Ajker Patrika

১৩ গোলের রোমাঞ্চ শেষে সেমিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২: ০৭
হ্যারি ম্যাগুইয়ারের গোলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো ওল্ড ট্রাফোর্ড। ছবি: এএফপি
হ্যারি ম্যাগুইয়ারের গোলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পুরো ওল্ড ট্রাফোর্ড। ছবি: এএফপি

প্রথম লেগে পার্ক অলিম্পিক লিঁওতে ২-২ গোলে সমতা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগে অপেক্ষা করছিল দারুণ কিছুর। ঘটলও তা-ই। গোল ও পালটা গোলের উৎসব হয়ে গেল গত রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও অলিম্পিক লিঁওর ফিরতি লেগে। অতিরিক্ত সময়ে ফল নির্ধারণ হওয়া ৯ গোলের ম্যাচে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ১৩ গোলের রোমাঞ্চ শেষ ৬-৭ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে রেড ডেভিলরা।

নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলে ইউনাইটেড। কিন্তু ছয় মিনিটের ব্যবধানে পালটা ২ গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় লিঁও। অতিরিক্ত সময়ে আরও ২ গোল হজম করে ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেল ইউনাইটেড। তার পরই যেন অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন। ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে ৩ গোল দিয়ে ম্যাচই জিতে নিল তারা। শেষ দুই মিনিটে ২ গোল দেন হুবেন আমুরির শিষ্যরা।

প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যাপক দাপট দেখিয়েছে অলিম্পিক লিঁও। বল দখলে এগিয়ে ছিল তারাই। গোলের জন্য উভয় পক্ষ মোট ২১টি করে শট নেয়, সফরকারীরা লক্ষ্যে রাখতে পারে ৯টি আর ইউনাইটেড ৮টি।

গত সপ্তাহে লিওঁর মাঠে হওয়া প্রথম লেগেও দারুণ লড়াইয়ের দেখা মেলে, যেখানে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে একটা সময় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আরেক গোল খেয়ে তারা জয় হাতছাড়া করে, ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।

ওই ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২ গোল হজমের পেছনেই বড় দায় ছিল আন্দ্রে ওনানার। সেদিনের বাজে পারফরম্যান্সে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ক্যামেরুনের এই গোলরক্ষক, দল থেকে বাদও পড়েন। সেই ধাক্কা সামলে দলে ফিরে দারুণ কয়েকটি সেভ করলেন তিনি। ৯ জন খেলোয়াড় জালের দেখা পেলেন। একজন দেখলেন লাল কার্ড; মিডফিল্ডার তোলিসো বহিষ্কার হওয়ায় অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় লিঁওকে।

ম্যাচের দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস পেয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন মানুয়েল উগার্তে। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত। ২ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় পার করে দেয় আমুরির দল। তারপরই দৃশ্যপট ভিন্ন হয়ে গেল—৭১ মিনিটে তোলিসো হেডে ব্যবধান কমানোর পর লিঁওকে সমতা টানেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।

নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটে লেনি ইয়োরোকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফরাসি মিডফিল্ডার তোলিসো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ স্কোরলাইন নিয়ে লড়াই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আরও ২ গোল করে সেমিফাইনালের জোরালো আশা জাগায় লিঁও। ১০৪ মিনিটে হায়ান শের্কি বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চার মিনিট পর সফল স্পটকিকে ব্যবধান বাড়ান আলেক্সান্ডার লোকোজেত।

স্বাগতিক সমর্থকদের চোখেমুখে তখন তীব্র হতাশার ছাপ। তখনই রূপকথার প্রত্যাবর্তনের গল্প। ক্যাসেমিরো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনালটি পায় ইউনাইটেড। ১১৪ মিনিটে সফল স্পটকিকে নিভতে বসা আশা জাগিয়ে তোলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। আর ১২০ মিনিটে ক্যাসেমিরোর পাস ধরে সমতা টানেন কবি মেইনু। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৬-৬। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ইউনাইটেড। এবারও ক্যাসেমিরোর ক্রসে গোলমুখ থেকে হ্যারি ম্যাগুইয়ারের হেডে দুর্দান্ত গোল। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল ওল্ড ট্রাফোর্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আফিফের হ্যাটট্রিকের দিনে নাঈম–রনির সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।

আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।

সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।

ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসায় বসে ক্রিকেট দেখাও কষ্টদায়ক: লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।

অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’

কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিটন কি টেস্ট অধিনায়কত্ব করবেন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৪৪
লিটনের অধীনে চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
লিটনের অধীনে চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর পর থেকেই সাদা পোশাকের নেতৃত্ব কে পাচ্ছেন, সেটা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে যে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে লিটন দাস অন্যতম।

টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা দারুণ হয়েছে লিটনের। তাঁর অধীনে সবশেষ চারটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি মতো টেস্টেও পূর্ণকালীন অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছা আছে লিটনের। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা হয়নি বলে জানালেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

২০২৩ সালের জুনে মিরপুর টেস্টে আফগানিস্তানকে রেকর্ড ৫৪৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন লিটন। আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের পর তাঁর পূর্ণকালীন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত শান্তর ওপরই ভরসা রাখে বিসিবি। আড়াই বছর পর আবার সম্ভাব্য টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছে লিটনের নাম।

টেস্ট অধিনায়ক খুঁজে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাচ্ছে না বিসিবি। আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগেই শান্তর উত্তরসূরি খুঁজে নিতে হবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।

৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন স্বাগতিকদের অধিনায়ক লিটন। সেখানেই টেস্ট অধিনায়ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় লিটনকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিয়ে আমি কিছু জানি না। তারা (বিসিবি) যদি যোগ্য মনে করে, অবশ্যই আমার সঙ্গে কথা বলবে। দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত হয়।’

বিসিবি প্রস্তাব দিলে না করবেন না লিটন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন খেলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব অনেক বড় পাওয়া। আমার মনে হয় না কেউ না করবে। কিন্তু তাদের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারালে সাড়ে ৮ কোটি টাকা পাবে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫১
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: সংগৃহীত (আটে আছে বাংলাদেশ)
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: সংগৃহীত (আটে আছে বাংলাদেশ)

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। লিগ পর্ব থেকে বাংলাদেশের বিদায়ও নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাই আজ ভারতের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের শেষ ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। পয়েন্ট টেবিলের জন্য না হলেও একটি দিক থেকে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।

৮ দলের বিশ্বকাপে টেবিলের তলানিতে আছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। ছয়ে থেকে টুর্নামেন্টে শেষ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে। সে ক্ষেত্রে প্রাইজমানি হিসেবে ৭ লাখ ডলার পাবে দলটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ছয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে তাদের। একই সঙ্গে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সমীকরণও পক্ষে আসতে হবে। ইংলিশদের কাছে হারতে হবে কিউইদের। দুটি সমীকরণ মিলে গেলেই কেবল মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের ছয়ে আছে নিউজিল্যান্ড।

দুই সমীকরণের একটি না মিললেই সাত কিংবা আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। টেবিলের শেষ দুটি স্থানের জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার প্রাইজমানি রেখেছে আইসিসি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বিশ্বকাপের বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারায় তারা। এরপর হেরে যায় টানা ৫ ম্যাচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যায় জ্যোতিরা। হতাশা ভুলে শুরুর মতো শেষটাও জয়ে রাঙাতে চাইবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত