ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথম লেগে পার্ক অলিম্পিক লিঁওতে ২-২ গোলে সমতা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগে অপেক্ষা করছিল দারুণ কিছুর। ঘটলও তা-ই। গোল ও পালটা গোলের উৎসব হয়ে গেল গত রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও অলিম্পিক লিঁওর ফিরতি লেগে। অতিরিক্ত সময়ে ফল নির্ধারণ হওয়া ৯ গোলের ম্যাচে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রোমাঞ্চ শেষ ৬-৭ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে রেড ডেভিলরা।
নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলে ইউনাইটেড। কিন্তু ছয় মিনিটের ব্যবধানে পালটা ২ গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় লিঁও। অতিরিক্ত সময়ে আরও ২ গোল হজম করে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেল ইউনাইটেড। তার পরই যেন অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন। ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে ৩ গোল দিয়ে ম্যাচই জিতে নিল তারা। শেষ দুই মিনিটে ২ গোল দেন হুবেন আমুরির শিষ্যরা।
প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে অলিম্পিক লিঁও। বল দখলে এগিয়ে ছিল তারাই। গোলের জন্য উভয় পক্ষ মোট ২১টি করে শট নেয়, সফরকারীরা লক্ষ্যে রাখতে পারে ৯টি আর ইউনাইটেড ৮টি।
গত সপ্তাহে লিওঁর মাঠে হওয়া প্রথম লেগেও দারুণ লড়াইয়ের দেখা মেলে, যেখানে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটা সময় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আরেক গোল খেয়ে তারা জয় হাতছাড়া করে, ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
ওই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২ গোল হজমের পেছনেই বড় দায় ছিল আন্দ্রে ওনানার। সেদিনের বাজে পারফরম্যান্সে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ক্যামেরুনের এই গোলরক্ষক, দল থেকে বাদও পড়েন। সেই ধাক্কা সামলে দলে ফিরে দারুণ কয়েকটি সেভ করলেন তিনি। ৯ জন খেলোয়াড় জালের দেখা পেলেন। একজন দেখলেন লাল কার্ড; মিডফিল্ডার তোলিসো বহিষ্কার হওয়ায় অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় লিঁওকে।
ম্যাচের দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস পেয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন মানুয়েল উগার্তে। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত। ২ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় পার করে দেয় আমুরির দল। তারপরই দৃশ্যপট ভিন্ন হয়ে গেল—৭১ মিনিটে তোলিসো হেডে ব্যবধান কমানোর পর লিঁওকে সমতা টানেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটে লেনি ইয়োরোকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফরাসি মিডফিল্ডার তোলিসো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ স্কোরলাইন নিয়ে লড়াই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আরও ২ গোল করে সেমিফাইনালের জোরালো আশা জাগায় লিঁও। ১০৪ মিনিটে হায়ান শের্কি বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চার মিনিট পর সফল স্পটকিকে ব্যবধান বাড়ান আলেক্সান্ডার লোকোজেত।
স্বাগতিক সমর্থকদের চোখেমুখে তখন তীব্র হতাশার ছাপ। তখনই রূপকথার প্রত্যাবর্তনের গল্প। ক্যাসেমিরো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনালটি পায় ইউনাইটেড। ১১৪ মিনিটে সফল স্পটকিকে নিভতে বসা আশা জাগিয়ে তোলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। আর ১২০ মিনিটে ক্যাসেমিরোর পাস ধরে সমতা টানেন কবি মেইনু। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-৬। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ইউনাইটেড। এবারও ক্যাসেমিরোর ক্রসে গোলমুখ থেকে হ্যারি ম্যাগুইয়ারের হেডে দুর্দান্ত গোল। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল ওল্ড ট্রাফোর্ড।
প্রথম লেগে পার্ক অলিম্পিক লিঁওতে ২-২ গোলে সমতা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগে অপেক্ষা করছিল দারুণ কিছুর। ঘটলও তা-ই। গোল ও পালটা গোলের উৎসব হয়ে গেল গত রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও অলিম্পিক লিঁওর ফিরতি লেগে। অতিরিক্ত সময়ে ফল নির্ধারণ হওয়া ৯ গোলের ম্যাচে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রোমাঞ্চ শেষ ৬-৭ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে রেড ডেভিলরা।
নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলে ইউনাইটেড। কিন্তু ছয় মিনিটের ব্যবধানে পালটা ২ গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় লিঁও। অতিরিক্ত সময়ে আরও ২ গোল হজম করে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেল ইউনাইটেড। তার পরই যেন অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন। ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে ৩ গোল দিয়ে ম্যাচই জিতে নিল তারা। শেষ দুই মিনিটে ২ গোল দেন হুবেন আমুরির শিষ্যরা।
প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে অলিম্পিক লিঁও। বল দখলে এগিয়ে ছিল তারাই। গোলের জন্য উভয় পক্ষ মোট ২১টি করে শট নেয়, সফরকারীরা লক্ষ্যে রাখতে পারে ৯টি আর ইউনাইটেড ৮টি।
গত সপ্তাহে লিওঁর মাঠে হওয়া প্রথম লেগেও দারুণ লড়াইয়ের দেখা মেলে, যেখানে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটা সময় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আরেক গোল খেয়ে তারা জয় হাতছাড়া করে, ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
ওই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২ গোল হজমের পেছনেই বড় দায় ছিল আন্দ্রে ওনানার। সেদিনের বাজে পারফরম্যান্সে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ক্যামেরুনের এই গোলরক্ষক, দল থেকে বাদও পড়েন। সেই ধাক্কা সামলে দলে ফিরে দারুণ কয়েকটি সেভ করলেন তিনি। ৯ জন খেলোয়াড় জালের দেখা পেলেন। একজন দেখলেন লাল কার্ড; মিডফিল্ডার তোলিসো বহিষ্কার হওয়ায় অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় লিঁওকে।
ম্যাচের দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস পেয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন মানুয়েল উগার্তে। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত। ২ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় পার করে দেয় আমুরির দল। তারপরই দৃশ্যপট ভিন্ন হয়ে গেল—৭১ মিনিটে তোলিসো হেডে ব্যবধান কমানোর পর লিঁওকে সমতা টানেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটে লেনি ইয়োরোকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফরাসি মিডফিল্ডার তোলিসো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ স্কোরলাইন নিয়ে লড়াই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আরও ২ গোল করে সেমিফাইনালের জোরালো আশা জাগায় লিঁও। ১০৪ মিনিটে হায়ান শের্কি বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চার মিনিট পর সফল স্পটকিকে ব্যবধান বাড়ান আলেক্সান্ডার লোকোজেত।
স্বাগতিক সমর্থকদের চোখেমুখে তখন তীব্র হতাশার ছাপ। তখনই রূপকথার প্রত্যাবর্তনের গল্প। ক্যাসেমিরো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনালটি পায় ইউনাইটেড। ১১৪ মিনিটে সফল স্পটকিকে নিভতে বসা আশা জাগিয়ে তোলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। আর ১২০ মিনিটে ক্যাসেমিরোর পাস ধরে সমতা টানেন কবি মেইনু। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-৬। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ইউনাইটেড। এবারও ক্যাসেমিরোর ক্রসে গোলমুখ থেকে হ্যারি ম্যাগুইয়ারের হেডে দুর্দান্ত গোল। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল ওল্ড ট্রাফোর্ড।
মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে ঝলমলে রোদ্দুর—সিলেটে আজ শুরু হওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন ছিল এমনই। লাঞ্চ বিরতির আগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে প্রথম সেশনের খেলা শেষ হওয়ার পরই আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্য করে নেমেছে বৃষ্টি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ কাভারে ঢাকা রয়েছে। এই প্রতিবেদন
১৮ মিনিট আগেঘরের মাঠের চেনা কন্ডিশন হলেও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সিলেটে আজ শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান ওঠার আগেই দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকেরা।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ তকমা জিম্বাবুয়ে পেয়ে গেছে অনেক আগেই। মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ যখন কোনো সুখবর দিতে পারে না, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দুঃখ ঘোচানোর সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এবার সেই জিম্বাবুয়েই কাঁপিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
১ ঘণ্টা আগেবয়স মাত্র ১৪ বছর। এই ১৪ বছর বয়সে আইপিএল অভিষেকে রেকর্ড বই ওলটপালট করলেন বৈভব সূর্যবংশী। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত এক শুরুর রাতে তাঁর দুচোখ বেয়ে পড়েছে অশ্রু।
২ ঘণ্টা আগে