Ajker Patrika

সুযোগ নষ্টে আফগানদের হারানো হলো না বাংলাদেশের 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ৩১
Thumbnail image

বেঙ্গালুরু সাফের সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে ৭ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি শেখ মোরসালিন। ম্যাচটা হেরেছিল বাংলাদেশ, খেলা হয়নি ফাইনালে। বাংলাদেশের ফুটবলের ‘ভবিষ্যৎ’ ভাবা হচ্ছে যাকে সেই মোরসালিন হয়তো কুয়েত ম্যাচের গোল করতে না পারার স্মৃতি ভুলতে পারবেন কিনা কে জানে, কারণ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও যেভাবে সুযোগ নষ্ট করেছেন তাতে নিজের ওপরই বিরক্তি চেপে যাওয়ার কথা ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। 

ক্লাব ফুটবলে মোরসালিন খেলেন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে। সেই বসুন্ধরার মাঠ কিংস অ্যারেনার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে গেছে আজ, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে। নিজের চেনা মাঠে মোরসালিন সুযোগ নষ্ট করেছেন ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে না পেরে। মোরসালিনের বসুন্ধরা সতীর্থ রাকিব হোসেনও নষ্ট করেছেন সহজ সুযোগ। সুযোগ নষ্টের মহড়ায় আফগানিস্তানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়েই খুশি থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

অথচ বাংলাদেশকে সমর্থন জোগানোর জন্য বসুন্ধরার মাঠে এসেছিলেন হাজার তিনেক দর্শক। সাফে নিয়মিত যাদের খেলিয়েছেন সেই ফুটবলারদের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ৪-৪-২ ফরমেশনে সাফে নিজের পছন্দের ফুটবলারদেরই আজ একাদশে জায়গা দিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আক্রমণভাগে দুই উইংয়ে শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন। সাফে গোল পেয়েছিলেন দুই ফুটবলারই। মাঝমাঠে সোহেল রানার সঙ্গে মো. সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া ও মো. হৃদয়। রক্ষণে বিশ্বনাথ ঘোষ, ঈসা ফয়সাল, তপু বর্মণের সঙ্গে চোট কাটিয়ে ফেরা তারিক কাজীও খেলেছেন একাদশে। 

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে আফগানিস্তান বাংলাদেশের অর্ধে বল আনতে পেরেছে হাতে গোনা দুই-তিনবার। প্রথম ১০ মিনিটে আফগানদের ভালোই চাপে রাখলেন জামাল ভূঁইয়ারা। এর মধ্যে ৭ মিনিটে সুযোগও এল। রাকিব হোসেনের আড়াআড়ি পাসে বক্সের ভেতর লাইনে ছিলেন না মোরসালিন। রাকিবের পাস থেকে মোরসালিন বলে পা ছোঁয়াতে পারলে গোল পেলেও পেতে পারত বাংলাদেশ। 

গোল বাংলাদেশ পেতে পার‍ত ২২ মিনিটেও। তপু বর্মণের বাড়ানো বলে মোরসালিনের দারুণ ছোঁয়ায় পোস্টের মুখে রাকিব বলে শট নিলেও স্লাইডিং ট্যাকলে কর্নারের বিনিময়ে আফগানদের বাঁচান মোশ্বায়ের আহাদি। 

ধীরে ধীরে খেলা গুছিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে আফগানরাও। আফগানদের আক্রমণ থেকে বাংলাদেশও বেঁচে গেছে ২৬ মিনিটে। মোশ্বায়ের আহাদির ক্রস ধরে নোমা ওয়ালিজাদার শট তারিক কাজী না ঠেকালে গোল হজম করতে হতো স্বাগতিকদের। 

৫৫ মিনিটে মোরসালিনের আনাড়িপনায় মাথা হাত বাংলাদেশের দর্শকদের মাথায় হাত। ডান প্রান্ত ধরে রাকিবের দারুণ এক ক্রস থেকে বলতে গেলে ফাঁক পোস্টই পেয়ে যান মোরসালিন। আফগান গোলরক্ষক শট ঠেকানোর মতো কোনো অবস্থাতেই ছিলেন না। যেখানে ধীরে সুস্থে শট নিতে পারলেই গোল পেতেন, মোরসালিন সেখানে করলেন তাড়াহুড়ো। ফাঁকা পোস্টের কয়েক হাত দিয়ে গেল মোরসালিনের শট। 

মোরসালিনের রোগে আক্রান্ত হয়ে রাকিবও করলেন একই ভুল। তারিক কাজীর বদলি নামা উইঙ্গার ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে ৬২ মিনিটে রাকিব শট নিলেন পোস্টের ওপর দিয়ে। এরপর খেলোয়াড় বদলেও ফল পাননি কোচ কাবরেরা। গোলের সুযোগ পায়নি আফগানরাও। তাতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ষষ্ঠ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত