কারিমুল ইসলাম

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।
কারিমুল ইসলাম

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতাই দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৩৮ মিনিট আগে
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। কাল থেকে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে তা জানিয়েছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ ৩০ দেশের ২০৯ খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। ফিলিস্তিনের আর্চারদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
লম্বা ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে আবুধাবি টি-টেন লিগে অভিষেক হবে তাঁর। টুর্নামেন্টটিতে খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের সৌজন্যে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। তাঁর শততম টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট হাতে ফর্মে নেই জাকের আলী অনিক। তবে টেস্ট দলে তাঁকে জায়গা দিয়েছেন নির্বাচকরা। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৩০ গড়ে করেছেন ৩৩৭ রান। ফিফটি করেছেন চারটি।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে খেলবেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলে রাখা হয়নি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই মাহমুদুল হাসান জয়ের। এরপরও রাখা হয়েছে এই ব্যাটারকে। সাদমান ইসলাম অনিকের সাথে ওপেনিং করবেন জয়। দলে আছেন চার পেসার। স্পিনার রাখা হয়েছে তিনজন।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকা আসবে আয়ারল্যান্ড। ১১ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে সফরকারীরা। দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, এবাদত হোসেন চৌধুরী, হাসান মুরাদ, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম অনিক।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ ঘণ্টা আগে
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। কাল থেকে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে তা জানিয়েছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ ৩০ দেশের ২০৯ খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। ফিলিস্তিনের আর্চারদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
লম্বা ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে আবুধাবি টি-টেন লিগে অভিষেক হবে তাঁর। টুর্নামেন্টটিতে খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। কাল থেকে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে তা জানিয়েছে বাফুফে।
সাধারণ গ্যালারির জন্য টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। ভিআইপি টিকিটের জন্য (ক্লাব হাউস ২) গুনতে হবে ১০০০ টাকা। দুপুর ২টা থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম কুইকেট ডট মিতে পাওয়া যাবে টিকিট।
এই ম্যাচের পর এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৮ নভেম্বর মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের টিকিট ছাড়া হবে ৯ নভেম্বর।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। কাল থেকে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে তা জানিয়েছে বাফুফে।
সাধারণ গ্যালারির জন্য টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। ভিআইপি টিকিটের জন্য (ক্লাব হাউস ২) গুনতে হবে ১০০০ টাকা। দুপুর ২টা থেকে অনলাইন প্লাটফর্ম কুইকেট ডট মিতে পাওয়া যাবে টিকিট।
এই ম্যাচের পর এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৮ নভেম্বর মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের টিকিট ছাড়া হবে ৯ নভেম্বর।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৩৮ মিনিট আগে
৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ ৩০ দেশের ২০৯ খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। ফিলিস্তিনের আর্চারদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে
লম্বা ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে আবুধাবি টি-টেন লিগে অভিষেক হবে তাঁর। টুর্নামেন্টটিতে খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ ৩০ দেশের ২০৯ খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। ফিলিস্তিনের আর্চারদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
রিকার্ভ নারী এককে একজন ও কম্পাউন্ড পুরুষ বিভাগে খেলবেন ফিলিস্তিনের ৩ আর্চার। আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের আগমন নিয়ে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য ও এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশনের সহ সভাপতি কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল জানান এমন তথ্য।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের অসহায়ত্বের কথা আপনারা জানেন। অন অ্যারাইভাল ভিসার মাধ্যমে আনার ব্যবস্থা করছি তাদের। লেবানন, সিরিয়া আছে, ইয়েমেন আছে, আরও অনেক দেশ আছে তাদের এলওসির মাধ্যমে বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে আনা হচ্ছে। এবার যদি আমাদের ভালো সাফল্য আসে, তাহলে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাব। আমরা চাই সুন্দর একটা চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে।’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুর ৫ দিন হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্বের ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়াম। যদিও পুরোটাই হওয়ার কথা ছিল জাতীয় স্টেডিয়ামে। ফেডারেশনের সভাপতি ও সিনিয়র সচিব ড. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমরা পুরো টুর্নামেন্টের জন্যই জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেয়েছিলাম। ফুটবলে ফেডারেশনের একটা প্রোগ্রাম থাকায় দুই দিন আমরা আর্মি স্টেডিয়ামে যাচ্ছি এই আয়োজন করতে।’

৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ ৩০ দেশের ২০৯ খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। ফিলিস্তিনের আর্চারদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
রিকার্ভ নারী এককে একজন ও কম্পাউন্ড পুরুষ বিভাগে খেলবেন ফিলিস্তিনের ৩ আর্চার। আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের আগমন নিয়ে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য ও এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশনের সহ সভাপতি কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল জানান এমন তথ্য।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের অসহায়ত্বের কথা আপনারা জানেন। অন অ্যারাইভাল ভিসার মাধ্যমে আনার ব্যবস্থা করছি তাদের। লেবানন, সিরিয়া আছে, ইয়েমেন আছে, আরও অনেক দেশ আছে তাদের এলওসির মাধ্যমে বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে আনা হচ্ছে। এবার যদি আমাদের ভালো সাফল্য আসে, তাহলে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাব। আমরা চাই সুন্দর একটা চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে।’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুর ৫ দিন হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্বের ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়াম। যদিও পুরোটাই হওয়ার কথা ছিল জাতীয় স্টেডিয়ামে। ফেডারেশনের সভাপতি ও সিনিয়র সচিব ড. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমরা পুরো টুর্নামেন্টের জন্যই জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেয়েছিলাম। ফুটবলে ফেডারেশনের একটা প্রোগ্রাম থাকায় দুই দিন আমরা আর্মি স্টেডিয়ামে যাচ্ছি এই আয়োজন করতে।’

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৩৮ মিনিট আগে
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। কাল থেকে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে তা জানিয়েছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
লম্বা ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে আবুধাবি টি-টেন লিগে অভিষেক হবে তাঁর। টুর্নামেন্টটিতে খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
১ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লম্বা ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে আবুধাবি টি-টেন লিগে অভিষেক হবে তাঁর। টুর্নামেন্টটিতে খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
টি-টেন লিগে সাকিব খেলবেন রয়েল চ্যাম্পসের হয়ে। কোয়েটা কাভালরি ও নর্দান ওয়ারিয়র্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর টি-টেন লিগের নতুন আসর শুরু হবে। পরদিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর ভিস্তা রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে রয়েল চ্যাম্পস। সবকিছু ঠিক থাকলে সে ম্যাচ দিয়ে ১০ ওভারের টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হবে সাকিবের। গত মাসেই তাঁকে দলভূক্ত করেছে রয়েল চ্যাম্পস।
জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ক্রিকেট থেকে দূরে নেই সাকিব। বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন তারকা অলরাউন্ডার। গত কয়েক মাসে ক্যারিবিয়ান সুপার লিগ, (সিপিএল), মাইনর লিগ ক্রিকেট, কানাডা সুপার সিক্সটির মতো টুর্নামেন্টে খেলেছেন সাকিব। এবার তাঁর ক্যারিয়ারে যোগ হবে আরও একটি টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘রয়্যাল চ্যাম্পসে যোগ দিতে এবং আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই নতুন সংষ্করণটি খুবই রোমাঞ্চকর। আমি দলের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চাই। এই সংস্করণে ভালো করার জন্য শক্তি, গতি তীক্ষ্ণতা এবং দলগত পারফরম্যান্স দরকার হয়। আমি বিশ্বাস করি টুর্নামেন্টে আমরা ভালো করতে পারব।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সাকিব। তাঁর বিশ্বাস, ভক্তদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারবে রয়েল চ্যাম্পস, ‘এই দলটির (রয়েল চ্যাম্পস) হয়ে খেলা চ্যালেঞ্জিং। আমাদের দারুণ সব ক্রিকেটার আছে। ভক্তদের জন্য ভালো কিছু করতে আমরা প্রস্তুত। আমি ভিস্তা রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত এবং অত্যন্ত মনোযোগী।’

লম্বা ক্যারিয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। চলতি মাসে আবুধাবি টি-টেন লিগে অভিষেক হবে তাঁর। টুর্নামেন্টটিতে খেলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।
টি-টেন লিগে সাকিব খেলবেন রয়েল চ্যাম্পসের হয়ে। কোয়েটা কাভালরি ও নর্দান ওয়ারিয়র্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর টি-টেন লিগের নতুন আসর শুরু হবে। পরদিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর ভিস্তা রাইডার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে রয়েল চ্যাম্পস। সবকিছু ঠিক থাকলে সে ম্যাচ দিয়ে ১০ ওভারের টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হবে সাকিবের। গত মাসেই তাঁকে দলভূক্ত করেছে রয়েল চ্যাম্পস।
জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ক্রিকেট থেকে দূরে নেই সাকিব। বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন তারকা অলরাউন্ডার। গত কয়েক মাসে ক্যারিবিয়ান সুপার লিগ, (সিপিএল), মাইনর লিগ ক্রিকেট, কানাডা সুপার সিক্সটির মতো টুর্নামেন্টে খেলেছেন সাকিব। এবার তাঁর ক্যারিয়ারে যোগ হবে আরও একটি টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘রয়্যাল চ্যাম্পসে যোগ দিতে এবং আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই নতুন সংষ্করণটি খুবই রোমাঞ্চকর। আমি দলের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চাই। এই সংস্করণে ভালো করার জন্য শক্তি, গতি তীক্ষ্ণতা এবং দলগত পারফরম্যান্স দরকার হয়। আমি বিশ্বাস করি টুর্নামেন্টে আমরা ভালো করতে পারব।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সাকিব। তাঁর বিশ্বাস, ভক্তদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারবে রয়েল চ্যাম্পস, ‘এই দলটির (রয়েল চ্যাম্পস) হয়ে খেলা চ্যালেঞ্জিং। আমাদের দারুণ সব ক্রিকেটার আছে। ভক্তদের জন্য ভালো কিছু করতে আমরা প্রস্তুত। আমি ভিস্তা রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত এবং অত্যন্ত মনোযোগী।’

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
৫ ঘণ্টা আগে
ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবে এই টেস্ট সিরিজটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহমানের সৌজন্যে।
৩৮ মিনিট আগে
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। কাল থেকে পাওয়া যাবে এই ম্যাচের টিকিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে তা জানিয়েছে বাফুফে।
৪১ মিনিট আগে
৮ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশসহ ৩০ দেশের ২০৯ খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই টুর্নামেন্টে। ফিলিস্তিনের আর্চারদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দিচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগে