Ajker Patrika

মেসিকে শ্রদ্ধা ফেদেরারের

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৩: ০২
Thumbnail image

লিওনেল মেসি ও রজার ফেদেরার দুজনেই ক্রীড়াঙ্গনের কিংবদন্তি। ভিন্ন ভিন্ন খেলার তারকা হলেও একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক দুর্দান্ত এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও। দুজনের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের নমুনা আবারও পাওয়া গেল। গতকাল টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ঘোষণার পর আর্জেন্টাইন তারকাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টেনিসের লিজেন্ড।

ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে মেসি জায়গা পেয়েছেন ১০০ জনের তালিকায়। সেই তালিকা প্রকাশের পরেই পিএসজি তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফেদেরার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী বলেছেন, ‘‍লিওনেল মেসির গোলস্কোরিং রেকর্ড ও শিরোপা জয় নিয়ে এখানে পুনরায় কিছু বলার নেই। ৩৫ বছর বয়সী মেসির যে বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে তা হচ্ছে এত বছর গ্রেটনেস ধরে রাখা। এটা অর্জনের পর ধরে রাখাটা বেশ কঠিন। সে জাদুকরের মতো ড্রিবলিং করে আর তার কৌণিক পাসগুলো হচ্ছে শিল্প। তার সচেতনতা ও পূর্বানুমান বোঝার বাইরে।’

গত সেপ্টেম্বরে টেনিস কোর্ট থেকে অবসর নেন ফেদেরার। বিদায়ের পর অ্যাথলেটদের প্রভাবের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন সুইস তারকা। তিনি বলেছেন, ‘ক্যারিয়ার শেষে এখন বুঝতে পারি আমরা অ্যাথলেটরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমরা বুঝতে পারি না। মেসির মতো একজন ফুটবলারের কাছে এর ব্যাপ্তি আরও বিশাল। সে জনপ্রিয় একটি ক্লাব এবং ফুটবলপাগল দেশের প্রতিনিধিত্ব করে।’

এরপর মেসিদের বিশ্বকাপ জয় ও উদ্‌যাপন নিয়ে ফেদেরার বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় ছিল অবিশ্বাস্য। খেলাধুলার দুর্দান্ত মুহূর্তটি উদ্‌যাপন করার জন্য বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়ে। পুরো বিশ্বই এর সাক্ষী হয়েছে। এমনকি যারা ফুটবল নিয়ে খোঁজখবর রাখে না, তারাও বিশ্বের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় খেলাটির প্রকৃত প্রভাব বুঝতে পেরেছ।’

মেসিকে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন ফেদেরার। সঙ্গে নিজের শৈশবের আইডলদেরও স্মরণ করেছেন তিনি। টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি বলেছেন, ‘বেড়ে ওঠার সময় আমার প্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, সৌভাগ্যবান যে দুজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। তারা আমাকে প্রেরণা দিয়েছে। এখন মেসি আগামী প্রজন্মকে প্রেরণা দিতে পারে। আমার একমাত্র আশা সে যেন আরও কিছুদিন তার অনন্য সৃজনশীলতা ও শৈল্পিকতা দেখায়। মেসি মাঠে খেলার সময় খুব বেশি চোখের পাতা ফেলবে না। কারণ গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির অবিশ্বাস্য কিছু মুহূর্ত হাতছাড়া করতে পারে। ধন্যবাদ, লিও।’

ক্যারিয়ারে সবকিছুই জিতেছিলেন মেসি। অধরা ছিল শুধু বিশ্বকাপ। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর। এখন শুধু নিজেকে আরও ছাড়িয়ে যাওয়ার পালা। আর ক্যারিয়ারের শেষ সময় পর্যন্ত মানুষকে বিনোদন দিয়ে যাওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত