Ajker Patrika

রোমাঞ্চকর টাইব্রেকার জিতে প্রথমবার সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

টাইব্রেকারে ১০টি করে মোট ২০ শট—সেখানে ফ্রান্সকে ৭-৬ ব্যবধানে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তার আগে ১২০ মিনিটে এক বিন্দুও ছাড় দেয়নি কেউ কাউকে। ফরাসিরা ৫১ শতাংশ বল দখলের পাশাপাশি লক্ষ্যে শট নিয়েছে ৫টি। বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার শটের সংখ্যা ৪। 

অঘটনের বিশ্বকাপে এবার সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি আগের চার চ্যাম্পিয়নদের কেউ। তাদের দৌড় থেমেছে শেষ আটেই। আর স্বাগতিকদের মধ্যে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় নিউজিল্যান্ড। বেঁচে ছিল আরেক আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে তাদের পাড়ি দিত হলো কঠিন পথ। 

প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ঘরের মাঠ ব্রিসবেনের সানকর্প স্টেডিয়ামে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের। ৯০ মিনিটেও দুই দল গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। 

টাইব্রেকারের প্রথম শটে অস্ট্রেলিয়া সফল হলেও ফ্রান্স ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় শটে এর ঠিক উল্টো। প্রথম পাঁচ শটের ব্যবধানটা দাঁড়ায় ৩-৩। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আরও দুটি করে শট। সেখানেও ব্যবধান হয় সমান সমান। এরপর যে তিনটি শট, সেখানে দুটি গোল করে অস্ট্রেলিয়া আর ফ্রান্স একটি। ভিকি বেচো শেষ শটটি মিস করলে উদ্‌যাপনে মেতে ওঠেন স্বাগতিক দলের খেলোয়াড় ও মাঠের ৫০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান সমর্থক। এবারই যে প্রথম বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠা তাদের! 

অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক মূলত গোলরক্ষক ম্যাকেঞ্জি আর্নল্ড। শুটআউটে চারটি সেভ করেছেন তিনি। তার মধ্যে প্রথমার্ধে দুটি গোল মিস করেন ফরাসি ডিফেন্ডার লাকরার। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যারি ফাউলার। অতিরিক্ত সময়ের ১০০ তম মিনিটে ফ্রান্সের নেওয়া কর্নার থেকে গোল বাঁচাতে গিয়ে হেডে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার আলান্না কেনেডি। তবে রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন। 

ফ্রান্স ২০১১ সালে একবারই সেমিতে খেলেছে। ছেলেদের বিশ্বকাপে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। এবার মেয়েদের বিশ্বজয়ের মুকুট মাথায় পরতে হার্ভে রেনার্ডকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় ফ্রান্স। গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে তাঁর অধীনে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েকে চমকে দিয়েছিল সৌদি আরব। 

অস্ট্রেলিয়া প্রথমবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে পারে সিডনিতে আজ দিনের আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-কলম্বিয়ার ম্যাচের বিজয়ী দলকে। ১৬ দল শেষ চারে খেলবে তারা। আগেই চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ে এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে নারী বিশ্বকাপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত