Ajker Patrika

চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজেকে কিংবদন্তি মনে করছেন কোরিয়ান ফুটবলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১৩: ০০
টটেনহামকে শিরোপা জিতিয়ে সন হিউং-মিন। ছবি: এএফপি
টটেনহামকে শিরোপা জিতিয়ে সন হিউং-মিন। ছবি: এএফপি

টটেনহাম হটস্পারে ২০১৫ সাল থেকে খেলছেন সন হিউং-মিন। দীর্ঘ এক দশকে ক্লাবটির হয়ে শিরোপার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এসেছেন বারবার। অবশেষে ইংল্যান্ডের ক্লাবটির হয়ে গত রাতে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলেন সন।

সান মিমিসে গত রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ইউরোপা লিগ জিতল টটেনহাম। ৪২ মিনিটে টটেনহাম ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসন করেন জয়সূচক গোল। শেষ বাঁশি বাজার পর সান মিমিসে শুরু উদযাপন। টটেনহামের উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন অধিনায়ক সন। দীর্ঘ এক দশকের চেষ্টার পর ক্লাবের হয়ে প্রথম শিরোপা জয়ের পর উঁচিয়ে ধরেছেন শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোরিয়ান এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। আজ বলতে পারি যে আমি এই ক্লাবের কিংবদন্তি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে।’

টটেনহামের হয়ে প্রথম শিরোপা জয়ের পর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে মাঠে ঘুরেছেন সন। টটেনহাম হটস্পার নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই ছবি পোস্ট করেছে। ক্লাবটি ক্যাপশন দিয়েছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম অধিনায়ক হয়ে মেজর ইউরোপিয়ান ট্রফি জিতেছেন তিনি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার এক ওয়েবসাইটে সনের শিরোপা জয়ের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ট্রফি ধরার সময় যখন তাইগিউকগি (দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা) নিয়ে ঘুরতে দেখবেন, তখন ভালোই লাগবে।’ অপরজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা অবশ্যই দলীয় প্রচেষ্টা। তবে এমন অর্জনের পর তাঁকে (সন) নিয়ে আমি গর্বিত। এটার জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন।’

২০২৪-২৫ মৌসুমের শুরুতে সন বলেছিলেন, তিনি হতে চান টটেনহামের কিংবদন্তি। সান মিমিসে গত রাতে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ক্লাবটির হয়ে প্রথম কোনো মেজর শিরোপা জয়ের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আশা করি, যারা আমাকে পছন্দ করে না তারাও এখন থেকে পছন্দ করবে। সেটা সম্ভব হয়েছে এই শিরোপার জন্যই।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগ জিতল টটেনহাম। ১৯৭২, ১৯৮৪ সালের পর গত রাতে টটেনহামের ঘরে এল এই শিরোপা। ৪১ বছর পর ক্লাবটির এই শিরোপা জয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে মেজর কোনো শিরোপা জিতলেন সন। এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়া এএফসি এশিয়ান কাপের ফাইনালে উঠেছিল। তবে সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত