সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
তরুণ থেকে প্রবীণ—হবিগঞ্জের স্নানঘাট গ্রামের সব বয়সী মানুষের ভেতর বইছে একই উন্মাদনা। কারণ, হামজা চৌধুরী আসছেন। হবিগঞ্জে এর আগেও বেশ কয়েকবার পা রেখেছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলার হিসেবে এবারই প্রথম আসা হচ্ছে তাঁর। তাঁকে ঘিরে হবিগঞ্জজুড়ে ঈদের মতোই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
হামজার আসার খবরে হবিগঞ্জের বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে চলছে নানা প্রস্তুতি। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে স্নানঘাট গ্রাম ও আশপাশের রাস্তাঘাট। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আজ সকালের ফ্লাইটে সিলেটে পা রাখবেন হামজা। সেখান থেকে নিজ গ্রামে যাবেন তিনি। বিকেলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে গ্রামবাসী।
হামজার বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হামজার জন্ম হয়েছে লন্ডনে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমি তাকে মাঝেমধ্যে দেশে নিয়ে আসতাম। সে কয়েক মাস সময় এখানে থাকত। দেশের মাঠঘাট ঘুরে বেড়াত। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করত। যে কারণে দেশের প্রতি তার একটা আলাদা ভালোবাসা আছে। এই ভালোবাসা থেকেই হামজা বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
হামজাকে একনজর দেখতে তর সইছে না গ্রামবাসীর। স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এত বড় একজন আন্তর্জাতিক তারকা আমাদের গ্রামের সন্তান, এটা গর্বের বিষয়। আমরা তার জন্য যা করতে পারি, তা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
হামজাকে গ্রামের গর্ব উল্লেখ করে তরুণ রুবেল মিয়া বলেন, ‘হামজা চৌধুরী শুধু আমাদের গ্রামের গর্ব নয়, তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। এত দিন হয়তো আমরা তাঁকে সেভাবে চিনিনি। এখন তিনি দেশের হয়ে খেলবেন ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা চিনতে পারছি। নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে, যে এমন একজন ফুটবল তারকা আমাদের দেশের সন্তান।’
ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাবকে দূরে সরাতে পারলে দেশেই হামজার মতো অনেক ফুটবলার তৈরি হবে বলে মনে করেন হামজার চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব বিদ্যমান। দেশের খেলাধুলা এগিয়ে নিতে হলে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে। এতে দেশেই অনেক হামজা তৈরি হবে।’
হামজাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন। ইকবাল বলেন, ‘তার (হামজা) সঙ্গে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য ৬ পুলিশ রেখে দেব। ইনশাআল্লাহ তারা হয়তো সার্বক্ষণিক থাকবেন। তার পরদিন যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবেন ও বিমানবন্দর পৌঁছে দেবেন।’
হবিগঞ্জে এক দিন অবস্থান শেষে পরদিন ঢাকায় যাবেন হামজা। সেখানে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ২০ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়বেন তিনি। সব ঠিক থাকলে, আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার। গত ডিসেম্বরে ফিফার কাছ থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পান তিনি।
তরুণ থেকে প্রবীণ—হবিগঞ্জের স্নানঘাট গ্রামের সব বয়সী মানুষের ভেতর বইছে একই উন্মাদনা। কারণ, হামজা চৌধুরী আসছেন। হবিগঞ্জে এর আগেও বেশ কয়েকবার পা রেখেছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলার হিসেবে এবারই প্রথম আসা হচ্ছে তাঁর। তাঁকে ঘিরে হবিগঞ্জজুড়ে ঈদের মতোই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
হামজার আসার খবরে হবিগঞ্জের বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে চলছে নানা প্রস্তুতি। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে স্নানঘাট গ্রাম ও আশপাশের রাস্তাঘাট। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আজ সকালের ফ্লাইটে সিলেটে পা রাখবেন হামজা। সেখান থেকে নিজ গ্রামে যাবেন তিনি। বিকেলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে গ্রামবাসী।
হামজার বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হামজার জন্ম হয়েছে লন্ডনে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমি তাকে মাঝেমধ্যে দেশে নিয়ে আসতাম। সে কয়েক মাস সময় এখানে থাকত। দেশের মাঠঘাট ঘুরে বেড়াত। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করত। যে কারণে দেশের প্রতি তার একটা আলাদা ভালোবাসা আছে। এই ভালোবাসা থেকেই হামজা বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
হামজাকে একনজর দেখতে তর সইছে না গ্রামবাসীর। স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এত বড় একজন আন্তর্জাতিক তারকা আমাদের গ্রামের সন্তান, এটা গর্বের বিষয়। আমরা তার জন্য যা করতে পারি, তা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
হামজাকে গ্রামের গর্ব উল্লেখ করে তরুণ রুবেল মিয়া বলেন, ‘হামজা চৌধুরী শুধু আমাদের গ্রামের গর্ব নয়, তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। এত দিন হয়তো আমরা তাঁকে সেভাবে চিনিনি। এখন তিনি দেশের হয়ে খেলবেন ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা চিনতে পারছি। নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে, যে এমন একজন ফুটবল তারকা আমাদের দেশের সন্তান।’
ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাবকে দূরে সরাতে পারলে দেশেই হামজার মতো অনেক ফুটবলার তৈরি হবে বলে মনে করেন হামজার চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব বিদ্যমান। দেশের খেলাধুলা এগিয়ে নিতে হলে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে। এতে দেশেই অনেক হামজা তৈরি হবে।’
হামজাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন। ইকবাল বলেন, ‘তার (হামজা) সঙ্গে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য ৬ পুলিশ রেখে দেব। ইনশাআল্লাহ তারা হয়তো সার্বক্ষণিক থাকবেন। তার পরদিন যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবেন ও বিমানবন্দর পৌঁছে দেবেন।’
হবিগঞ্জে এক দিন অবস্থান শেষে পরদিন ঢাকায় যাবেন হামজা। সেখানে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ২০ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়বেন তিনি। সব ঠিক থাকলে, আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার। গত ডিসেম্বরে ফিফার কাছ থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পান তিনি।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভরাডুবির পর হার্ডলাইনে যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যার মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিদেশ সফরের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধের ব্যাপার রয়েছে। একই নিয়মকানুন আরোপ করা হয় আইপিএলের জন্যও। এমন নিয়মের কারণে...
১ ঘণ্টা আগেডার্বি মানেই উত্তাপ। এ ম্যাচে চোখ ছিল বাংলাদেশেরও। কারণ হামজা চৌধুরী খেলছিলেন যে। বাংলাদেশে পা রাখার আগে এটিই ছিল শেফিল্ড শিল্ডের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ। কাল থেকে তাঁর পুরো ভাবনার অনেকটা জুড়েই থাকবে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেঅফফর্মের চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকা লিটন দাসকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরোয়া ক্রিকেটের লিস্ট এ সংস্করণ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) দল পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে বাংলাদেশের এই ৩০ বছর বয়সী ব্যাটারকে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।এই ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষক তামিম ইকবাল।
২ ঘণ্টা আগেদুর্দান্ত ঢাকা থেকে নাম বদলে ২০২৫ বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইটি খেলেছে ঢাকা ক্যাপিটালস নামে। এবার ঢাকা ক্যাপিটালসের সত্ত্বাধিকারী ছিলেন শাকিব খান। দলের সমর্থনে প্রায়ই মাঠে দেখা গেলেও হতাশ হতে হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘কিং খান’ নামে পরিচিত এই নায়ককে।
৪ ঘণ্টা আগে