Ajker Patrika

রোমাঞ্চ জাগিয়েও সিলেটকে হারাতে পারল না খুলনা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ২৩
Thumbnail image
টানা দুই ম্যাচ জিতল সিলেট সিক্সার্স। ছবি: ফেসবুক

শেষ ৫ বলে খুলনা টাইগার্সের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। হাতে ৩ উইকেট থাকলেও সেটা একেবারে অসম্ভব নয়। পরপর দুই বলে চার মেরে খুলনাকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন আবু হায়দার রনি। তবে তিনি ফিরতেই দলের সব আশা শেষ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি সিলেট স্ট্রাইকার্স জিতেছে ৮ রানে।

এবারের বিপিএলে খুলনা ও সিলেটের পথচলাটা হচ্ছে ভিন্ন রকম। প্রথম দুই ম্যাচ জেতা খুলনা হেরে গেল টানা দুই ম্যাচ। অন্যদিকে আরিফুল হকের নেতৃত্বাধীন সিলেট টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তিন ম্যাচ হেরে। ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ জিতল তারা। ঢাকা ক্যাপিটালসের পর আজ সিলেটের শিকার খুলনা।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রানে পরিণত হয় দলটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর হাল ধরেন উইলিয়ান বোসিস্টো ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজ-বোসিস্টো জুটি গড়েছে ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি। ১২ তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ঘরানার এই জুটি ভাঙেন রুয়েল মিয়া। দুই ওভার না যেতেই বোসিস্টো ফিরেছেন রিস টপলির বলে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪০ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন বোসিস্টো।

মিরাজ, বোসিস্টো দুই ব্যাটারকে হারিয়ে খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর ১৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। যেখানে ১৫,১৬ এই দুই ওভারে খুলনা নিয়েছে ১৭ ও ১৩ রান। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে নাওয়াজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেট নেওয়ার পর নাওয়াজকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তানজিম সাকিব। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন নাওয়াজ।

জিয়াউর রহমানও এরপর যখন রানআউট হয়ে ফেরেন, তখন খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। খুলনার এক-একটা উইকেট পড়তেই সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওঠে আনন্দের জোয়ার। শেষ ১৫ বলে ৪৫ রানের সমীকরণ মেলাতে খুলনা আপ্রাণ চেষ্টা করে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন। যার মধ্যে ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম সাকিবকে ছক্কা মারেন অঙ্কন। তানজিম সাকিবের এই বলটি ছিল নো বল।

এক পর্যায়ে যখন ৩ বলে ১০ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় খুলনার সামনে, তখন রুয়েল মিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারেন রনি। ডিপ কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিব ক্যাচ ধরতেই রুয়েলের বাঁধভাঙা উদযাপন। রনি আউট হওয়ার পরের বলে অঙ্কনও রানআউট হয়ে ফিরলে খুলনার জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমে যায় দলটি। রনি (৬ বলে ১৪ রান), অঙ্কনের (১৬ বলে ২৮ রান) দুই ক্যামিও ইনিংসও কাজে আসেনি। বোসিস্টোর ৪৩ রানই খুলনার ইনিংস সর্বোচ্চ। সিলেটের তানজিম সাকিব, রিস টপলি ও রুয়েল পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজ। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন জাকির হাসান। ৪ নম্বরে নেমে ৪৬ বলে বিধ্বংসী ইনিংস (৭৫) খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেরেছেন ৬ ছক্কা ও ৩ চার। জাকিরই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। খুলনার আবু হায়দার ও জিয়াউর রহমান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত