় ঢাকায় পৌঁছান তিনি। ভ্রমণক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেড়টায় খেলতে নেমে গেছেন মিরপুরে। দেখালেন তাঁর জাদু। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবীয় বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘রাত চারটায় হোটেলে পৌঁছেছি। তবে এটা কাজেরই অংশ। একবার যখন কোনো কিছুর প্রতি প্রতিশ্রুতির ব্যাপার চলে আসে, তখন নিজের শতভাগ দিতে হয়। প্রায় হাতছাড়া হতে যাওয়া ম্যাচে দলকে জেতাতে পেরেছি। এটাই অনেক বড় স্বস্তি।’

মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খারি পিয়ের, গুড়াকেশ মতি, আকিল হোসেন, রস্টন চেজ-এই চার স্বীকৃত স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন খন্ডকালীন স্পিনার আলিক আথানাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই পাঁচ স্পিনারের প্রত্যেকেই ১০ ওভার করে বোলিং করেছেন। ওয়ানডেতে এক ইনিংসে পুরো ৫০ ওভার স্পিনারদের দিয়ে বোলিংয়ের ঘটনা এবারই প্রথমবার ঘটল। বিরল রেকর্ডের এই ম্যাচে সুপার ওভারে ১ রানে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতা করেছে ক্যারিবীয়রা। মিরপুরে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে।

আরও পড়ুন:

মিরপুরে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল উইন্ডিজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুপার ওভারে রিশাদ না নামায় হতভম্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কী বলছেন সৌম্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩৯
সুপার ওভারে রিশাদ হোসেনকে ব্যাটিংয়েই নামানো হয়নি। ছবি: এএফপি
সুপার ওভারে রিশাদ হোসেনকে ব্যাটিংয়েই নামানো হয়নি। ছবি: এএফপি

মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে সাইফ হাসান-নাজমুল হোসেন শান্তদের যখন লেজেগোবরে অবস্থা, বাংলাদেশের ইনিংস ২০০ পেরোনো নিয়েই শঙ্কা, তখনই রিশাদ হোসেনের ক্যামিও। প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ঘটেছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। যাঁর ব্যাটে চড়ে উদ্ধার হলো বাংলাদেশ, তাঁকেই কিনা নামানো হলো না সুপার ওভারে।

ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—সব বিভাগেই রিশাদ এখন এক ‘প্যাকেজ’। লেগ স্পিনের ঘূর্ণির জাদু তো রয়েছেই; এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নজর কেড়েছে তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং। মিরপুরে গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৪ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। অথচ ম্যাচটা যখন সুপার ওভারে গড়াল, তখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সৌম্য, সাইফ হাসান ও শান্ত। সুপার ওভারে ১১ রানের লক্ষ্যও পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওয়ানডে সুপার ওভারে ১ রানে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয়দের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে আকিল হোসেন সুপার ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। উইন্ডিজ এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘হ্যাঁ। আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। যে ম্যাচে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, ১৪ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিল, সে নামলই না সুপার ওভারে। ছোট দিকের সীমানার দিকে যে দুটি ছক্কা মেরেছিল, সেখানেই সে ফের মারতে পারত।’

রিশাদ কেন সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেননি, এটা নিয়ে গতকাল তুমুল সমালোচনা হয়েছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকারের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর কাছেও ছিল না এর কোনো উত্তর। ৩২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এটা সবাই চিন্তা করিনি। কোচ ও অধিনায়ক চিন্তা করেছে। এখানে আমরা কিন্তু জানতাম না আকিল বোলিং করবে। আমরা যদি দুজন বাঁহাতি নেমে যেতাম, তখন যদি কোনো অফ স্পিনার থাকত, তাহলে আমাদের বিপদ হতে পারত। এ জন্য ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় ছিল। তাদের ক্ষেত্রেও দেখবেন একই অবস্থা।’

সুপার ওভারে রিশাদ না নামাটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে স্বস্তির ব্যাপার ছিল মনে করেন আকিল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবীয় এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘সে না নামায় তা আমাদের পক্ষে কাজ করেছে। সে এমন এক ক্রিকেটার, যার অনেক শক্তি ও লম্বা। সব মিলিয়ে সে সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটারদের একজন ছিল। তারা তাকে না পাঠানোর কারণে কৃতজ্ঞ।’ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। মিরপুরে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত