Ajker Patrika

লাতিন ফুটবল যেভাবে মার খাচ্ছে ইউরোপের কাছে

হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২১, ১৮: ৪১
লাতিন ফুটবল যেভাবে মার খাচ্ছে ইউরোপের কাছে

শেষের গান শুনছে ইউরো ২০২০ ও কোপা আমেরিকা ২০২১। ১১ জুলাই দুই মহাদেশে ভিন্ন দুটি ফাইনালে নামবে চার দল। মারাকানায় ফুটবলের চিরন্তন এক দ্বৈরথে মাঠে নামবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। একই রাতে ওয়েম্বলিতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ইতালি ও ইংল্যান্ড।

দুই মহাদেশীয় এই ফুটবল আয়োজনের পার্থক্যটা অন্যবারের তুলনায় এবার যেন বেশি চোখে ধরা পড়ছে। গুণে–মানে যেমন যোজন যোজন পার্থক্য, দর্শকের আকর্ষণ বিবেচনায়ও ব্যবধানটা চোখে পড়ার মতো। এ দুই আয়োজনে পার্থক্যের ধরনটা মূলত দুই রকম। একটা খেলার মাঠে, অন্যটা মাঠের বাইরে।

এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। রাজনৈতিক সহিংসতায় কলম্বিয়া বাদ পড়ে আগেই। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনাও ছিটকে পড়ে। হঠাৎ আয়োজনের দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলের কাঁধে। একরকম প্রস্তুতি ছাড়াই টুর্নামেন্ট চলে যায় নেইমারদের দেশে। অপ্রস্তুত সেই আয়োজনের দুর্বলতা বেরিয়ে আসে দ্রুতই। মাঠগুলো খেলার অনুপযোগী, যার সমালোচনা করে জরিমানা গুনেছেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ব্রাজিলের মানহীন এই মাঠের সঙ্গে ইউরোপের ব্যয়বহুল ও নান্দনিক মাঠগুলোর পার্থক্যও বিশাল।

একটা সময় ছিল, যখন একটি দলকে একজন তারকা টেনে নিতেন। ম্যারাডোনা লম্বা সময় এককভাবে টেনেছেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু ফুটবল ট্যাকটিকস ধীরে ধীরে বদলে গেছে। সেই বিবর্তনে একক নৈপুণ্যের ফুটবলেরও মৃত্যু ঘটে গেছে। সময়ের সঙ্গে ফুটবল ক্রমশ আরও বেশি দলগত খেলা হয়ে উঠেছে। কিন্তু লাতিন ফুটবল পুরোনো ছবি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। লিওনেল মেসি কিংবা নেইমারের ওপর তারা সব দায়িত্ব চাপিয়ে নির্বিকার থাকতে চেয়েছে! এই নির্ভরতার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। প্রত্যাশার চাপে মেসি-নেইমাররা মাঝে মাঝেই নুইয়ে পড়েছেন। ফুটবলের কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন পরাশক্তিরা। যার ফল হচ্ছে ২০০২ সালের পর লাতিন দেশে আর কোনো বিশ্বকাপ না ফেরা।

বিশ্বায়নের পৃথিবীতে সবকিছুই এখন করপোরেট পুঁজির অংশ। ফুটবলও সে জুতোয় পা ঢুকিয়েছে বহু আগে; বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবল। ‘বসম্যান’ আইনের মতো উদ্যোগ ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে দক্ষতার দিক দিয়ে দলগুলো বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারে। যেটি ইউরোপে ছোট দল–বড় দলের যে পার্থক্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে। ডেনমার্ক–ইউক্রেন–সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো কাঁপিয়ে দিতে পারে জায়ান্টদের। অন্যদিকে লাতিন দেশগুলো এখনো একমাত্রিক ফুটবল খেলে যাচ্ছে। পাওয়ার ও প্রেসিং ফুটবলের সামনে দলগুলো তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইন। লাতিন আমেরিকার দলগুলোয় একমাত্র উরুগুয়েতে জুনিয়র ফুটবল ভালোভাবে সক্রিয়। তার পেছনে আছেন ‘এল মায়েস্ত্রো’খ্যাত কোচ অস্কার তাবারেজ। তিনি নিজে এই স্তরগুলোয় কাজ করেন। আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের পাইপলাইন তৈরির কাঠামো এতটা সক্রিয় নয়। সম্ভাবনাময় প্রচুর ফুটবলার ঝরে পড়েন অকালে। এর মাঝেও যাঁরা টিকে থাকেন, তাঁদের অনেকেই ইউরোপে পাড়ি জমান। এভাবে তাঁরা নিজেদের বিশ্বসেরার কাতারে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা অনেক পেছনে পড়ে যান। এই ব্যবধান দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।

লাতিন ক্লাবগুলোও তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন ধুঁকতে শুরু করেছে। বড় মাছ যেভাবে ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, একইভাবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের দাপটে ম্লান হয়ে যাচ্ছে বর্তমান লাতিন ফুটবল। ফেডারেশনগুলোর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা লাতিন ও ইউরোপিয়ান ফুটবলকে দুই মেরুতে ঠেলে দিয়েছে। এই ব্যবধান শিগগির কমবে—সে আশাও নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চল আবার দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৪১ বছর বয়সেও খেলবেন মেসি, মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তি

ক্রীড়া ডেস্ক    
মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন মেসি। ছবি: ইন্টার মায়ামি
মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন মেসি। ছবি: ইন্টার মায়ামি

বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। লিওনেল মেসিও বা কম যান কীসে! কয়েক মাস আগে পেরিয়েছেন ৩৮। এবার ৪১ বছর বয়সেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার আগাম বার্তা দিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ৩ বছরের নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয় তা।

ইন্টার মায়ামির নির্মাণাধীন ফ্রিডম পার্ক স্টেডিয়ামে বসে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করেন মেসি। আগামী বছর থেকে এটাই হবে মায়ামির ঘর৷ সেখানে মেসির পায়ের ধূলো পড়বে না তা কী করে হয়। তাই তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চুক্তির ভিডিও দিয়ে ক্যাপশনে মায়ামি জানিয়েছে, হি ইজ হোম (তিনি থাকছেন)।

চুক্তি নিয়ে মেসি বলেন, ‘এখানে থাকতে পারে এবং এই প্রকল্পের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি খুশি। ফ্রিডম পার্কে খেলার স্বপ্ন এখন একটি সুন্দর বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। মায়ামিতে আসার পর থেকে আমি খুব খুশি আছি। তাই এখানে খেলা চালিয়ে যেতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’

মেসি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সবাই সেই মুহূর্তটির জন্য খুব রোমাঞ্চিত, যখন অবশেষে মায়ামি ফ্রিডম পার্কে খেলতে পারব। আমাদের নতুন ঘরে খেলার অভিজ্ঞতা নিতে এবং ভক্তদেরকেও তা উপভোগ করার সুযোগ দিতে তর সইছে না। এমন একটি দর্শনীয় স্টেডিয়ামে ঘরে খেলতে পারাটা সত্যিই বিশেষ কিছু হবে।’

ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক ও ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের ইন্টার মায়ামিতে আনা। আর ঠিক সেটাই করেছি। আমরা সেই খেলোয়াড়কে এনেছি যে খেলাটির সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড়। এটি মায়ামির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে ফুটিয়ে তোলে।একই সঙ্গে শহর, ক্লাব ও খেলার প্রতি মেসির দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে।’

মায়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তি নবায়নের বিষয়টি অনুমিত ছিল। ২০২৩ সালে আড়াই বছরের চুক্তিতে পিএসজি থেকে ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি। যা শেষ হত এ বছরই। বয়স ৪০ ছোঁয়ার আগেই যেখানে অনেক ফুটবলার খেলা ছাড়ার ঘোষণা, সেখানে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর ও বিশ্বকাপজয়ী মেসি বিপরীত দিকেই হাঁটছেন। ভক্তদের তাতে খুশি না হয়ে উপায় আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চল আবার দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোচ সালাহ উদ্দিনের একার নয়, দল চলে সবার সিদ্ধান্তে—দাবি মিরাজের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দলে সব সিদ্ধান্ত একা নেন না মিরাজ। ছবি: ফেসবুক
দলে সব সিদ্ধান্ত একা নেন না মিরাজ। ছবি: ফেসবুক

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য সরকার জানিয়েছিলেন, সুপার ওভার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোচ ও অধিনায়ক। অথচ মেহেদী হাসান মিরাজ জানালেন ভিন্ন কিছু। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৭৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হওয়ার পর বরাবরই আলোচনায় থাকছেন মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। যদিও আলোচিতর চেয়ে বরং সমালোচিতই হচ্ছেন তিনি। কেউ কেউ মনে করেন দলে তাঁর কর্তৃত্বই চলে বেশি।

আজ সিরিজ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘সবাই মনে করে সিদ্ধান্ত শুধু সালাহউদ্দিন স্যার আর আমি নিচ্ছি। আমরা যখন সিদ্ধান্ত নিই তখন সবাই একসঙ্গে পরামর্শ করে। ফিল সিমন্স পরামর্শ করেন, সালাহ উদ্দিন স্যারের সঙ্গে কথা বলেন, আমার সঙ্গেও কথা বলেন। অনেক সময় আমরা সম্মতি দিই আবার অনেক সময় দিই না।’

মিরাজ যোগ করেন, ‘আবার আমি একটা কথা বললাম বা সালাহ উদ্দিন স্যার একটা বললেন তখন তিনি (সিমন্স) সেটা শুনেন। জিনিসটা এভাবেই হয়। কারণ একটা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়। এরকম না আমি একা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

মিরপুরের কালো মাটির উইকেট নিয়ে সমালোচনা হলেও এমন উইকেটে দোষের কিছু দেখেন না মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সবাই ঘরের মাঠে সুবিধা নেয়। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমরা ওই কন্ডিশনে কতটুকু মানিয়ে নিতে পারছি বা তার জন্য কোথায় ক্যাম্প করছি সেগুলো তখন ভাবতে হবে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়াতে আমি দোষের কিছু দেখি না। আমরা সব ম্যাচ এই উইকেটে খেলবো এমন নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চল আবার দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতের আগে জাতীয় স্টেডিয়ামেই আফগানদের সামলাবে বাংলাদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ জাতীয় দল। ছবি: বাফুফে
বাংলাদেশ জাতীয় দল। ছবি: বাফুফে

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন শেষ হলেও ম্যাচ বাকি রয়েছে আরও দুটি। ১৮ নভেম্বর পঞ্চম ম্যাচে ঘরের মাঠে ভারতের মুখোমুখি হবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তবে এর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ১৩ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আজ বাফুফে জানিয়েছে, জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। তবে ৮-১৪ নভেম্বর এখানেই হওয়ার কথা রয়েছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন আয়োজন করবে প্রতিযোগিতাটি। দুটো সাংঘর্ষিক হয়ে যায় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।

মূলত ১৮ নভেম্বর আফগানিস্তানেরও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ রয়েছে। মিয়ানমারের বিপক্ষে সেই ম্যাচ তারা খেলবে ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। আফগানিস্তানের স্বাগতিক ভেন্যু হওয়ার পাশাপাশি প্রীতি ম্যাচ খেলারও ব্যবস্থা করে নিয়ে বাংলাদেশ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারল।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে ২০২৩ সেপ্টেম্বরে। ঘরের মাঠে দুটি প্রীতি ম্যাচের প্রথমটি গোলশূন্য ও পরেরটি ড্র হয়েছে ১-১ ব্যবধানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চল আবার দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অধিনায়কত্ব নিয়ে মিরাজকে ফোন দিয়ে কী বলেছেন মাশরাফি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মাশরাফি-তামিমের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েছেন মিরাজ। ছবি: ফেসবুক
মাশরাফি-তামিমের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েছেন মিরাজ। ছবি: ফেসবুক

কঠিন সময়ে স্বস্তির পরশ যেন খুঁজে পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকাপাকিভাবে ওয়ানডের নেতৃত্ব বুঝে পাওয়ার পর প্রথম দুই সিরিজে তিনি দেখেছেন হারের মুখ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো ধবলধোলাই হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ তাই তাঁর জন্য ছিল বড় পরীক্ষা। আজ ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের পর জানালেন সাবেক খেলোয়াড়দের সমর্থন তাঁকে বাজে সময়ে শক্ত থাকার প্রেরণা জুগিয়েছে।

নেতৃত্ব নিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবালের পরামর্শ পেয়েছেন মিরাজ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিনি বলেন, ‘আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট করেছে সবাই। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে তামিম ভাই ফোন দিয়েছিলেন। উনি অধিনায়ক ছিলেন, উনি বলেছেন কঠিন সময়ে অবশ্যই ভালো কিছু হবে। মাশরাফি ভাই আমাকে ফোন দিয়েছেন। উনি তো অনেক সফল অধিনায়ক।’

পরপর দুটি সিরিজ হারের পর মিরাজকে কী বলেছেন মাশরাফি? উত্তরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন, অনেক সহায়তা করেছেন, মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন। এই সময়টায় মানসিকভাবে আমাকে অনেক শক্ত থাকতে বলেছেন। আমার জন্য বিষয়টা সহজ না।’

কোনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় না থাকাটা নেতৃত্বের পথ কঠিন করে দিয়েছে বলে মনে করেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো সিনিয়র খেলোয়াড় দলে থাকত, তাহলে আমার জন্য জিনিসটা সহজ হয়ে যেত। আমি যখন নেতৃত্ব পাই, ওইরকম সিনিয়র কাউকে পাইনি। রিয়াদ ভাই-মুশফিক ভাই দুজনেই অবসর নিয়েছেন। তারা যদি থাকতেন হয়তো আমার জন্য কাজটা সহজ হয়ে যেত।’

নিয়মিত সাফল্য এনে দেওয়ার ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে বললেন মিরাজ, ‘আমার জন্য অবশ্যই কঠিন সময়। তবে আমাকেও একটু সময় দিতে হবে, একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমি মানুষ, ভুল করব। দিন শেষে তো আমরা দেশের হয়ে খেলি। সবাই যদি সাপোর্ট দেয় আমরাও ইনশা আল্লাহ ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

চীনের সহায়তায় বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চল আবার দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত