নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পুরো কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য শুরুতে এই সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এবার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে সবকিছুর পরিবর্তন হাতেনাতে দেখা মিলবে না বলে মনে করেন সাকিব। কেউ এসেই দৃশ্যপট বদলে দেবেন, এমনটা মানতে নারাজ এই অলরাউন্ডার।
আজ রাজধানীর বাড্ডায় একটি অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলেন সাকিব। এশিয়া কাপ নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমরা মনে হয় না খুব বেশি কিছু আশা করার আছে এখানে। যেহেতু তিনি (শ্রীরাম) অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে ৫ জন বছর ছিলেন, আর আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে, তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে।’
‘এ টি-টোয়েন্টি বা এশিয়া কাপে কতটুকু সফলতা আসবে বলাটা মুশকিল। খুবই স্বল্প সময়। কিন্তু আমি যেটা বললাম, এখানে আমাদের সবার একটা দায়িত্ববোধ আছে যার যার জায়গা থেকে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবি— সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার কাছে মনে হয় একটা পথযাত্রা শুরু হবে’, যোগ করেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পাওয়াকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সব সময়ই গর্বের বিষয়। তাই আমি খুবই আনন্দিত, উত্তেজিত এবং নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করি।’
এশিয়া কাপে অধিনায়কের লক্ষ্য কী থাকবে, এমন প্রশ্নে সাকিবের উত্তর, ‘আমার কাছে কোনো লক্ষ্য নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপে গিয়ে যেন আমরা ভালো করতে পারি। তার প্রস্তুতি হিসেবে এগুলো। আমি যদি মনে করি, একদিন-দু’দিনে কিছু বদলে দিতে পারব কিংবা অন্য কেউ এসে বদলে দেবে তাহলে আমরা আসলে বোকার রাজ্যে বাস করছি। যদি আপনি বাস্তব চিন্তা করেন, তিন মাস সময় আছে বিশ্বকাপের জন্য। একটা যদি উন্নতি দেখতে পারেন দলে, ওটাই আমাদের আসল উন্নতি।’

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পুরো কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য শুরুতে এই সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এবার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে সবকিছুর পরিবর্তন হাতেনাতে দেখা মিলবে না বলে মনে করেন সাকিব। কেউ এসেই দৃশ্যপট বদলে দেবেন, এমনটা মানতে নারাজ এই অলরাউন্ডার।
আজ রাজধানীর বাড্ডায় একটি অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলেন সাকিব। এশিয়া কাপ নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমরা মনে হয় না খুব বেশি কিছু আশা করার আছে এখানে। যেহেতু তিনি (শ্রীরাম) অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে ৫ জন বছর ছিলেন, আর আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে, তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে।’
‘এ টি-টোয়েন্টি বা এশিয়া কাপে কতটুকু সফলতা আসবে বলাটা মুশকিল। খুবই স্বল্প সময়। কিন্তু আমি যেটা বললাম, এখানে আমাদের সবার একটা দায়িত্ববোধ আছে যার যার জায়গা থেকে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবি— সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার কাছে মনে হয় একটা পথযাত্রা শুরু হবে’, যোগ করেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পাওয়াকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সব সময়ই গর্বের বিষয়। তাই আমি খুবই আনন্দিত, উত্তেজিত এবং নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করি।’
এশিয়া কাপে অধিনায়কের লক্ষ্য কী থাকবে, এমন প্রশ্নে সাকিবের উত্তর, ‘আমার কাছে কোনো লক্ষ্য নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপে গিয়ে যেন আমরা ভালো করতে পারি। তার প্রস্তুতি হিসেবে এগুলো। আমি যদি মনে করি, একদিন-দু’দিনে কিছু বদলে দিতে পারব কিংবা অন্য কেউ এসে বদলে দেবে তাহলে আমরা আসলে বোকার রাজ্যে বাস করছি। যদি আপনি বাস্তব চিন্তা করেন, তিন মাস সময় আছে বিশ্বকাপের জন্য। একটা যদি উন্নতি দেখতে পারেন দলে, ওটাই আমাদের আসল উন্নতি।’

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুহাত ভরে, যা এক সময় ভাবা হয়নি তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর চোখভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ মিনিট আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
৩৩ মিনিট আগে
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে একেবারে দূরে নন নেইমার। এ সপ্তাহের শনিবার সান্তোসের জার্সিতে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’ তে খেলেছেন। মূল একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে ২২ মিনিট খেলেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের দরজা যেন কিছুতেই খুলতে পারছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। ক্রিকেট থেকে এককালে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভেন্যুতে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। অথচ সেই দেশেরই এক ভেন্যুতে ১৭ বছর ধরে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
২ ঘণ্টা আগেকারিমুল ইসলাম

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুহাত ভরে, যা এক সময় ভাবা হয়নি তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর চোখভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যাবসায়ে দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন এক সময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘুরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিন মজুর, কেউ আবার বাস কন্টাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসেই প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছে ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সাথে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছুই।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই এক টুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বড় বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরু বেশ আগে থেকেই নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি জ্বালিয়ে, নেচে-গেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদযাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এতো আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সবশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে তো বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়কই বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথী হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপ জয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুহাত ভরে, যা এক সময় ভাবা হয়নি তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর চোখভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যাবসায়ে দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন এক সময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘুরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিন মজুর, কেউ আবার বাস কন্টাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসেই প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছে ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সাথে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছুই।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই এক টুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বড় বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরু বেশ আগে থেকেই নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি জ্বালিয়ে, নেচে-গেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদযাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এতো আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সবশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে তো বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়কই বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথী হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপ জয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পুরো কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য শুরুতে এই সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এবার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে সবকিছুর পরিবর্তন হাতেনাতে দেখা মিলবে না বলে মনে ক
২০ আগস্ট ২০২২
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
৩৩ মিনিট আগে
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে একেবারে দূরে নন নেইমার। এ সপ্তাহের শনিবার সান্তোসের জার্সিতে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’ তে খেলেছেন। মূল একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে ২২ মিনিট খেলেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের দরজা যেন কিছুতেই খুলতে পারছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। ক্রিকেট থেকে এককালে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভেন্যুতে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। অথচ সেই দেশেরই এক ভেন্যুতে ১৭ বছর ধরে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২০০৯ থেকে ২০১৪—এই পাঁচ বছর খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে কাটানোর আগের পাঁচ বছর লিভারপুলেই ছিলেন আলোনসো। খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ, গোলও আছে ১৫টি। পুরোনো ঘরে আজ আলোনসো ভিন্ন দলের কোচ হিসেবে গেলেও লিভারপুলের কাছে এই ম্যাচে তাঁর পরিচিতি শত্রু শিবিরের লোক!
তবে এমন সময়ে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে, যখন দুই দলের পারফরম্যান্স পুরোপুরি বিপরীতমুখী। একের পর এক জিতেই চলেছে রিয়াল। ঠিক উল্টো অবস্থান আর্নে স্লটের দলের। শেষ আট ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে লিভারপুল। দিন কয়েক আগে ঘরের মাঠে শেষ ষোলোয় ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে লিগ কাপ থেকেও।
এই অবস্থায় ঘরের মাঠে খেললেও রিয়াল মাদ্রিদকে আটকানোটা লিভারপুলের জন্য খুবই কঠিন। ডিফেন্স জমাট ছিল না বলে আগের মৌসুমে ভূরি ভূরি গোল হজম করেছে রিয়াল। আলোনসো দায়িত্ব নিয়ে সেই ভঙ্গুর রক্ষণ সারিয়ে তুলেছেন। উর্বর মস্তিষ্কের খেলোয়াড় ছিলেন আলোনসো, এটা সবারই জানা। লিভারপুলের আরও বেশি জানা, কেননা ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলে অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এসেই উর্বর মস্তিষ্কের ব্যবহার করছেন আলোনসো। তাতে রিয়াল আরও শাণিত, তাদের রক্ষণ আরও দৃঢ়। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা লিখেছে—‘আলোনসোর রিয়াল এখন প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখে, শ্বাস নিতে দেয় না।’

আলোনসোর সান্নিধ্যে এমবাপ্পে, বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুস—সবাই যেন খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবন। বেলিংহাম বার্সেলোনা, জুভেন্তাস ও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে টানা গোল করে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি আলোনসোর পরিকল্পনার কেন্দ্রে। এমবাপ্পে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা, নিজের খেলার সঙ্গে প্রেসিং যোগ করে হয়েছেন আরও ভয়ংকর। আর তরুণ আরদা গুলারকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যতের ক্রুস-মদরিচের উত্তরসূরি হিসেবে। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ক্ষণিকের বিরোধও আলোনসো সামলে নিয়েছেন শান্তভাবে, অভিজ্ঞ নেতার মতো।
তাই পুরোনো ঘরে ফিরলেও পেশাদার কোচ হিসেবে আলোনসোর লক্ষ্য একটাই—অ্যানফিল্ডে জিতে সবাইকে এই বার্তাই দেওয়া রিয়াল আবারও ইউরোপ শাসন করতে প্রস্তুত।

রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
২০০৯ থেকে ২০১৪—এই পাঁচ বছর খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালে কাটানোর আগের পাঁচ বছর লিভারপুলেই ছিলেন আলোনসো। খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ, গোলও আছে ১৫টি। পুরোনো ঘরে আজ আলোনসো ভিন্ন দলের কোচ হিসেবে গেলেও লিভারপুলের কাছে এই ম্যাচে তাঁর পরিচিতি শত্রু শিবিরের লোক!
তবে এমন সময়ে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে, যখন দুই দলের পারফরম্যান্স পুরোপুরি বিপরীতমুখী। একের পর এক জিতেই চলেছে রিয়াল। ঠিক উল্টো অবস্থান আর্নে স্লটের দলের। শেষ আট ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে লিভারপুল। দিন কয়েক আগে ঘরের মাঠে শেষ ষোলোয় ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে লিগ কাপ থেকেও।
এই অবস্থায় ঘরের মাঠে খেললেও রিয়াল মাদ্রিদকে আটকানোটা লিভারপুলের জন্য খুবই কঠিন। ডিফেন্স জমাট ছিল না বলে আগের মৌসুমে ভূরি ভূরি গোল হজম করেছে রিয়াল। আলোনসো দায়িত্ব নিয়ে সেই ভঙ্গুর রক্ষণ সারিয়ে তুলেছেন। উর্বর মস্তিষ্কের খেলোয়াড় ছিলেন আলোনসো, এটা সবারই জানা। লিভারপুলের আরও বেশি জানা, কেননা ২০০৫ সালে ইস্তাম্বুলে অলরেডদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে এসেই উর্বর মস্তিষ্কের ব্যবহার করছেন আলোনসো। তাতে রিয়াল আরও শাণিত, তাদের রক্ষণ আরও দৃঢ়। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা লিখেছে—‘আলোনসোর রিয়াল এখন প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখে, শ্বাস নিতে দেয় না।’

আলোনসোর সান্নিধ্যে এমবাপ্পে, বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুস—সবাই যেন খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবন। বেলিংহাম বার্সেলোনা, জুভেন্তাস ও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে টানা গোল করে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি আলোনসোর পরিকল্পনার কেন্দ্রে। এমবাপ্পে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা, নিজের খেলার সঙ্গে প্রেসিং যোগ করে হয়েছেন আরও ভয়ংকর। আর তরুণ আরদা গুলারকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যতের ক্রুস-মদরিচের উত্তরসূরি হিসেবে। ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ক্ষণিকের বিরোধও আলোনসো সামলে নিয়েছেন শান্তভাবে, অভিজ্ঞ নেতার মতো।
তাই পুরোনো ঘরে ফিরলেও পেশাদার কোচ হিসেবে আলোনসোর লক্ষ্য একটাই—অ্যানফিল্ডে জিতে সবাইকে এই বার্তাই দেওয়া রিয়াল আবারও ইউরোপ শাসন করতে প্রস্তুত।

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পুরো কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য শুরুতে এই সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এবার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে সবকিছুর পরিবর্তন হাতেনাতে দেখা মিলবে না বলে মনে ক
২০ আগস্ট ২০২২
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুহাত ভরে, যা এক সময় ভাবা হয়নি তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর চোখভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ মিনিট আগে
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে একেবারে দূরে নন নেইমার। এ সপ্তাহের শনিবার সান্তোসের জার্সিতে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’ তে খেলেছেন। মূল একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে ২২ মিনিট খেলেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের দরজা যেন কিছুতেই খুলতে পারছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। ক্রিকেট থেকে এককালে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভেন্যুতে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। অথচ সেই দেশেরই এক ভেন্যুতে ১৭ বছর ধরে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে একেবারে দূরে নন নেইমার। এই সপ্তাহের শনিবার সান্তোসের জার্সিতে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’তে খেলেছেন। মূল একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে ২২ মিনিট খেলেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের দরজা যেন কিছুতেই খুলতে পারছেন না তিনি।
এই মাসে তিউনিসিয়া ও স্পেনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য গত রাতে ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এবারও জায়গা হয়নি নেইমারের। তিউনিসিয়া-স্পেন ম্যাচের দলে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এদের মিলিতাও। যাঁদের মধ্যে ভিনি-রদ্রিগো থাকছেন আক্রমণভাগে। রক্ষণভাগ সামলাবেন মিলিতাও। আনচেলত্তির ঘোষিত ২৬ সদস্যের দলে আছেন তিন গোলরক্ষক বেন্তো, এদেরসন ও হুগো সুজা। রক্ষণভাগে মার্কিনিওসসহ আছেন ১০ ফুটবলার। মাঝমাঠে কাসেমিরো-লুকাস পাকেতাদের সঙ্গে আছেন আন্দ্রে সান্তোস, ব্রুনো গিমারেস ও ফ্যাবিনিও। আক্রমণভাগে ভিনি-রদ্রিগোসহ ৮ ফুটবলার আছেন সেনেগাল-তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দলে।
তিউনিসিয়া-সেনেগাল ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দীর্ঘদিন পর ফিরছেন ফ্যাবিনিও ও রকি। ব্রাজিলের জার্সিতে ফ্যাবিনিওর ফেরা হচ্ছে তিন বছর পর। তিনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলছেন ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে। আর রকির তো ব্রাজিলের জার্সিতে এক ম্যাচ খেলার পর আর সুযোগই হয়নি। ২০২৩ সালের মার্চে মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় তাঁর। এ ছাড়া চোটে পড়ায় ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া ও গোলরক্ষক অ্যালিসনের সুযোগ হয়নি তিউনিসিয়া-সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচের দলে।
মে মাসে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার পর চারবার ব্রাজিলের দল ঘোষণা করেছেন কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু কোনোবারই সুযোগ মেলেনি নেইমারের। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বশেষ ম্যাচ তিনি খেলেছেন ২০২৩-এর অক্টোবরে। দুই বছর আগে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাছাইপর্বের ম্যাচ। ব্রাজিলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৮ ম্যাচে ৭৯ গোল করেছেন তিনি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫৯ ম্যাচে। ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেইমারের পরে অবস্থান পেলের। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেছেন।
২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাছাইপর্বে ১৮ ম্যাচে জিতেছে ৮ ম্যাচ। ড্র করেছে ৪ ম্যাচ ও হেরেছে ৬ ম্যাচ। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম দল হিসেবে উঠেছে। বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর ব্রাজিল এখন শুধু নিজেদের ঝালিয়ে নেবে একের পর এক প্রীতি ম্যাচ খেলে। ১৫ নভেম্বর লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে রাত ১০টায় শুরু হবে ব্রাজিল-সেনেগাল প্রীতি ম্যাচ। পরের ম্যাচটি হবে ১৮ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ফ্রান্সের লিলে ডেকাথলন স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।
তিউনিসিয়া-সেনেগাল ম্যাচের জন্য ব্রাজিল দল
গোলরক্ষক : বেন্তো (আল নাসর), এদেরসন (ফেনারবাচ), হুগো সুজা (করিন্থিয়ানস)
ডিফেন্ডার : আলেক্স সান্দ্রো (ফ্ল্যামেঙ্গো), দানিলো (ফ্ল্যামেঙ্গো), কাইয়ো হেনরিক (মোনাকো), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো (ক্রুজেইরো), গ্যাব্রিয়েল মাগালিস (আর্সেনাল), লুসিয়ানো জুবা (বাহিয়া), মার্কিনিওস, পাওলো হেনরিক, ওয়েসলি
মিডফিল্ডার : আন্দ্রে সান্তোস (চেলসি), ব্রুনো গিমারেস (নিউক্যাসল), কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), ফ্যাবিনিও (আল ইত্তিহাদ), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হাম)
ফরোয়ার্ড : এস্তেভাও উইলিয়ান (চেলসি), হোয়াও পেদ্রো (চেলসি), লুইজ হেনরিক (জেনিত), ম্যাথুস কুনিয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রিচার্লিসন (টটেনহাম), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিতোর রকি (পালমেইরাস)

প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে একেবারে দূরে নন নেইমার। এই সপ্তাহের শনিবার সান্তোসের জার্সিতে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’তে খেলেছেন। মূল একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে ২২ মিনিট খেলেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের দরজা যেন কিছুতেই খুলতে পারছেন না তিনি।
এই মাসে তিউনিসিয়া ও স্পেনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য গত রাতে ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। এবারও জায়গা হয়নি নেইমারের। তিউনিসিয়া-স্পেন ম্যাচের দলে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এদের মিলিতাও। যাঁদের মধ্যে ভিনি-রদ্রিগো থাকছেন আক্রমণভাগে। রক্ষণভাগ সামলাবেন মিলিতাও। আনচেলত্তির ঘোষিত ২৬ সদস্যের দলে আছেন তিন গোলরক্ষক বেন্তো, এদেরসন ও হুগো সুজা। রক্ষণভাগে মার্কিনিওসসহ আছেন ১০ ফুটবলার। মাঝমাঠে কাসেমিরো-লুকাস পাকেতাদের সঙ্গে আছেন আন্দ্রে সান্তোস, ব্রুনো গিমারেস ও ফ্যাবিনিও। আক্রমণভাগে ভিনি-রদ্রিগোসহ ৮ ফুটবলার আছেন সেনেগাল-তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দলে।
তিউনিসিয়া-সেনেগাল ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দীর্ঘদিন পর ফিরছেন ফ্যাবিনিও ও রকি। ব্রাজিলের জার্সিতে ফ্যাবিনিওর ফেরা হচ্ছে তিন বছর পর। তিনি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলছেন ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে। আর রকির তো ব্রাজিলের জার্সিতে এক ম্যাচ খেলার পর আর সুযোগই হয়নি। ২০২৩ সালের মার্চে মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় তাঁর। এ ছাড়া চোটে পড়ায় ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া ও গোলরক্ষক অ্যালিসনের সুযোগ হয়নি তিউনিসিয়া-সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচের দলে।
মে মাসে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার পর চারবার ব্রাজিলের দল ঘোষণা করেছেন কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু কোনোবারই সুযোগ মেলেনি নেইমারের। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বশেষ ম্যাচ তিনি খেলেছেন ২০২৩-এর অক্টোবরে। দুই বছর আগে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাছাইপর্বের ম্যাচ। ব্রাজিলের হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৮ ম্যাচে ৭৯ গোল করেছেন তিনি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৫৯ ম্যাচে। ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেইমারের পরে অবস্থান পেলের। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেছেন।
২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাছাইপর্বে ১৮ ম্যাচে জিতেছে ৮ ম্যাচ। ড্র করেছে ৪ ম্যাচ ও হেরেছে ৬ ম্যাচ। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম দল হিসেবে উঠেছে। বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর ব্রাজিল এখন শুধু নিজেদের ঝালিয়ে নেবে একের পর এক প্রীতি ম্যাচ খেলে। ১৫ নভেম্বর লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে রাত ১০টায় শুরু হবে ব্রাজিল-সেনেগাল প্রীতি ম্যাচ। পরের ম্যাচটি হবে ১৮ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ফ্রান্সের লিলে ডেকাথলন স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।
তিউনিসিয়া-সেনেগাল ম্যাচের জন্য ব্রাজিল দল
গোলরক্ষক : বেন্তো (আল নাসর), এদেরসন (ফেনারবাচ), হুগো সুজা (করিন্থিয়ানস)
ডিফেন্ডার : আলেক্স সান্দ্রো (ফ্ল্যামেঙ্গো), দানিলো (ফ্ল্যামেঙ্গো), কাইয়ো হেনরিক (মোনাকো), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো (ক্রুজেইরো), গ্যাব্রিয়েল মাগালিস (আর্সেনাল), লুসিয়ানো জুবা (বাহিয়া), মার্কিনিওস, পাওলো হেনরিক, ওয়েসলি
মিডফিল্ডার : আন্দ্রে সান্তোস (চেলসি), ব্রুনো গিমারেস (নিউক্যাসল), কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), ফ্যাবিনিও (আল ইত্তিহাদ), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হাম)
ফরোয়ার্ড : এস্তেভাও উইলিয়ান (চেলসি), হোয়াও পেদ্রো (চেলসি), লুইজ হেনরিক (জেনিত), ম্যাথুস কুনিয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রিচার্লিসন (টটেনহাম), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিতোর রকি (পালমেইরাস)

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পুরো কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য শুরুতে এই সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এবার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে সবকিছুর পরিবর্তন হাতেনাতে দেখা মিলবে না বলে মনে ক
২০ আগস্ট ২০২২
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুহাত ভরে, যা এক সময় ভাবা হয়নি তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর চোখভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ মিনিট আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
৩৩ মিনিট আগে
১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। ক্রিকেট থেকে এককালে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভেন্যুতে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। অথচ সেই দেশেরই এক ভেন্যুতে ১৭ বছর ধরে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। ক্রিকেট থেকে এককালে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভেন্যুতে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। অথচ সেই দেশেরই এক ভেন্যুতে ১৭ বছর ধরে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। অবশেষে আজ দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরোচ্ছে ফয়সালাবাদ ইকবাল স্টেডিয়ামের।
বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ৪টায় ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোচ্ছে এই স্টেডিয়ামের। ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও হয়েছিল ওয়ানডে। ১৭ বছর আগে সেই ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন মেথডে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সালমান বাট।
ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোনোর দিনটা বিশেষ শাহিন শাহ আফ্রিদির জন্যও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও ওয়ানডেতে কখনো নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে শাহিনের। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে। এর আগে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বাবর আজম ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার রেকর্ড।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে এ বছরের জুনেই ফুরোতে পারত ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোতে যাচ্ছে। এপ্রিলে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল নিউজ ডট কম’-এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, তাদের (বাংলাদেশ-পাকিস্তান) টি-টোয়েন্টি সিরিজটি পাঁচ ম্যাচের হতে পারে। যার মধ্যে দুই ম্যাচ হতে পারে ফয়সালাবাদে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত সিরিজের তিন টি-টোয়েন্টি হয়েছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছিল।

১৭ বছর তো একেবারে কম সময় নয়। ক্রিকেট থেকে এককালে নির্বাসনে থাকা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভেন্যুতে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হচ্ছে হরহামেশাই। অথচ সেই দেশেরই এক ভেন্যুতে ১৭ বছর ধরে হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। অবশেষে আজ দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরোচ্ছে ফয়সালাবাদ ইকবাল স্টেডিয়ামের।
বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ৪টায় ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোচ্ছে এই স্টেডিয়ামের। ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও হয়েছিল ওয়ানডে। ১৭ বছর আগে সেই ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন মেথডে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সালমান বাট।
ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোনোর দিনটা বিশেষ শাহিন শাহ আফ্রিদির জন্যও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও ওয়ানডেতে কখনো নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে শাহিনের। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে। এর আগে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বাবর আজম ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার রেকর্ড।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে এ বছরের জুনেই ফুরোতে পারত ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোতে যাচ্ছে। এপ্রিলে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল নিউজ ডট কম’-এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, তাদের (বাংলাদেশ-পাকিস্তান) টি-টোয়েন্টি সিরিজটি পাঁচ ম্যাচের হতে পারে। যার মধ্যে দুই ম্যাচ হতে পারে ফয়সালাবাদে। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত সিরিজের তিন টি-টোয়েন্টি হয়েছিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছিল।

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পুরো কাঠামোগত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য শুরুতে এই সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এবার টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। তবে সবকিছুর পরিবর্তন হাতেনাতে দেখা মিলবে না বলে মনে ক
২০ আগস্ট ২০২২
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুহাত ভরে, যা এক সময় ভাবা হয়নি তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রম আর চোখভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ মিনিট আগে
রিয়াল মাদ্রিদ এই মুহূর্তে উজ্জীবিত এক দল। এই মৌসুমের ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই জয় তাদের। যাঁর কোচিংয়ে এই বদলে যাওয়া ব্লাঙ্কোসদের, সেই জাভি আলোনসোকে ডাগআউটে রেখে অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল। লিভারপুলের মাঠ এই অ্যানফিল্ড আবার জাভি আলোনসোর পুরোনো ঘরও।
৩৩ মিনিট আগে
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে একেবারে দূরে নন নেইমার। এ সপ্তাহের শনিবার সান্তোসের জার্সিতে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’ তে খেলেছেন। মূল একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে ২২ মিনিট খেলেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলের দরজা যেন কিছুতেই খুলতে পারছেন না তিনি।
১ ঘণ্টা আগে