হাসনাত শোয়েব, ঢাকা

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।
একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।
বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।
একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।
বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।
হাসনাত শোয়েব, ঢাকা

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।
একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।
বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।
একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।
বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবার এই ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
৩৮ মিনিট আগে
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রি
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবার এই ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
গত মাসে প্রথমবারের মতো বার্ষিক শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা দেন ইনফান্তিনো। সেই পুরস্কার যে ট্রাম্পের হাতে উঠবে, আগেই সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার প্রধান। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্টের ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি ওভালে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত। সে অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের হাতে শান্তি পুরস্কার তুলে দেন ইনফান্তিনো।
একটি সোনার ট্রফির পাশাপাশি একটি মেডেল এবং সনদ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। একইসঙ্গে ট্রাম্পের প্রশংসা করেন ইনফান্তিনো। সেই ঘটনায় তাঁর প্রতি নৈতিকতা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে ফেয়ারস্কয়ার নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ফিফার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নীতি ভঙ্গ করেছেন ইনফান্তিনো। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফিফার নৈতিকতা কমিটিকে অনুরোধ করেছে ফেয়ারস্কয়ার।
তদন্ত কমিটি দোষ খুঁজে পেলে সতর্ক করা হতে পারে ইনফান্তিনোকে। পাশাপাশি তিরস্কার করা কিংবা জরিমানাও করা হতে পারে এই ফুটবল সংগঠককে। ফুটবল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নির্দিষ্ট মেয়াদে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে ইনফান্তিনোর ওপর।
ফেয়ারস্কয়ারের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্বশীল একজন রাজনৈতিক নেতাকে এই পুরস্কার দিয়ে ফিফার নিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ফিফার নীতি বা মূল্যবোধ, লক্ষ্য, কৌশলগত দিকনির্দেশনা ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা কেবল সভাপতি একা রাখেন না।’
ফেয়ারস্কয়ারের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নিকোলাস ম্যাকগিহান বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার প্রতি ইনফান্তিনোর সমর্থনের জন্যই কেবল এই অভিযোগ করা হয়নি। এটার কারণ আরও বিস্তৃত। ফিফার শাসনব্যবস্থায় ইনফান্তিনো সরাসরি নিয়ম ভঙ্গের সুযোগ পাচ্ছেন। যেটা বিপজ্জনক এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের স্বার্থের সম্পূর্ণ বিপরীত।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবার এই ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
গত মাসে প্রথমবারের মতো বার্ষিক শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা দেন ইনফান্তিনো। সেই পুরস্কার যে ট্রাম্পের হাতে উঠবে, আগেই সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার প্রধান। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্টের ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি ওভালে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত। সে অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের হাতে শান্তি পুরস্কার তুলে দেন ইনফান্তিনো।
একটি সোনার ট্রফির পাশাপাশি একটি মেডেল এবং সনদ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। একইসঙ্গে ট্রাম্পের প্রশংসা করেন ইনফান্তিনো। সেই ঘটনায় তাঁর প্রতি নৈতিকতা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে ফেয়ারস্কয়ার নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ফিফার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নীতি ভঙ্গ করেছেন ইনফান্তিনো। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফিফার নৈতিকতা কমিটিকে অনুরোধ করেছে ফেয়ারস্কয়ার।
তদন্ত কমিটি দোষ খুঁজে পেলে সতর্ক করা হতে পারে ইনফান্তিনোকে। পাশাপাশি তিরস্কার করা কিংবা জরিমানাও করা হতে পারে এই ফুটবল সংগঠককে। ফুটবল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নির্দিষ্ট মেয়াদে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে ইনফান্তিনোর ওপর।
ফেয়ারস্কয়ারের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘দায়িত্বশীল একজন রাজনৈতিক নেতাকে এই পুরস্কার দিয়ে ফিফার নিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ফিফার নীতি বা মূল্যবোধ, লক্ষ্য, কৌশলগত দিকনির্দেশনা ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা কেবল সভাপতি একা রাখেন না।’
ফেয়ারস্কয়ারের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নিকোলাস ম্যাকগিহান বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডার প্রতি ইনফান্তিনোর সমর্থনের জন্যই কেবল এই অভিযোগ করা হয়নি। এটার কারণ আরও বিস্তৃত। ফিফার শাসনব্যবস্থায় ইনফান্তিনো সরাসরি নিয়ম ভঙ্গের সুযোগ পাচ্ছেন। যেটা বিপজ্জনক এবং বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের স্বার্থের সম্পূর্ণ বিপরীত।’

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
০৯ জুলাই ২০২১
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রি
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজ শেষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। ২১ জানুয়ারি হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এখনো অনেক দেরি হলেও বিগ ব্যাশের কারণে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় অ্যালেন। বিগ ব্যাশে পার্থ স্করচার্চের হয়ে খেলেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পার্থ স্করচার্চ-সিডনি সিক্সার্স। লিগ পর্বে পার্থের শেষ ম্যাচ ১৭ জানুয়ারি মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে। কিন্তু প্লে অফের চার ম্যাচ হবে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি। ফাইনাল হবে ২৫ জানুয়ারি। পার্থ প্লে অফে উঠলেই ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে সেটা সাংঘর্ষিক হবে।
পার্থ স্করচার্চের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার কারণেই মূলত বিগ ব্যাশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারত সিরিজ খেলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না অ্যালেন। নিউজিল্যান্ডের এই বিধ্বংসী ব্যাটার আজ ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘পার্থ স্করচার্চের বিগ ব্যাশ শেষ হলেই সোজা ভারতে চলে যাব। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলাটাকে এখনো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পছন্দ করি। তবে ক্রিকেট তো প্রত্যেক বছর বদলাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের কেজুয়াল চুক্তিতে স্বাক্ষর করা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন অ্যালেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) হাইপারফরম্যান্স সিস্টেমের সঙ্গে থাকেন বলে অনেক সময় জাতীয় দলের ম্যাচ ছাপিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিলেও সেটা তাঁর জন্য ভুল না। তবে অ্যালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ তিনি খেলেছেন এ বছরের ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ৫২ টি-টোয়েন্টিতে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটি করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে ২১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজ শেষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। ২১ জানুয়ারি হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এখনো অনেক দেরি হলেও বিগ ব্যাশের কারণে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় অ্যালেন। বিগ ব্যাশে পার্থ স্করচার্চের হয়ে খেলেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পার্থ স্করচার্চ-সিডনি সিক্সার্স। লিগ পর্বে পার্থের শেষ ম্যাচ ১৭ জানুয়ারি মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে। কিন্তু প্লে অফের চার ম্যাচ হবে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি। ফাইনাল হবে ২৫ জানুয়ারি। পার্থ প্লে অফে উঠলেই ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে সেটা সাংঘর্ষিক হবে।
পার্থ স্করচার্চের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার কারণেই মূলত বিগ ব্যাশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারত সিরিজ খেলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না অ্যালেন। নিউজিল্যান্ডের এই বিধ্বংসী ব্যাটার আজ ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘পার্থ স্করচার্চের বিগ ব্যাশ শেষ হলেই সোজা ভারতে চলে যাব। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলাটাকে এখনো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পছন্দ করি। তবে ক্রিকেট তো প্রত্যেক বছর বদলাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের কেজুয়াল চুক্তিতে স্বাক্ষর করা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন অ্যালেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) হাইপারফরম্যান্স সিস্টেমের সঙ্গে থাকেন বলে অনেক সময় জাতীয় দলের ম্যাচ ছাপিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিলেও সেটা তাঁর জন্য ভুল না। তবে অ্যালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ তিনি খেলেছেন এ বছরের ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ৫২ টি-টোয়েন্টিতে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটি করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে ২১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
০৯ জুলাই ২০২১
ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবার এই ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
৩৮ মিনিট আগে
দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রি
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রিদওয়ানের লাল কার্ড দেখা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে পরশু আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত আতলেতিকো চার্লনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাংলাদেশের ফুটবলারদের। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহাসান হাবিব রিদওয়ান আর্জেন্টিনার এক ফুটবলারকে লাথি-ঘুষি মেরে বসেন। তখনই দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রেফারিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ম্যাচের পর থেকেই রিদওয়ানকে শুনতে হচ্ছে দুয়ো, সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে কঠোর সমালোচনা করছেন দর্শকেরা। তীব্র সমালোচনায় বেশ ভেঙে পড়েছেন রিদওয়ান। এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লাতিন বাংলা কাপে খেলা একজন ফুটবলার। গতকাল ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এই ম্যাচে আমি যে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছি এতে বাংলাদেশের দর্শক ও সমর্থকদের হতাশ করেছি। আসলে খেলার মাঠে অনেক সূক্ষ্ম সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটে। আমার সঙ্গেও এমন হয়েছিল। আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। যে আচরণ করেছি, সেটা খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’
লাথি-ঘুষির কাণ্ডে আর্জেন্টিনা দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রিদওয়ান। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলকেও একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই ডিফেন্ডার, ‘এটা আমার ভুল ও ভুলের পুরো দায় নিচ্ছি। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা দলের কাছে আমার একটাই বার্তা, সহিংস আচরণ ফুটবলে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে যে পরিণত আচরণ দেখানো উচিত ছিল, আমি সেটা দেখাতে পারিনি। আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড় ও কোচদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তারা এটাকে খেলার অংশ হিসেবে নিয়েছে।’
লাতিন বাংলা সুপার কাপে ব্রাজিলের ক্লাব সাও বের্নার্দোর বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। ক্যাসপার হক, বীতশোক চাকমা, ইব্রাহিম নাওয়াজ, ইশান মালিক—লাতিন বাংলা সুপার কাপে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এই চার প্রবাসী ফুটবলার।

দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রিদওয়ানের লাল কার্ড দেখা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে পরশু আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। শরীর নির্ভর ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত আতলেতিকো চার্লনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাংলাদেশের ফুটবলারদের। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহাসান হাবিব রিদওয়ান আর্জেন্টিনার এক ফুটবলারকে লাথি-ঘুষি মেরে বসেন। তখনই দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে রেফারিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ম্যাচের পর থেকেই রিদওয়ানকে শুনতে হচ্ছে দুয়ো, সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে কঠোর সমালোচনা করছেন দর্শকেরা। তীব্র সমালোচনায় বেশ ভেঙে পড়েছেন রিদওয়ান। এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লাতিন বাংলা কাপে খেলা একজন ফুটবলার। গতকাল ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এই ম্যাচে আমি যে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছি এতে বাংলাদেশের দর্শক ও সমর্থকদের হতাশ করেছি। আসলে খেলার মাঠে অনেক সূক্ষ্ম সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটে। আমার সঙ্গেও এমন হয়েছিল। আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। যে আচরণ করেছি, সেটা খেলার স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।’
লাথি-ঘুষির কাণ্ডে আর্জেন্টিনা দলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রিদওয়ান। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা দলকেও একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ এই ডিফেন্ডার, ‘এটা আমার ভুল ও ভুলের পুরো দায় নিচ্ছি। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা দলের কাছে আমার একটাই বার্তা, সহিংস আচরণ ফুটবলে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন বাংলাদেশি ফুটবলার হিসেবে যে পরিণত আচরণ দেখানো উচিত ছিল, আমি সেটা দেখাতে পারিনি। আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড় ও কোচদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তারা এটাকে খেলার অংশ হিসেবে নিয়েছে।’
লাতিন বাংলা সুপার কাপে ব্রাজিলের ক্লাব সাও বের্নার্দোর বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল রেড গ্রিন ফিউচার স্টার। ক্যাসপার হক, বীতশোক চাকমা, ইব্রাহিম নাওয়াজ, ইশান মালিক—লাতিন বাংলা সুপার কাপে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন এই চার প্রবাসী ফুটবলার।

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
০৯ জুলাই ২০২১
ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবার এই ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
৩৮ মিনিট আগে
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২ ধাপ উন্নতি করে দুইয়ে উঠে এসেছেন কোহলি। তারকা ব্যাটারের সংগ্রহ ৭৭৩ রেটিং পয়েন্ট। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১২০ বলে ১৩৫ রান করেন কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০২ রান। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে ৪৫ বলে খেলেন ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩ ম্যাচে ৩০২ রান করে সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে সংস্করণেই খেলে যাচ্ছেন ইতিহাসের সেরা ব্যাটারদের একজন।
সিরিজে কোহলির মতো দুর্দান্ত ফর্মে না থাকলেও কম যাননি রোহিত শর্মা। ২ ফিফটিতে ১৪৬ রান করেন এই ওপেনার। যথারীতি ওয়ানডে ব্যাটারের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। এই মারকুটে ব্যাটারের সংগ্রহ ৭৮১ রেটিং পয়েন্ট। সতীর্থ কোহলির কাছে শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কায় আছেন রোহিত।
সেরা দশে পরিবর্তন আছে আরও চারটি। এক ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছেন ড্যারেল মিচেল। আফগানিস্তানের ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানেরও এক ধাপ অবনমন হয়েছে। চারে নেমে গেছেন তিনি। এক ধাপ উন্নতি করে নয়ে উঠে এসেছেন শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা। এক ধাপ পিছিয়ে বর্তমানে দশে অবস্থান করছেন ভারতের তারকা ব্যাটার শ্রেয়াশ আইয়ার। অস্ট্রেলিয়া সফরে চোট পান তিনি। এরপর থেকেই দলের বাইরে আছেন। কবে ফিরবেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো পার করেছেন বিরাট কোহলি। দুটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি ফিফটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন পারফরম্যান্সের সুবাধে ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২ ধাপ উন্নতি করে দুইয়ে উঠে এসেছেন কোহলি। তারকা ব্যাটারের সংগ্রহ ৭৭৩ রেটিং পয়েন্ট। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১২০ বলে ১৩৫ রান করেন কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০২ রান। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে ৪৫ বলে খেলেন ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩ ম্যাচে ৩০২ রান করে সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে এখন কেবল ভারতের হয়ে ওয়ানডে সংস্করণেই খেলে যাচ্ছেন ইতিহাসের সেরা ব্যাটারদের একজন।
সিরিজে কোহলির মতো দুর্দান্ত ফর্মে না থাকলেও কম যাননি রোহিত শর্মা। ২ ফিফটিতে ১৪৬ রান করেন এই ওপেনার। যথারীতি ওয়ানডে ব্যাটারের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। এই মারকুটে ব্যাটারের সংগ্রহ ৭৮১ রেটিং পয়েন্ট। সতীর্থ কোহলির কাছে শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কায় আছেন রোহিত।
সেরা দশে পরিবর্তন আছে আরও চারটি। এক ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছেন ড্যারেল মিচেল। আফগানিস্তানের ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানেরও এক ধাপ অবনমন হয়েছে। চারে নেমে গেছেন তিনি। এক ধাপ উন্নতি করে নয়ে উঠে এসেছেন শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা। এক ধাপ পিছিয়ে বর্তমানে দশে অবস্থান করছেন ভারতের তারকা ব্যাটার শ্রেয়াশ আইয়ার। অস্ট্রেলিয়া সফরে চোট পান তিনি। এরপর থেকেই দলের বাইরে আছেন। কবে ফিরবেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়।

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।
০৯ জুলাই ২০২১
ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এবার এই ইস্যুতে বেশ চাপের মুখে পড়েছেন ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
৩৮ মিনিট আগে
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ফুটবলে ‘লাতিন-বাংলা সুপার কাপ’ খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও টুর্নামেন্টটি নিয়ে ভালোই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল দেশের ফুটবল দর্শকদের। সে কারণেই টুর্নামেন্টের নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হয়ে খেলা দুটি দলের নানা ঘটনার মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার ইহসান হাবিব রি
১ ঘণ্টা আগে