নাজিম আল শমষের, ঢাকা

প্রশ্ন: বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ থেকে আপনার সরে দাঁড়ানোর কারণ যদি ব্যাখ্যা করতেন।
পল স্মলি: বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে তিন-চার সপ্তাহ ধরে এ বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। ফিফা থেকে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করার পর আমি হতাশা থেকে বাফুফেকে কয়েকটি বিষয় পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। যেমন সারা দেশে ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে ফেডারেশনের যে অবস্থান...আমার মতে কিছু কিছু বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন আনতেই হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সভাপতি সিদ্ধান্ত দিতে সময় নিচ্ছিলেন। তখন আমার মনে হলো, এখন সরে দাঁড়ানোই ভালো। গতকাল (পরশু) সভাপতিকে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। সভাপতি অবশ্যই আমাকে থেকে যেতে বলেছেন। এখানে অনেক ইতিবাচকতাই আছে। কিন্তু দিন শেষে সবকিছুই বৃথা যেত। যেমন টেকনিক্যাল বিভাগের পুরো কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। ফেডারেশনের সব কটি বিভাগের কাজের মানসিকতায় পরিবর্তন করতে হবে। লিগের দলগুলোকে একাডেমি করতে হবে। তরুণ ফুটবলার তুলে আনার দায়িত্বটা তাদেরই নিতে হবে। কোচ, খেলোয়াড়, জামাল-সাবিনা, ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আমাকে যে সমর্থন দিয়েছেন, সবার কাছে কৃতজ্ঞতা। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে, এখন সরে দাঁড়ানোর সময়।
প্রশ্ন: টেকনিক্যাল বিভাগে কী সমস্যা ছিল?
স্মলি: আমাদের অনেক জনবলের দরকার ছিল, যারা ঢাকার বাইরে জেলা-বিভাগগুলোতে ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করবে। বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ইচ্ছা থাকার পরও আমরা ঢাকার বাইরে দেশজুড়ে ফুটবলের কারিগরি দিক ও অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনতে পারিনি। সভাপতি আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন। বলেছেন, আমরা যা করতে পারিনি, ভবিষ্যতে সেটা অবশ্যই করার চেষ্টা করব। আর ফেডারেশন এই কাজটা করতে পারেনি মূলত প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দল সাফল্য পাচ্ছে। একাডেমির মেয়েরা দেশকে সাফ এনে দিয়েছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, উন্নয়নের ইচ্ছাকে একটু ভিন্নভাবে পরিচালনা করতে হবে।
প্রশ্ন: টেকনিক্যাল বিভাগে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কি ঠিকঠাক কাজ করতেন না?
স্মলি: আমাদের টেকনিক্যাল বিভাগে সঠিক কোনো কাঠামোই ছিল না। হ্যাঁ, আমি ছিলাম, আরও কয়েকজন ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় আমাদের বিশেষ কিছু পদের দরকার ছিল। আমার দায়িত্ব বৈচিত্র্যে ভরা ছিল। আমি একাডেমির সঙ্গে কাজ করেছি, মেয়েদের একাডেমির সঙ্গে ছিলাম। ছেলে-মেয়েদের বয়সভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। এখন যেখানে আছি, আমাদের সেখান থেকে এগোতে হবে। সেটা করতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত মানবসম্পদের দরকার হবে। এসব ছাড়া এগোনো সম্ভবই হবে না।
প্রশ্ন: বেতন-ভাতা নিয়ে কি কোনো সমস্যা ছিল?
স্মলি: আমি বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো কথাই বলিনি। আপনাদের কয়েকজন সাংবাদিক সহকর্মী প্রতিবেদন করেছেন যে আমি কৌশলে বেতন বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এমনটা মোটেও ঘটেনি। আমি সভাপতির সঙ্গে যা নিয়ে সব সময় বলেছি, সেটা হলো কীভাবে ফেডারেশনের আরও উন্নতি করা যায়, কীভাবে নারী-পুরুষ জাতীয় দলকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়া যায়। কীভাবে আমরা একাডেমির উন্নয়ন করতে পারি, কীভাবে কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারি।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সঙ্গে আপনার সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক। এটা নিয়ে কী বলবেন?
স্মলি: অভিযোগ? এটা কিন্তু গুরুতর একটা শব্দ! মোটেও এমনটা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভুল ও অসত্য অভিযোগ। তাঁর (ছোটন) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের মতো। সব দলের সঙ্গেই আমি সহায়ক একজন ব্যক্তির মতো কাজ করেছি। আপনারা সবাই জানেন, বয়সভিত্তিক ফুটবলে আমার ভূমিকা কেমন ছিল। আমি জানি না, তিনি আমার সম্পর্কে কী বলেছেন। তাঁর সঙ্গে আমার মোটেও এমন সম্পর্ক ছিল না।
প্রশ্ন: আপনি নাকি বাফুফের পেশাদারি নিয়ে হতাশ ছিলেন? এটা কি আপনার সরে দাঁড়ানোর অন্যতম কারণ?
স্মলি: আমি কোথাও অপেশাদার শব্দটা ব্যবহার করিনি। ফেডারেশনের কোথায় কোন পরিবর্তনটা প্রয়োজন, সেটা সব সময় বলার চেষ্টা করেছি। আমার কী কী চাহিদা ছিল, সেটা আপনাদের আগেই বলেছি। ফিফার প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল কোন কোন জায়গায় সমস্যা আছে। আমি সেসব বিষয় পরিবর্তন করে যেটা করণীয় দরকার ছিল, সেটাই করতে চেয়েছি। সভাপতি আমাকে বলেছেন, তোমার কথা ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের পক্ষে এসব এখনই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তখনই আমি বলেছি, ঠিক আছে, আমি তাহলে সরে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর সালাউদ্দিনকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন?
স্মলি: ফিফা আর্থিক অনিয়ম নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছে, সেসব নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, ফেডারেশনে পরিবর্তন আনতে হবে। ঢাকাভিত্তিক ফুটবল থেকে খেলাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। কীভাবে ভালো খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হবে, সেটাও আমাদের চিন্তায় ছিল।
প্রশ্ন: বাফুফের সদস্যরা কি কখনো আপনার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে? তাঁদের সমালোচনা সম্পর্কে কী বলবেন?
স্মলি: না, কোনো সমস্যা হয়নি। হয়তো কিছু সমালোচনা ছিল, তবে মেনে নিয়েই কাজ করেছি। যেসব সমালোচনা ইতিবাচক ছিল, সেসব আমি মাথা পেতেই নিয়েছি। এটা অনেক সময় উপকারই করেছে। এসব সমালোচনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় ছিল। আমার চুক্তিতেই বলা ছিল, আমি সরাসরি সভাপতির অধীনে কাজ করব। কমিটির কাছে আমার কোনো জবাবদিহি ছিল না।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, আপনি এএফসি প্রো লাইসেন্সে কোচিংয়ে মাত্র একজনকে উত্তীর্ণ করিয়েছেন। বড় কয়েকটি নাম এখন পর্যন্ত আটকে আছে। কয়েকজন উত্তীর্ণই হতে পারেননি। যাঁরা আটকে আছেন, আপনি চলে গেলে তাঁদের কী হবে?
স্মলি: প্রথমে বলি, যা হয়েছে, সেটা পেশাদারিভাবেই হয়েছে। আরেকটি বিষয় বলি, এ বিষয়ে কিছু ভুল ও নেতিবাচক প্রতিবেদন হয়েছে। যাঁরা দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন, তাঁদের সমান চোখেই দেখা হয়েছে। এএফসি-ফিফার নির্দেশনায় বলাই আছে, লাইসেন্স পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আমি বা আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা ফিফার নির্দেশনা মেনেই করেছি।
প্রশ্ন: চলে যাওয়ার মুহূর্তে বাফুফের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ?
স্মলি: আমি আমার পরিকল্পনাগুলো রেখে যাচ্ছি। কোথায় কোথায় পরিবর্তন করতে হবে, সেটা আমি সভাপতিকে বলে গেছি। যদি এসব বিষয়ে পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে আপনারা যেমন ফুটবল দেখতে চান, তেমন ফুটবল দেখা সত্যিই কঠিন। জিততে হলে, উন্নতি করতে হলে এসব পরিবর্তন সত্যিকার অর্থে জরুরি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কি আর ফেরার সম্ভাবনা আছে?
স্মলি: কোথায় যাচ্ছি, সেটা এখনই বলতে চাইছি না। বাংলাদেশে দারুণ সময় কাটিয়েছি। তবে বলতেই হচ্ছে, বাংলাদেশে আমার আর ফেরা হবে না।

প্রশ্ন: বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ থেকে আপনার সরে দাঁড়ানোর কারণ যদি ব্যাখ্যা করতেন।
পল স্মলি: বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে তিন-চার সপ্তাহ ধরে এ বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। ফিফা থেকে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করার পর আমি হতাশা থেকে বাফুফেকে কয়েকটি বিষয় পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। যেমন সারা দেশে ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে ফেডারেশনের যে অবস্থান...আমার মতে কিছু কিছু বিষয়ে দ্রুত পরিবর্তন আনতেই হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সভাপতি সিদ্ধান্ত দিতে সময় নিচ্ছিলেন। তখন আমার মনে হলো, এখন সরে দাঁড়ানোই ভালো। গতকাল (পরশু) সভাপতিকে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। সভাপতি অবশ্যই আমাকে থেকে যেতে বলেছেন। এখানে অনেক ইতিবাচকতাই আছে। কিন্তু দিন শেষে সবকিছুই বৃথা যেত। যেমন টেকনিক্যাল বিভাগের পুরো কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। ফেডারেশনের সব কটি বিভাগের কাজের মানসিকতায় পরিবর্তন করতে হবে। লিগের দলগুলোকে একাডেমি করতে হবে। তরুণ ফুটবলার তুলে আনার দায়িত্বটা তাদেরই নিতে হবে। কোচ, খেলোয়াড়, জামাল-সাবিনা, ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আমাকে যে সমর্থন দিয়েছেন, সবার কাছে কৃতজ্ঞতা। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে, এখন সরে দাঁড়ানোর সময়।
প্রশ্ন: টেকনিক্যাল বিভাগে কী সমস্যা ছিল?
স্মলি: আমাদের অনেক জনবলের দরকার ছিল, যারা ঢাকার বাইরে জেলা-বিভাগগুলোতে ফুটবলের উন্নয়নে কাজ করবে। বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে। কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ইচ্ছা থাকার পরও আমরা ঢাকার বাইরে দেশজুড়ে ফুটবলের কারিগরি দিক ও অবকাঠামোতে পরিবর্তন আনতে পারিনি। সভাপতি আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন। বলেছেন, আমরা যা করতে পারিনি, ভবিষ্যতে সেটা অবশ্যই করার চেষ্টা করব। আর ফেডারেশন এই কাজটা করতে পারেনি মূলত প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায়। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। কারণ, জাতীয় দল সাফল্য পাচ্ছে। একাডেমির মেয়েরা দেশকে সাফ এনে দিয়েছে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, উন্নয়নের ইচ্ছাকে একটু ভিন্নভাবে পরিচালনা করতে হবে।
প্রশ্ন: টেকনিক্যাল বিভাগে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কি ঠিকঠাক কাজ করতেন না?
স্মলি: আমাদের টেকনিক্যাল বিভাগে সঠিক কোনো কাঠামোই ছিল না। হ্যাঁ, আমি ছিলাম, আরও কয়েকজন ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় আমাদের বিশেষ কিছু পদের দরকার ছিল। আমার দায়িত্ব বৈচিত্র্যে ভরা ছিল। আমি একাডেমির সঙ্গে কাজ করেছি, মেয়েদের একাডেমির সঙ্গে ছিলাম। ছেলে-মেয়েদের বয়সভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। এখন যেখানে আছি, আমাদের সেখান থেকে এগোতে হবে। সেটা করতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত মানবসম্পদের দরকার হবে। এসব ছাড়া এগোনো সম্ভবই হবে না।
প্রশ্ন: বেতন-ভাতা নিয়ে কি কোনো সমস্যা ছিল?
স্মলি: আমি বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো কথাই বলিনি। আপনাদের কয়েকজন সাংবাদিক সহকর্মী প্রতিবেদন করেছেন যে আমি কৌশলে বেতন বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এমনটা মোটেও ঘটেনি। আমি সভাপতির সঙ্গে যা নিয়ে সব সময় বলেছি, সেটা হলো কীভাবে ফেডারেশনের আরও উন্নতি করা যায়, কীভাবে নারী-পুরুষ জাতীয় দলকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়া যায়। কীভাবে আমরা একাডেমির উন্নয়ন করতে পারি, কীভাবে কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারি।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সঙ্গে আপনার সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক। এটা নিয়ে কী বলবেন?
স্মলি: অভিযোগ? এটা কিন্তু গুরুতর একটা শব্দ! মোটেও এমনটা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ভুল ও অসত্য অভিযোগ। তাঁর (ছোটন) সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের মতো। সব দলের সঙ্গেই আমি সহায়ক একজন ব্যক্তির মতো কাজ করেছি। আপনারা সবাই জানেন, বয়সভিত্তিক ফুটবলে আমার ভূমিকা কেমন ছিল। আমি জানি না, তিনি আমার সম্পর্কে কী বলেছেন। তাঁর সঙ্গে আমার মোটেও এমন সম্পর্ক ছিল না।
প্রশ্ন: আপনি নাকি বাফুফের পেশাদারি নিয়ে হতাশ ছিলেন? এটা কি আপনার সরে দাঁড়ানোর অন্যতম কারণ?
স্মলি: আমি কোথাও অপেশাদার শব্দটা ব্যবহার করিনি। ফেডারেশনের কোথায় কোন পরিবর্তনটা প্রয়োজন, সেটা সব সময় বলার চেষ্টা করেছি। আমার কী কী চাহিদা ছিল, সেটা আপনাদের আগেই বলেছি। ফিফার প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল কোন কোন জায়গায় সমস্যা আছে। আমি সেসব বিষয় পরিবর্তন করে যেটা করণীয় দরকার ছিল, সেটাই করতে চেয়েছি। সভাপতি আমাকে বলেছেন, তোমার কথা ঠিক আছে, কিন্তু আমাদের পক্ষে এসব এখনই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তখনই আমি বলেছি, ঠিক আছে, আমি তাহলে সরে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর সালাউদ্দিনকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন?
স্মলি: ফিফা আর্থিক অনিয়ম নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছে, সেসব নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, ফেডারেশনে পরিবর্তন আনতে হবে। ঢাকাভিত্তিক ফুটবল থেকে খেলাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। কীভাবে ভালো খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হবে, সেটাও আমাদের চিন্তায় ছিল।
প্রশ্ন: বাফুফের সদস্যরা কি কখনো আপনার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে? তাঁদের সমালোচনা সম্পর্কে কী বলবেন?
স্মলি: না, কোনো সমস্যা হয়নি। হয়তো কিছু সমালোচনা ছিল, তবে মেনে নিয়েই কাজ করেছি। যেসব সমালোচনা ইতিবাচক ছিল, সেসব আমি মাথা পেতেই নিয়েছি। এটা অনেক সময় উপকারই করেছে। এসব সমালোচনা থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় ছিল। আমার চুক্তিতেই বলা ছিল, আমি সরাসরি সভাপতির অধীনে কাজ করব। কমিটির কাছে আমার কোনো জবাবদিহি ছিল না।
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, আপনি এএফসি প্রো লাইসেন্সে কোচিংয়ে মাত্র একজনকে উত্তীর্ণ করিয়েছেন। বড় কয়েকটি নাম এখন পর্যন্ত আটকে আছে। কয়েকজন উত্তীর্ণই হতে পারেননি। যাঁরা আটকে আছেন, আপনি চলে গেলে তাঁদের কী হবে?
স্মলি: প্রথমে বলি, যা হয়েছে, সেটা পেশাদারিভাবেই হয়েছে। আরেকটি বিষয় বলি, এ বিষয়ে কিছু ভুল ও নেতিবাচক প্রতিবেদন হয়েছে। যাঁরা দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন, তাঁদের সমান চোখেই দেখা হয়েছে। এএফসি-ফিফার নির্দেশনায় বলাই আছে, লাইসেন্স পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আমি বা আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা ফিফার নির্দেশনা মেনেই করেছি।
প্রশ্ন: চলে যাওয়ার মুহূর্তে বাফুফের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ?
স্মলি: আমি আমার পরিকল্পনাগুলো রেখে যাচ্ছি। কোথায় কোথায় পরিবর্তন করতে হবে, সেটা আমি সভাপতিকে বলে গেছি। যদি এসব বিষয়ে পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে আপনারা যেমন ফুটবল দেখতে চান, তেমন ফুটবল দেখা সত্যিই কঠিন। জিততে হলে, উন্নতি করতে হলে এসব পরিবর্তন সত্যিকার অর্থে জরুরি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কি আর ফেরার সম্ভাবনা আছে?
স্মলি: কোথায় যাচ্ছি, সেটা এখনই বলতে চাইছি না। বাংলাদেশে দারুণ সময় কাটিয়েছি। তবে বলতেই হচ্ছে, বাংলাদেশে আমার আর ফেরা হবে না।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি ভারতের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে সফরকারীরা। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার এর পুরস্কার পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
১১ মিনিট আগে
হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতীত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সেটা মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। আলোচনা চলছে মাঠের বাইরে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল।
৩৭ মিনিট আগে
ঢাকায় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলা না, ঘর বানানোরও কথা ছিল আফগানিস্তানের। দিন শেষে কোনোটাই হচ্ছে না মিয়ানমারের বাধায়। আজকের পত্রিকাকে তা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটা যে খুব একটা শক্তিশালী তা নয়। এই তো ১১ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জিতেছে নামিবিয়া। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি ভারতের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে সফরকারীরা। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার এর পুরস্কার পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
আইসিসির হালনাগাতকৃত সবশেষ ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি করেছেন রোহিত। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৮১। প্রথম দুই ওয়ানডেতে টানা হেরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হাতছাড়া করে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ রান করেন রোহিত। শুরুটা ভালো না হলেও পরের দুই ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়েছেন তারকা ব্যাটার।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২ উইকেটে হেরে যায় ভারত। সে ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের ৯ উইকেটের জয়ের নায়ক বনে যান রোহিত। দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহরির সঙ্গে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে তাঁর হাতে। সব মিলিয়ে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ২০২ রান। এমন ব্যাটিংয়েই ইতিহাস গড়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
রোহিত শীর্ষে উঠায় দুই ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছেন শুবমান গিল। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৪৫। ৭৬৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি দুই নম্বরেই আছেন ইবরাহিম জাদরান। বাবর আজমেরও কোনো উন্নতি–অবনতি হয়নি। চারে আছেন পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটার। এক ধাপ উন্নতি করে পাঁচে উঠে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যারেল মিচেল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে সাড়ে সাত মাস পর ভারতের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন হয় কোহলির। প্রথম দুই ম্যাচেই ডাক মারেন সাবেক অধিনায়ক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। ব্যর্থতা পায়ে ঠেলে শেষ ওয়ানডেতে ৭৪ রান করেন কোহলি। এরপরও র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন ঠেকাতে পারেননি। এক ধাপ নেমে ছয়ে আছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি ভারতের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে সফরকারীরা। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার এর পুরস্কার পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। প্রথমবারের মতো আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
আইসিসির হালনাগাতকৃত সবশেষ ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি করেছেন রোহিত। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৮১। প্রথম দুই ওয়ানডেতে টানা হেরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হাতছাড়া করে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ রান করেন রোহিত। শুরুটা ভালো না হলেও পরের দুই ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়েছেন তারকা ব্যাটার।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২ উইকেটে হেরে যায় ভারত। সে ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের ৯ উইকেটের জয়ের নায়ক বনে যান রোহিত। দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহরির সঙ্গে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে তাঁর হাতে। সব মিলিয়ে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ২০২ রান। এমন ব্যাটিংয়েই ইতিহাস গড়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি।
রোহিত শীর্ষে উঠায় দুই ধাপ পিছিয়ে তিনে নেমে গেছেন শুবমান গিল। তাঁর রেটিং পয়েন্ট ৭৪৫। ৭৬৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি দুই নম্বরেই আছেন ইবরাহিম জাদরান। বাবর আজমেরও কোনো উন্নতি–অবনতি হয়নি। চারে আছেন পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটার। এক ধাপ উন্নতি করে পাঁচে উঠে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যারেল মিচেল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে সাড়ে সাত মাস পর ভারতের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন হয় কোহলির। প্রথম দুই ম্যাচেই ডাক মারেন সাবেক অধিনায়ক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। ব্যর্থতা পায়ে ঠেলে শেষ ওয়ানডেতে ৭৪ রান করেন কোহলি। এরপরও র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন ঠেকাতে পারেননি। এক ধাপ নেমে ছয়ে আছেন তিনি।

আজ ভোরে বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন পল স্মলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য মালদ্বীপ। সাত বছরে দুই মেয়াদে কাজ করা বাফুফের এই ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে নিয়ে আছে অনেক সমালোচনা আর বিতর্ক। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে সব প্রশ্নের জবাব দিতে গতকাল
১৬ জুলাই ২০২৩
হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতীত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সেটা মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। আলোচনা চলছে মাঠের বাইরে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল।
৩৭ মিনিট আগে
ঢাকায় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলা না, ঘর বানানোরও কথা ছিল আফগানিস্তানের। দিন শেষে কোনোটাই হচ্ছে না মিয়ানমারের বাধায়। আজকের পত্রিকাকে তা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটা যে খুব একটা শক্তিশালী তা নয়। এই তো ১১ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জিতেছে নামিবিয়া। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতীত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সেটা মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। আলোচনা চলছে মাঠের বাইরে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল।
চ্যাপেলের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট দলের যে বনিবনা হতো না, সেই ঘটনা কারও অজানা নয়। নিয়মনীতির ব্যাপারেও তিনি ছিলেন আপোষহীন। ২০০৫ সালে চ্যাপেল ভারতের কোচ হওয়ার পর অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যাঁর ফলে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে তখন যেতে পারেননি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তৎকালীন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া তখন চ্যাপেলকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে গাঙ্গুলীর লঙ্কা সফরের সুযোগ মেলে। কিন্তু চ্যাপেল কোনোভাবেই তখন রাজি হননি। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে গতকাল এক আলাপচারিতায় আলোচিত এই কোচ বলেন, ‘‘ডালমিয়া ভারতের হয়ে আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার (গাঙ্গুলী) নিষেধাজ্ঞা কমানোর অনুরোধ করেছিলেন। তাহলে সে (গাঙ্গুলী) শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারত। আমি তখন বলেছিলা, ‘না। আমি সিস্টেমের বাইরে যেতে পারব না। তাকে (গাঙ্গুলী) এর ফল ভোগ করতে হবে।’ ডালমিয়া তখন সেটা মেনে নিয়েছিলেন।’
২০০৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে গাঙ্গুলীকে জরিমানা করেছিলেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। কিন্তু গাঙ্গুলী একই ভুল বারবার করায় ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদ ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রড বলেছিলেন, ‘‘ম্যাচ শেষে ভারত তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের জরিমানা হওয়ার কথা ছিল। আমাকে ফোন করে সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ, এটা ভারত। আমি চিন্তা করে দেখলাম ঠিক আছে। তারপর কোনোভাবে আমরা কিছু অতিরিক্ত সময় বের করলাম যাতে ওভাররেট জরিমানার সীমার নিচে আনা যায়।’
ব্রড হয়তোবা ভারত-পাকিস্তান তৃতীয় ওয়ানডের কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন।ঠিক তার পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছিলেন আইসিসির অভিজ্ঞ এই ম্যাচ রেফারি। ব্রড বলেছিলেন, ‘‘পরের ম্যাচেও ঘটে একই ঘটনা। সৌরভ গাঙ্গুলী তখন দ্রুত খেলা শেষ করার নির্দেশ মানছিল না। ফোন করে তখন জানতে চেয়েছিলা, কী করতে পারি? তখন আমাকে বলা হয়েছিল, ‘গাঙ্গুলীকে শুধু জরিমানা করুন।’
২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্বে ছিলেন চ্যাপেল। সেই সময়ে গাঙ্গুলী, জহির খান, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেবাগের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা কড়া সমালোচনা করেছিলেন চ্যাপেলের কোচিং পদ্ধতি নিয়ে। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ভারত বিদায় নেওয়ার পর চ্যাপেলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে গাঙ্গুলীর সঙ্গেই সবচেয়ে তিক্ত সম্পর্ক ছিল চ্যাপেলের।

হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতীত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সেটা মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। আলোচনা চলছে মাঠের বাইরে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল।
চ্যাপেলের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট দলের যে বনিবনা হতো না, সেই ঘটনা কারও অজানা নয়। নিয়মনীতির ব্যাপারেও তিনি ছিলেন আপোষহীন। ২০০৫ সালে চ্যাপেল ভারতের কোচ হওয়ার পর অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যাঁর ফলে তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে তখন যেতে পারেননি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তৎকালীন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া তখন চ্যাপেলকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে গাঙ্গুলীর লঙ্কা সফরের সুযোগ মেলে। কিন্তু চ্যাপেল কোনোভাবেই তখন রাজি হননি। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে গতকাল এক আলাপচারিতায় আলোচিত এই কোচ বলেন, ‘‘ডালমিয়া ভারতের হয়ে আমার কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তার (গাঙ্গুলী) নিষেধাজ্ঞা কমানোর অনুরোধ করেছিলেন। তাহলে সে (গাঙ্গুলী) শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারত। আমি তখন বলেছিলা, ‘না। আমি সিস্টেমের বাইরে যেতে পারব না। তাকে (গাঙ্গুলী) এর ফল ভোগ করতে হবে।’ ডালমিয়া তখন সেটা মেনে নিয়েছিলেন।’
২০০৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে গাঙ্গুলীকে জরিমানা করেছিলেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। কিন্তু গাঙ্গুলী একই ভুল বারবার করায় ৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদ ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে কদিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রড বলেছিলেন, ‘‘ম্যাচ শেষে ভারত তিন-চার ওভার পিছিয়ে ছিল। স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের জরিমানা হওয়ার কথা ছিল। আমাকে ফোন করে সহানুভূতিশীল হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ, এটা ভারত। আমি চিন্তা করে দেখলাম ঠিক আছে। তারপর কোনোভাবে আমরা কিছু অতিরিক্ত সময় বের করলাম যাতে ওভাররেট জরিমানার সীমার নিচে আনা যায়।’
ব্রড হয়তোবা ভারত-পাকিস্তান তৃতীয় ওয়ানডের কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন।ঠিক তার পরের ম্যাচেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছিলেন আইসিসির অভিজ্ঞ এই ম্যাচ রেফারি। ব্রড বলেছিলেন, ‘‘পরের ম্যাচেও ঘটে একই ঘটনা। সৌরভ গাঙ্গুলী তখন দ্রুত খেলা শেষ করার নির্দেশ মানছিল না। ফোন করে তখন জানতে চেয়েছিলা, কী করতে পারি? তখন আমাকে বলা হয়েছিল, ‘গাঙ্গুলীকে শুধু জরিমানা করুন।’
২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ভারতের কোচের দায়িত্বে ছিলেন চ্যাপেল। সেই সময়ে গাঙ্গুলী, জহির খান, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেবাগের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা কড়া সমালোচনা করেছিলেন চ্যাপেলের কোচিং পদ্ধতি নিয়ে। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ভারত বিদায় নেওয়ার পর চ্যাপেলের সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে থাকে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে গাঙ্গুলীর সঙ্গেই সবচেয়ে তিক্ত সম্পর্ক ছিল চ্যাপেলের।

আজ ভোরে বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন পল স্মলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য মালদ্বীপ। সাত বছরে দুই মেয়াদে কাজ করা বাফুফের এই ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে নিয়ে আছে অনেক সমালোচনা আর বিতর্ক। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে সব প্রশ্নের জবাব দিতে গতকাল
১৬ জুলাই ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি ভারতের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে সফরকারীরা। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার এর পুরস্কার পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
১১ মিনিট আগে
ঢাকায় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলা না, ঘর বানানোরও কথা ছিল আফগানিস্তানের। দিন শেষে কোনোটাই হচ্ছে না মিয়ানমারের বাধায়। আজকের পত্রিকাকে তা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস।
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটা যে খুব একটা শক্তিশালী তা নয়। এই তো ১১ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জিতেছে নামিবিয়া। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলা না, ঘর বানানোরও কথা ছিল আফগানিস্তানের। দিন শেষে কোনোটাই হচ্ছে না মিয়ানমারের বাধায়। আজকের পত্রিকাকে তা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ১৮ নভেম্বর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে ১৩ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল বাফুফে। মূলত ১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে আফগানিস্তানেরও। মিয়ানমারের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ঢাকার কিংস অ্যারেনায় খেলতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মিয়ানমার ঢাকায় আসতে অপারগতা জানায়। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচটি বাধ্য হয়েই বাতিল করতে হয় আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (এএফএফ)।
বাফুফে অবশ্য বিকল্প খুঁজে নিয়েছে দ্রুত। আফগানিস্তান না এলেও নেপাল আসছে বলে জানালেন গাউস। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার রাজি না হওয়ায় ঢাকায় আসছে না আফগানিস্তানও। তবে নেপালের বিপক্ষে খেলব আমরা। কারণ, ভারত ম্যাচের আগে আমাদের একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে হবে।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে সেই ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামেই। গত সেপ্টেম্বরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপাল সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে।

ঢাকায় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলা না, ঘর বানানোরও কথা ছিল আফগানিস্তানের। দিন শেষে কোনোটাই হচ্ছে না মিয়ানমারের বাধায়। আজকের পত্রিকাকে তা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ১৮ নভেম্বর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে ১৩ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল বাফুফে। মূলত ১৮ নভেম্বর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে আফগানিস্তানেরও। মিয়ানমারের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি ঢাকার কিংস অ্যারেনায় খেলতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মিয়ানমার ঢাকায় আসতে অপারগতা জানায়। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচটি বাধ্য হয়েই বাতিল করতে হয় আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (এএফএফ)।
বাফুফে অবশ্য বিকল্প খুঁজে নিয়েছে দ্রুত। আফগানিস্তান না এলেও নেপাল আসছে বলে জানালেন গাউস। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার রাজি না হওয়ায় ঢাকায় আসছে না আফগানিস্তানও। তবে নেপালের বিপক্ষে খেলব আমরা। কারণ, ভারত ম্যাচের আগে আমাদের একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে হবে।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে সেই ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামেই। গত সেপ্টেম্বরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপাল সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে।

আজ ভোরে বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন পল স্মলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য মালদ্বীপ। সাত বছরে দুই মেয়াদে কাজ করা বাফুফের এই ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে নিয়ে আছে অনেক সমালোচনা আর বিতর্ক। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে সব প্রশ্নের জবাব দিতে গতকাল
১৬ জুলাই ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি ভারতের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে সফরকারীরা। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার এর পুরস্কার পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
১১ মিনিট আগে
হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতীত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সেটা মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। আলোচনা চলছে মাঠের বাইরে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল।
৩৭ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটা যে খুব একটা শক্তিশালী তা নয়। এই তো ১১ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জিতেছে নামিবিয়া। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটা যে খুব একটা শক্তিশালী তা নয়। এই তো ১১ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জিতেছে নামিবিয়া। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দুই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০-এর বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি রয়েছে। একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৯৪ ম্যাচ খেলেছেন কুইন্টন ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ৫১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন লুঙ্গি এনগিদি। অধিনায়ক ডোনোভন ফেরেইরা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে দশম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রোটিয়ারা ৫৫ রানে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। বাজে হারের পর পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘পিন্ডি পিচের কোনো দোষ নেই। তবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলার মানের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক লিগের সঙ্গে খেলা হয়েছে আন্তর্জাতিক দলের খেলা হয়েছে।’
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। আগে ব্যাটিং পেয়ে পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) ১ উইকেটে ৭৪ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন অবস্থায় ২০০ যেখানে সময়ের ব্যাপার, সেখানে প্রোটিয়ারা আটকে গেছে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে। জয়ের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১৮.১ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রোটিয়াদের ইনিংসে ৪০-এর ওপরে দুটি জুটি (৪৪ রান ও ৪৯ রান) হলেও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের জুটি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জুটি দুটি হয়েছে টপ অর্ডারে। এদিকে পাকিস্তানের চতুর্থ উইকেটে ২১ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েছেন উসমান খান ও সাইম আইয়ুব। সাইম ২৮ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ রান করলেও অনেক দেরিতে হাত খুলেছেন। প্রথম ১৯ বলে তিনি করেছিলেন ১৩ রান।
অধিনায়ক সালমানও পুরোপুরি ব্যর্থ গতকাল। ৭ বলে ২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিউটাও নষ্ট করেছেন। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১৫ রান খরচ করে পাননি কোনো উইকেট। ৫৫ রানে হারের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। যদিও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ব্যাটিংয়ে আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। এমন অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। সিঙ্গেল, ডাবলের ওপর ভিত্তি করে খেলতে হবে ও গড়তে হবে জুটি। আমাদের জুটির অভাব ছিল। জুটি গড়তে পারলে এ ধরনের রান তাড়া করে জেতা সম্ভব।’
পাকিস্তানের জার্সিতে বাবর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন তিনি। ফেরার ম্যাচে ২ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিস করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৫ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন জর্জ লিন্ডে। ২২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৬ রান। বোলিংয়ে ৩ ওভারে ৩১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এ বছর সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেছে গ্রুপ পর্বেই। সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপে রানার্সআপ হওয়ার পর ঘরের মাঠেও আশানুরূপ খেলতে পারছে না দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরে এবার সিরিজ হারের শঙ্কায় সালমানের পাকিস্তান। । লাহোরে পরশু সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। একই মাঠে শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।

দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলটা যে খুব একটা শক্তিশালী তা নয়। এই তো ১১ অক্টোবর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শেষ বলে জিতেছে নামিবিয়া। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে হেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র দুই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০-এর বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি রয়েছে। একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৯৪ ম্যাচ খেলেছেন কুইন্টন ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ৫১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন লুঙ্গি এনগিদি। অধিনায়ক ডোনোভন ফেরেইরা পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে দশম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রোটিয়ারা ৫৫ রানে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। বাজে হারের পর পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘পিন্ডি পিচের কোনো দোষ নেই। তবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলার মানের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক লিগের সঙ্গে খেলা হয়েছে আন্তর্জাতিক দলের খেলা হয়েছে।’
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। আগে ব্যাটিং পেয়ে পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) ১ উইকেটে ৭৪ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন অবস্থায় ২০০ যেখানে সময়ের ব্যাপার, সেখানে প্রোটিয়ারা আটকে গেছে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে। জয়ের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১৮.১ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রোটিয়াদের ইনিংসে ৪০-এর ওপরে দুটি জুটি (৪৪ রান ও ৪৯ রান) হলেও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের জুটি হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জুটি দুটি হয়েছে টপ অর্ডারে। এদিকে পাকিস্তানের চতুর্থ উইকেটে ২১ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েছেন উসমান খান ও সাইম আইয়ুব। সাইম ২৮ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ রান করলেও অনেক দেরিতে হাত খুলেছেন। প্রথম ১৯ বলে তিনি করেছিলেন ১৩ রান।
অধিনায়ক সালমানও পুরোপুরি ব্যর্থ গতকাল। ৭ বলে ২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে রিভিউটাও নষ্ট করেছেন। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১৫ রান খরচ করে পাননি কোনো উইকেট। ৫৫ রানে হারের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের বোলিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। যদিও ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ব্যাটিংয়ে আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। এমন অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। সিঙ্গেল, ডাবলের ওপর ভিত্তি করে খেলতে হবে ও গড়তে হবে জুটি। আমাদের জুটির অভাব ছিল। জুটি গড়তে পারলে এ ধরনের রান তাড়া করে জেতা সম্ভব।’
পাকিস্তানের জার্সিতে বাবর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরেছেন তিনি। ফেরার ম্যাচে ২ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিস করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৫ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন জর্জ লিন্ডে। ২২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৩৬ রান। বোলিংয়ে ৩ ওভারে ৩১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এ বছর সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেছে গ্রুপ পর্বেই। সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এশিয়া কাপে রানার্সআপ হওয়ার পর ঘরের মাঠেও আশানুরূপ খেলতে পারছে না দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরে এবার সিরিজ হারের শঙ্কায় সালমানের পাকিস্তান। । লাহোরে পরশু সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। একই মাঠে শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।

আজ ভোরে বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন পল স্মলি। তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য মালদ্বীপ। সাত বছরে দুই মেয়াদে কাজ করা বাফুফের এই ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে নিয়ে আছে অনেক সমালোচনা আর বিতর্ক। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে সব প্রশ্নের জবাব দিতে গতকাল
১৬ জুলাই ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি ভারতের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে সফরকারীরা। দল খারাপ করলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার এর পুরস্কার পেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
১১ মিনিট আগে
হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অতীত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সেটা মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। আলোচনা চলছে মাঠের বাইরে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের পর এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল।
৩৭ মিনিট আগে
ঢাকায় শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলা না, ঘর বানানোরও কথা ছিল আফগানিস্তানের। দিন শেষে কোনোটাই হচ্ছে না মিয়ানমারের বাধায়। আজকের পত্রিকাকে তা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কমপিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস।
১ ঘণ্টা আগে