Ajker Patrika

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যে দিন গেছে, একেবারেই কি গেছে

ক্রীড়া ডেস্ক    
ব্রুনো ফার্নান্দেসের মুখের হতাশায় যেন এ মৌসুমে ইউনাইটেডের প্রতিচ্ছবি। ছবি: এএফপি
ব্রুনো ফার্নান্দেসের মুখের হতাশায় যেন এ মৌসুমে ইউনাইটেডের প্রতিচ্ছবি। ছবি: এএফপি

বাংলায় এক প্রবাদ আছে, ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভালো দিনগুলো যেন চলে গেছে। এখন এমন খারাপ কাটছে, শিরোপা জেতা দূরে থাক ম্যাচ জেতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। একেকটি মৌসুম যায়, ইউনাইটেডের দুর্গতি আরও বাড়তে থাকে।

এ মৌসুমে তো আরও বাজে অবস্থা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৪তম স্থানে। জয় মাত্র ৩টি, যা রেড ডেভিলদের নামের সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান। দলে ব্রুনো ফার্নান্দেস, কাসেমিরো, আলেহান্দ্রো গারনাচোর মতন তারকা। কিন্তু পারফরম্যান্স? সে আর নাই বা বলি।

রীতিমতো নিজেরা হাসির খোরাক হয়েই ছেড়েছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনি-আন্দ্রে ওনানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের চেয়ে বেশি আর কোন ফুটবলার এত বেশি ট্রোলের শিকার হয়েছেন? প্রতিপক্ষ সমর্থকেরা তো আছেনই, মাঠে ম্যাগুয়ার-অ্যান্থনিদের নিয়ে হাস্যরস করতে ছাড়েন না স্বয়ং ইউনাইটেড সমর্থকেরাই। নামেই যেন রেড ডেভিল! মাঠে যেন ‘বিড়াল’ হয়ে পড়েছেন ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরা।

ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরিম। ছবি: এএফপি
ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরিম। ছবি: এএফপি

ট্রোলের শিকার হয়েছেন সদ্য বিদায়ী কোচ এরিক টেন হাগও। ডাচ কোচ অনেক আশা নিয়ে আয়াক্স ছেড়ে এলেও পাল্টাতে পারেননি ইউনাইটেডের ভাগ্য। উল্টো বদলে গেছেন নিজেই। দুই বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাটালেও জিততে পারেননি প্রিমিয়ার লিগ। গত বছর নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইএফএল (লিগ) কাপ এবং গত মে মাসে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে এফএ কাপ—এ দুটি শিরোপা ছাড়া ইউনাইটেডকে এনে দিতে পারেননি কিছুই।

টাকার বস্তা নিয়ে খেলোয়াড় অবশ্য ঠিকই কিনেছেন টেন হাগ। রাসমুস হয়লুন্দ-মাথ্যিয়াস ডি লিখটকে এনে স্বপ্নও দেখেছিলেন। কিন্তু সবই যেন বিফলে গেছে। বিফলে গেছে টেন হাগের চাকরি বাঁচানোর যত শত চেষ্টাও। খড়্গটাও ডাচ কোচের ঘাড়ে ঠিকই পড়েছে। দিন চারেক আগে হয়েছেন বরখাস্ত। গতকাল টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে রুবেন আমোরিমকে নিয়োগ দিয়েছে ইউনাইটেড। আগামী ১১ নভেম্বর লিসবনের স্পোর্টিং ছেড়ে ম্যানচেস্টারে আসবেন তিনি। তাঁর না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে রেড ডেভিলদের সামলাবেন টেন হাগের সাবেক সহকারী রুড ফন নিস্টলরয়।

পর্তুগাল জাতীয় দলে আমোরিম ছিলেন ইউনাইটেড কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক মিডফিল্ডার ওল্ড ট্রাফোর্ডে এসে ফেরাতে পারবেন তো রেড ডেভিলদের ভাগ্য? ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের কোচের পদ থেকে অবসর নেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। এই কিংবদন্তি কোচের ২৬ বছরের অধ্যায়ে ইউরোপজুড়ে রাজত্ব করেছে ইউনাইটেড। একচ্ছত্র শাসন করেছে ইংলিশ ফুটবলে। কিন্তু স্যার ফার্গুসন অধ্যায়ের পর আর লিগের স্বাদই পায়নি তারা। এখন তো চলছে তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য।

স্যার ফার্গুসনের বিদায়ের পর এ নিয়ে ষষ্ঠ প্রধান কোচ নিয়োগ দিল ইউনাইটেড। আমোরিমের আগে গত ১১ বছরে এই দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড ময়েস, লুই ফন গাল, হোসে মরিনহো, ওলে গানার সুলশার ও টেন হাগ। আর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন রায়ান গিগস, মাইকেল ক্যারিক, রাল্ফ র‍্যাংনিক ও নিস্টলরয়। তবে এত হেভিওয়েট কোচ এলেও সৌভাগ্য ফেরাতে পারেননি ইউনাইটেডে।

আমোরিম কি পারবেন? ইউনাইটেড সমর্থকেরা কি ওল্ড ট্রাফোর্ডে লাল ঢেউ তুলে গাইতে পারবেন, ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’? চ্যালেঞ্জটা কঠিনই আমোরিমের জন্য। নিয়োগ পাওয়ার পর পর্তুগিজ কোচও জানিয়ে দিয়েছেন, এখন না হলে আর কখনো সেটি সম্ভব নয়। ইউর্গেন ক্লপ অ্যানফিল্ড ছাড়ার পর তাঁর লিভারপুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই গুঞ্জন সত্যি না হলেও ইউরোপের ফুটবলের মূল্যায়িত এই তরুণ কোচ টেন হাগের উত্তরসূরি হিসেবে আসছেন প্রিমিয়ার লিগে। অবশ্য ইউনাইটের চাকরিটা তিনি এ মৌসুম শেষ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধ্য-মৌসুমেই নিতে হলো ইউনাইটেডের বাজে অবস্থার কারণে।

২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ডে থাকবেন আমোরিম। এই সময় পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন তো তিনি, সেটিই এখন দেখার। এক দশক আগের বিশ্বের সেরা ও অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটিকে পুরোনো দিনে ফেরানো যে কত কঠিন হবে সেটি নিজেও জানেন আমোরিম। আর জানেন বলেই ভাগ্য ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বললেন, ‘এখন না হলে কখনো নয়।’

ইউনাইটেডে সুদিন ফিরুক। মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের ‘সুদিন কাছে এসো, ভালো বাসি এক সাথে সবকিছুই’-এর গান গেয়ে মাথা দোলাক রেড ডেভিল সমর্থকেরা। এত বড় এক ফুটবল ক্লাবের এভাবে তলানির দিকে যেতে দেখে সমর্থকদের কষ্ট হওয়ারই কথা। আমোরিম আসছেন। ম্যানচেস্টারে পর্তুগিজদের সাফল্য বেশ পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইবেন তিনিও। সেটি না পারলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার পঙকতিই আওড়াতে হবে ইউনাইটেড সমর্থকদের, ‘’আমাদের গেছে যে দিন/একেবারেই কি গেছে/কিছুই কি নেই বাকি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আফিফের হ্যাটট্রিকের দিনে নাঈম–রনির সেঞ্চুরি

ক্রীড়া ডেস্ক    
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি
হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন আফিফ। ছবি: বিসিবি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে দাপট দেখালেন বোলাররা। আলাদাভাবে বলতে হয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর কথা। বরিশালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই দুজন।

আজ দিনের শুরুতেই ৩১৩ রানে অলআউট হয় খুলনা। জবাবে আফিফের হ্যাটট্রিকে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। ৪২ তম ওভারের প্রথম বলে শামসুল ইসলামকে এলবিডব্লু করেন আফিফ। পরের দুই বলে ইয়াসির আরাফাত মিশু ও রুয়েল মিয়াকে ফেরান তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯ তম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন আফিফ।

সব মিলিয়ে বরিশালকে অলআউট করা পথে ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নামে বরিশাল। এ যাত্রায় ১১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। এখনো ৬৮ রানে পিছিয়ে দলটি।

ঢাকার করা ২২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে রংপুর। ১১১ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ৮৭ রানের লিড নিয়েছে রংপুর। সিলেটের বিপক্ষে ৪০১ রানে থেমেছে ময়মনসিংহের ইনিংস। দলটির হয়ে গতকাল সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল ইসলাম। আজ সে পথে হাঁটলেন রনি। ১০৭ রান করেন এই বাঁ হাতি পেসার। জবাবে ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট। ৫ উইকেট হাতে রেখে ২০৩ রানে পিছিয়ে তারা।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন ১৪ উইকেট পড়েছে। চট্টগ্রামের ৪০১ রানের জবাব দিতে নেমে স্বাগতিকরা থামে ১৯৬ রানে। সফরকারীদের হয়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে চট্টগ্রাম। ৩৩৮ রানের লিড পেয়েছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসায় বসে ক্রিকেট দেখাও কষ্টদায়ক: লিটন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।
চোট নিয়ে বাসায় বসে খেলা দেখাটাকে কষ্টদায়ক বলছেন লিটন।

হংকং আর আফগানিস্তানকে হারিয়ে প্রত্যাশামতোই সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। এই রাউন্ডেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে হয়েছিল দুর্দান্ত শুরু। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারে বাংলাদেশ। আর চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ম্যাচের একটিতেও খেলা হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। এরপর আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও টিভিতে দেখেছেন বাসায় বসে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।

অনেকেই বলেছেন অধিনায়ক লিটন থাকলে হয়তো এই সিরিজে ধবলধোলাই হতে হতো না বাংলাদেশকে। হতো কিনা, সে প্রশ্নে না গিয়ে খেলা মিস করার যন্ত্রণার কথা জানালেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন আপনি ম্যাচ খেলতে পারবেন না এটা, কষ্টদায়ক। এটা শুধু এশিয়া কাপেই নয়, আমি যখন বাসা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও দেখেছি, সেটাও ছিল আমার জন্য কষ্টদায়ক।’

কেন কষ্টদায়ক চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ব্যাখ্যাও দিলেন লিটন, ‘কষ্টদায়ক এ জন্য যে একজন প্লেয়ার ভালো ফর্মে ছিল, টুকটাক ভালো পারফর্ম করছিল এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সেখান থেকে (সরে এসে) বাসায় বসে খেলা দেখাটাও কষ্টদায়ক ব্যাপার।’ তবে লিটন এটাও বলছে ইনজুরির ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ভাষায়, ‘এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, বিশেষ করে ইনজুরি। তাই যে কোনো সময় যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিটন কি টেস্ট অধিনায়কত্ব করবেন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৪৪
লিটনের অধীনে চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
লিটনের অধীনে চারটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর পর থেকেই সাদা পোশাকের নেতৃত্ব কে পাচ্ছেন, সেটা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে যে কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে লিটন দাস অন্যতম।

টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা দারুণ হয়েছে লিটনের। তাঁর অধীনে সবশেষ চারটি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি মতো টেস্টেও পূর্ণকালীন অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছা আছে লিটনের। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কথা হয়নি বলে জানালেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

২০২৩ সালের জুনে মিরপুর টেস্টে আফগানিস্তানকে রেকর্ড ৫৪৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন লিটন। আফগানদের বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের পর তাঁর পূর্ণকালীন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত শান্তর ওপরই ভরসা রাখে বিসিবি। আড়াই বছর পর আবার সম্ভাব্য টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শোনা যাচ্ছে লিটনের নাম।

টেস্ট অধিনায়ক খুঁজে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাচ্ছে না বিসিবি। আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগেই শান্তর উত্তরসূরি খুঁজে নিতে হবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।

৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগামীকাল চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন স্বাগতিকদের অধিনায়ক লিটন। সেখানেই টেস্ট অধিনায়ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয় লিটনকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিয়ে আমি কিছু জানি না। তারা (বিসিবি) যদি যোগ্য মনে করে, অবশ্যই আমার সঙ্গে কথা বলবে। দেখা যাক কী সিদ্ধান্ত হয়।’

বিসিবি প্রস্তাব দিলে না করবেন না লিটন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন খেলবেন, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব অনেক বড় পাওয়া। আমার মনে হয় না কেউ না করবে। কিন্তু তাদের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারালে সাড়ে ৮ কোটি টাকা পাবে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫১
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: সংগৃহীত (আটে আছে বাংলাদেশ)
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: সংগৃহীত (আটে আছে বাংলাদেশ)

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। লিগ পর্ব থেকে বাংলাদেশের বিদায়ও নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাই আজ ভারতের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের শেষ ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। পয়েন্ট টেবিলের জন্য না হলেও একটি দিক থেকে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।

৮ দলের বিশ্বকাপে টেবিলের তলানিতে আছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। ছয়ে থেকে টুর্নামেন্টে শেষ করার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে। সে ক্ষেত্রে প্রাইজমানি হিসেবে ৭ লাখ ডলার পাবে দলটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

ছয়ে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে তাদের। একই সঙ্গে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সমীকরণও পক্ষে আসতে হবে। ইংলিশদের কাছে হারতে হবে কিউইদের। দুটি সমীকরণ মিলে গেলেই কেবল মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের ছয়ে আছে নিউজিল্যান্ড।

দুই সমীকরণের একটি না মিললেই সাত কিংবা আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। টেবিলের শেষ দুটি স্থানের জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার প্রাইজমানি রেখেছে আইসিসি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বিশ্বকাপের বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারায় তারা। এরপর হেরে যায় টানা ৫ ম্যাচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরে যায় জ্যোতিরা। হতাশা ভুলে শুরুর মতো শেষটাও জয়ে রাঙাতে চাইবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত